Ajker Patrika

উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের দুয়ার খুলছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি

আব্দুর রাজ্জাক খান, ঢাকা
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে একটি শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস চালু করার জন্য ২০২২ সালে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ—উভয় সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ফলে এটি বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক স্বীকৃত হয়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস রাজধানী ঢাকার বনানীর বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত।

বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে ৬টি ফ্যাকাল্টি চালু রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস ফ্যাকাল্টি অন্যতম। এই ফ্যাকাল্টিতে দুটি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে—১. বিএ (অনার্স) মাস কমিউনিকেশন; ২. বিএ (অনার্স) সাইকোলজি।

এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক, গবেষণাবান্ধব ও দক্ষতামূলক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক। শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পাশাপাশি কৌশলগত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও রয়েছে, যা তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভিশন ও মিশন

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাস্তব দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে তাঁরা কার্যকর পাঠ্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প, আন্তর্জাতিক একাডেমিক কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি তাঁদের লাভজনক ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হয়।

এ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবসম্পদের চাহিদা পূরণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে

২০২৫ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি ২৬৫তম, বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৫তম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস বিশ্বব্যাপী ১৩২তম স্থানে রয়েছে।

বিদেশি কারিকুলাম

মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোর্স কারিকুলাম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে পড়ানো হয়। এখানে গণযোগাযোগ, সাংবাদিকতা, সম্প্রচারসহ প্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট, রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র এবং শিল্প-ডিজাইন গ্যালারি পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ। এতে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা

ঢাকার বনানীতে অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ১৫ তলা এবং ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। এখানে রয়েছে গ্লোবাল স্মার্ট ক্লাসরুম ও ইন্টার‍্যাকটিভ লার্নিং সুবিধা; প্রযুক্তিগত গবেষণার আধুনিক ল্যাব; বিষয়ভিত্তিক বিশাল লাইব্রেরি ও অনলাইন লাইব্রেরির সুবিধা। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক সুস্থতার জন্য রয়েছে স্পোর্টস জোন; যেখানে তাঁরা খেলাধুলার সুযোগ পান। বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও ইভেন্ট আয়োজনে রয়েছে সুসজ্জিত হলরুম। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে বিশেষ টিচার্স এবং স্টুডেন্ট লাউঞ্জ। শিক্ষার্থীদের দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের সহায়তায় কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত মাল্টিকালচারাল ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ যুক্ত করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাকাল্টি অব সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টসের কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল সায়েন্সের জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করাবে। আমরা চেষ্টা করছি এমন শিক্ষা দিতে, যা শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী চিন্তা এবং সমালোচনামূলক দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীরা যাতে নতুন ভাবনার সন্ধান পায়। আশা করি, এই বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, উপ-উপাচার্য, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা

ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ

শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ১ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সুযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধিকাংশ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত এবং তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। তাঁরা বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও শিল্প খাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়

বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রি দিচ্ছে। বিদেশের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ে। এর টিউশন ফি দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।

শতভাগ স্কলারশিপের সুযোগ

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি এবং ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেল ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির ফল ও প্লেসমেন্ট টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয় ৫ কোটি টাকার বেশি স্কলারশিপ ও বিশেষ শিক্ষা সহায়তা দিয়েছে, যা চলতি শিক্ষাবর্ষেও অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের স্কলারশিপ, গরিব কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশেষ সহায়তা; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ শিক্ষা সহায়তার ব্যবস্থা।

অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা। ছবি: সংগৃহীত

আমাদের এই ফ্যাকাল্টির পাঠ্যক্রম বর্তমান বিশ্বের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করবে। আমাদের লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের জটিলতা বিশ্লেষণের ক্ষমতা গড়ে তোলা। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও গবেষণার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহিত করি। আশা করি, তারা নিজেদের সম্ভাবনা চেনার এবং বিকাশের পথে এগিয়ে যাবে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনশীল নেতা হতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে আমরা কাজ করছি।’
অধ্যাপক ড. বিজয় প্রসাদ বড়ুয়া, ডিন, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড লিবারেল আর্টস, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা

উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা

মাস কমিউনিকেশন এবং মনস্তত্ত্বের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে কর্মজীবনে অসংখ্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়।

মাস কমিউনিকেশন: এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সম্প্রচারমাধ্যম (টেলিভিশন, রেডিও), প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়া, ফটোজার্নালিজম, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া মার্কেটিং, প্রকাশনাশিল্প, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন, করপোরেট কমিউনিকেশন, ইভেন্ট ও ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্টের মতো খাতে। এ ছাড়া ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, এডিটর, রাইটার, গবেষক, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, পাবলিক রিলেশন স্পেশালিস্ট, করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি অফিসার, কূটনৈতিক সেবা কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞাপন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায়ও মাস কমিউনিকেশন গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

মনস্তত্ত্ব: আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ত্ব বিষয়ে ডিগ্রিধারীরা মনোচিকিৎসক, গবেষক, অধ্যাপক কিংবা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাশ্রয়ী টিউশন ফি, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা এবং গবেষণার সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গড়তে শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত