বিনোদন ডেস্ক
গতকাল সোমবার গভীর রাতে ঘোষণাটা এল—আলাদা হয়ে যাচ্ছেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ১৮ বছরের সংসার তাঁদের। কোনো মনোমালিন্যের খবর নেই। নেই সম্পর্কে অবনতির কোনো আভাস। হুট করেই দক্ষিণী সুপারস্টার ধানুশ ও তাঁর স্ত্রী রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়া জানিয়ে দিলেন, তাঁদের দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে!
এমনিতে নাগা চৈতন্য ও সামান্থার ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে বড়সড় ধাক্কা পেয়েছে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এমন খবরে রীতিমতো দিশেহারা ধানুশভক্তরা।
যা লিখলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া
ইদানীং একটা চল হয়েছে—যৌথ বিবৃতি। তারকারা তাঁদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আর লুকোছাপা রাখছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন। ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া সেটাই করলেন।
টুইটারে ধানুশ লিখেছেন, ‘বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথচলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। আমি আর ঐশ্বরিয়া আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুগল হিসেবে এত দিন থেকেছি। এবার নিজেদের বোঝার পালা। আগামী দিনে একে অপরকে বোঝার জন্য আর একটু সময় দেব। সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন।’
একই ধরনের টুইট এসেছে ঐশ্বরিয়ার কাছ থেকেও।
যেভাবে পরিচয় ও পরিণয়
ধানুশের বোন ছিলেন ঐশ্বরিয়ার খুব ভালো বন্ধু। বোনের মুখে ঐশ্বরিয়ার নাম বিভিন্ন সময়ে শুনেছেন ধানুশ। তবে ধানুশের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয় ‘কাধাল কোন্দেইন’ ছবির প্রিমিয়ার শোতে। প্রদর্শনীতে পুরো টিম নিয়ে ছবি দেখতে গিয়েছিলেন ধানুশ। সপরিবারে এসেছিলেন রজনীকান্তও।
ছবি শেষ হওয়ার পর রজনীকান্ত তাঁর মেয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ধানুশের পরিচয় করিয়ে দেন। পরদিন ধানুশকে একটি ফুলের তোড়া পাঠান ঐশ্বরিয়া। সঙ্গে একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘ভালো কাজ। যোগাযোগ রাখবেন।’
ঐশ্বরিয়া যেহেতু নির্মাতা, ফলে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি হয়তো শুরুর দিকে প্রফেশনালই ছিল। এই প্রফেশনাল সম্পর্ক একসময় রূপ নেয় বন্ধুত্বে এবং স্বাভাবিকভাবেই প্রেমে।
২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর রজনীকান্তের বাড়িতে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির তারকারা উপস্থিত হন সেই অনুষ্ঠানে।
দুই বছর পর দুই থেকে তিন হন তাঁরা। ২০০৬ সালে তাঁদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় বড় ছেলে, নাম রাখা হয় রাজা। ২০১০ সালে জন্ম হয় ছোট ছেলে লিঙ্গার।
কেন বিচ্ছেদ হলো ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার?
আসলে পুরো বিষয়টিই এখনো অন্ধকারে। তাঁরা নিজেরা না জানানো পর্যন্ত ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ভাঙার আসল কারণ সম্পর্কে জানা কিংবা ধারণা করা সত্যিই কঠিন। কারণ তাঁদের দীর্ঘ দাম্পত্যে কখনো মনোমালিন্য কিংবা বিবাদের খবর শোনা যায়নি। সুখী দম্পতি বলতে যাকে বোঝায়, ধানুশ-ঐশ্বরিয়া ছিলেন তার চমৎকার উদাহরণ।
তবে হ্যাঁ, ২০১৮ সালে একটি গুজব বেশ ছড়িয়েছিল, যেটি নিয়ে এখন আবার নতুন করে চর্চা হচ্ছে।
কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসানের সঙ্গে ধানুশের ‘বিবাহবহির্ভূত’ সম্পর্কের জন্য নাকি তাঁদের সম্পর্ক ভাঙতেই বসেছিল ওই সময়!
২০১২ সালে ঐশ্বরিয়া তাঁর প্রথম ছবি পরিচালনায় হাত দেন। ছবির নাম ‘৩’। ধানুশের সঙ্গে কাস্ট করেন বন্ধু শ্রুতি হাসানকে। সেই ছবিরই গান ‘কোলাভারি ডি’ গেয়ে গায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন ধানুশ।
তো সেই ছবিতে কাজ করার সময় ধানুশ ও শ্রুতির সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অনেক লেখালেখি, কল্পনা-জল্পনা, জলঘোলা হয়েছিল তখন বিষয়টি নিয়ে।
সমস্ত কানাঘুষা বন্ধ হয় ঐশ্বরিয়ার মন্তব্যের পরে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী ও শ্রুতিকে নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা রটানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।
এরপর শান্তনু হাজারিকার সঙ্গে শ্রুতি হাসানের সম্পর্ক প্রকাশ হওয়ার পর ধানুশ-শ্রুতির প্রেমের গুঞ্জন চাপা পড়ে যায়।
তবে এটিই যে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ভাঙার কারণ, সেটি বলা যাবে না। মিডিয়া অনেক অ্যাঙ্গেল থেকে হিসাব কষছে। ভক্তরাও বিভিন্ন কথাবার্তা বলছেন। সবার অনুসন্ধানে একটা কারণই কমন—নিজেদের ভেতরে বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুন:
গতকাল সোমবার গভীর রাতে ঘোষণাটা এল—আলাদা হয়ে যাচ্ছেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ১৮ বছরের সংসার তাঁদের। কোনো মনোমালিন্যের খবর নেই। নেই সম্পর্কে অবনতির কোনো আভাস। হুট করেই দক্ষিণী সুপারস্টার ধানুশ ও তাঁর স্ত্রী রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়া জানিয়ে দিলেন, তাঁদের দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে!
এমনিতে নাগা চৈতন্য ও সামান্থার ডিভোর্সকে কেন্দ্র করে বড়সড় ধাক্কা পেয়েছে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এমন খবরে রীতিমতো দিশেহারা ধানুশভক্তরা।
যা লিখলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া
ইদানীং একটা চল হয়েছে—যৌথ বিবৃতি। তারকারা তাঁদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আর লুকোছাপা রাখছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন। ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া সেটাই করলেন।
টুইটারে ধানুশ লিখেছেন, ‘বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথচলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। আমি আর ঐশ্বরিয়া আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুগল হিসেবে এত দিন থেকেছি। এবার নিজেদের বোঝার পালা। আগামী দিনে একে অপরকে বোঝার জন্য আর একটু সময় দেব। সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন।’
একই ধরনের টুইট এসেছে ঐশ্বরিয়ার কাছ থেকেও।
যেভাবে পরিচয় ও পরিণয়
ধানুশের বোন ছিলেন ঐশ্বরিয়ার খুব ভালো বন্ধু। বোনের মুখে ঐশ্বরিয়ার নাম বিভিন্ন সময়ে শুনেছেন ধানুশ। তবে ধানুশের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয় ‘কাধাল কোন্দেইন’ ছবির প্রিমিয়ার শোতে। প্রদর্শনীতে পুরো টিম নিয়ে ছবি দেখতে গিয়েছিলেন ধানুশ। সপরিবারে এসেছিলেন রজনীকান্তও।
ছবি শেষ হওয়ার পর রজনীকান্ত তাঁর মেয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ধানুশের পরিচয় করিয়ে দেন। পরদিন ধানুশকে একটি ফুলের তোড়া পাঠান ঐশ্বরিয়া। সঙ্গে একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘ভালো কাজ। যোগাযোগ রাখবেন।’
ঐশ্বরিয়া যেহেতু নির্মাতা, ফলে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি হয়তো শুরুর দিকে প্রফেশনালই ছিল। এই প্রফেশনাল সম্পর্ক একসময় রূপ নেয় বন্ধুত্বে এবং স্বাভাবিকভাবেই প্রেমে।
২০০৪ সালের ১৮ নভেম্বর রজনীকান্তের বাড়িতে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির তারকারা উপস্থিত হন সেই অনুষ্ঠানে।
দুই বছর পর দুই থেকে তিন হন তাঁরা। ২০০৬ সালে তাঁদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় বড় ছেলে, নাম রাখা হয় রাজা। ২০১০ সালে জন্ম হয় ছোট ছেলে লিঙ্গার।
কেন বিচ্ছেদ হলো ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার?
আসলে পুরো বিষয়টিই এখনো অন্ধকারে। তাঁরা নিজেরা না জানানো পর্যন্ত ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ভাঙার আসল কারণ সম্পর্কে জানা কিংবা ধারণা করা সত্যিই কঠিন। কারণ তাঁদের দীর্ঘ দাম্পত্যে কখনো মনোমালিন্য কিংবা বিবাদের খবর শোনা যায়নি। সুখী দম্পতি বলতে যাকে বোঝায়, ধানুশ-ঐশ্বরিয়া ছিলেন তার চমৎকার উদাহরণ।
তবে হ্যাঁ, ২০১৮ সালে একটি গুজব বেশ ছড়িয়েছিল, যেটি নিয়ে এখন আবার নতুন করে চর্চা হচ্ছে।
কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসানের সঙ্গে ধানুশের ‘বিবাহবহির্ভূত’ সম্পর্কের জন্য নাকি তাঁদের সম্পর্ক ভাঙতেই বসেছিল ওই সময়!
২০১২ সালে ঐশ্বরিয়া তাঁর প্রথম ছবি পরিচালনায় হাত দেন। ছবির নাম ‘৩’। ধানুশের সঙ্গে কাস্ট করেন বন্ধু শ্রুতি হাসানকে। সেই ছবিরই গান ‘কোলাভারি ডি’ গেয়ে গায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন ধানুশ।
তো সেই ছবিতে কাজ করার সময় ধানুশ ও শ্রুতির সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অনেক লেখালেখি, কল্পনা-জল্পনা, জলঘোলা হয়েছিল তখন বিষয়টি নিয়ে।
সমস্ত কানাঘুষা বন্ধ হয় ঐশ্বরিয়ার মন্তব্যের পরে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী ও শ্রুতিকে নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা রটানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।
এরপর শান্তনু হাজারিকার সঙ্গে শ্রুতি হাসানের সম্পর্ক প্রকাশ হওয়ার পর ধানুশ-শ্রুতির প্রেমের গুঞ্জন চাপা পড়ে যায়।
তবে এটিই যে ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক ভাঙার কারণ, সেটি বলা যাবে না। মিডিয়া অনেক অ্যাঙ্গেল থেকে হিসাব কষছে। ভক্তরাও বিভিন্ন কথাবার্তা বলছেন। সবার অনুসন্ধানে একটা কারণই কমন—নিজেদের ভেতরে বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুন:
আগামী ১৫ নভেম্বর মেক্সিকোতে শুরু হচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৪ ’। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ আনিকা আলম।
১০ ঘণ্টা আগেনয়নতারার জীবনকাহিনি নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়েছে নেটফ্লিক্স। ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেইরি টেল’ নামের তথ্যচিত্রটি নয়নতারার জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তি পাবে আগামী ১৮ নভেম্বর।
১২ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস আগে মুম্বাইয়ের হাজী আলীর দরগা সংস্কারের জন্য প্রায় দেড় কোটি রুপি দান করেছিলেন অক্ষয় কুমার। এবার তিনি এগিয়ে এলেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের ১২০০ হনুমানদের সাহায্যে। দিয়েছেন এক কোটি রুপি।
১৪ ঘণ্টা আগেসুড়ঙ্গ হিট হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, সিনেমার যাত্রাটা দীর্ঘ হবে নিশোর। তমাও নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। সুড়ঙ্গ মুক্তির পর অনেকটা আড়ালেই চলে যান তাঁরা দুজন।
১৪ ঘণ্টা আগে