মো. গোলাম রব্বানী
উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পার করার পর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে ইংরেজিতে বলা হয় টারশিয়ারি লেভেল আর বাংলায় তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা। এই উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী পাড়ি জমান পৃথিবীর নানান জায়গায়। এদের সিংহভাগই বেছে নেন উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে। তেমনি একজন সৈয়দ তাহমিদ হোসেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পুরকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। শিক্ষাবৃত্তি অর্জনের পাশাপাশি তাহমিদ একই বিভাগে গবেষণা সহকারী হিসেবেও নিযুক্ত রয়েছেন। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন এমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার কোনো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে জায়গা করে নিতে হলে তাঁকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয় নানান মাপকাঠিতে। সেগুলোর মধ্যে একাডেমিক রেজাল্ট, ভাষাগত দক্ষতা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে অবদান, মৌখিক পরীক্ষা, গবেষণাপত্র প্রকাশনা অন্যতম। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতকে একাডেমিক রেজাল্ট তথা সিজিপিএ যত বেশি থাকবে তত ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিজিপিএর চাহিদা থাকে কমপক্ষে ৩। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২.৫। ভর্তির জন্য সিজিপিএ ৩.৫ রাখা উচিত। ভাষাগত দক্ষতায় ইংরেজিতে আইইএলটিএস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬.৫ চাহিদা থাকে। খুব কম ক্ষেত্রে ৬ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ৭ থাকলে সুবিধা পাওয়া যাবে।
এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থাকা উচিত। অন্তত কনফারেন্সে হলেও দুটি গবেষণাপত্র রাখা উচিত। এটা আপনাকে খুব বড় গবেষক প্রমাণ করতে না পারলেও অন্তত অধ্যাপকেরা বোঝেন যে শিক্ষার্থী গবেষণাপত্রের জন্য লিখতে জানেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য জিআরই ন্যূনতম ৩০০ থাকতে হবে। তবে এটি ৩০৫ থেকে ৩১০ রাখা উচিত। অবশ্য ইদানীং অনেক শিক্ষার্থী জিআরই ছাড়াই ফান্ডিং পাচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম কাজে লাগে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে তা নির্ভর করে কোন ধরনের কার্যক্রমে সংযুক্ত, তার ওপর। যেমন বর্তমানে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রায় সব জায়গায় কাজে লাগে। একজন প্রকৌশলের শিক্ষার্থী হিসেবে এটি অবশ্যই শিখে রাখা উচিত। এর ওপর কোর্স করা যেতে পারে। ভর্তির সময় প্রমাণস্বরূপ সনদ লাগবে, তবে অবশ্যই কাজ পারতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট দেখালে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ছাড়া অটোক্যাড, এনসিস, কমসোল, সলিডওয়াক্স ইত্যাদি নিজের জন্য শিখে রাখতে পারেন।
এখানে একটি টিপস দিয়ে রাখি। কারও সিজিপিএ ৩ বা তার কম অথবা জিআরইতে নম্বর কম হলেও তার বৃত্তি কিংবা ফান্ডিং হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘একটা কম হলে অন্যটা বেশি থাকতে হবে’ এ পদ্ধতিতে যেতে হবে। অর্থাৎ সিজিপিএ কম হলে চেষ্টা করতে হবে জিআরই বা আইইএলটিএসের স্কোর ভালো করা, ভালো মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। আবার সিজিপিএ বেশি হলে বাকিগুলো কিছুটা শিথিল হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সরকারি বৃত্তি পেতেও চেষ্টা করা উচিত। তবে সরকারের দেওয়া বৃত্তি পেতে প্রোফাইল খুব ভালো থাকতে হয়। তার চেয়ে প্রফেসর জোগাড় করে বৃত্তি পাওয়া তুলনামূলক সহজ। খণ্ডকালীন কাজের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ নিয়ে কেউ এলে খণ্ডকালীন কাজ করা অবৈধ। তবে গ্রীষ্মের ছুটিতে ৩ মাস ইন্টার্ন করা যায়। তবে স্নাতকোত্তর করলে প্রায় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেকে সরাসরি পিএইচডিতে যোগদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ সময়সাপেক্ষ। তবে প্রথমেই ৫ বছরের ভিসা থাকে। বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে কম সময়েও এ সমস্যার সমাধান রয়েছে।
অনুলিখন: মো. গোলাম রব্বানী
উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পার করার পর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে ইংরেজিতে বলা হয় টারশিয়ারি লেভেল আর বাংলায় তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা। এই উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী পাড়ি জমান পৃথিবীর নানান জায়গায়। এদের সিংহভাগই বেছে নেন উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশ বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে। তেমনি একজন সৈয়দ তাহমিদ হোসেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পুরকৌশল বিভাগে স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। শিক্ষাবৃত্তি অর্জনের পাশাপাশি তাহমিদ একই বিভাগে গবেষণা সহকারী হিসেবেও নিযুক্ত রয়েছেন। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন এমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
আমেরিকার কোনো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে জায়গা করে নিতে হলে তাঁকে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয় নানান মাপকাঠিতে। সেগুলোর মধ্যে একাডেমিক রেজাল্ট, ভাষাগত দক্ষতা, সহশিক্ষা কার্যক্রমে অবদান, মৌখিক পরীক্ষা, গবেষণাপত্র প্রকাশনা অন্যতম। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতকে একাডেমিক রেজাল্ট তথা সিজিপিএ যত বেশি থাকবে তত ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিজিপিএর চাহিদা থাকে কমপক্ষে ৩। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২.৫। ভর্তির জন্য সিজিপিএ ৩.৫ রাখা উচিত। ভাষাগত দক্ষতায় ইংরেজিতে আইইএলটিএস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬.৫ চাহিদা থাকে। খুব কম ক্ষেত্রে ৬ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে ৭ থাকলে সুবিধা পাওয়া যাবে।
এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থাকা উচিত। অন্তত কনফারেন্সে হলেও দুটি গবেষণাপত্র রাখা উচিত। এটা আপনাকে খুব বড় গবেষক প্রমাণ করতে না পারলেও অন্তত অধ্যাপকেরা বোঝেন যে শিক্ষার্থী গবেষণাপত্রের জন্য লিখতে জানেন। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য জিআরই ন্যূনতম ৩০০ থাকতে হবে। তবে এটি ৩০৫ থেকে ৩১০ রাখা উচিত। অবশ্য ইদানীং অনেক শিক্ষার্থী জিআরই ছাড়াই ফান্ডিং পাচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম কাজে লাগে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে তা নির্ভর করে কোন ধরনের কার্যক্রমে সংযুক্ত, তার ওপর। যেমন বর্তমানে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ প্রায় সব জায়গায় কাজে লাগে। একজন প্রকৌশলের শিক্ষার্থী হিসেবে এটি অবশ্যই শিখে রাখা উচিত। এর ওপর কোর্স করা যেতে পারে। ভর্তির সময় প্রমাণস্বরূপ সনদ লাগবে, তবে অবশ্যই কাজ পারতে হবে। শুধু সার্টিফিকেট দেখালে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ছাড়া অটোক্যাড, এনসিস, কমসোল, সলিডওয়াক্স ইত্যাদি নিজের জন্য শিখে রাখতে পারেন।
এখানে একটি টিপস দিয়ে রাখি। কারও সিজিপিএ ৩ বা তার কম অথবা জিআরইতে নম্বর কম হলেও তার বৃত্তি কিংবা ফান্ডিং হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ‘একটা কম হলে অন্যটা বেশি থাকতে হবে’ এ পদ্ধতিতে যেতে হবে। অর্থাৎ সিজিপিএ কম হলে চেষ্টা করতে হবে জিআরই বা আইইএলটিএসের স্কোর ভালো করা, ভালো মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করা। আবার সিজিপিএ বেশি হলে বাকিগুলো কিছুটা শিথিল হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সরকারি বৃত্তি পেতেও চেষ্টা করা উচিত। তবে সরকারের দেওয়া বৃত্তি পেতে প্রোফাইল খুব ভালো থাকতে হয়। তার চেয়ে প্রফেসর জোগাড় করে বৃত্তি পাওয়া তুলনামূলক সহজ। খণ্ডকালীন কাজের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ নিয়ে কেউ এলে খণ্ডকালীন কাজ করা অবৈধ। তবে গ্রীষ্মের ছুটিতে ৩ মাস ইন্টার্ন করা যায়। তবে স্নাতকোত্তর করলে প্রায় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেকে সরাসরি পিএইচডিতে যোগদান করেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ সময়সাপেক্ষ। তবে প্রথমেই ৫ বছরের ভিসা থাকে। বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে কম সময়েও এ সমস্যার সমাধান রয়েছে।
অনুলিখন: মো. গোলাম রব্বানী
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আজ সোমবার ঢাকার নিশাতনগরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিন শিন গ্রুপ এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সহযোগিতা
৬ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। শুধু শিক্ষার্থীরা না বহু সংগঠন ঢাকা শহরে আন্দোলন করছে। তাঁরা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করছে, এর সমাধান কী করে হবে, আমি তো একা সমাধান করতে পারছি না। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমাদ
৭ ঘণ্টা আগেপ্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর থাইল্যান্ড প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে। দেশটির এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (এআইটি) রয়েল থাই স্কলারশিপ ২০২৫ সেরকমই একটি বৃত্তি।
১৭ ঘণ্টা আগেছাত্রজীবনে মনোযোগ একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গুণ। যা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সফলতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর যুগে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্তি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ভঙ্গ করার অন্যতম কারণ
১৮ ঘণ্টা আগে