বিনোদন ডেস্ক
গত সপ্তাহে রাজস্থানের উদয়পুরে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া ও আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা। কয়েক দিন ধরেই চলেছে তাঁদের বিয়ের উৎসব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পরিণীতি তাঁদের বিয়ের বেশ কিছু মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সাধারণ রীতি মেনে যেভাবে প্রি-ওয়েডিংয় হয়, রাঘব-পরিণীতির অনুষ্ঠান এর ধারেকাছেও ছিল না।
দুই পরিবারের সবাই মিলে মিউজিক্যাল চেয়ার, চামচে লেবু রেখে দৌড়, তিন পায়ে দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ক্রিকেটও খেলা হয়েছে। বরপক্ষের হয়ে দেখা গেছে রাঘবের বন্ধু ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিংকে।
চাড্ডা ভার্সেস চোপড়া। পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার বিয়ের আগে প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়। দুই পরিবারের সদস্যরা চাড্ডা গ্রুপ ও চোপড়া গ্রুপে ভাগ হয়ে গিয়ে একাধিক খেলা খেলেন। পরিণীতি নিজেই ইনস্টাগ্রামে সেই খেলার ঝলক শেয়ার করে এ কথা জানিয়েছেন।
পরিণীতি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জেতা-হারার চেয়ে বেশি ছিল দুই পরিবারের যোগসাধন, মজা, হাসি, আনন্দের মুহূর্ত। চাড্ডা-চোপড়া পরিবারের এই মহারণে দুই পক্ষই জয়ী অন্তত হৃদয় জয় করার ক্ষেত্রে।’ ক্যাপশনের সঙ্গে প্রকাশ করা ছবিতে ক্রিকেটার হরভজন সিং, পরিণীতির শাশুড়ি এবং রাঘবের পদক জয়ের মুহূর্তও শেয়ার করেন পরিণীতি।
এদিকে বিয়ের মুহূর্তের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরিণীতি চোপড়া। ভিডিওতে প্রতিটি মুহূর্তে পরিণীতিকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। এমনকি স্বামী রাঘবের জন্য ভিডিওটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।
ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাঘব চাড্ডা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে এমন উপহার পাব, তবে আমি অনুমান করতে পারি আমার গায়িকা স্ত্রী আমাকে অবাক করে দিতে ভালোবাসে! আমি সত্যিই অভিভূত। আপনার কণ্ঠ এখন সাউন্ডট্র্যাক হয়ে উঠেছে আমার জীবনে, ধন্যবাদ মিসেস চাড্ডা। আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ মনে করি যে আপনাকে পাশে পেয়েছি।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর পড়ন্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে রাজস্থানের উদয়পুরের পিচোলা হ্রদের তীরে অবস্থিত তাজ লীলা প্যালেসে রূপকথার বিয়ে সারেন রাঘব-পরিণীতি। লেক প্যালেস থেকে নৌকায় চড়ে পরিণীতিকে বিয়ে করতে আসেন রাঘব। আইভরি রঙের শেরওয়ানি পরেছিলেন তিনি। মাথায় অফ হোয়াইট পাগড়ি। গলায় মুক্তার মালা। আর পরিণীতি পরেছিলেন বেইজ রঙের লেহেঙ্গা। দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতোই মাথায় লম্বা ওড়না বা ভেইল।
বিয়ের ছবি শেয়ার করে পরিণীতি লিখেন, ‘সকালের নাশতার টেবিলের প্রথম আড্ডা থেকেই আমাদের হৃদয় জানত। এই দিনটির জন্য কতই না অপেক্ষা করলাম, অবশেষে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হতে পেরে ধন্য! একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতাম না, এখন থেকে আমাদের চিরকালের জার্নি শুরু হলো।’
বিয়ে শেষে উদয়পুরের এই সাত তারা হোটেলেই বসে রাঘব-পরিণীতির রিসেপশনের আসর। সেখানে গোলাপি রঙা শিমারি শাড়ি আর ডিপ কাট ব্লাউজে ফ্রেমবন্দী হন পরিণীতি। হাতে ছিল গোলাপি রঙের চূড়া আর সিঁথি রাঙানো রাঘবের নামের সিঁদুরে।
উদয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল একটি ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে। তার পরে গায়েহলুদ, সংগীত ও মেহেন্দি। রাঘব ও পরিণীতির সংগীতের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন গায়ক নবরাজ হংস। সংগীতের অনুষ্ঠানের জন্য নব্বইয়ের দশকের নস্টালজিয়া জড়ানো থিম পার্টির আয়োজন করেছিলেন হবু দম্পতি। সেই পার্টিতেই ছিল ম্যাগি ও ক্যানডি ফ্লসের কাউন্টারও।
গুঞ্জনটা শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁ থেকে। মুম্বাইয়ের এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে দেখা যায় পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডাকে। পরদিন আরেকটি রেস্তোরাঁয় লাঞ্চের জন্য যান তাঁরা। সেখান থেকেই জোরালো গুঞ্জন ছড়ায়, প্রেমের সম্পর্কে আছেন তাঁরা। সেদিন রাঘব চাড্ডাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে মিষ্টি হেসে তিনি বলেছিলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন, পরিণীতিকে নিয়ে নয়।’ পরদিন ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার বাড়িতে পরিণীতিকে যেতে দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিয়ের পোশাকের জন্যই কি ডিজাইনারের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী?
সব মিলিয়ে বিষয়টি ধোঁয়াশায় ছিল। তবে গত এপ্রিলে রাঘব-পরিণীতির প্রেমের খবরে একপ্রকার সিলমোহর দিয়ে দিয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জীব অরোরা। টুইট করে নিজের দলের তরুণ সাংসদ রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়াকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। সঞ্জীব টুইটারে লেখেন, ‘রাঘব আর পরিণীতিকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা। তাঁদের এই মিলন যেন প্রেম, আনন্দ আর সাহচর্যের প্রাচুর্যে ভরে ওঠে।’
এরপর গত ১৩ মে নয়াদিল্লির কপূরথলা হাউসে রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া।
গত সপ্তাহে রাজস্থানের উদয়পুরে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া ও আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা। কয়েক দিন ধরেই চলেছে তাঁদের বিয়ের উৎসব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পরিণীতি তাঁদের বিয়ের বেশ কিছু মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। সাধারণ রীতি মেনে যেভাবে প্রি-ওয়েডিংয় হয়, রাঘব-পরিণীতির অনুষ্ঠান এর ধারেকাছেও ছিল না।
দুই পরিবারের সবাই মিলে মিউজিক্যাল চেয়ার, চামচে লেবু রেখে দৌড়, তিন পায়ে দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ক্রিকেটও খেলা হয়েছে। বরপক্ষের হয়ে দেখা গেছে রাঘবের বন্ধু ও ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিংকে।
চাড্ডা ভার্সেস চোপড়া। পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডার বিয়ের আগে প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়। দুই পরিবারের সদস্যরা চাড্ডা গ্রুপ ও চোপড়া গ্রুপে ভাগ হয়ে গিয়ে একাধিক খেলা খেলেন। পরিণীতি নিজেই ইনস্টাগ্রামে সেই খেলার ঝলক শেয়ার করে এ কথা জানিয়েছেন।
পরিণীতি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জেতা-হারার চেয়ে বেশি ছিল দুই পরিবারের যোগসাধন, মজা, হাসি, আনন্দের মুহূর্ত। চাড্ডা-চোপড়া পরিবারের এই মহারণে দুই পক্ষই জয়ী অন্তত হৃদয় জয় করার ক্ষেত্রে।’ ক্যাপশনের সঙ্গে প্রকাশ করা ছবিতে ক্রিকেটার হরভজন সিং, পরিণীতির শাশুড়ি এবং রাঘবের পদক জয়ের মুহূর্তও শেয়ার করেন পরিণীতি।
এদিকে বিয়ের মুহূর্তের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরিণীতি চোপড়া। ভিডিওতে প্রতিটি মুহূর্তে পরিণীতিকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। এমনকি স্বামী রাঘবের জন্য ভিডিওটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।
ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাঘব চাড্ডা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি কখনোই ভাবিনি যে এমন উপহার পাব, তবে আমি অনুমান করতে পারি আমার গায়িকা স্ত্রী আমাকে অবাক করে দিতে ভালোবাসে! আমি সত্যিই অভিভূত। আপনার কণ্ঠ এখন সাউন্ডট্র্যাক হয়ে উঠেছে আমার জীবনে, ধন্যবাদ মিসেস চাড্ডা। আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান মানুষ মনে করি যে আপনাকে পাশে পেয়েছি।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর পড়ন্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে রাজস্থানের উদয়পুরের পিচোলা হ্রদের তীরে অবস্থিত তাজ লীলা প্যালেসে রূপকথার বিয়ে সারেন রাঘব-পরিণীতি। লেক প্যালেস থেকে নৌকায় চড়ে পরিণীতিকে বিয়ে করতে আসেন রাঘব। আইভরি রঙের শেরওয়ানি পরেছিলেন তিনি। মাথায় অফ হোয়াইট পাগড়ি। গলায় মুক্তার মালা। আর পরিণীতি পরেছিলেন বেইজ রঙের লেহেঙ্গা। দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতোই মাথায় লম্বা ওড়না বা ভেইল।
বিয়ের ছবি শেয়ার করে পরিণীতি লিখেন, ‘সকালের নাশতার টেবিলের প্রথম আড্ডা থেকেই আমাদের হৃদয় জানত। এই দিনটির জন্য কতই না অপেক্ষা করলাম, অবশেষে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হতে পেরে ধন্য! একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতাম না, এখন থেকে আমাদের চিরকালের জার্নি শুরু হলো।’
বিয়ে শেষে উদয়পুরের এই সাত তারা হোটেলেই বসে রাঘব-পরিণীতির রিসেপশনের আসর। সেখানে গোলাপি রঙা শিমারি শাড়ি আর ডিপ কাট ব্লাউজে ফ্রেমবন্দী হন পরিণীতি। হাতে ছিল গোলাপি রঙের চূড়া আর সিঁথি রাঙানো রাঘবের নামের সিঁদুরে।
উদয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল একটি ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে। তার পরে গায়েহলুদ, সংগীত ও মেহেন্দি। রাঘব ও পরিণীতির সংগীতের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন গায়ক নবরাজ হংস। সংগীতের অনুষ্ঠানের জন্য নব্বইয়ের দশকের নস্টালজিয়া জড়ানো থিম পার্টির আয়োজন করেছিলেন হবু দম্পতি। সেই পার্টিতেই ছিল ম্যাগি ও ক্যানডি ফ্লসের কাউন্টারও।
গুঞ্জনটা শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁ থেকে। মুম্বাইয়ের এক অভিজাত রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে দেখা যায় পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডাকে। পরদিন আরেকটি রেস্তোরাঁয় লাঞ্চের জন্য যান তাঁরা। সেখান থেকেই জোরালো গুঞ্জন ছড়ায়, প্রেমের সম্পর্কে আছেন তাঁরা। সেদিন রাঘব চাড্ডাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে মিষ্টি হেসে তিনি বলেছিলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করুন, পরিণীতিকে নিয়ে নয়।’ পরদিন ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার বাড়িতে পরিণীতিকে যেতে দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিয়ের পোশাকের জন্যই কি ডিজাইনারের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী?
সব মিলিয়ে বিষয়টি ধোঁয়াশায় ছিল। তবে গত এপ্রিলে রাঘব-পরিণীতির প্রেমের খবরে একপ্রকার সিলমোহর দিয়ে দিয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জীব অরোরা। টুইট করে নিজের দলের তরুণ সাংসদ রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়াকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। সঞ্জীব টুইটারে লেখেন, ‘রাঘব আর পরিণীতিকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা। তাঁদের এই মিলন যেন প্রেম, আনন্দ আর সাহচর্যের প্রাচুর্যে ভরে ওঠে।’
এরপর গত ১৩ মে নয়াদিল্লির কপূরথলা হাউসে রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৫ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৫ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৫ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১১ ঘণ্টা আগে