‘শুধু সন্দেহের বশে শুটিং স্পটে হাজির হয় পুলিশ, সারা রাত হাজতবাস করেন সালমান’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৩৬
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৪১

বলিউডের নব্বই দশকের জনপ্রিয় সিনেমার একটি ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’। সিনেমাটি পরিচালনা করেন জনপ্রিয় পরিচালক সুরজ বরজাতিয়া। তবে সিনেমাটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি বিতর্ক। সিনেমাটির শুটিংয়ে সালমান খানসহ বলিউডের কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে। শুটিং সেট থেকেই পুলিশের হাতে আটক হোন সালমানসহ পাঁচ অভিনেতা। ২৫ বছর পর সিনেমাটির অভিনেতা মহেশ ঠাকুর সেদিনের ঘটনা সামনে এনেছেন।

টিভি উপস্থাপক সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহেশ জানিয়েছেন, সেদিন শুটিং সেটে যা ঘটেছিল তা মনে করে তাঁর নিজের এখনো খুব কষ্ট লাগে। সিনেমাটির গানের শুটিং চলার সময়, পুলিশ এসে অভিনেতাদের ধরে নিয়ে যায়।

মহেশ বলেন, ‘পুলিশ সালমান, সাইফ, সোনালি বেন্দ্রে, নিলম ও টাবুকে থানায় নিয়ে যায়। তবে আমি, মোহনিশ বাহল ও কারিশমা কাপুর এতে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাদের সামনে তাঁদের এভাবে আটক, বেশ কষ্ট দিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে, এখন তা অতীত এবং আমাদের জীবন এগিয়েছে।’

মহেশ আরও বলেন, ‘সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সালমান ভাইকে পুলিশ সারা রাত হাজতে আটকে রাখে। পরদিন আরবাজ ও সোহেল এসে তাঁকে নিয়ে যান।’

সেসময়ের পরিস্থিতি নিয়ে মহেশ বলেন, ‘আটকের ঘটনাটি শুধু সন্দেহের বশে ঘটেছিল। এরপরও লোকেরা অনেক শোরগোল শুরু করেছিল। সালমান এবং সাইফের নাম যুক্ত হওয়ায় লোকেরা এটিকে অতিরঞ্জিত করে। কিন্তু, সত্যিটা হলো, শেষ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। বরং, মিডিয়ায় নেতিবাচকতা খবর ছড়িয়েছিল।’

‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার দৃশ্যে সালমান খান ও সোনালি বেন্দ্রে। ছবি: সংগৃহীতঅভিনেতা মহেশ ঠাকুর আরও জানান, ঘটনাটি ঘটার পর যোধপুরের শিডিউল বাতিল করে পুরো শুটিং ইউনিটকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর–অক্টোবর মাসে যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ গানের শুটিং চলে। শুটিং শেষে অবসর সময়ে সালমান অন্য তারকাদের সঙ্গে কঙ্কণী গ্রামে যান, যেখানে তিনি এবং অন্য অভিনেতাদের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে স্থানীয় বিষ্ণই সম্প্রদায়ের কয়েকজন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণই। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সালমান যদি বিষ্ণই সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁকে চরম শাস্তি পেতে হবে বলে হুমকি দেন তিনি। নিরামিষভোজী বিষ্ণইদের কাছে গাছ কাটা ও প্রাণী হত্যা মহাপাপ।

‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার দৃশ্যে। ছবি: সংগৃহীতহরিণ হত্যার ওই মামলায় সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৮ সালে ৫ বছরের সাজা দেন রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর আদালত। সাজার রায়ের পর যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই রাত কাটাতে হয় অভিনেতাকে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি।

এই মামলায় তখন আরও আসামি করা হয় সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে। তবে সালমান ছাড়া বাকিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত