এম এস রানা

চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তির জন্ম আছে মৃত্যু নেই। ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন। গতকাল সকাল ৮টার কিছু সময় পরে হিন্দুজা হাসপাতাল থেকে যখন নিশ্চিত করা হলো কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুসংবাদ, শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। পুরো ভারতে নেমে এল শোকের ছায়া।
১৯৪৪ সালে ‘জোয়ারভাটা’ ছবির মাধ্যমে দিলীপ কুমারের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। পেশওয়ারের ছেলে দিলীপ কুমারের আসল নাম ইউসুফ সারোয়ার খান। বাবার নাম মোহাম্মদ সারোয়ার খান। তিনি ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী। কৈশোরে মুম্বাই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন ইউসুফ খান। কিছুদিন পর আবারো মুম্বাইয়ে ফিরে বাবার সাথে ফলের ব্যবসায় যোগ দেন। ব্যবসায়িক কারণে মুম্বাই যেতেন তিনি। একসময় পরিচয় হয় সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে। তিনিই ইউসুফকে পরিচয় করিয়ে দেন 'বোম্বে টকিজ'–এর সঙ্গে। ১৯৪৩ সালে 'বোম্বে টকিজ'-এ চাকরি খুঁজতে গেলে সেখানকার স্বত্বাধিকারী অভিনেত্রী দেবিকা রানী তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। দেবিকা রাণীই মনে করেছিলেন ইউসুফ খান নামটি রোমান্টিক হিরোর জন্য মানানসই নয়। তার অনুরোধেই হিন্দি কবি নরেন্দ্র শর্মা তিনটি নাম প্রস্তাব করেন- জাহাঙ্গীর, বাসুদেব ও দিলীপ কুমার। এর মধ্যে দিলীপ কুমার নামটিই নিজের জন্য পছন্দ করেন ইউসুফ খান। নাম পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ ছিলো রক্ষণশীল বাবা যেন ইউসুফের নতুন পেশার কথা জানতে না পারেন। সেই থেকে মুসলিম পরিবারের ইউসূফ হয়ে উঠলেন দিলীপ কুমার। যদিও সারাজীবনে মাত্র একবার মুসলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেটি হলো ‘মুঘল-ই-আযম’। প্রথম দিকের ছবিগুলো খুব একটা ব্যবসাসফল ছিল না। তবে ১৯৬০ সালে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা 'মুঘল-ই-আজম' দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
অভিনয় স্টাইল
দিলীপ কুমার তাঁর ছয় দশকের ক্যারিয়ারে মাত্র ৬৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হিন্দি সিনেমায় অভিনয় শিল্পকে দিয়েছেন নতুন রূপ। দিলীপ কুমার যখন ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেন তখনকার বেশিরভাগ অভিনেতা উচ্চস্বরে একের পর এক সংলাপ বলে যেতেন। এ ধরনের অভিনয়কে বলা হতো ‘লাউড অ্যাক্টিং’। এটি এসেছিলো মূলত পার্সি থিয়েটারের প্রভাবে। অথচ, দিলীপ কুমার ছিলেন অনেকটাই ধীর স্থির আর শান্ত অথচ বলিষ্ঠ। দিলীপ নিচু স্বরে অভিজাত ও দৃঢ়তার সাথে এমনভাবে সংলাপ ছুড়ে দিতেন যা দর্শকের ভক্তি কুড়িয়েছে। খ্যাতিমান লেখক সেলিম খান বলেছিলেন, ‘দিলীপ কুমার যেসব চরিত্রে অভিনয় করতেন তার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব হয়ে যেতেন অথচ সেটাও দর্শকের ওপর গভীর ছাপ রেখে যেত।’
ট্রাজেডি কিং
দিলীপ কুমার অভিনীত অনেক ছবিই রয়েছে যার চরিত্রগুলো ট্রাজিক। মারা গেছেন এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটা সময় প্রতি দুটি ছবির একটিতে তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রগুলোতে তাঁর অভিনয় দর্শকের চোখ ঘোলা করেছে, বুক ভাড়ি করেছে অবিরাম। এসব ছবি তাঁকে ট্রাজেডি কিং পরিচিতি এনেছিল। অভিনয়ে দিলীপ এতটাই বাস্তবিক ছিলেন যে এক সময় মৃত্যুর দৃশ্য করতে করতে ‘ডিপ্রেসড’ হয়ে পড়েছিলেন। পরে লন্ডন থেকে বিষণ্ণতার চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফিরে ‘কোহিনুর’, ‘আজাদ’, ‘রাম অর শ্যাম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেগুলোতে কিছুটা কমিক উপাদান ছিলো।’
চরিত্রের প্রয়োজনে
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রতিটি চরিত্রকেই তিনি সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইতেন। চরিত্রের প্রয়োজনেই ওস্তাদ আব্দুল হালিম জাফর খানের কাছে বেশ কয়েক বছর সেতার শিখেছেন ‘কোহিনূর’ ছবির জন্য। লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে সলিল চৌধুরীর লেখা একটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন হৃষিকেষ মুখার্জির ‘মুসাফির’ ছবির জন্য। ঘোড়ার গাড়ি চালানো শিখেছিলেন ‘নয়াদৌড়’ সিনেমার জন্য। নির্মাতা সত্যজিৎ রায় তাই দিলীপ কুমারকে বলেছিলেন ‘মেথড অ্যাক্টর’।
স্টাইল আইকন
মূলত ‘মুঘল-ই-আজম’-এর পর ব্যাপক পরিচিতি পান দিলীপ কুমার। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন সবোর ফ্যাশন আইকন। কপালে ভি-শেপে একগুচ্ছ চুল আছড়ে পড়া তখন যেন জাতীয় ক্রেজে পরিণত হয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে দিলীপ কুমার সাদা রং পছন্দ করতেন। প্রায়ই সাদা জামা ও কিছুটা ঢোলা সাদা প্যান্ট পড়তেন। উর্দু সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিলো তাঁর। তিনি একই সাথে হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবী ও পশতু ভাষা জানতেন। এমনকি মারাঠি, ভোজপুরি ও ফরাসিও বুঝতেন, বলতে পারতেন।
মধুবালার সঙ্গে প্রেম, সায়রা বানুকে বিয়ে
অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে ৭টি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দিলীপ। কোনো একক অভিনেত্রীর সাথে এটাই তাঁর সবচেয়ে বেশি জুটি বাঁধা। তবে মধুবালার সঙ্গে তাঁর জুটি বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলো। এমনকি মধুবালার প্রেমেও পড়েছিলেন দিলীপ। মধুবালার বাবার কারণে এই প্রেমের গল্প বেশিদূর এগোয়নি। মধুবালার বাবা মনে করতেন দিলীপ কুমারের বয়স মধুবালার চেয়ে অনেক বেশি। তার উপরে বি আর চোপড়ার ‘নয়া দৌড়’ সিনেমা নিয়ে আইনগত সমস্যার উদ্ভব হলে মুধবালার বাবা ও দিলীপ কুমারের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরপর বিয়ের প্রস্তাব দিলে দিলীপকে মধুবালা বলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করব কিন্তু তার আগে তোমাকে বাবার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’ দিলীপ তাতে রাজি হননি। তাই ভেঙে যায় দু’জনের সম্পর্ক। তাদের সম্পর্ক এতোটাই বৈরি হয়ে ওঠে যে ‘মুঘল ই আযম’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতেন না। পরে ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার।
আগে থেকেই দিলীপ কুমারের প্রেমে পাগল ছিলেন অভিনেত্রী সায়রা বানু।। ‘ঝুক গ্যায়া আসমান’ ছবির সেটে যখন দিলীপ কুমার তাঁকে প্রোপোজ করেন, তৎক্ষণাত ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের চেয়ে ২২ বছরের ছোট সায়রাকে বিয়ে করে সংসার বাঁধেন দিলীপ। ১৬ বছর সংসার করার পর তাঁকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আসমা রেহমানকে। পরে নিজেই স্বীকার করেন এটা তার ভূল সিদ্ধান্ত ছিল। আবারো ফিরে গিয়েছিলেন সায়রা কাছে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত দিলীপকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন সায়রা। হিন্দুজা হাসপাতালে ডাঃ জালিল পারেকার সর্ব প্রথম সায়রাকে দিলীপের মৃত্যু সংবাদ দিলে তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন, ‘ভগবান আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল…।’
শেষ দিন পর্যন্ত সায়রা বানু যেভাবে দিলীপকে আগলে রেখেছিলেন তার প্রশংসা করছেন সবাই। তবে সায়রা বানু বলেছিলেন, দায়িত্ব ভেবে নয় দিলীপ কুমারকে ভালোবাসেন বলেই এভাবেই আগলে রেখেছেন।
শেষ বিদায়ের বেলায়
মৃত্যুকালে দিলীপ কুমারের বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিঁনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৬জুন শ্বাসকষ্ট হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১১জুন তিনি বাড়ি ফিরে যান। ৩০ জুন অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ জুন তার স্ত্রী সায়রা বানু এক টুইটে জানান, অভিনেতার অবস্থা এখন ভালোর দিকে। ৭ জুন সকাল ৮টার কিছু সময় পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন দিলীপ কুমার মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে ভূগছিলেন যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। গত ৩-৪ মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি কিডনির সমস্যায় ভূগিছিলেন এবং ফুসফুসে পানি এসে গিয়েছিল।

চলে যাওয়া মানেই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তির জন্ম আছে মৃত্যু নেই। ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন। গতকাল সকাল ৮টার কিছু সময় পরে হিন্দুজা হাসপাতাল থেকে যখন নিশ্চিত করা হলো কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুসংবাদ, শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ল বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। পুরো ভারতে নেমে এল শোকের ছায়া।
১৯৪৪ সালে ‘জোয়ারভাটা’ ছবির মাধ্যমে দিলীপ কুমারের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু। পেশওয়ারের ছেলে দিলীপ কুমারের আসল নাম ইউসুফ সারোয়ার খান। বাবার নাম মোহাম্মদ সারোয়ার খান। তিনি ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী। কৈশোরে মুম্বাই থেকে পুনে গিয়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের জন্য পরিচালিত একটি ক্যান্টিনে কাজ নেন ইউসুফ খান। কিছুদিন পর আবারো মুম্বাইয়ে ফিরে বাবার সাথে ফলের ব্যবসায় যোগ দেন। ব্যবসায়িক কারণে মুম্বাই যেতেন তিনি। একসময় পরিচয় হয় সাইকোলজিস্ট ডা. মাসানির সঙ্গে। তিনিই ইউসুফকে পরিচয় করিয়ে দেন 'বোম্বে টকিজ'–এর সঙ্গে। ১৯৪৩ সালে 'বোম্বে টকিজ'-এ চাকরি খুঁজতে গেলে সেখানকার স্বত্বাধিকারী অভিনেত্রী দেবিকা রানী তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। দেবিকা রাণীই মনে করেছিলেন ইউসুফ খান নামটি রোমান্টিক হিরোর জন্য মানানসই নয়। তার অনুরোধেই হিন্দি কবি নরেন্দ্র শর্মা তিনটি নাম প্রস্তাব করেন- জাহাঙ্গীর, বাসুদেব ও দিলীপ কুমার। এর মধ্যে দিলীপ কুমার নামটিই নিজের জন্য পছন্দ করেন ইউসুফ খান। নাম পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ ছিলো রক্ষণশীল বাবা যেন ইউসুফের নতুন পেশার কথা জানতে না পারেন। সেই থেকে মুসলিম পরিবারের ইউসূফ হয়ে উঠলেন দিলীপ কুমার। যদিও সারাজীবনে মাত্র একবার মুসলিম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেটি হলো ‘মুঘল-ই-আযম’। প্রথম দিকের ছবিগুলো খুব একটা ব্যবসাসফল ছিল না। তবে ১৯৬০ সালে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা 'মুঘল-ই-আজম' দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
অভিনয় স্টাইল
দিলীপ কুমার তাঁর ছয় দশকের ক্যারিয়ারে মাত্র ৬৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হিন্দি সিনেমায় অভিনয় শিল্পকে দিয়েছেন নতুন রূপ। দিলীপ কুমার যখন ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেন তখনকার বেশিরভাগ অভিনেতা উচ্চস্বরে একের পর এক সংলাপ বলে যেতেন। এ ধরনের অভিনয়কে বলা হতো ‘লাউড অ্যাক্টিং’। এটি এসেছিলো মূলত পার্সি থিয়েটারের প্রভাবে। অথচ, দিলীপ কুমার ছিলেন অনেকটাই ধীর স্থির আর শান্ত অথচ বলিষ্ঠ। দিলীপ নিচু স্বরে অভিজাত ও দৃঢ়তার সাথে এমনভাবে সংলাপ ছুড়ে দিতেন যা দর্শকের ভক্তি কুড়িয়েছে। খ্যাতিমান লেখক সেলিম খান বলেছিলেন, ‘দিলীপ কুমার যেসব চরিত্রে অভিনয় করতেন তার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব হয়ে যেতেন অথচ সেটাও দর্শকের ওপর গভীর ছাপ রেখে যেত।’
ট্রাজেডি কিং
দিলীপ কুমার অভিনীত অনেক ছবিই রয়েছে যার চরিত্রগুলো ট্রাজিক। মারা গেছেন এমন অনেক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। একটা সময় প্রতি দুটি ছবির একটিতে তিনি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রগুলোতে তাঁর অভিনয় দর্শকের চোখ ঘোলা করেছে, বুক ভাড়ি করেছে অবিরাম। এসব ছবি তাঁকে ট্রাজেডি কিং পরিচিতি এনেছিল। অভিনয়ে দিলীপ এতটাই বাস্তবিক ছিলেন যে এক সময় মৃত্যুর দৃশ্য করতে করতে ‘ডিপ্রেসড’ হয়ে পড়েছিলেন। পরে লন্ডন থেকে বিষণ্ণতার চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফিরে ‘কোহিনুর’, ‘আজাদ’, ‘রাম অর শ্যাম’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যেগুলোতে কিছুটা কমিক উপাদান ছিলো।’
চরিত্রের প্রয়োজনে
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রতিটি চরিত্রকেই তিনি সুচারুভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইতেন। চরিত্রের প্রয়োজনেই ওস্তাদ আব্দুল হালিম জাফর খানের কাছে বেশ কয়েক বছর সেতার শিখেছেন ‘কোহিনূর’ ছবির জন্য। লতা মুঙ্গেশকরের সঙ্গে সলিল চৌধুরীর লেখা একটি দ্বৈত গান গেয়েছিলেন হৃষিকেষ মুখার্জির ‘মুসাফির’ ছবির জন্য। ঘোড়ার গাড়ি চালানো শিখেছিলেন ‘নয়াদৌড়’ সিনেমার জন্য। নির্মাতা সত্যজিৎ রায় তাই দিলীপ কুমারকে বলেছিলেন ‘মেথড অ্যাক্টর’।
স্টাইল আইকন
মূলত ‘মুঘল-ই-আজম’-এর পর ব্যাপক পরিচিতি পান দিলীপ কুমার। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন সবোর ফ্যাশন আইকন। কপালে ভি-শেপে একগুচ্ছ চুল আছড়ে পড়া তখন যেন জাতীয় ক্রেজে পরিণত হয়েছিল। ব্যক্তিগত জীবনে দিলীপ কুমার সাদা রং পছন্দ করতেন। প্রায়ই সাদা জামা ও কিছুটা ঢোলা সাদা প্যান্ট পড়তেন। উর্দু সাহিত্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিলো তাঁর। তিনি একই সাথে হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবী ও পশতু ভাষা জানতেন। এমনকি মারাঠি, ভোজপুরি ও ফরাসিও বুঝতেন, বলতে পারতেন।
মধুবালার সঙ্গে প্রেম, সায়রা বানুকে বিয়ে
অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে ৭টি ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন দিলীপ। কোনো একক অভিনেত্রীর সাথে এটাই তাঁর সবচেয়ে বেশি জুটি বাঁধা। তবে মধুবালার সঙ্গে তাঁর জুটি বেশি জনপ্রিয় হয়েছিলো। এমনকি মধুবালার প্রেমেও পড়েছিলেন দিলীপ। মধুবালার বাবার কারণে এই প্রেমের গল্প বেশিদূর এগোয়নি। মধুবালার বাবা মনে করতেন দিলীপ কুমারের বয়স মধুবালার চেয়ে অনেক বেশি। তার উপরে বি আর চোপড়ার ‘নয়া দৌড়’ সিনেমা নিয়ে আইনগত সমস্যার উদ্ভব হলে মুধবালার বাবা ও দিলীপ কুমারের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরপর বিয়ের প্রস্তাব দিলে দিলীপকে মধুবালা বলেন, ‘আমি তোমাকে বিয়ে করব কিন্তু তার আগে তোমাকে বাবার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।’ দিলীপ তাতে রাজি হননি। তাই ভেঙে যায় দু’জনের সম্পর্ক। তাদের সম্পর্ক এতোটাই বৈরি হয়ে ওঠে যে ‘মুঘল ই আযম’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতেন না। পরে ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুকে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার।
আগে থেকেই দিলীপ কুমারের প্রেমে পাগল ছিলেন অভিনেত্রী সায়রা বানু।। ‘ঝুক গ্যায়া আসমান’ ছবির সেটে যখন দিলীপ কুমার তাঁকে প্রোপোজ করেন, তৎক্ষণাত ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের চেয়ে ২২ বছরের ছোট সায়রাকে বিয়ে করে সংসার বাঁধেন দিলীপ। ১৬ বছর সংসার করার পর তাঁকে ত্যাগ করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আসমা রেহমানকে। পরে নিজেই স্বীকার করেন এটা তার ভূল সিদ্ধান্ত ছিল। আবারো ফিরে গিয়েছিলেন সায়রা কাছে। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত দিলীপকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন সায়রা। হিন্দুজা হাসপাতালে ডাঃ জালিল পারেকার সর্ব প্রথম সায়রাকে দিলীপের মৃত্যু সংবাদ দিলে তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন, ‘ভগবান আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল…।’
শেষ দিন পর্যন্ত সায়রা বানু যেভাবে দিলীপকে আগলে রেখেছিলেন তার প্রশংসা করছেন সবাই। তবে সায়রা বানু বলেছিলেন, দায়িত্ব ভেবে নয় দিলীপ কুমারকে ভালোবাসেন বলেই এভাবেই আগলে রেখেছেন।
শেষ বিদায়ের বেলায়
মৃত্যুকালে দিলীপ কুমারের বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিঁনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ৬জুন শ্বাসকষ্ট হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১১জুন তিনি বাড়ি ফিরে যান। ৩০ জুন অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হিন্দুজা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ জুন তার স্ত্রী সায়রা বানু এক টুইটে জানান, অভিনেতার অবস্থা এখন ভালোর দিকে। ৭ জুন সকাল ৮টার কিছু সময় পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন দিলীপ কুমার মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে ভূগছিলেন যা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। গত ৩-৪ মাস ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি কিডনির সমস্যায় ভূগিছিলেন এবং ফুসফুসে পানি এসে গিয়েছিল।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
৯ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
৯ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
৯ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
৯ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
৯ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
৯ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

চলে যাওয়া মানই প্রস্থান নয়। ইহজগতের মায় ত্যাগ করে দিলীপ কুমার ঠাঁই নিলেন ইতিহাসের পাতায়। কিংবদন্তীর জন্ম আছে মৃত্যু নেই, ভক্তদের হৃদয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন।
০৮ জুলাই ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
৯ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
৯ ঘণ্টা আগে