Ajker Patrika

বাকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৪৫
বাকৃবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

১৮ আগস্ট, ১৯৬১। দেশের তৃতীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে ও ময়মনসিংহ শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে সাড়ে ১২ শ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে এই সুবিশাল ক্যাম্পাস। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি তার প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পার করে ৬৩ বছরে পা দিয়েছে। দেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা করা এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের অভিমত জানার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হাবিবুর রনি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরি
বাংলাদেশ আজ ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়। মাছ, ধান ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। এ ছাড়া কৃষিভিত্তিক ২২টি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষদশে আমাদের দেশ। এসব সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রধানতম হাতিয়ার হয়েছে কৃষি সেক্টর। আর এই সেক্টরকে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগণিত দক্ষ কৃষিবিদ গ্র্যাজুয়েট। প্রতিষ্ঠার পর বিগত ৬২ বছরে দেশ ও জাতিকে মুঠো ভরে সাফল্য এনে দিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। ৬৩ বছরে পদার্পণের মুহূর্তে সব থেকে বড় প্রত্যাশা হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছে, একইভাবে স্মার্ট ও দক্ষ কৃষিবিদ গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ জেড এম বর্নী
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ

 এ এইচ এম হেলালুজ্জামানপ্রয়োজন স্বাস্থ্যবিমা, ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটালাইজেশন
প্রকৃতিকন্যা খ্যাত চিরসবুজ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ বছরে পদার্পণে একজন কৃষিবিদ হিসেবে সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। অর্ধলক্ষাধিক মানসম্মত কৃষিবিদ উপহারের মাধ্যমে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ৬৩ বছরের দ্বারপ্রান্তে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু চাওয়া-পাওয়া এখনো রয়েই গেছে, যা পূরণ করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। আবাসিক হলগুলোতে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে প্রতিটি আবাসিক হলের পাঠাগারের মান উন্নয়ন এবং সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত সহায়ক বইয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি ভোগান্তি নিরসনে সেশন ফি ও পরীক্ষার ফি প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের অন্য কার্যক্রমগুলো ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
এ এইচ এম হেলালুজ্জামান
শিক্ষার্থী, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ

 তানিউল করিম জীমবিষয়ভিত্তিক দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে
৬২ বছরের পথ চলা শেষ হতে চলল। এখন সারা বিশ্ব চায় দক্ষ জনশক্তি ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট।  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পুকুর আছে। সেই পুকুরগুলোতে গ্রুপ করে মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা তাঁদের বিষয়ভিত্তিক লব্ধ জ্ঞান দ্বারা মাছ চাষ করবেন, সেই সঙ্গে গবেষণাও করবেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে যদি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পান, তাহলে তাঁদেরও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে প্রতিটি অনুষদের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্ষেত্রে হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। তৈরি হবে বড় বড় কৃষি উদ্যোক্তা। ৬৩ বছরের পদার্পণে আশা রাখব, বিশ্ববিদ্যালয় এমন উদ্যোগ নেবে যেন শিক্ষার্থীরা নিজ বিষয়ে দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠেন।
তানিউল করিম জীম
শিক্ষার্থী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ

 ইসরাত জাহানবহিরাগতের অবাধ প্রবেশে বিধিনিষেধ জারি
সবুজে ঘেরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) আঙিনা প্রকৃতিকন্যা হিসেবেই সমধিক পরিচিত। এর রূপের যেমন আছে মাধুর্য, তেমনই আছে তিক্ততা। সৌন্দর্যের আবার তিক্ততা কেমন? সেটি বোঝা যায় মূলত ছুটির দিনগুলোতে। আশপাশের এলাকার সবার অবসর সময় কাটানোর প্রধান স্থান হয়ে ওঠে এই বাকৃবি। বহিরাগতদের ফেলা ঝালমুড়ির ঠোঙা, আইসক্রিমের প্যাকেট, কফি কাপ, জুস কাপ, খাবারের প্যাকেটে ঢাকা পড়ে যায় বাকৃবির সবুজ ঘাস। বহিরাগতদের এই অবাধ চলাচল যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে হয়তো সবুজ চাদরেই ঢেকে থাকবে আমার ক্যাম্পাস। যত্রতত্র এই অবাঞ্ছিত ময়লা-আবর্জনা আর হয়তো দূষণ ঘটাবে না বাকৃবিতে। সুস্থ পরিবেশে সতেজ মনে সাবলীলভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ইসরাত জাহান
শিক্ষার্থী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ


 মো. রোকনুজ্জামানবিশ্ববিদ্যালয় হোক শিক্ষার্থীবান্ধব
কৃষি বিপ্লবের আঁতুড়ঘর বাকৃবি। বাংলাদেশে কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নিঃসন্দেহে অগ্রগণ্য। প্রতিবছর তিন হাজারেরও বেশি কৃষিবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে দেশের কৃষি সেক্টরগুলোতে অবদান রাখছেন। আগামী দিনগুলোতে আরও দক্ষ, চৌকস ও স্মার্ট কৃষিবিদ তৈরির প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে সব সময় আমি গর্ব বোধ করি। তবে প্রতিষ্ঠার ৬২ বছর পার হয়ে গেলেও এমন অনেক সাধারণ প্রয়োজনীয়তা আছে, যা এখনো অপূর্ণ রয়েছে। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের হোটেল খাবারের মূল্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ হলের ডাইনিং বন্ধ, যেগুলো চালু রয়েছে সেগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি খাবারের মান কমিয়ে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত হলগুলোতে ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু করা, সেই সঙ্গে খাবারের মূল্য হ্রাস এবং মান উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মো. রোকনুজ্জামান
শিক্ষার্থী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ

 সাদিয়া আফরোজ ঋতুদক্ষ কৃষিবিদ তৈরিতে প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ এমন একটি পথিকৃৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা শিক্ষা, গবেষণা প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণের মতো বহুমাত্রিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাফল্য একেবারে গৌণ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারের মাধ্যমে কৃষি গবেষণায় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরষ্কার-১৪১৯’ লাভ আমাদের অন্যতম অর্জন। এ ছাড়া গত বছর টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) প্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক র‍্যাংকিং অনুযায়ী ‘লাইফ সায়েন্স’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। ৬৩ বছর পদার্পণের মুহূর্তে আমরা বিশ্বাস করি, যথাযথ পরিকল্পনা ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের বিকাশ অব্যাহত থাকবে। এর মধ্য দিয়ে দক্ষ কৃষিবিদ তৈরি করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের কৃষি উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান আরও জোরালো হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সাদিয়া আফরোজ ঋতু
শিক্ষার্থী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ

ছাত্রী হলে আসনসংকট নিরসন হোক দ্রুত সময়ে
ভর্তির প্রথম দিকে আবাসনের জন্য ছাত্রী হলগুলোতে সিট পাওয়া গেলেও বছরখানেক কাটাতে হয় গণরুমে। যে কারণে প্রায় সময়েই পড়াশোনার ক্ষতি হয় শিক্ষার্থীদের। কয়েক বছর আগেও এ সমস্যা এত বেশি দেখা না দিলেও এখন তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর কারণ হতে পারে মেয়েদের অগ্রসরতা। আগে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মেয়েদের সংখ্যা ছিল অতীব কম। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় মেধাতালিকায় সংযুক্তদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নিলে সিট সংকট সমস্যা আরও প্রকট হবে। শিক্ষার্থীরা পড়বে চরম ভোগান্তিতে। সুষ্ঠু শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলগুলোতে আসনসংকট নিরসন করতে হবে।
তাসকিয়া খাতুন
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত