মো. আশিকুর রহমান
প্রশ্ন: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কোথায় আলাদা দেখতে চান?
কামরুল আলম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর মায়ের নামে বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জামালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশে মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে স্বতন্ত্র গবেষণা, উদ্ভাবন ও কারিকুলামের মাধ্যমে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এগিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর থাকবে সবুজ-শ্যামলের এই গ্রিন ক্যাম্পাস। যেহেতু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আমরা গবেষণা করব, সে জন্য এখানে আন্তর্জাতিক মানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এমন কিছু যন্ত্রপাতি ল্যাবগুলোতে সংযোজন করা হবে, যা দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
প্রশ্ন: গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে আপনার পদক্ষেপ কী?
কামরুল আলম: বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জ্ঞান তৈরির কারখানা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান তৈরি করব, বিতরণ করব এবং সংরক্ষণ করব। জাতির উন্নতির জন্য শুধু ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ না থেকে সেটাকে প্রসারিত করতে চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষকদের উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। আমাদের ৪৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জন শিক্ষক এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে স্থান করে নিয়েছেন এবং এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আমি যোগদানের পর রিসার্চ সেল চালু করেছি। ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছি গবেষণা মেলার। খুব শিগগির একটা জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, সেটাও প্রথমবারের মতো। গত বছর গবেষণার জন্য ইউজিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২০ লাখ টাকা, যা এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ টাকায়। বায়ো, সোলার এনার্জিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চাই আমরা।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
কামরুল আলম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। আর আমরা বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে অবদান রাখতে চাই। ইতিমধ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এ প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস তথা অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে যদি কিছু বলেন।
কামরুল আলম: মানসম্মত শিক্ষার জন্য অবকাঠামো তথা পরিবেশ-প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাই, অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছি। আমরা ২০১৯ সালের ১০ মার্চে সরকারের কাছ থেকে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছি। এই জমির ওপর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন তথা মাস্টারপ্ল্যান করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ বিষয়ে তদারক করছি। দ্রুত তা পাস হয়ে যাবে বলে আশাবাদী। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের ক্যাম্পাসে বঙ্গমাতা চত্বর থাকবে, টিএসসি থাকবে, একটি সুদৃশ্য লেক থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, একাডেমিক ভবন থাকবে, ছাত্র ও ছাত্রী হল থাকবে, শিক্ষকদের আবাসনব্যবস্থা থাকবে। থাকবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা আবাসনব্যবস্থা। এসব স্থাপনার স্থাপত্য নকশাও চমৎকারভাবে করা হয়েছে। ডিপিপির অনুমোদন হয়ে গেলে তিন বছরের মধ্যে তা দৃশ্যমান হবে বলে আশা করছি। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার বিশেষ পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি বলেন।
কামরুল আলম: আমি আগেই বলেছি, আমরা আউটকাম বেজড এডুকেশন সিস্টেমের দিকে এগিয়ে চলেছি। পাশাপাশি আউটকাম বেজড গবেষণায় জোর দিতে চাই। প্রতিটি বিভাগে জব প্লেসমেন্ট সেন্টার করব, যাতে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি পেতে সুবিধা হয়। প্রতিটা বিভাগের শিক্ষার্থীরা যখন পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়ে যাবে, তাদের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করব। আমাদের কোর্স কারিকুলামের যে কমিটি করব, সেখানে অ্যালামনাইদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি কোলাবরেশনের (আইইউসি) কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করব। এ প্রক্রিয়া চলমান। সবকিছুর সমন্বয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মানসম্মত ও দক্ষ শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগে আপস করব না। আমি ৭ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এবং তাদের কারিকুলামকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের ওপর দেশি-বিদেশি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা কাজে লাগিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
প্রশ্ন: আউটকাম বেজড এডুকেশন সিস্টেম নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে কী?
কামরুল আলম: দেখুন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় আউটকাম বেজড কারিকুলাম করতে চাই, যার মাধ্যমে একজন গ্র্যাজুয়েট কর্মক্ষেত্রে নিজের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে অবদান রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি অনুষদের আওতাভুক্ত বিষয়গুলোতে ওবিই পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এর অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত সভা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতের স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে এরই মধ্যে অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করেছি। টিচিং-লার্নিং ইন্টারঅ্যাকটিভ করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষক সম্পর্কে ফিডব্যাক নেওয়ার পাশাপাশি টিচিং-লার্নিং পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুত পিয়ার অবজারভেশন চালু করব। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়া। আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ৭টি বিভাগে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম চলমান। বিভাগ ও অনুষদের সংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
কামরুল আলম: আমরা কর্মমুখী ও যুগোপযোগী বেশ কিছু বিভাগ চালুর পরিকল্পনা করেছি। নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবকাঠামোর বিষয়টি যুক্ত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রিকালচার, সাইবার সিকিউরিটি, বায়োটেকনোলজি, বিগ ডেটার মতো বিষয়গুলোর কার্যক্রম শুরু করতে চাই। আর বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো তো থাকবেই। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে সব বিভাগে বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সটি পড়ানো হচ্ছে।
প্রশ্ন: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কোথায় আলাদা দেখতে চান?
কামরুল আলম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর মায়ের নামে বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জামালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশে মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে স্বতন্ত্র গবেষণা, উদ্ভাবন ও কারিকুলামের মাধ্যমে শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও এগিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর থাকবে সবুজ-শ্যামলের এই গ্রিন ক্যাম্পাস। যেহেতু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আমরা গবেষণা করব, সে জন্য এখানে আন্তর্জাতিক মানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এমন কিছু যন্ত্রপাতি ল্যাবগুলোতে সংযোজন করা হবে, যা দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।
প্রশ্ন: গবেষণা একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে আপনার পদক্ষেপ কী?
কামরুল আলম: বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জ্ঞান তৈরির কারখানা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান তৈরি করব, বিতরণ করব এবং সংরক্ষণ করব। জাতির উন্নতির জন্য শুধু ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ না থেকে সেটাকে প্রসারিত করতে চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষকদের উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রম ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। আমাদের ৪৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৩ জন শিক্ষক এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে স্থান করে নিয়েছেন এবং এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আমি যোগদানের পর রিসার্চ সেল চালু করেছি। ইতিমধ্যে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছি গবেষণা মেলার। খুব শিগগির একটা জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে, সেটাও প্রথমবারের মতো। গত বছর গবেষণার জন্য ইউজিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২০ লাখ টাকা, যা এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ লাখ টাকায়। বায়ো, সোলার এনার্জিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চাই আমরা।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
কামরুল আলম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। আর আমরা বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে অবদান রাখতে চাই। ইতিমধ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এ প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস তথা অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে যদি কিছু বলেন।
কামরুল আলম: মানসম্মত শিক্ষার জন্য অবকাঠামো তথা পরিবেশ-প্রতিবেশ গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাই, অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছি। আমরা ২০১৯ সালের ১০ মার্চে সরকারের কাছ থেকে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছি। এই জমির ওপর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন তথা মাস্টারপ্ল্যান করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ বিষয়ে তদারক করছি। দ্রুত তা পাস হয়ে যাবে বলে আশাবাদী। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের ক্যাম্পাসে বঙ্গমাতা চত্বর থাকবে, টিএসসি থাকবে, একটি সুদৃশ্য লেক থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, একাডেমিক ভবন থাকবে, ছাত্র ও ছাত্রী হল থাকবে, শিক্ষকদের আবাসনব্যবস্থা থাকবে। থাকবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আলাদা আবাসনব্যবস্থা। এসব স্থাপনার স্থাপত্য নকশাও চমৎকারভাবে করা হয়েছে। ডিপিপির অনুমোদন হয়ে গেলে তিন বছরের মধ্যে তা দৃশ্যমান হবে বলে আশা করছি। সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার বিশেষ পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি বলেন।
কামরুল আলম: আমি আগেই বলেছি, আমরা আউটকাম বেজড এডুকেশন সিস্টেমের দিকে এগিয়ে চলেছি। পাশাপাশি আউটকাম বেজড গবেষণায় জোর দিতে চাই। প্রতিটি বিভাগে জব প্লেসমেন্ট সেন্টার করব, যাতে পাস করা শিক্ষার্থীদের চাকরি পেতে সুবিধা হয়। প্রতিটা বিভাগের শিক্ষার্থীরা যখন পড়াশোনা শেষ করে বেরিয়ে যাবে, তাদের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করব। আমাদের কোর্স কারিকুলামের যে কমিটি করব, সেখানে অ্যালামনাইদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি কোলাবরেশনের (আইইউসি) কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করব। এ প্রক্রিয়া চলমান। সবকিছুর সমন্বয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। মানসম্মত ও দক্ষ শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগে আপস করব না। আমি ৭ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম এবং তাদের কারিকুলামকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের ওপর দেশি-বিদেশি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা কাজে লাগিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীতে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
প্রশ্ন: আউটকাম বেজড এডুকেশন সিস্টেম নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে কী?
কামরুল আলম: দেখুন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় আউটকাম বেজড কারিকুলাম করতে চাই, যার মাধ্যমে একজন গ্র্যাজুয়েট কর্মক্ষেত্রে নিজের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে অবদান রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রতিটি অনুষদের আওতাভুক্ত বিষয়গুলোতে ওবিই পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এর অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত সভা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করছি। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাতের স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে এরই মধ্যে অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করেছি। টিচিং-লার্নিং ইন্টারঅ্যাকটিভ করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষক সম্পর্কে ফিডব্যাক নেওয়ার পাশাপাশি টিচিং-লার্নিং পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুত পিয়ার অবজারভেশন চালু করব। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়া। আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে চাই।
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীনে ৭টি বিভাগে পাঠদান ও গবেষণা কার্যক্রম চলমান। বিভাগ ও অনুষদের সংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
কামরুল আলম: আমরা কর্মমুখী ও যুগোপযোগী বেশ কিছু বিভাগ চালুর পরিকল্পনা করেছি। নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবকাঠামোর বিষয়টি যুক্ত। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রিকালচার, সাইবার সিকিউরিটি, বায়োটেকনোলজি, বিগ ডেটার মতো বিষয়গুলোর কার্যক্রম শুরু করতে চাই। আর বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলো তো থাকবেই। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে সব বিভাগে বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সটি পড়ানো হচ্ছে।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
১৩ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১ দিন আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১ দিন আগে