আব্দুর রাজ্জাক
প্রশ্ন: আশেক মাহমুদ কলেজের এত পরিচিতি পাওয়ার পেছনের কারণ কী?
মো. হারুন অর রশিদ: আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর-শেরপুর জেলার প্রাচীন কলেজ। এই কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে যেমন ভূমিকা রাখছে, পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষাক্ষেত্রে ও জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখে এখানে পরিকল্পনামাফিক শিক্ষা পরিচালনা হওয়ায় সারা দেশে এর পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন: এই কলেজে কোন কোন স্তর ও বিভাগে পাঠদানের সুযোগ আছে?
মো. হারুন অর রশিদ: এখানে উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে ডিগ্রি পাস কোর্স, ১৪টি বিভাগে অনার্স এবং ১২টি বিভাগে মাস্টার্স পড়ার সুযোগ আছে। সব স্তর মিলিয়ে এখানে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর কী পরিবর্তন এসেছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. হারুন অর রশিদ: আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মূলত একাডেমিক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার মাধ্যমে স্পেশাল সেকশন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস, শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য গাইড শিক্ষক এবং অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা চালু আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ কাজগুলো আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
প্রশ্ন: পাঠদানের পাশাপাশি এখানে কোন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে?
মো. হারুন অর রশিদ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এবং ক্যারিয়ারে সফল সাবেক শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করে ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠান, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে ভাষাগত দক্ষতাসহ কালচারাল ক্লাব, আইসিটি ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, গবেষণা পরিষদ ইত্যাদির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নচর্চা অব্যাহত আছে। কলেজ লাইব্রেরির পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা রিডিংরুমের ব্যবস্থা চালু করেছি। সেখানে একাডেমিক ও ক্যারিয়ারবিষয়ক পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজের ও বাইরের এক্সপার্ট বিষয়ভিত্তিক সেশন নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া কলেজের স্কাউট, বিএনসিসি, রেঞ্জার, রেড ক্রিসেন্ট শাখা জাতীয় দিবসসহ কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাগুলোতেও আমরা ভালো করছি।
প্রশ্ন: একনেকের ১০৬ কোটি টাকার বরাদ্দে কলেজে বড় আকারে সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। বর্তমান অবস্থা কী?
মো. হারুন অর রশিদ: ৯টি সরকারি কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এখানে ৫০০ আসনের একটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রীনিবাস ও দুটি শিক্ষক ডরমিটরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া টিএসসি, মসজিদ, দুটি গেট ও একাডেমিক ভবনের কাজ চলমান। তবে দুঃখজনকভাবে বরাদ্দের ৪০ কোটি টাকা ফেরত যাওয়ায় প্রত্যাশিত একাডেমিক ভবনটি নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একাডেমিক সমস্যার সমাধান অনিশ্চিতই রয়ে গেল।
প্রশ্ন: কলেজ পরিচালনায় কী ধরনের সমস্যা মনে হচ্ছে?
মো. হারুন অর রশিদ: অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোর জন্য কলেজের শ্রেণিকার্যক্রম ও অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সব শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ১০০টির বিপরীতে আমাদের মাত্র ৩৭টি ক্লাসরুম রয়েছে। পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার করেও শ্রেণিকক্ষের সংকট মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। শিক্ষকদের বসার কক্ষ নেই, বিভাগগুলোতে সেমিনার রুম, ল্যাবরেটরি ও কমনরুমের সংকট, অডিটরিয়াম ও লাইব্রেরিতে আলো-বাতাসের স্বল্পতা, সংযোগ সড়কের সমস্যা, কলেজের ৪৫ একর আয়তনের মধ্যে ২ একরের মতো ভূমি বেদখল হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৫০ শতাংশ জায়গা পুনরুদ্ধারে একটি মামলা চলমান আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন?
মো. হারুন অর রশিদ: গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রথমেই প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিশ্চিত করা। দেশের সরকারি কলেজগুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যায় এই অনুপাত মেনে চলা অসম্ভবের মতো। আলাদা পরীক্ষা ভবন না থাকায় বছরজুড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষাগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্সের অন্যান্য বর্ষের নিয়মিত ক্লাস বিঘ্নিত হয়। এটিও সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোর গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নের একটা প্রতিবন্ধকতা। সমস্যাগুলোর সমাধানে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কৃতজ্ঞতায়: রবিউল আলম লুইপা
প্রশ্ন: আশেক মাহমুদ কলেজের এত পরিচিতি পাওয়ার পেছনের কারণ কী?
মো. হারুন অর রশিদ: আশেক মাহমুদ কলেজ জামালপুর-শেরপুর জেলার প্রাচীন কলেজ। এই কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে যেমন ভূমিকা রাখছে, পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষাক্ষেত্রে ও জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখে এখানে পরিকল্পনামাফিক শিক্ষা পরিচালনা হওয়ায় সারা দেশে এর পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
প্রশ্ন: এই কলেজে কোন কোন স্তর ও বিভাগে পাঠদানের সুযোগ আছে?
মো. হারুন অর রশিদ: এখানে উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে ডিগ্রি পাস কোর্স, ১৪টি বিভাগে অনার্স এবং ১২টি বিভাগে মাস্টার্স পড়ার সুযোগ আছে। সব স্তর মিলিয়ে এখানে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
প্রশ্ন: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর কী পরিবর্তন এসেছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. হারুন অর রশিদ: আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর মূলত একাডেমিক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই পরীক্ষার মাধ্যমে স্পেশাল সেকশন, দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস, শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের জন্য গাইড শিক্ষক এবং অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা চালু আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ কাজগুলো আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
প্রশ্ন: পাঠদানের পাশাপাশি এখানে কোন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে?
মো. হারুন অর রশিদ: বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এবং ক্যারিয়ারে সফল সাবেক শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করে ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠান, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে ভাষাগত দক্ষতাসহ কালচারাল ক্লাব, আইসিটি ক্লাব, ডিবেট ক্লাব, গবেষণা পরিষদ ইত্যাদির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নচর্চা অব্যাহত আছে। কলেজ লাইব্রেরির পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা রিডিংরুমের ব্যবস্থা চালু করেছি। সেখানে একাডেমিক ও ক্যারিয়ারবিষয়ক পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজের ও বাইরের এক্সপার্ট বিষয়ভিত্তিক সেশন নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া কলেজের স্কাউট, বিএনসিসি, রেঞ্জার, রেড ক্রিসেন্ট শাখা জাতীয় দিবসসহ কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাগুলোতেও আমরা ভালো করছি।
প্রশ্ন: একনেকের ১০৬ কোটি টাকার বরাদ্দে কলেজে বড় আকারে সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। বর্তমান অবস্থা কী?
মো. হারুন অর রশিদ: ৯টি সরকারি কলেজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এখানে ৫০০ আসনের একটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রীনিবাস ও দুটি শিক্ষক ডরমিটরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া টিএসসি, মসজিদ, দুটি গেট ও একাডেমিক ভবনের কাজ চলমান। তবে দুঃখজনকভাবে বরাদ্দের ৪০ কোটি টাকা ফেরত যাওয়ায় প্রত্যাশিত একাডেমিক ভবনটি নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একাডেমিক সমস্যার সমাধান অনিশ্চিতই রয়ে গেল।
প্রশ্ন: কলেজ পরিচালনায় কী ধরনের সমস্যা মনে হচ্ছে?
মো. হারুন অর রশিদ: অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোর জন্য কলেজের শ্রেণিকার্যক্রম ও অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সব শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ১০০টির বিপরীতে আমাদের মাত্র ৩৭টি ক্লাসরুম রয়েছে। পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার করেও শ্রেণিকক্ষের সংকট মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। শিক্ষকদের বসার কক্ষ নেই, বিভাগগুলোতে সেমিনার রুম, ল্যাবরেটরি ও কমনরুমের সংকট, অডিটরিয়াম ও লাইব্রেরিতে আলো-বাতাসের স্বল্পতা, সংযোগ সড়কের সমস্যা, কলেজের ৪৫ একর আয়তনের মধ্যে ২ একরের মতো ভূমি বেদখল হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৫০ শতাংশ জায়গা পুনরুদ্ধারে একটি মামলা চলমান আছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন?
মো. হারুন অর রশিদ: গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রথমেই প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিশ্চিত করা। দেশের সরকারি কলেজগুলোতে অবকাঠামোগত সমস্যায় এই অনুপাত মেনে চলা অসম্ভবের মতো। আলাদা পরীক্ষা ভবন না থাকায় বছরজুড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষাগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্সের অন্যান্য বর্ষের নিয়মিত ক্লাস বিঘ্নিত হয়। এটিও সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোর গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নের একটা প্রতিবন্ধকতা। সমস্যাগুলোর সমাধানে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কৃতজ্ঞতায়: রবিউল আলম লুইপা
প্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
৭ ঘণ্টা আগেইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের মেকাট্রনিক্স ক্লাব আয়োজিত ও ইইই ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত ‘বিয়ন্ড বাউন্ডারিস-২৪’ অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন
১৪ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে আগামী ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সাভারের ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন হবে
১৮ ঘণ্টা আগে