মুসাররাত আবির, বিইউপি
সচরাচর বর্ষা শুরুর প্রথম দিন বর্ষাবরণ হলেও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থীরা করলেন এক অন্য রকম উৎসব। বর্ষা শুরুর এক মাস পর তাঁরা আয়োজন করেছিলেন দুই দিনব্যাপী ‘বর্ষা মিতালি ১৪৩০’ নামে একটি বর্ণিল উৎসব।
বর্ষা উৎসব শুনেছি, বর্ষাবরণও শুনেছি। তাহলে এই বর্ষা মিতালি কী জিনিস? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল অনুষ্ঠানটির আয়োজক সংগঠন, বিইউপি এলডিসির জেনারেল সেক্রেটারি নেজা মাহমুদের কাছে। প্রায় এক মাস সেমিস্টার ব্রেক থাকার কারণে বর্ষার প্রথম দিন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। তাই তাঁরা চেয়েছেন নতুন সেমিস্টারটা শুরু হোক একটা উৎসবমুখর পরিবেশে।
কারণ, এটা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের শেষ সেমিস্টার এবং প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার। তাই বর্ষাকে কেন্দ্র করে সবার একই ছাতার নিচে দাঁড়ানোর চিন্তাকে বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের এই বর্ষা মিতালি। ‘ফোঁটায় ফোঁটায় নীলাম্বর নীলে, বন্ধুত্বের বন্ধনে বর্ষা এসেছে ফিরে’ এই ছিল অনুষ্ঠানের বার্তা। সেখানে ছিল গল্প লেখা প্রতিযোগিতা, নির্ধারিত কবিতা-আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং চিত্র গল্পের আয়োজন। সেদিন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিইউপির কনকোর্স থেকে শুরু করে থার্ড প্লেস, মনপুরা লেকসহ সব জায়গায় আলপনার ছোঁয়া। মূল উৎসবের আলপনা উপভোগ করতে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন ক্যাম্পাসে। স্মৃতি বেঁধে রাখতে কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ ভিডিও করছেন।
সমাপনী উৎসবের আগের দিন এবং সকালেও ছিল কটকটে রোদ। মাঝে মাঝে আকাশে খানিকটা মেঘের ওড়াউড়ি থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে বৃষ্টি না পড়লেও বর্ষাবরণের উৎসবে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শেষ হতে হতে বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা। এক ফাঁকে হয়ে যায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ছিল মঞ্চনাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন। আরও ছিল বিইউপির শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যান্ড দল কিল দ্য জ্যাম ও অরকিস-এর সংগীত পরিবেশনা।
উৎসব নিয়ে কেমন অনুভূতি তা জানতে চাওয়ায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিস ইব্রাহিম জানান, বর্ষা মিতালির উদ্যাপন ছিল অনবদ্য! বিউপি এত সুন্দর করে এর আগে কখনো সাজেনি বলেই অনুমান নাফিসের।
এই গরমেও উৎসাহে কোনো ভাটা পড়েনি শিক্ষার্থীদের। সবাই দল বেঁধে ছবি তুলছেন, ঘুরে ঘুরে দেখছেন আলপনা। ক্যামেরা হাতে ভ্লগ করতেও দেখা গেল বেশ কয়েকজনকে। উৎসবের সঙ্গে মিশে যেতে সাদা-আকাশি-নীল-সবুজ রঙের শাড়ি পরেছিলেন মেয়েরা।
ছেলেদের পোশাকেও ছিল ভরা বর্ষার সৌন্দর্য নীল পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামা। ছেলেরা অন্যান্য সময় ফরমাল পোশাক-আশাক পরলেও এদিন ছিল না নিয়মকানুনের কোনো বালাই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল ফটো বুথ। এসব বুথে লাইন ধরে ছবি তুলছেন বিইউপির শিক্ষার্থীরা। গাছে ঝুলতে দেখা গেছে রংবেরঙের ছাতা।
বর্ষাকালে বৃষ্টি ছাড়াই ১৯ ও ২০ জুলাই—দুই দিন ধরে হলো এ বর্ষা মিতালি উৎসব। তবু রেখে গেল ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের বার্তা।
সচরাচর বর্ষা শুরুর প্রথম দিন বর্ষাবরণ হলেও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষার্থীরা করলেন এক অন্য রকম উৎসব। বর্ষা শুরুর এক মাস পর তাঁরা আয়োজন করেছিলেন দুই দিনব্যাপী ‘বর্ষা মিতালি ১৪৩০’ নামে একটি বর্ণিল উৎসব।
বর্ষা উৎসব শুনেছি, বর্ষাবরণও শুনেছি। তাহলে এই বর্ষা মিতালি কী জিনিস? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল অনুষ্ঠানটির আয়োজক সংগঠন, বিইউপি এলডিসির জেনারেল সেক্রেটারি নেজা মাহমুদের কাছে। প্রায় এক মাস সেমিস্টার ব্রেক থাকার কারণে বর্ষার প্রথম দিন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়নি। তাই তাঁরা চেয়েছেন নতুন সেমিস্টারটা শুরু হোক একটা উৎসবমুখর পরিবেশে।
কারণ, এটা চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের শেষ সেমিস্টার এবং প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার। তাই বর্ষাকে কেন্দ্র করে সবার একই ছাতার নিচে দাঁড়ানোর চিন্তাকে বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের এই বর্ষা মিতালি। ‘ফোঁটায় ফোঁটায় নীলাম্বর নীলে, বন্ধুত্বের বন্ধনে বর্ষা এসেছে ফিরে’ এই ছিল অনুষ্ঠানের বার্তা। সেখানে ছিল গল্প লেখা প্রতিযোগিতা, নির্ধারিত কবিতা-আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং চিত্র গল্পের আয়োজন। সেদিন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিইউপির কনকোর্স থেকে শুরু করে থার্ড প্লেস, মনপুরা লেকসহ সব জায়গায় আলপনার ছোঁয়া। মূল উৎসবের আলপনা উপভোগ করতে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন ক্যাম্পাসে। স্মৃতি বেঁধে রাখতে কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ ভিডিও করছেন।
সমাপনী উৎসবের আগের দিন এবং সকালেও ছিল কটকটে রোদ। মাঝে মাঝে আকাশে খানিকটা মেঘের ওড়াউড়ি থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে বৃষ্টি না পড়লেও বর্ষাবরণের উৎসবে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না। সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শেষ হতে হতে বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা। এক ফাঁকে হয়ে যায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ছিল মঞ্চনাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন। আরও ছিল বিইউপির শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যান্ড দল কিল দ্য জ্যাম ও অরকিস-এর সংগীত পরিবেশনা।
উৎসব নিয়ে কেমন অনুভূতি তা জানতে চাওয়ায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিস ইব্রাহিম জানান, বর্ষা মিতালির উদ্যাপন ছিল অনবদ্য! বিউপি এত সুন্দর করে এর আগে কখনো সাজেনি বলেই অনুমান নাফিসের।
এই গরমেও উৎসাহে কোনো ভাটা পড়েনি শিক্ষার্থীদের। সবাই দল বেঁধে ছবি তুলছেন, ঘুরে ঘুরে দেখছেন আলপনা। ক্যামেরা হাতে ভ্লগ করতেও দেখা গেল বেশ কয়েকজনকে। উৎসবের সঙ্গে মিশে যেতে সাদা-আকাশি-নীল-সবুজ রঙের শাড়ি পরেছিলেন মেয়েরা।
ছেলেদের পোশাকেও ছিল ভরা বর্ষার সৌন্দর্য নীল পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামা। ছেলেরা অন্যান্য সময় ফরমাল পোশাক-আশাক পরলেও এদিন ছিল না নিয়মকানুনের কোনো বালাই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল ফটো বুথ। এসব বুথে লাইন ধরে ছবি তুলছেন বিইউপির শিক্ষার্থীরা। গাছে ঝুলতে দেখা গেছে রংবেরঙের ছাতা।
বর্ষাকালে বৃষ্টি ছাড়াই ১৯ ও ২০ জুলাই—দুই দিন ধরে হলো এ বর্ষা মিতালি উৎসব। তবু রেখে গেল ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের বার্তা।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
১৫ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে