প্রতিনিধি, ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের দক্ষিণ পূর্বকোণে থাকা একটি কৃষ্ণচূড়া ও দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তাই কেটে ফেলা হয়েছে। একটি গাছের পরিবর্তে একাধিক গাছ লাগানো হবে বলে জানায় প্রশাসন।
ঢাকা শহরে হাতেগোনা কয়েকটা স্থানে সবুজের সমারোহ দেখা যায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চন্দ্রিমা উদ্যান, মিরপুর চিড়িয়াখানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কয়েক কোটি মানুষের মাঝে এই সামান্য সবুজের সমারোহেও উন্নয়নমূলক বা সংস্কারের কাজের নামে নামা হয় বৃক্ষ নিধনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঢাবি শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান লিখেছেন, এই গাছগুলো কেটে কি উন্নয়ন হলো জানি না! তবে ভালো কিছু হয়নি সেটা বলতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। এসব দৃশ্য দেখে আহত হলাম।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনীম মীম লিখেছেন, জানি না এখানে কোন রাজপ্রাসাদ তৈরি হবে! কিন্তু ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বর্ধন বা কোন কাজে সব সময় গাছই কেন কাটতে হয়? বিশেষ করে পুরোনো গাছগুলো! ছোট বেলায় সবাই-ই Tree Plantation বা Deforestation পড়ে আসছে। কিন্তু তা ওই পুথিগত বিদ্যা আর গরমে/এয়ার পলুউশনে ঢাকা শহরকে গালি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। না আমরা নিজেরা গাছ লাগাব, না গাছ কাটা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করব। অবশ্য প্রতিবাদ করেও তেমন কোন লাভ হয় না, হলে বাংলা একাডেমির সামনের গাছগুলোর এখনো থাকত। গাছগাছালির ক্ষতি না করেও ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্ল্যান করা যায় কিন্তু আমাদের দেশের প্লান্যারদের চোখ সব সময় কেন যেন ওই গাছের দিকেই।
গাছ কাটার বিষয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরী কালচারের প্রধান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, 'গাছগুলো রাস্তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। আমরা গাছটি কাটতে চাইনি কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গাছ পড়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই নিরাপত্তা স্বার্থে গাছ কাটা হয়েছে। গাছ পড়ে এর আগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাছ কাটার জায়গায় একই জাতের একাধিক গাছ রোপন করে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মিহির লাল।
মিহির লাল আরও বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছটির একদিকে শিকড় উঠে গিয়েছিল। যার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা ছিল বা আরও বড় রকমের ক্ষতি হতে পারত। দুটো ইউক্যালিপটাস গাছও কেটে ফেলা হয়েছে একই সমস্যার কারণে। এই গাছগুলো ক্যাম্পাসে ঝুঁকি তৈরি করে। যেহেতু ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে তাই গাছগুলো কেটে ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বিরোধিতা করলেও আমরা তো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না বলে উল্লেখ করেন মিহির লাল।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, 'গাছগুলো হেলে যাচ্ছিল, যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে কাটা হচ্ছে। সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের দক্ষিণ পূর্বকোণে থাকা একটি কৃষ্ণচূড়া ও দুটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তাই কেটে ফেলা হয়েছে। একটি গাছের পরিবর্তে একাধিক গাছ লাগানো হবে বলে জানায় প্রশাসন।
ঢাকা শহরে হাতেগোনা কয়েকটা স্থানে সবুজের সমারোহ দেখা যায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চন্দ্রিমা উদ্যান, মিরপুর চিড়িয়াখানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কয়েক কোটি মানুষের মাঝে এই সামান্য সবুজের সমারোহেও উন্নয়নমূলক বা সংস্কারের কাজের নামে নামা হয় বৃক্ষ নিধনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঢাবি শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান লিখেছেন, এই গাছগুলো কেটে কি উন্নয়ন হলো জানি না! তবে ভালো কিছু হয়নি সেটা বলতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবেগের সঙ্গে জড়িত। এসব দৃশ্য দেখে আহত হলাম।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনীম মীম লিখেছেন, জানি না এখানে কোন রাজপ্রাসাদ তৈরি হবে! কিন্তু ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য বর্ধন বা কোন কাজে সব সময় গাছই কেন কাটতে হয়? বিশেষ করে পুরোনো গাছগুলো! ছোট বেলায় সবাই-ই Tree Plantation বা Deforestation পড়ে আসছে। কিন্তু তা ওই পুথিগত বিদ্যা আর গরমে/এয়ার পলুউশনে ঢাকা শহরকে গালি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। না আমরা নিজেরা গাছ লাগাব, না গাছ কাটা নিয়ে কোন প্রতিবাদ করব। অবশ্য প্রতিবাদ করেও তেমন কোন লাভ হয় না, হলে বাংলা একাডেমির সামনের গাছগুলোর এখনো থাকত। গাছগাছালির ক্ষতি না করেও ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্ল্যান করা যায় কিন্তু আমাদের দেশের প্লান্যারদের চোখ সব সময় কেন যেন ওই গাছের দিকেই।
গাছ কাটার বিষয়ে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবরী কালচারের প্রধান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, 'গাছগুলো রাস্তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। আমরা গাছটি কাটতে চাইনি কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গাছ পড়ে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাই নিরাপত্তা স্বার্থে গাছ কাটা হয়েছে। গাছ পড়ে এর আগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাছ কাটার জায়গায় একই জাতের একাধিক গাছ রোপন করে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মিহির লাল।
মিহির লাল আরও বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছটির একদিকে শিকড় উঠে গিয়েছিল। যার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা ছিল বা আরও বড় রকমের ক্ষতি হতে পারত। দুটো ইউক্যালিপটাস গাছও কেটে ফেলা হয়েছে একই সমস্যার কারণে। এই গাছগুলো ক্যাম্পাসে ঝুঁকি তৈরি করে। যেহেতু ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে তাই গাছগুলো কেটে ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বিরোধিতা করলেও আমরা তো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারি না বলে উল্লেখ করেন মিহির লাল।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, 'গাছগুলো হেলে যাচ্ছিল, যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে কাটা হচ্ছে। সেখানে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।'
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
১৫ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যে জন্ম ও কানাডায় বেড়ে ওঠা ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক, সাংবাদিক ও বক্তা। তাঁর অন্যতম বই হলো আউটলায়ার্স। বইটি বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যপুস্তক বা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। এটি ব্যক্তিত্ব গঠনের, দক্ষতা বিকাশের এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নেওয়ার এক বিশাল ক্ষেত্র। এই সময় ক্লাব কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উল্লেখযো
২২ মিনিট আগেবিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য নেদারল্যান্ডস। ইউরোপের দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ম্যাস্ট্রিচ ইউনিভার্সিটির বৃত্তি।
২৫ মিনিট আগে