নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন,‘দেশের চলচ্চিত্র প্রতিকূলতার মধ্যেও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যাত্রা শুরুর পর বহু কালজয়ী ছবি যেমন জন্ম দিয়েছে, বহু কালজয়ী নায়ক-নায়িকারও জন্ম দিয়েছে এবং আমাদের অনেক ছবি স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অবদান রেখেছে। বহু ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের ছবি এখন শুধু আমাদের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, ইউরোপ-আমেরিকাসহ অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সংস্থা এবং চলচ্চিত্র সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ডের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
একসময় অনুদানের অনেক সিনেমা হলে মুক্তি পেত না, অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেওয়া হলেও বানায়নি বা বানালেও সেটা কেউ জানে না এ ধরনের সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের কথা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টির গভীরে গিয়ে অনুধাবনের পর আমি যেসব ছবি বানানো হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি, তিনবার নোটিশের মধ্যে সাড়া না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে অনুদানের সিনেমা প্রথমে কমপক্ষে ১০টি ও পরবর্তীতে কমপক্ষে ২০টি হলে মুক্তি দেওয়া নীতিমালায় যুক্ত করেছি। সিনেমা শিল্প বাঁচাতে বাণিজ্যিক ছবির প্রতি আমরা জোর দেই। আর্ট ফিল্মেও প্রতিবার আমরা অনুদান দিয়েছি, ডকুমেন্টারিতেও দেওয়া হচ্ছে যা নীতিমালাতেও আছে। এদিকে আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করে আগের ১০ কোটিকে এখন ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। একটি ছবির জন্য ৩০ লাখ, ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হতো এখন আমরা ৭৫ লাখে উন্নীত করেছি।’
সিনেমা হল ৬৫টি থেকে এখন ২১০টি হয়েছে, এক বছরের মধ্যে আরও একশটা বাড়বে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ, পুণ: নির্মাণ ও সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেখান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাংকে দরখাস্ত পড়েছে। চলচ্চিত্রের শিল্পের সুদিন ফিরে এসেছে। এ জন্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়া বিশ্ব পরিস্থিতি ও করোনা প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ আছে। সব ধরনের সিনেমার মধ্যে মূলধারার হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি। সেটা সবাইকে স্বীকার করতে হবে।
চলচ্চিত্র নেতাদেরকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের হাত ধরে আমাদের চলচ্চিত্র আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। এখন বিশ্ব অঙ্গনে আমাদের ছবি কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে। সেই জায়গা আরও বিস্তৃত হবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু, যেই চলচ্চিত্র শিল্প আজকে আমাদের দেশ গঠনে, সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সেই চলচ্চিত্র শিল্প আরও এগিয়ে যাক, এটিই কাম্য।’
সেন্সর বোর্ড নিয়ে এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকেই সেন্সর বোর্ড ছিল, সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কোনো কিছু না করে সেটি অবশ্যই আমরা নজরে রাখি। কোনো সিনেমা যদি আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এবং কেউ যদি কোনো সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছে বলে দাবি করার পর দেখা যায় যে সেখানে পুরো সত্য ঘটনাটা আসে নাই তখনতো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই এবং এমন যা পাওয়া গেছে, সেটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান এবং সিনেমাশিল্পে নানামুখী উন্নয়ন পদক্ষেপ নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান দেশের চলচ্চিত্র সমিতিগুলোর নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের পথে নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এবং তারপর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা এত কমে গিয়েছিল যে, আমি এবং আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। স্রষ্টার কৃপায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তথ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সিনেমা হলের সংখ্যাও আবার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ আবার হলমুখী হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এই উত্তরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সে জন্য তথ্যমন্ত্রীর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য।’
পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘যারা বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেওয়া বন্ধের কথা বলেন, তারা কি চান না দেশের সিনেমা শিল্প বেঁচে থাকুক, মানুষ সিনেমা হলে যাক! তারা কি ভাবেন আমি জানি না, কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেওয়ায় যে চলচ্চিত্রে আবার প্রাণ এসেছে, তার প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। করোনার মধ্যে সিনেমার খরায় অনুদানই ছিল বৃষ্টি।’
প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের কোন ক্যাটাগরিতে কখন কি পরিমাণ অনুদান দেওয়া প্রয়োজন সেটি দেশের ও সিনেমা শিল্পের উন্নতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। বাণিজ্যিক সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রের প্রাণ, কোটি কোটি মানুষের বিনোদন, আবেগ আর ভালোবাসার জায়গা। এতে অনুদান শুধু দেওয়া নয়, অনুদানের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করলে সিনোমাজগতের উন্নতি হবে।’
চলচ্চিত্র জগতের নেতৃবৃন্দ এরপর তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশে থাকতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যসচিব।
চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, মহাসচিব আসাদুজ্জামান মজনু, নির্বাহী সদস্য, সৈয়দ শহীদুল্লাহ দুলাল, এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি ছটকু আহমেদ, উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা, সাংস্কৃতিক সচিব শাহীন কবির টুটুল, শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি রিয়াজ, চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার, সংগীতা, অপু বিশ্বাস, কেয়া, অভিনেত্রী জেসমিন মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন,‘দেশের চলচ্চিত্র প্রতিকূলতার মধ্যেও ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যাত্রা শুরুর পর বহু কালজয়ী ছবি যেমন জন্ম দিয়েছে, বহু কালজয়ী নায়ক-নায়িকারও জন্ম দিয়েছে এবং আমাদের অনেক ছবি স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অবদান রেখেছে। বহু ছবি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছে, প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের ছবি এখন শুধু আমাদের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, ইউরোপ-আমেরিকাসহ অনেক দেশে প্রদর্শিত হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সংস্থা এবং চলচ্চিত্র সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ডের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
একসময় অনুদানের অনেক সিনেমা হলে মুক্তি পেত না, অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেওয়া হলেও বানায়নি বা বানালেও সেটা কেউ জানে না এ ধরনের সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের কথা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টির গভীরে গিয়ে অনুধাবনের পর আমি যেসব ছবি বানানো হয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি, তিনবার নোটিশের মধ্যে সাড়া না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে অনুদানের সিনেমা প্রথমে কমপক্ষে ১০টি ও পরবর্তীতে কমপক্ষে ২০টি হলে মুক্তি দেওয়া নীতিমালায় যুক্ত করেছি। সিনেমা শিল্প বাঁচাতে বাণিজ্যিক ছবির প্রতি আমরা জোর দেই। আর্ট ফিল্মেও প্রতিবার আমরা অনুদান দিয়েছি, ডকুমেন্টারিতেও দেওয়া হচ্ছে যা নীতিমালাতেও আছে। এদিকে আমরা অনুদানের পরিমাণ দ্বিগুণ করে আগের ১০ কোটিকে এখন ২০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। একটি ছবির জন্য ৩০ লাখ, ৪০ লাখ টাকা দেওয়া হতো এখন আমরা ৭৫ লাখে উন্নীত করেছি।’
সিনেমা হল ৬৫টি থেকে এখন ২১০টি হয়েছে, এক বছরের মধ্যে আরও একশটা বাড়বে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ, পুণ: নির্মাণ ও সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেখান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাংকে দরখাস্ত পড়েছে। চলচ্চিত্রের শিল্পের সুদিন ফিরে এসেছে। এ জন্য চলচ্চিত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়া বিশ্ব পরিস্থিতি ও করোনা প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ আছে। সব ধরনের সিনেমার মধ্যে মূলধারার হচ্ছে বাণিজ্যিক ছবি। সেটা সবাইকে স্বীকার করতে হবে।
চলচ্চিত্র নেতাদেরকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের হাত ধরে আমাদের চলচ্চিত্র আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে। এখন বিশ্ব অঙ্গনে আমাদের ছবি কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে। সেই জায়গা আরও বিস্তৃত হবে, সেটিই আমার প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু, যেই চলচ্চিত্র শিল্প আজকে আমাদের দেশ গঠনে, সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সেই চলচ্চিত্র শিল্প আরও এগিয়ে যাক, এটিই কাম্য।’
সেন্সর বোর্ড নিয়ে এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সিনেমা শিল্পের জন্মের পর থেকেই সেন্সর বোর্ড ছিল, সেন্সর বোর্ড থাকতে হবে। বোর্ড যাতে অহেতুক কোনো কিছু না করে সেটি অবশ্যই আমরা নজরে রাখি। কোনো সিনেমা যদি আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এবং কেউ যদি কোনো সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা বানিয়েছে বলে দাবি করার পর দেখা যায় যে সেখানে পুরো সত্য ঘটনাটা আসে নাই তখনতো সেন্সর বোর্ড প্রশ্ন রাখবেই এবং এমন যা পাওয়া গেছে, সেটি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান এবং সিনেমাশিল্পে নানামুখী উন্নয়ন পদক্ষেপ নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান দেশের চলচ্চিত্র সমিতিগুলোর নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের পথে নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এবং তারপর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা এত কমে গিয়েছিল যে, আমি এবং আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। স্রষ্টার কৃপায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তথ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় সিনেমা হলের সংখ্যাও আবার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষ আবার হলমুখী হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দেওয়ার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এই উত্তরণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। সে জন্য তথ্যমন্ত্রীর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য।’
পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘যারা বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেওয়া বন্ধের কথা বলেন, তারা কি চান না দেশের সিনেমা শিল্প বেঁচে থাকুক, মানুষ সিনেমা হলে যাক! তারা কি ভাবেন আমি জানি না, কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান দেওয়ায় যে চলচ্চিত্রে আবার প্রাণ এসেছে, তার প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। করোনার মধ্যে সিনেমার খরায় অনুদানই ছিল বৃষ্টি।’
প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘চলচ্চিত্রের কোন ক্যাটাগরিতে কখন কি পরিমাণ অনুদান দেওয়া প্রয়োজন সেটি দেশের ও সিনেমা শিল্পের উন্নতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। বাণিজ্যিক সিনেমা দেশের চলচ্চিত্রের প্রাণ, কোটি কোটি মানুষের বিনোদন, আবেগ আর ভালোবাসার জায়গা। এতে অনুদান শুধু দেওয়া নয়, অনুদানের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করলে সিনোমাজগতের উন্নতি হবে।’
চলচ্চিত্র জগতের নেতৃবৃন্দ এরপর তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশে থাকতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যসচিব।
চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, মহাসচিব আসাদুজ্জামান মজনু, নির্বাহী সদস্য, সৈয়দ শহীদুল্লাহ দুলাল, এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি ছটকু আহমেদ, উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা, সাংস্কৃতিক সচিব শাহীন কবির টুটুল, শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি রিয়াজ, চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তার, সংগীতা, অপু বিশ্বাস, কেয়া, অভিনেত্রী জেসমিন মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৭ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৭ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৮ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে