বিনোদন ডেস্ক
বাংলা ছবির ক্ষণজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহ্র ৫০তম জন্মদিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে নানার বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে তাঁর জন্ম। মৃত্যু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। মাত্র ২৫ বছরের জীবন। অথচ এখনো কী বিস্তৃত প্রভাব তাঁর!
ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব হয়েছিল: আগুন
চলচ্চিত্রে মাত্র চার বছরে এত কিছু দিয়ে গেছে যে, সালমান শুধু জনপ্রিয় নয়, হয়েছে চির অমর। এই প্রজন্মের কারো সঙ্গে যখন কথা হয়, খেয়াল করি, তাঁরাও ওকে নিজেদের প্রিয় নায়ক বলে। সেদিন একটা মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলো। ওর জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো সালমান শাহ্। ওর জন্ম ১৯৯৮ সালে। ও বলে যে, আমার জীবনের প্রথম ক্রাশ, সে মারা গেল আমার জন্মের দুই বছর আগে। আমি আরও অবাক হলাম, এই মেয়েটার বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছিল। একটা বিয়ের প্রস্তাব এসেছে, ছেলে ডিভোর্সড। সে দেখতে নাকি অনেকটা সালমান শাহ্র মতো। সে জন্যই ওই ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছে মেয়েটা!
যখনই সালমানের ছবির জন্য গান গাইতাম, সে স্টুডিওতে বসে থাকত। গানের সঙ্গে নিজের একাত্মতার জন্যই সে এটা করত। ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব সালমানের। যত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে, সবকটিই সুপারহিট। মানুষের ক্যারিয়ারে তো একটু উত্থান-পতন হয়ই। সালমানের ক্যারিয়ারে পতন বলে কিছুই ছিল না। সাফল্যের চূড়ায় থাকতে থাকতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে সে।
সালমানের প্রথম ছবিতে আমার অভিনয়ের কথা ছিল: শাবনাজ
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে প্রথম আমার আর নাঈমের অভিনয়ের কথা ছিল। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ভাই এই ছবির জন্য আমাদের অগ্রিম কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আমাদের ‘চাঁদনী’ সুপারহিট হয়। তখন কপিরাইট নিয়ে খুব তোলপাড় হচ্ছিল, তাই ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয় করা হয়নি। সোহান ভাই নতুন মুখ হিসেবে সালমান আর মৌসুমীকে ব্রেক দেন। যেদিন তাঁদের শুটিং শুরু হয়, সেদিনই আমার আর নাঈমের ‘চোখে চোখে’ ছবিরও শুটিং হচ্ছিল এফডিসিতে। সোহান ভাই বললেন, ‘তোমরা তো কাজ করলে না, নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছি।’ আমরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানালাম। বললাম, দেখা করে আসব। শুটিংয়ের ফাঁকে ওই ছবির সেটে গেলাম। সেদিনই প্রথম সালমান শাহ্ আর মৌসুমীকে দেখি। ওদের সঙ্গে কথা হয়। শিক্ষিত পরিবারের দুটি ছেলেমেয়ে চলচ্চিত্রে এসেছে দেখে ভালো লাগল। এর মধ্যে আমার আর নাঈমের বিয়ে হয়। তারপর আমি ‘আঞ্জুমান’, ‘মায়ের অধিকার’ ও ‘আশা ভালোবাসা’ তিনটি ছবিতে সালমানের নায়িকা হই।
জানা-অজানায় সালমান
১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে ‘কথার কথা’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ গানটি প্রচার হয়। এ গানের ভিডিওতে মডেল হয়ে প্রথমবার সবার নজর কাড়েন সালমান শাহ্।
১৯৯৩ সালে সালমান শাহ্ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তি পায়। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়।
মাত্র চার বছরে ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সালমান। এর মধ্যে ১০টি ছবি অসমাপ্ত।
অভিনয় ছাড়াও ভালো গান গাইতেন সালমান। বন্ধুমহলে তাঁর গানের কদর ছিল।
বাংলা ছবির ক্ষণজন্মা নক্ষত্র সালমান শাহ্র ৫০তম জন্মদিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে নানার বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে তাঁর জন্ম। মৃত্যু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। মাত্র ২৫ বছরের জীবন। অথচ এখনো কী বিস্তৃত প্রভাব তাঁর!
ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব হয়েছিল: আগুন
চলচ্চিত্রে মাত্র চার বছরে এত কিছু দিয়ে গেছে যে, সালমান শুধু জনপ্রিয় নয়, হয়েছে চির অমর। এই প্রজন্মের কারো সঙ্গে যখন কথা হয়, খেয়াল করি, তাঁরাও ওকে নিজেদের প্রিয় নায়ক বলে। সেদিন একটা মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হলো। ওর জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো সালমান শাহ্। ওর জন্ম ১৯৯৮ সালে। ও বলে যে, আমার জীবনের প্রথম ক্রাশ, সে মারা গেল আমার জন্মের দুই বছর আগে। আমি আরও অবাক হলাম, এই মেয়েটার বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছিল। একটা বিয়ের প্রস্তাব এসেছে, ছেলে ডিভোর্সড। সে দেখতে নাকি অনেকটা সালমান শাহ্র মতো। সে জন্যই ওই ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছে মেয়েটা!
যখনই সালমানের ছবির জন্য গান গাইতাম, সে স্টুডিওতে বসে থাকত। গানের সঙ্গে নিজের একাত্মতার জন্যই সে এটা করত। ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব সালমানের। যত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে, সবকটিই সুপারহিট। মানুষের ক্যারিয়ারে তো একটু উত্থান-পতন হয়ই। সালমানের ক্যারিয়ারে পতন বলে কিছুই ছিল না। সাফল্যের চূড়ায় থাকতে থাকতেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে সে।
সালমানের প্রথম ছবিতে আমার অভিনয়ের কথা ছিল: শাবনাজ
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে প্রথম আমার আর নাঈমের অভিনয়ের কথা ছিল। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ভাই এই ছবির জন্য আমাদের অগ্রিম কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আমাদের ‘চাঁদনী’ সুপারহিট হয়। তখন কপিরাইট নিয়ে খুব তোলপাড় হচ্ছিল, তাই ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে অভিনয় করা হয়নি। সোহান ভাই নতুন মুখ হিসেবে সালমান আর মৌসুমীকে ব্রেক দেন। যেদিন তাঁদের শুটিং শুরু হয়, সেদিনই আমার আর নাঈমের ‘চোখে চোখে’ ছবিরও শুটিং হচ্ছিল এফডিসিতে। সোহান ভাই বললেন, ‘তোমরা তো কাজ করলে না, নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছি।’ আমরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানালাম। বললাম, দেখা করে আসব। শুটিংয়ের ফাঁকে ওই ছবির সেটে গেলাম। সেদিনই প্রথম সালমান শাহ্ আর মৌসুমীকে দেখি। ওদের সঙ্গে কথা হয়। শিক্ষিত পরিবারের দুটি ছেলেমেয়ে চলচ্চিত্রে এসেছে দেখে ভালো লাগল। এর মধ্যে আমার আর নাঈমের বিয়ে হয়। তারপর আমি ‘আঞ্জুমান’, ‘মায়ের অধিকার’ ও ‘আশা ভালোবাসা’ তিনটি ছবিতে সালমানের নায়িকা হই।
জানা-অজানায় সালমান
১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে ‘কথার কথা’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ গানটি প্রচার হয়। এ গানের ভিডিওতে মডেল হয়ে প্রথমবার সবার নজর কাড়েন সালমান শাহ্।
১৯৯৩ সালে সালমান শাহ্ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তি পায়। একই ছবিতে নায়িকা মৌসুমী ও গায়ক আগুনের অভিষেক হয়।
মাত্র চার বছরে ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সালমান। এর মধ্যে ১০টি ছবি অসমাপ্ত।
অভিনয় ছাড়াও ভালো গান গাইতেন সালমান। বন্ধুমহলে তাঁর গানের কদর ছিল।
ফিলিস্তিনি এক অধিকারকর্মীর সঙ্গে ইসরায়েলের এক সাংবাদিকের বন্ধুত্বের গল্প ডকুমেন্টারির অন্যতম উপজীব্য। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছর ধরে সংগ্রহ করা হয়েছে এই ডকুমেন্টারির তথ্য। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারি, সেনাবাহিনীর নির্যাতন, দখলদারদের অত্যাচার সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ডকুমেন্টারিটিতে।
৬ ঘণ্টা আগেদ্য ব্রুটালিস্ট সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অ্যাড্রিয়েন ব্রুডি। এমিলিয়া প্যারেজ–এর জন্য জো সালডানা এবং অ্যা রিয়েল পেইন–এর জন্য কিয়েরা কালকিন পেয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার।
৭ ঘণ্টা আগেছোট পর্দার অনেক অভিনয়শিল্পী ওটিটিতে মনোযোগী হলেও ব্যতিক্রম জাহিদ হাসান। মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরীরা ওটিটি দাপিয়ে বেড়ালেও ওয়েবে জাহিদের কাজ হাতে গোনা। সর্বশেষ দুই বছর আগে গৌতম কৌরির ওয়েব সিরিজ ‘কে’তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিরতি কাটিয়ে আবার ওটিটিতে ফিরছেন জাহিদ হাসান। ‘আমলনামা’ নামের ওয়েব ফিল্মে দেখা য
১০ ঘণ্টা আগেআন্দোলনে গত জুলাইয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল, সে সময় ‘চলো ভুলে যাই’ শিরোনামের গান বাঁধেন পারশা মাহজাবীন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে গানটি। আলোচনায় চলে আসেন পারশা। সেই পারশা প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে গাইলেন।
১০ ঘণ্টা আগে