আইইএলটিএস হলো একটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা। যার পূর্ণরূপ হলো International English Language Testing System. আপনি বিদেশে গিয়ে ইংরেজি ভাষায় ওই দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন কি না, সেটি যাচাই করার জন্য এ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
মানুষ নিজেই তার নিজের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। আপনি যদি আইইএলটিএস দিতে চান তাহলে পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিন, ভালো করা সম্ভব।
কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে
আইইএলটিএসের চারটি ভাগ থাকে, যথাক্রমে Reading, Writing, Speaking ও Listening। এই চারটি ভাগের মধ্যে একটিতেও যদি পয়েন্ট কম আসে, তাহলে মোট স্কোর অনেকটা কমে যায়।
স্পিকিং টেস্ট
দেশের বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী স্পিকিং পার্টটিতে ভয় পায়। আমাদের ভাষা ইংরেজি না হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই আমরা যে পরিবেশে বড় হই, সেখানে ইংরেজির ব্যবহার তেমন লক্ষ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সমাধান কী হতে পারে? আমি সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে ইংরেজি পাবলিক স্পিকিং এবং ইংরেজি উপস্থিত বক্তৃতায় অংশ নিতাম। পরে এটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। কথায় ফ্লুয়েন্সি আনার জন্য ইংরেজি বিতর্ক, পাবলিক স্পিকিং, উপস্থিত বক্তৃতা, স্টোরি টেলিং—এসব বেশ ভালো পন্থা হতে পারে। পরীক্ষার সময় অনেকেই নার্ভাস হয়ে যান, যেটা একদমই হওয়া যাবে না।
আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে না। ইংরেজিতে কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাস আনার জন্য আপনি আগে থেকে অনুশীলন শুরু করতে পারেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন নিজের সঙ্গে ১০-২০ মিনিট ইংরেজিতে কথা বলুন। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়, প্রতিটি কাজ করার সময় চেষ্টা করুন ইংরেজিতে কথা বলার। এ ক্ষেত্রে একজন ইংরেজিতে কথা বলার সঙ্গীর বিকল্প নেই।
রিডিং টেস্ট
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে আমরা ইংরেজি পরীক্ষায় প্যাসেজ পেয়েছি। আইইএলটিএসেও প্যাসেজ থাকবে ৩০০টির বেশি। রিডিং টেস্টটি দেওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে, প্যারাফ্রেজিং থেকে synonyms-উত্তর হিসেবে লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। ইংরেজি বই, ম্যাগাজিন, গাইডলাইন, বিজ্ঞাপন, হ্যান্ডবুক, জার্নাল পড়লে রিডিং টেস্টে ভালো করা সম্ভব। আগে থেকেই গুগলে সার্চ করে আপনি আইইএলটিএসের প্যাসেজ নিয়ে নিজে নিজে চেষ্টা করতে পারেন।
রাইটিং টেস্ট
আমি স্কুল ও কলেজে কখনো রাইটিং পার্টগুলো পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করিনি, এমনকি চোখ বুলিয়েও যাইনি। আমি সিলেবাসও দেখতাম না যে কী কী আছে। পরীক্ষায় যা আসত ইনস্ট্যান্ট লিখে দিতাম। আমি ভীষণ খুঁতখুঁতেও ছিলাম, সবাই এক কম্পোজিশন, লেটার, ই-মেইল, ডায়ালগ, প্যারাগ্রাফ, কমপ্লিটিং স্টোরি—ইত্যাদি লেখার ফলে নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে, প্রায়ই হাতে সময় থাকলে কেটে দিয়ে আবার নতুন করে লেখার চেষ্টা করতাম। এই যে নিজের মতো করে সৃজনশীলভাবে লিখতে পারার শক্তি, সেটি আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। আপনিও ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং অনুশীলন করুন। বন্ধুকে চিঠি লিখুন ইংরেজিতে, সারা দিনের সবকিছু ডায়েরিতে লিখুন ইংরেজিতে, হুটহাট যেকোনো টপিক নিয়ে লিখে ফেলুন। এতে রাইটিং সেকশনে আপনার সহায়তা হবে। আইইএলটিএসের রাইটিং পার্টের Essay-টি লেখার সময় আপনাকে লজিক্যাল থাকতে হবে; এ ক্ষেত্রে আপনি আগে থেকেই ভোকাবুলারিও অনুশীলন করবেন।
লিসেনিং টেস্ট
লিসেনিং টেস্টে ভালো করার ক্ষেত্রে বিবিসি, সিএনএনসহ বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে ঘুমানোর আগে পডকাস্ট শোনার অভ্যাস করুন, তারা কী বলছে, মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সেখান থেকেই হাইলাইটেড টপিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
বিভিন্ন সোর্স
আপনার আইইএলটিএস টেস্টটি নেওয়ার আগে মক টেস্ট দিন। এর মধ্য দিয়ে বুঝতে পারবেন আপনি কতটুকু প্রস্তুত হতে পেরেছেন। এ ছাড়া ইংরেজি সাবটাইটেলসহ সিরিজ, সিনেমা দেখুন। রিয়েললাইফ ইংলিশের পডকাস্টগুলো শুনতে পারেন। আমি লিংক যুক্ত করে দিচ্ছি চ্যানেলের-https://youtube.com /@RealLifeEnglish1?si=zUko3k7UEQcIC2। আইইএলটিএস Liz চ্যানেলটিও বেশ কার্যকর (https: //youtube.com/@ieltsliz?si=8cWZpMW7oqpbliqR)।
আমি ছোটবেলায় ইন্টারনেট অ্যাকসেস পাইনি। টেলিভিশন, নিউজ পেপার কিংবা বইয়ে নতুন শব্দ পেলে অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতাম। অর্থটি দেয়ালে অথবা বাসার শোকেসের কাঠে লিখে রাখতাম। এখন যুগ বদলেছে; ঘরে ঘরে ইন্টারনেট অ্যাকসেস, চাইলেই ভোকাবুলারি শিখে ফেলা যায়, শব্দের ভান্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ এবং মজবুত হবে, তত বেশি ভালো করতে পারবেন। নিজের ভেতরের শক্তিকে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিন আজই, এক্ষুনি।
শ্রেয়া ঘোষ, ডিনস স্কলার, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজেস ডিনস স্কলারশিপ।
আইইএলটিএস হলো একটি ইংরেজি ভাষার দক্ষতার পরীক্ষা। যার পূর্ণরূপ হলো International English Language Testing System. আপনি বিদেশে গিয়ে ইংরেজি ভাষায় ওই দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন কি না, সেটি যাচাই করার জন্য এ পরীক্ষা নেওয়া হয়।
মানুষ নিজেই তার নিজের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। আপনি যদি আইইএলটিএস দিতে চান তাহলে পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিন, ভালো করা সম্ভব।
কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে
আইইএলটিএসের চারটি ভাগ থাকে, যথাক্রমে Reading, Writing, Speaking ও Listening। এই চারটি ভাগের মধ্যে একটিতেও যদি পয়েন্ট কম আসে, তাহলে মোট স্কোর অনেকটা কমে যায়।
স্পিকিং টেস্ট
দেশের বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী স্পিকিং পার্টটিতে ভয় পায়। আমাদের ভাষা ইংরেজি না হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই আমরা যে পরিবেশে বড় হই, সেখানে ইংরেজির ব্যবহার তেমন লক্ষ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সমাধান কী হতে পারে? আমি সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে ইংরেজি পাবলিক স্পিকিং এবং ইংরেজি উপস্থিত বক্তৃতায় অংশ নিতাম। পরে এটি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। কথায় ফ্লুয়েন্সি আনার জন্য ইংরেজি বিতর্ক, পাবলিক স্পিকিং, উপস্থিত বক্তৃতা, স্টোরি টেলিং—এসব বেশ ভালো পন্থা হতে পারে। পরীক্ষার সময় অনেকেই নার্ভাস হয়ে যান, যেটা একদমই হওয়া যাবে না।
আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া যাবে না। ইংরেজিতে কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাস আনার জন্য আপনি আগে থেকে অনুশীলন শুরু করতে পারেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন নিজের সঙ্গে ১০-২০ মিনিট ইংরেজিতে কথা বলুন। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়, প্রতিটি কাজ করার সময় চেষ্টা করুন ইংরেজিতে কথা বলার। এ ক্ষেত্রে একজন ইংরেজিতে কথা বলার সঙ্গীর বিকল্প নেই।
রিডিং টেস্ট
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে আমরা ইংরেজি পরীক্ষায় প্যাসেজ পেয়েছি। আইইএলটিএসেও প্যাসেজ থাকবে ৩০০টির বেশি। রিডিং টেস্টটি দেওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে, প্যারাফ্রেজিং থেকে synonyms-উত্তর হিসেবে লেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। ইংরেজি বই, ম্যাগাজিন, গাইডলাইন, বিজ্ঞাপন, হ্যান্ডবুক, জার্নাল পড়লে রিডিং টেস্টে ভালো করা সম্ভব। আগে থেকেই গুগলে সার্চ করে আপনি আইইএলটিএসের প্যাসেজ নিয়ে নিজে নিজে চেষ্টা করতে পারেন।
রাইটিং টেস্ট
আমি স্কুল ও কলেজে কখনো রাইটিং পার্টগুলো পরীক্ষার জন্য মুখস্থ করিনি, এমনকি চোখ বুলিয়েও যাইনি। আমি সিলেবাসও দেখতাম না যে কী কী আছে। পরীক্ষায় যা আসত ইনস্ট্যান্ট লিখে দিতাম। আমি ভীষণ খুঁতখুঁতেও ছিলাম, সবাই এক কম্পোজিশন, লেটার, ই-মেইল, ডায়ালগ, প্যারাগ্রাফ, কমপ্লিটিং স্টোরি—ইত্যাদি লেখার ফলে নম্বর কম পাওয়ার ভয়ে, প্রায়ই হাতে সময় থাকলে কেটে দিয়ে আবার নতুন করে লেখার চেষ্টা করতাম। এই যে নিজের মতো করে সৃজনশীলভাবে লিখতে পারার শক্তি, সেটি আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছে। আপনিও ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং অনুশীলন করুন। বন্ধুকে চিঠি লিখুন ইংরেজিতে, সারা দিনের সবকিছু ডায়েরিতে লিখুন ইংরেজিতে, হুটহাট যেকোনো টপিক নিয়ে লিখে ফেলুন। এতে রাইটিং সেকশনে আপনার সহায়তা হবে। আইইএলটিএসের রাইটিং পার্টের Essay-টি লেখার সময় আপনাকে লজিক্যাল থাকতে হবে; এ ক্ষেত্রে আপনি আগে থেকেই ভোকাবুলারিও অনুশীলন করবেন।
লিসেনিং টেস্ট
লিসেনিং টেস্টে ভালো করার ক্ষেত্রে বিবিসি, সিএনএনসহ বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে ঘুমানোর আগে পডকাস্ট শোনার অভ্যাস করুন, তারা কী বলছে, মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সেখান থেকেই হাইলাইটেড টপিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
বিভিন্ন সোর্স
আপনার আইইএলটিএস টেস্টটি নেওয়ার আগে মক টেস্ট দিন। এর মধ্য দিয়ে বুঝতে পারবেন আপনি কতটুকু প্রস্তুত হতে পেরেছেন। এ ছাড়া ইংরেজি সাবটাইটেলসহ সিরিজ, সিনেমা দেখুন। রিয়েললাইফ ইংলিশের পডকাস্টগুলো শুনতে পারেন। আমি লিংক যুক্ত করে দিচ্ছি চ্যানেলের-https://youtube.com /@RealLifeEnglish1?si=zUko3k7UEQcIC2। আইইএলটিএস Liz চ্যানেলটিও বেশ কার্যকর (https: //youtube.com/@ieltsliz?si=8cWZpMW7oqpbliqR)।
আমি ছোটবেলায় ইন্টারনেট অ্যাকসেস পাইনি। টেলিভিশন, নিউজ পেপার কিংবা বইয়ে নতুন শব্দ পেলে অর্থ খুঁজে বের করার চেষ্টা করতাম। অর্থটি দেয়ালে অথবা বাসার শোকেসের কাঠে লিখে রাখতাম। এখন যুগ বদলেছে; ঘরে ঘরে ইন্টারনেট অ্যাকসেস, চাইলেই ভোকাবুলারি শিখে ফেলা যায়, শব্দের ভান্ডার যত বেশি সমৃদ্ধ এবং মজবুত হবে, তত বেশি ভালো করতে পারবেন। নিজের ভেতরের শক্তিকে খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিন আজই, এক্ষুনি।
শ্রেয়া ঘোষ, ডিনস স্কলার, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজেস ডিনস স্কলারশিপ।
দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে নতুন প্রায় ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়গুলোয় মিড-ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া, বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন চার স্তরে করা, পঞ্চম শ্রেণিতে আবার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে জন্ম ও কানাডায় বেড়ে ওঠা ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক, সাংবাদিক ও বক্তা। তাঁর অন্যতম বই হলো আউটলায়ার্স। বইটি বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যপুস্তক বা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। এটি ব্যক্তিত্ব গঠনের, দক্ষতা বিকাশের এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নেওয়ার এক বিশাল ক্ষেত্র। এই সময় ক্লাব কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উল্লেখযো
১ ঘণ্টা আগে