তাসনুভা চৌধুরী
মানুষের শরীরের বেশির ভাগ ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। সাধারণভাবে গর্ভধারণের কয়েক সপ্তাহ পরে মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রথম দিকে এটি সম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিশুকাল থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে। স্নায়ু গবেষকদের বিভিন্ন মত পর্যালোচনা করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কৌশল নিয়ে লিখেছেন তাসনুভা চৌধুরী।
ঘুম
ঘুম মস্তিষ্কের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রিয়াকলাপগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্ক প্রাথমিক জীবনে সুস্থ বুদ্ধিদীপ্ত এবং মনোসামাজিক বিকাশ সঠিকভাবে ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্নায়ু গবেষক ড্যানিয়েল লেভিটিন বলেছেন, ‘আপনি যদি রাতে ভালো ঘুমাতে না পারেন, তবে দিনের ঘটনাগুলো স্মৃতিতে সঠিকভাবে এনকোড করা হয় না।’ অর্থাৎ রাতে বিশুদ্ধভাবে তথা ভালো ঘুমানো হচ্ছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম কৌশল।
খাবার
পুষ্টিকর সুষম খাবার মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশের পাশাপাশি কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য ডাল, বাদাম, তৈলাক্ত খাবার, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, তাজা ফল, সবুজ শাকসবজিসহ আমিষজাতীয় খাবার নিয়মিত পরিমাণমতো খেতে হবে। কারণ, সুস্বাস্থ্যের মধ্য দিয়েই মূলত মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিপরীতে ধূমপান, মদ্যপান, তামাক, অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়া মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এসব অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে। অধ্যাপক ট্রেভর রবিন্স বলেছেন, ‘ধূমপান সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ আসক্তিমূলক আচরণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।’
শরীরের যত্ন
মস্তিষ্ক শরীরের একটি অঙ্গ। তাই শরীরের যত্ন না নিলে মস্তিষ্কেরও অযত্ন হয়। পুরো শরীর সচল এবং কর্মক্ষম রাখতে খাবার ও ঘুমের পাশাপাশি শরীরচর্চাও খুব জরুরি। শরীর সচল থাকলে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়ে। এর মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। স্নায়ুবিজ্ঞানী আন্তোনিও দামাসিওর মতে, ‘বিচ্ছিন্ন মন বলে কিছু নেই। মন মস্তিষ্কে রোপণ করা হয় এবং মস্তিষ্ক শরীরে বসানো হয়।’ তাই শরীরের যত্নের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের জন্য নির্ধারিত কিছু ব্যায়াম বা অনুশীলনও করা যেতে পারে।
অলসতা দূর
মস্তিষ্ক সজাগ ও তীক্ষ্ণ রাখার অন্যতম উপায় হলো কোনো কিছুর চর্চা করা। এ ক্ষেত্রে গণিত চর্চা বা কারও সঙ্গে যুক্তিভিত্তিক কোনো বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। পাশাপাশি সামাজিক হতে শেখাও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য জরুরি। কোনো কিছু বারবার চর্চা করলে মস্তিষ্কের দৃঢ়তা বাড়ে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যাবে না। মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হবে।
ইতিবাচক চিন্তা ও আত্মবিশ্বাস
নেতিবাচক চিন্তা মস্তিষ্কের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। অন্ধকারে অনেক বেশি একা সময় কাটানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে নেতিবাচক চিন্তা আসতে পারে। নেতিবাচক চিন্তার বদলে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। আত্মবিশ্বাস গঠন হয় এমন সব সৃজনশীল কাজের চর্চা করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর ইতিবাচক চিন্তার ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। ক্রিস্টফ কোচের মতে, ‘একটি সিদ্ধান্ত নিন, নিজেকে বিশ্বাস করুন এবং এটির সঙ্গে লেগে থাকুন।’
ইলেকট্রনিক ডিভাইস
হেডফোনে দীর্ঘ সময় কিছু শুনতে থাকলে সেটিও মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যেকোনো স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটালেও চোখ ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম সময়ের ভিডিও, আলোকচিত্র অতিরিক্ত দেখলে মানুষের মনোযোগের দীর্ঘতা কমে যায়, পাশাপাশি সৃজনশীলতাও নষ্ট হতে থাকে। স্নায়ুবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল লেভিটিন বলেছেন, ‘বেশির ভাগ কাজের জন্য কিছু সৃজনশীলতা এবং নমনীয় চিন্তাভাবনা প্রয়োজন।’ তাই নিজের পরিবার, সমাজ, প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো এবং সৃজনশীল কাজে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিন।
মানুষের শরীরের বেশির ভাগ ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। সাধারণভাবে গর্ভধারণের কয়েক সপ্তাহ পরে মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রথম দিকে এটি সম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। তাই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিশুকাল থেকেই আমাদের সচেতন হতে হবে। স্নায়ু গবেষকদের বিভিন্ন মত পর্যালোচনা করে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর কিছু কৌশল নিয়ে লিখেছেন তাসনুভা চৌধুরী।
ঘুম
ঘুম মস্তিষ্কের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রিয়াকলাপগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্ক প্রাথমিক জীবনে সুস্থ বুদ্ধিদীপ্ত এবং মনোসামাজিক বিকাশ সঠিকভাবে ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্নায়ু গবেষক ড্যানিয়েল লেভিটিন বলেছেন, ‘আপনি যদি রাতে ভালো ঘুমাতে না পারেন, তবে দিনের ঘটনাগুলো স্মৃতিতে সঠিকভাবে এনকোড করা হয় না।’ অর্থাৎ রাতে বিশুদ্ধভাবে তথা ভালো ঘুমানো হচ্ছে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম কৌশল।
খাবার
পুষ্টিকর সুষম খাবার মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশের পাশাপাশি কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য ডাল, বাদাম, তৈলাক্ত খাবার, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, তাজা ফল, সবুজ শাকসবজিসহ আমিষজাতীয় খাবার নিয়মিত পরিমাণমতো খেতে হবে। কারণ, সুস্বাস্থ্যের মধ্য দিয়েই মূলত মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। বিপরীতে ধূমপান, মদ্যপান, তামাক, অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়া মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এসব অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে। অধ্যাপক ট্রেভর রবিন্স বলেছেন, ‘ধূমপান সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ আসক্তিমূলক আচরণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।’
শরীরের যত্ন
মস্তিষ্ক শরীরের একটি অঙ্গ। তাই শরীরের যত্ন না নিলে মস্তিষ্কেরও অযত্ন হয়। পুরো শরীর সচল এবং কর্মক্ষম রাখতে খাবার ও ঘুমের পাশাপাশি শরীরচর্চাও খুব জরুরি। শরীর সচল থাকলে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়ে। এর মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। স্নায়ুবিজ্ঞানী আন্তোনিও দামাসিওর মতে, ‘বিচ্ছিন্ন মন বলে কিছু নেই। মন মস্তিষ্কে রোপণ করা হয় এবং মস্তিষ্ক শরীরে বসানো হয়।’ তাই শরীরের যত্নের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের জন্য নির্ধারিত কিছু ব্যায়াম বা অনুশীলনও করা যেতে পারে।
অলসতা দূর
মস্তিষ্ক সজাগ ও তীক্ষ্ণ রাখার অন্যতম উপায় হলো কোনো কিছুর চর্চা করা। এ ক্ষেত্রে গণিত চর্চা বা কারও সঙ্গে যুক্তিভিত্তিক কোনো বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। পাশাপাশি সামাজিক হতে শেখাও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য জরুরি। কোনো কিছু বারবার চর্চা করলে মস্তিষ্কের দৃঢ়তা বাড়ে। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত চাপ নেওয়া যাবে না। মাঝে মাঝে বিরতি নিতে হবে।
ইতিবাচক চিন্তা ও আত্মবিশ্বাস
নেতিবাচক চিন্তা মস্তিষ্কের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। অন্ধকারে অনেক বেশি একা সময় কাটানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে নেতিবাচক চিন্তা আসতে পারে। নেতিবাচক চিন্তার বদলে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। আত্মবিশ্বাস গঠন হয় এমন সব সৃজনশীল কাজের চর্চা করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর ইতিবাচক চিন্তার ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। ক্রিস্টফ কোচের মতে, ‘একটি সিদ্ধান্ত নিন, নিজেকে বিশ্বাস করুন এবং এটির সঙ্গে লেগে থাকুন।’
ইলেকট্রনিক ডিভাইস
হেডফোনে দীর্ঘ সময় কিছু শুনতে থাকলে সেটিও মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। যেকোনো স্ক্রিনের সামনে বেশি সময় কাটালেও চোখ ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কম সময়ের ভিডিও, আলোকচিত্র অতিরিক্ত দেখলে মানুষের মনোযোগের দীর্ঘতা কমে যায়, পাশাপাশি সৃজনশীলতাও নষ্ট হতে থাকে। স্নায়ুবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল লেভিটিন বলেছেন, ‘বেশির ভাগ কাজের জন্য কিছু সৃজনশীলতা এবং নমনীয় চিন্তাভাবনা প্রয়োজন।’ তাই নিজের পরিবার, সমাজ, প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো এবং সৃজনশীল কাজে অংশ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
১৬ ঘণ্টা আগে