দীঘি-রাফি বিতর্কে পরিচালককে একহাত নিলেন অভিনেত্রী সুবাহ

বিনোদন প্রতিবেদক
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮: ২৪
Thumbnail image

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির ফেসবুকের একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দীঘির অভিযোগ, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতির শিকার হয়েছেন। পরিচালকের বিরুদ্ধে তিনি কথা দিয়ে কথা না রাখার অভিযোগ করেছেন।

দীঘি জানান, চলচ্চিত্রে নেওয়ার কথা বলেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে নেওয়া হয়নি। সেখানে দীঘি কারও নাম উল্লেখ না করলেও, খবর রটেছে পোস্টটি নির্মাতা রায়হান রাফিকে উদ্দেশ্য করেই দিয়েছেন দীঘি।

নির্মাতা রায়হান রাফিও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। রাফি বলেন, ‘দীঘির উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া। তাঁর ফিটনেসের দিকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। তাঁকে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিষয়টা এমন না, অন্যরা কেন তাঁকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তাঁর কোনো ঘাটতি আছে।’

এদিকে পরিচালক রাফির এই মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা মডেল-অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের রেকর্ড হয়ে থাকল! এইভাবে কোনো দিন কোনো বড় ডিরেক্টর, কোনো নায়িকাকে প্রকাশ্যে তাঁর ফিগার নিয়ে অপমান করতে দেখিনি। …....... উনি এমনভাবে কথা বলেছেন যেন ইন্ডিয়ান নির্মাতা করণ জোহর বা সঞ্জয়লীলা বানসালি হয়ে গেছেন!’

রায়হান রাফিকে ইঙ্গিত করে সুবাহ আরও বলেন, ‘যে প্রেম করতে পারবে সেই ভালো নায়িকা, ভালো ফিগারের সুন্দরী নায়িকা!...… এটা কি ধরনের মিনিং!’ 

এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘বর্তমান যুগে অনেক বড় বড় বলিউড এবং বাংলাদেশের নায়ক-নায়িকারা অনেকেই টিকটক করেন।............. এভাবে একটা নায়িকাকে অপমান করা হলো বিষয়টা খুব কষ্টের তারপরও সে (দীঘি) ছোট থেকেই অভিনেত্রী আবার স্টারকিড। তিনটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে আছে। সে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী, তাঁকে অবশ্যই সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত ছিল তার।’

সুবাহ আরও লেখেন, ‘চলচ্চিত্রের প্রযোজক পরিচালক মানে সিনেমার বাবা মা, ওনারা যদি এইভাবে এই ভাষায় অভিনেত্রীদের নিয়ে কথা বলে তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। এইভাবে বডি শেমিং করা ঠিক হয়নি। আপনাদের সবার উচিত এই সব ফালতু মন মানসিকতার মানুষদের শিক্ষা দেওয়া। আমিও চলচ্চিত্রের একজন অংশ এবং আমিও একটা মেয়ে তাই বিষয়টি আমার খারাপ লেগেছে আর আমি পারসোনালি দিঘিকে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনো কাউকে ছাড়ে কথা বলিনি এবং বলবও না আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে ওই ডিরেক্টরের কথাবার্তাগুলো। দিঘির জায়গায় হয়তো আমিও এ রকম বাজে ভাবে বডি সেভিং এর শিকার হতে পারি দুদিন পর! ওনার মতো ডিরেক্টর এর কাছে। দিঘির বাবা আমার ছবিতে আমার বাবা হয়েছিলেন অনেক ভালো মানুষ আর দিঘির মা অনেক নামকরা নায়িকা দোয়েল ছিলেন। দিঘি একটা অল্প বয়সের মা হারা মেয়ে।’

পোস্টের শেষে সুবাহ আরও লেখেন, ‘চলচ্চিত্রের মানুষদের অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত এভাবে চুপ না থেকে কাল হয়তো আপনাদের কে নিয়েও এভাবে অপমান করে কথা বলতে কেউ পিছপা হবে না। আর আমি বরাবরই প্রতিবাদী অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবই যদি কিছু করার থাকে করেন ইনশা আল্লাহ দেখা যাবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত