রুবায়েত হোসেন
পেছনে হোগলা বন আর পাশে বাঁশঝাড়, এক পাশের ছোট্ট লেকে ফুটে রয়েছে লাল শাপলা ও পদ্ম। এমনই এক ব্যতিক্রমী সৌন্দর্যে ঘেরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাফেটেরিয়া। যেটি এরই মধ্যে গোলপাতার ক্যাফেটেরিয়া নামে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সহজপ্রাপ্যতার কারণে ঘর তৈরিতে গোলপাতা ব্যবহার করেন। সে ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এ ক্যাফেটেরিয়া।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও একটি ক্যাফেটেরিয়া ছিল। যেটি প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো। সেখানে এখন নির্মাণ করা হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। তার পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোলপাতা দিয়ে ব্যতিক্রমী এ ক্যাফেটেরিয়া বানানো হয়েছে। গোলপাতার ছাউনি আর দৃষ্টিনন্দন কাঠামোর ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করা হয়েছে সম্প্রতি। উদ্বোধনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এটি। কেউ ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাচ্ছেন, আবার কেউ ক্যাফেটেরিয়ার ছবি তুলে পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ক্যাফেটেরিয়ার নির্মাতাদের দাবি, গোলপাতা দিয়ে তৈরি এ ক্যাফেটেরিয়ার আয়তন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুট। যৌথভাবে এটির নকশা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক শেখ সিরাজুল হাকিম ও সহকারী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম। তবে গোলপাতার ছাউনি ব্যবহারের ধারণাটি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
ক্যাফেটেরিয়ার ছাউনি ৩০ ফুট উঁচুতে দেওয়া হয়েছে। নির্মাতারা জানান, চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে যখন তাপমাত্রা বেশি থাকবে, তখন গোলপাতার ছাউনির কারণে ইটের তৈরি পাকা ঘরবাড়ির তুলনায় এখানে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কম থাকবে। আবার শীতের সময় অধিকাংশ স্থানে মিষ্টি রোদের আমেজ পাওয়া যাবে। ছাউনিতে ব্যবহৃত গোলপাতা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। ফলে এর স্থায়িত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ বছর বাড়বে। এখানে একসঙ্গে প্রায় ২০০ মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এর সামনের অংশ শিক্ষার্থী, আর পেছনের অংশ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ক্যাফে। সকালের নাশতা থেকে শুরু করে রাতের খাবার—সবই পাওয়া যায় এখানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন করাও জরুরি। ইট-পাথরের শহরের মধ্যে গোলপাতার ছাউনিতে গ্রামবাংলার ছোঁয়া পেয়েছে এই ক্যাফেটেরিয়া। এখানে সব সময় মানসম্মত খাবার সরবরাহ করতে হবে। এ বিষয়ে যে কমিটি রয়েছে, তারা নিয়মিত তদারক করবে।
রুবায়েত হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
পেছনে হোগলা বন আর পাশে বাঁশঝাড়, এক পাশের ছোট্ট লেকে ফুটে রয়েছে লাল শাপলা ও পদ্ম। এমনই এক ব্যতিক্রমী সৌন্দর্যে ঘেরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাফেটেরিয়া। যেটি এরই মধ্যে গোলপাতার ক্যাফেটেরিয়া নামে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সহজপ্রাপ্যতার কারণে ঘর তৈরিতে গোলপাতা ব্যবহার করেন। সে ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এ ক্যাফেটেরিয়া।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেও একটি ক্যাফেটেরিয়া ছিল। যেটি প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো। সেখানে এখন নির্মাণ করা হচ্ছে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র। তার পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোলপাতা দিয়ে ব্যতিক্রমী এ ক্যাফেটেরিয়া বানানো হয়েছে। গোলপাতার ছাউনি আর দৃষ্টিনন্দন কাঠামোর ক্যাফেটেরিয়ার উদ্বোধন করা হয়েছে সম্প্রতি। উদ্বোধনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এটি। কেউ ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খাচ্ছেন, আবার কেউ ক্যাফেটেরিয়ার ছবি তুলে পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ক্যাফেটেরিয়ার নির্মাতাদের দাবি, গোলপাতা দিয়ে তৈরি এ ক্যাফেটেরিয়ার আয়তন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুট। যৌথভাবে এটির নকশা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক শেখ সিরাজুল হাকিম ও সহকারী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম। তবে গোলপাতার ছাউনি ব্যবহারের ধারণাটি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
ক্যাফেটেরিয়ার ছাউনি ৩০ ফুট উঁচুতে দেওয়া হয়েছে। নির্মাতারা জানান, চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে যখন তাপমাত্রা বেশি থাকবে, তখন গোলপাতার ছাউনির কারণে ইটের তৈরি পাকা ঘরবাড়ির তুলনায় এখানে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কম থাকবে। আবার শীতের সময় অধিকাংশ স্থানে মিষ্টি রোদের আমেজ পাওয়া যাবে। ছাউনিতে ব্যবহৃত গোলপাতা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। ফলে এর স্থায়িত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ বছর বাড়বে। এখানে একসঙ্গে প্রায় ২০০ মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এর সামনের অংশ শিক্ষার্থী, আর পেছনের অংশ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই ক্যাফে। সকালের নাশতা থেকে শুরু করে রাতের খাবার—সবই পাওয়া যায় এখানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন করাও জরুরি। ইট-পাথরের শহরের মধ্যে গোলপাতার ছাউনিতে গ্রামবাংলার ছোঁয়া পেয়েছে এই ক্যাফেটেরিয়া। এখানে সব সময় মানসম্মত খাবার সরবরাহ করতে হবে। এ বিষয়ে যে কমিটি রয়েছে, তারা নিয়মিত তদারক করবে।
রুবায়েত হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রভাব মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরিবর্তনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রযুক্তি একদিকে যেমন জীবনকে সহজ করছে অন্যদিকে এটি শিক্ষার ধরন, পদ্ধতি ও কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
৮ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যে জন্ম ও কানাডায় বেড়ে ওঠা ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক, সাংবাদিক ও বক্তা। তাঁর অন্যতম বই হলো আউটলায়ার্স। বইটি বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
১৩ মিনিট আগেবিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পাঠ্যপুস্তক বা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নয়। এটি ব্যক্তিত্ব গঠনের, দক্ষতা বিকাশের এবং ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নেওয়ার এক বিশাল ক্ষেত্র। এই সময় ক্লাব কার্যক্রমে যুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উল্লেখযো
১৫ মিনিট আগেবিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য নেদারল্যান্ডস। ইউরোপের দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ম্যাস্ট্রিচ ইউনিভার্সিটির বৃত্তি।
১৯ মিনিট আগে