তানজিল আহমেদ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের গুরুত্ব অনেক। তবে প্রেজেন্টেশন নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই আতঙ্কগ্রস্ত হন, বিশেষত স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বিষয় নিয়ে জটিলতা বেশি দেখা দেয়।
আত্মবিশ্বাস
একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা অনেক বিচলিত থাকে। প্রথমে একজন শিক্ষার্থীকে সেই উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে হবে এবং নিজের ওপর এই বিশ্বাস রাখতে হবে ‘আমি পারব’। আর এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্যের সঙ্গে অনুশীলন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট গ্রুপ তৈরি করে প্রেজেন্টেশনের অনুশীলন করতে পারেন। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রেজেন্টেশনের ভালো কিছু রেকর্ডেড ভিডিও দেখে (ইউটিউব একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে) নিজে নিজে বাসায় অনুশীলন করতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
প্রেজেন্টেশনের পোশাক
প্রেজেন্টেশনে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা উচিত। এতে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে, তেমনি শ্রোতারাও উপস্থাপকের প্রতি মুগ্ধ হবেন। তবে প্রেজেন্টেশনের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফরমাল পোশাক নির্বাচন করাই শ্রেয়। অতি কালারফুল, যেমন–লাল, কালো, গোলাপি কিংবা হলুদ পোশাক পরিহার করা উচিত। ছেলে বা মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই সাদা, অফ হোয়াইট বা হালকা রঙের পোশাক পরা ভালো। পাশাপাশি পোশাক নির্বাচনের সময় অবশ্যই আবহাওয়া ও সময়কাল বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ গরমে শীতের পোশাক পরিহার করাই উত্তম।
ভাষা
ভাষা মানুষের মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি প্রেজেন্টেশনের ভাষা বাংলা, ইংরেজি বা মিক্সড উভয়ই হতে পারে। প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো আপনি কতটা গুছিয়ে এবং সুন্দরভাবে আপনার সুনির্দিষ্ট বিষয়টি উপস্থাপন করতে পেরেছেন। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ভাষা কেবল বাংলা বা ইংরেজি হতে পারে। কোনো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আপনি কোনো পেপার প্রেজেন্ট করলে সে ক্ষেত্রে ভাষা অবশ্যই সহজ, সাবলীল ইংরেজি হওয়া উচিত, যা আপনার শ্রোতারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে ভাষার বিষয়টি শিথিল থাকা সত্ত্বেও অনেকে ভুল ইংরেজি ব্যবহারে প্রেজেন্টেশন করেন। এতে প্রেজেন্টেটর যেমন নার্ভাস হয়ে যান, তেমনি অন্যান্য শিক্ষার্থী/শ্রোতাও প্রেজেন্টেশনে বিরক্ত হন। এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, আপনি ভাষার ওপর প্রেজেন্টেশন করছেন না, বরং আপনার প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি কতটা সহজ এবং সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করতে পারছেন, সেটিই মুখ্য। তবে পড়াশোনা এবং পরীক্ষার মাধ্যম সম্পূর্ণ ইংরেজি হলে, সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে প্রেজেন্টেশন করাটাই শ্রেয়। তা ছাড়া শ্রোতারা আপনার প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি কীভাবে নিচ্ছেন বা উপস্থাপকের বক্তব্য বুঝতে পারছেন কি না, তার ওপর ভিত্তি করে ভাষা নির্বাচন করা উচিত।
স্ট্যান্ডার্ড স্লাইড প্রিপারেশন
একাডেমিক প্রেজেন্টেশনে ভালো করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্ট্যান্ডার্ড স্লাইড প্রস্তুত। যেখানে আপনার মূল প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি চমৎকারভাবে গোছানো থাকবে। এ ক্ষেত্রে আদর্শ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি করার সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, ফন্ট সাইজ এবং স্টাইল, স্লাইড নম্বর ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।
একটি আদর্শ স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার হোয়াইট এবং ফন্ট ব্ল্যাক কালার হতে পারে। পাশাপাশি শিরোনামে ফন্ট সাইজ ৩৬ থেকে ৪০ এবং টেক্সটে ২৮-৩২ হতে পারে। লেখার ফন্ট স্টাইল Arial বা Times New Roman হতে পারে। অনেকেই একটি স্লাইডে ১০/১২ লাইন যুক্ত করেন, এতে স্লাইডের লেখাগুলো খুব ছোট হয়ে যায় যা স্লাইডের লেখাগুলো পড়ার বা বোঝার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করে। মনে রাখতে হবে, একটি স্ট্যান্ডার্ড স্লাইডে সর্বোচ্চ ৭-৮ লাইন হতে পারে। স্লাইডকে আকর্ষণীয় করতে প্রয়োজনে তথ্যচিত্র যুক্ত করুন। এতে শ্রেণিকক্ষের শেষ প্রান্তের শিক্ষার্থীরাও স্লাইডের বিষয়গুলো খুব সহজে বুঝতে পারবেন।
প্রেজেন্টেশন গ্রামার
একাডেমিক প্রেজেন্টেশন ভালো করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হলো প্রেজেন্টেশন গ্রামার অনুসরণ করা। এ ক্ষেত্রে আই কন্টাক্ট, মুভমেন্ট, শব্দের উচ্চারণ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভারবাল ও নন-ভারবাল কিউজের ব্যবহার, শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলা, প্রশ্নোত্তর পর্ব ইত্যাদি প্রেজেন্টেশন গ্রামারের অংশ। অনেক সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রেজেন্টেশনের সময় হাতে থাকা চিরকুট বা ল্যাপটপ থেকে শুধু রিডিং পড়ছেন কিংবা ডায়াসে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছেন বা পকেটে হাত দিয়ে রেখেছেন, যা একজন প্রেজেন্টেটরের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। তাই প্রেজেন্টেশনের সময় অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, পাশাপাশি প্রাণবন্ত থাকতে হবে। তবেই প্রেজেন্টেশন মনোমুগ্ধকর হবে।
সময়
পৃথিবীতে সব ক্ষেত্রেই সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশনের নির্ধারিত বিষয়টুকু অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে বারবার অনুশীলন করে সময়ের বিষয় আয়ত্ত করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট বিষয়ে প্রস্তুতি
সর্বোপরি একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই তার প্রেজেন্টেশনের নির্ধারিত বিষয়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। যে বিষয়ে প্রেজেন্টেশন করতে হবে সে বিষয়ের আপডেট তথ্য, পরিসংখ্যানগত তথ্য এবং বাস্তবসম্মত বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করতে পারলে অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীর প্রেজেন্টেশন মনোমুগ্ধকর হবে।
লেখক: প্রভাষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের গুরুত্ব অনেক। তবে প্রেজেন্টেশন নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই আতঙ্কগ্রস্ত হন, বিশেষত স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বিষয় নিয়ে জটিলতা বেশি দেখা দেয়।
আত্মবিশ্বাস
একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় শিক্ষার্থীরা অনেক বিচলিত থাকে। প্রথমে একজন শিক্ষার্থীকে সেই উদ্বেগ কাটিয়ে উঠতে হবে এবং নিজের ওপর এই বিশ্বাস রাখতে হবে ‘আমি পারব’। আর এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্যের সঙ্গে অনুশীলন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট গ্রুপ তৈরি করে প্রেজেন্টেশনের অনুশীলন করতে পারেন। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রেজেন্টেশনের ভালো কিছু রেকর্ডেড ভিডিও দেখে (ইউটিউব একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে) নিজে নিজে বাসায় অনুশীলন করতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
প্রেজেন্টেশনের পোশাক
প্রেজেন্টেশনে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মার্জিত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা উচিত। এতে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে, তেমনি শ্রোতারাও উপস্থাপকের প্রতি মুগ্ধ হবেন। তবে প্রেজেন্টেশনের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফরমাল পোশাক নির্বাচন করাই শ্রেয়। অতি কালারফুল, যেমন–লাল, কালো, গোলাপি কিংবা হলুদ পোশাক পরিহার করা উচিত। ছেলে বা মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই সাদা, অফ হোয়াইট বা হালকা রঙের পোশাক পরা ভালো। পাশাপাশি পোশাক নির্বাচনের সময় অবশ্যই আবহাওয়া ও সময়কাল বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ গরমে শীতের পোশাক পরিহার করাই উত্তম।
ভাষা
ভাষা মানুষের মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আমি মনে করি প্রেজেন্টেশনের ভাষা বাংলা, ইংরেজি বা মিক্সড উভয়ই হতে পারে। প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো আপনি কতটা গুছিয়ে এবং সুন্দরভাবে আপনার সুনির্দিষ্ট বিষয়টি উপস্থাপন করতে পেরেছেন। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ভাষা কেবল বাংলা বা ইংরেজি হতে পারে। কোনো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আপনি কোনো পেপার প্রেজেন্ট করলে সে ক্ষেত্রে ভাষা অবশ্যই সহজ, সাবলীল ইংরেজি হওয়া উচিত, যা আপনার শ্রোতারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, একাডেমিক প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে ভাষার বিষয়টি শিথিল থাকা সত্ত্বেও অনেকে ভুল ইংরেজি ব্যবহারে প্রেজেন্টেশন করেন। এতে প্রেজেন্টেটর যেমন নার্ভাস হয়ে যান, তেমনি অন্যান্য শিক্ষার্থী/শ্রোতাও প্রেজেন্টেশনে বিরক্ত হন। এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, আপনি ভাষার ওপর প্রেজেন্টেশন করছেন না, বরং আপনার প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি কতটা সহজ এবং সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করতে পারছেন, সেটিই মুখ্য। তবে পড়াশোনা এবং পরীক্ষার মাধ্যম সম্পূর্ণ ইংরেজি হলে, সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে প্রেজেন্টেশন করাটাই শ্রেয়। তা ছাড়া শ্রোতারা আপনার প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি কীভাবে নিচ্ছেন বা উপস্থাপকের বক্তব্য বুঝতে পারছেন কি না, তার ওপর ভিত্তি করে ভাষা নির্বাচন করা উচিত।
স্ট্যান্ডার্ড স্লাইড প্রিপারেশন
একাডেমিক প্রেজেন্টেশনে ভালো করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্ট্যান্ডার্ড স্লাইড প্রস্তুত। যেখানে আপনার মূল প্রেজেন্টেশনের বিষয়টি চমৎকারভাবে গোছানো থাকবে। এ ক্ষেত্রে আদর্শ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি করার সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, ফন্ট সাইজ এবং স্টাইল, স্লাইড নম্বর ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।
একটি আদর্শ স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার হোয়াইট এবং ফন্ট ব্ল্যাক কালার হতে পারে। পাশাপাশি শিরোনামে ফন্ট সাইজ ৩৬ থেকে ৪০ এবং টেক্সটে ২৮-৩২ হতে পারে। লেখার ফন্ট স্টাইল Arial বা Times New Roman হতে পারে। অনেকেই একটি স্লাইডে ১০/১২ লাইন যুক্ত করেন, এতে স্লাইডের লেখাগুলো খুব ছোট হয়ে যায় যা স্লাইডের লেখাগুলো পড়ার বা বোঝার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি করে। মনে রাখতে হবে, একটি স্ট্যান্ডার্ড স্লাইডে সর্বোচ্চ ৭-৮ লাইন হতে পারে। স্লাইডকে আকর্ষণীয় করতে প্রয়োজনে তথ্যচিত্র যুক্ত করুন। এতে শ্রেণিকক্ষের শেষ প্রান্তের শিক্ষার্থীরাও স্লাইডের বিষয়গুলো খুব সহজে বুঝতে পারবেন।
প্রেজেন্টেশন গ্রামার
একাডেমিক প্রেজেন্টেশন ভালো করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হলো প্রেজেন্টেশন গ্রামার অনুসরণ করা। এ ক্ষেত্রে আই কন্টাক্ট, মুভমেন্ট, শব্দের উচ্চারণ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, ভারবাল ও নন-ভারবাল কিউজের ব্যবহার, শ্রোতাদের সঙ্গে কথা বলা, প্রশ্নোত্তর পর্ব ইত্যাদি প্রেজেন্টেশন গ্রামারের অংশ। অনেক সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রেজেন্টেশনের সময় হাতে থাকা চিরকুট বা ল্যাপটপ থেকে শুধু রিডিং পড়ছেন কিংবা ডায়াসে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছেন বা পকেটে হাত দিয়ে রেখেছেন, যা একজন প্রেজেন্টেটরের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। তাই প্রেজেন্টেশনের সময় অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, পাশাপাশি প্রাণবন্ত থাকতে হবে। তবেই প্রেজেন্টেশন মনোমুগ্ধকর হবে।
সময়
পৃথিবীতে সব ক্ষেত্রেই সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশনের নির্ধারিত বিষয়টুকু অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে বারবার অনুশীলন করে সময়ের বিষয় আয়ত্ত করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট বিষয়ে প্রস্তুতি
সর্বোপরি একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই তার প্রেজেন্টেশনের নির্ধারিত বিষয়ে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। যে বিষয়ে প্রেজেন্টেশন করতে হবে সে বিষয়ের আপডেট তথ্য, পরিসংখ্যানগত তথ্য এবং বাস্তবসম্মত বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করতে পারলে অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীর প্রেজেন্টেশন মনোমুগ্ধকর হবে।
লেখক: প্রভাষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
১৬ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে