বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিতর্কটা শুরু হয়েছিল নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্চালিকার করা একটি প্রশ্নের সূত্রে। ওই সাক্ষাৎকারে নুহাশকে প্রশ্ন করা হয়, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’ প্রশ্নটি ভালো লাগেনি নুহাশের। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ স্ট্যাটাস পোস্ট করে বিরক্তি প্রকাশ করে নুহাশ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল তর্ক চলছে। বিতর্ক যখন বিভিন্ন মোড় নিচ্ছিল, নানা আকার পাচ্ছিল, তখনই আরেকবার সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হলেন নুহাশ। আরেকটি লম্বা স্ট্যাটাস পোস্ট করলেন বৃহস্পতিবার দুপুরে।
ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে নুহাশ হুমায়ূন লিখেছেন, ‘আমি বলতে দ্বিধা করব না, আমার বাবার অর্জনের পিছনেও আমার মার ভূমিকা অপরিসীম। আমার মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ বা নুহাশ হুমায়ূন কেউই সামনে এগিয়ে যেতে পারত না, গুলতেকিন খানকে ছাড়া। তাই আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ আমার জীবনে আমার বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করার সাথে সাথে মার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করুন।’
বৃহস্পতিবার দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তাঁর জীবনে বাবা হুমায়ূন আহমেদ, মা গুলতেকিন খানের ভূমিকা, নিজের কাজ এবং সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন করার ধরন নিয়ে নানা কথা বলেছেন নুহাশ হুমায়ূন।
বিতর্কের শুরু যেভাবে
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে নুহাশ হুমায়ূনের একটি সিরিজ প্রকাশ পাচ্ছে। ‘পেটকাটা ষ’ নামের ওই ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা বলতে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনভিত্তিক শো ‘মেরিল ক্যাফে লাইভ’ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার রাতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন নুহাশ। যেটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয় মঙ্গলবার রাত ৮টায়। আয়োজনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন সারা ফ্যায়রুজ যাইমা। তিনি আলোচনা শুরু করেন নুহাশের নির্মিত নতুন সিরিজ ‘পেট কাটা ষ’ নিয়ে। ২৮ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের আয়োজনে ১১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে সঞ্চালক নুহাশের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’
এ প্রশ্নে বিরক্ত হন নুহাশ। উত্তরে বলেন, ‘জানি না, আমি শেষ যে পাঁচটি ইন্টারভিউ করলাম, আমি খুব ইউজ টু হয়ে গেছি, এ জিনিসগুলো আসে না, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে। এটা আমাদের কালচারাল একটা জিনিস, আমরা আমাদের আর্টিস্টদের কাজের থেকে তাঁদের পার্সোনাল লাইফে ইন্টারেস্টেটা বেশি। এ প্রশ্নটা মিডিয়া থেকে বেশি আসে। মিডিয়া এ রিপোর্টগুলো করতে পছন্দ করে বেশি, আর অ্যাকচুয়াল কাজের সাকসেস নিয়ে কথা বলে না। আমি ইন্টারনাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’
এর পর রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবারও বিষয়টি তোলেন নুহাশ। লেখেন, ‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি প্রথম আলোর লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ষ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না? আমি সত্যিই জানি না আপনি (সঞ্চালক) কীভাবে একজন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত, পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তোমাদের কি মনে হয় সানডান্স, বুসান, এসএক্সএসডব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম বাপের নাম দেখে প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ করে?’
এরপরই মূলত বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নুহাশ হুমায়ূনের অবস্থানের পক্ষে-বিপক্ষে কথাবার্তা শুরু করেন নেটিজেনরা।
দ্বিতীয় ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন নুহাশ হুমায়ূন
(নুহাশ হুমায়ূনের বৃহস্পতিবারের ফেসবুক পোস্টের উল্লেখযোগ্য অংশ দেওয়া হলো)
‘আমার সাক্ষাৎকারের অভিজ্ঞতা জানানোর পর, অনেকেই আমাকে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। দেখলাম, আমিই প্রথম এমন মানুষ না যে মিডিয়ার সামনে অপ্রস্তুত হয়েছি আর অপমানিত বোধ করেছি। এর মধ্যে ভালো লাগছে যে আমি আমার অনুভূতির কথা সরাসরি লিখেছি, অনেকে হয়তো তাঁদেরটা বলতে পারেননি। আবার খেয়াল করলাম, অনেক পেইজ, সঞ্চালকের ছবি দিয়ে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করছেন। আমি কোনভাবেই এ ধরনের সাইবার বুলিং সমর্থন করি না। আমি মনে করি, কিছু প্রশ্ন আপত্তিকর ছিল, কিন্তু হয়তো এখন মিডিয়াতে এইটাই একটা প্রবণতা হয়ে গিয়েছে। এর সমাধান করতে চাইলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন তারা শ্রদ্ধাশীল থাকেন। কিন্তু কোনভাবেই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের উত্তর সেরকম ব্যবহার হওয়া উচিত না।
আমি চাই, ইন্টারভিউ এর আগে কি নিয়ে আলোচনা হবে, সেটার স্বচ্ছতা থাকুক। প্রথম আলো ক্যাফে লাইভের ইন্টারভিউয়ের আগে আমাকে বলা হয়েছে এটা মূলত ‘ষ’ নিয়ে আলোচনা। হয়তো কিছু কথা হবে বাবাকে নিয়ে। আমি সেটার জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। অতীতে, আমার পরিবার নিয়ে আন্তরিকভাবেই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছি। সেখানে আমার জীবনে আমার মায়ের ভূমিকার কথা বলেছি, আমার বাবাকে নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এই ধরনের ইন্টারভিউয়ের জন্য আমার মানসিক প্রস্তুতি লাগে। আমি হঠাৎ করে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলে অপ্রস্তুত হয়ে যাই।
এটা মনে করিয়ে দিতে পারি, আমি ১৯ বছর বয়সে আমার বাবাকে হারিয়েছি। আমি আমার বাবাকে ঠিকভাবে বিদায় জানাতে পারিনি, কারণ চারিদিকে ছিল ক্যামেরা আর সাংবাদিক। একটা মুহূর্ত একা তাঁর পাশে বসতে পারিনি তাঁকে শুইয়ে দেয়ার আগে! তাই হঠাৎ যদি লাইভ অনুষ্ঠানে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, বাবা আমার জীবনে না থাকলে সেটা কেমন হতো, আমি অপ্রস্তুত হয়ে যাই। আমার জন্য এই বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। এছাড়াও আমার মনে হয়, আমার জীবনে বাবার ভূমিকা নিয়ে কথা বলার জন্য বাবা জীবনে না থাকলে কি হতো/কেমন হতো এই প্রশ্নগুলি খুব একটা শ্রদ্ধাশীল নয়।
আমি আমার পরিবার নিয়ে প্রচণ্ডভাবে গর্বিত। আমি আমার বাবাকে ভালবাসি আর কখনোই আমার জীবনে তাঁর প্রভাবকে অস্বীকার করি না। ‘আলোর মশাল’ লেখাটায় আমি লিখেছিলাম, কীভাবে আমার বাবা আমার জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দিয়েছেন। আর কেমন করে ছোটবেলার আমি তাঁর মতন হবার চেষ্টা করতাম। কিভাবে আর কেনই বা আমি আমার বাবা বা মার প্রভাবকে অস্বীকার করব!
আমি যা কিছু তৈরি করি, সবকিছুতে আমি আমার মার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার তো বাবাকে কৃতজ্ঞতা জানানো লাগে না, আমার নামের সাথেইতো আছেন সব সময়। কিন্তু আমার মার নাম আছে আমার সমস্ত নির্মাণে, সব কিছুতেই। মাকে ছাড়া আমি কখনোই আজকের জায়গায় আসতে পারতাম না। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সিনেমাগুলো আমি দেখেছি আমার বাবার সাথে। বাবা আমার চলচিত্রের প্রতি ভালবাসা তৈরি করে দিয়েছেন। আমার মা, সেই ভালবাসার ছবি তৈরির পাশে আছেন।
আমি বলতে দ্বিধা করবো না, আমার বাবার অর্জনের পিছনেও আমার মার ভূমিকা অপরিসীম। আমার মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ বা নুহাশ হুমায়ূন কেউই সামনে এগিয়ে যেতে পারতো না, গুলতেকিন খানকে ছাড়া। তাই আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ আমার জীবনে আমার বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করার সাথে সাথে মার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করুন।’
বিতর্কটা শুরু হয়েছিল নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্চালিকার করা একটি প্রশ্নের সূত্রে। ওই সাক্ষাৎকারে নুহাশকে প্রশ্ন করা হয়, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’ প্রশ্নটি ভালো লাগেনি নুহাশের। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ স্ট্যাটাস পোস্ট করে বিরক্তি প্রকাশ করে নুহাশ। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল তর্ক চলছে। বিতর্ক যখন বিভিন্ন মোড় নিচ্ছিল, নানা আকার পাচ্ছিল, তখনই আরেকবার সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হলেন নুহাশ। আরেকটি লম্বা স্ট্যাটাস পোস্ট করলেন বৃহস্পতিবার দুপুরে।
ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে নুহাশ হুমায়ূন লিখেছেন, ‘আমি বলতে দ্বিধা করব না, আমার বাবার অর্জনের পিছনেও আমার মার ভূমিকা অপরিসীম। আমার মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ বা নুহাশ হুমায়ূন কেউই সামনে এগিয়ে যেতে পারত না, গুলতেকিন খানকে ছাড়া। তাই আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ আমার জীবনে আমার বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করার সাথে সাথে মার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করুন।’
বৃহস্পতিবার দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তাঁর জীবনে বাবা হুমায়ূন আহমেদ, মা গুলতেকিন খানের ভূমিকা, নিজের কাজ এবং সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন করার ধরন নিয়ে নানা কথা বলেছেন নুহাশ হুমায়ূন।
বিতর্কের শুরু যেভাবে
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে নুহাশ হুমায়ূনের একটি সিরিজ প্রকাশ পাচ্ছে। ‘পেটকাটা ষ’ নামের ওই ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা বলতে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইনভিত্তিক শো ‘মেরিল ক্যাফে লাইভ’ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার রাতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন নুহাশ। যেটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয় মঙ্গলবার রাত ৮টায়। আয়োজনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন সারা ফ্যায়রুজ যাইমা। তিনি আলোচনা শুরু করেন নুহাশের নির্মিত নতুন সিরিজ ‘পেট কাটা ষ’ নিয়ে। ২৮ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের আয়োজনে ১১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে সঞ্চালক নুহাশের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূনপুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’
এ প্রশ্নে বিরক্ত হন নুহাশ। উত্তরে বলেন, ‘জানি না, আমি শেষ যে পাঁচটি ইন্টারভিউ করলাম, আমি খুব ইউজ টু হয়ে গেছি, এ জিনিসগুলো আসে না, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে। এটা আমাদের কালচারাল একটা জিনিস, আমরা আমাদের আর্টিস্টদের কাজের থেকে তাঁদের পার্সোনাল লাইফে ইন্টারেস্টেটা বেশি। এ প্রশ্নটা মিডিয়া থেকে বেশি আসে। মিডিয়া এ রিপোর্টগুলো করতে পছন্দ করে বেশি, আর অ্যাকচুয়াল কাজের সাকসেস নিয়ে কথা বলে না। আমি ইন্টারনাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’
এর পর রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবারও বিষয়টি তোলেন নুহাশ। লেখেন, ‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি প্রথম আলোর লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ষ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না? আমি সত্যিই জানি না আপনি (সঞ্চালক) কীভাবে একজন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত, পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তোমাদের কি মনে হয় সানডান্স, বুসান, এসএক্সএসডব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম বাপের নাম দেখে প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ করে?’
এরপরই মূলত বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নুহাশ হুমায়ূনের অবস্থানের পক্ষে-বিপক্ষে কথাবার্তা শুরু করেন নেটিজেনরা।
দ্বিতীয় ফেসবুক পোস্টে যা লিখেছেন নুহাশ হুমায়ূন
(নুহাশ হুমায়ূনের বৃহস্পতিবারের ফেসবুক পোস্টের উল্লেখযোগ্য অংশ দেওয়া হলো)
‘আমার সাক্ষাৎকারের অভিজ্ঞতা জানানোর পর, অনেকেই আমাকে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। দেখলাম, আমিই প্রথম এমন মানুষ না যে মিডিয়ার সামনে অপ্রস্তুত হয়েছি আর অপমানিত বোধ করেছি। এর মধ্যে ভালো লাগছে যে আমি আমার অনুভূতির কথা সরাসরি লিখেছি, অনেকে হয়তো তাঁদেরটা বলতে পারেননি। আবার খেয়াল করলাম, অনেক পেইজ, সঞ্চালকের ছবি দিয়ে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করছেন। আমি কোনভাবেই এ ধরনের সাইবার বুলিং সমর্থন করি না। আমি মনে করি, কিছু প্রশ্ন আপত্তিকর ছিল, কিন্তু হয়তো এখন মিডিয়াতে এইটাই একটা প্রবণতা হয়ে গিয়েছে। এর সমাধান করতে চাইলে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন তারা শ্রদ্ধাশীল থাকেন। কিন্তু কোনভাবেই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহারের উত্তর সেরকম ব্যবহার হওয়া উচিত না।
আমি চাই, ইন্টারভিউ এর আগে কি নিয়ে আলোচনা হবে, সেটার স্বচ্ছতা থাকুক। প্রথম আলো ক্যাফে লাইভের ইন্টারভিউয়ের আগে আমাকে বলা হয়েছে এটা মূলত ‘ষ’ নিয়ে আলোচনা। হয়তো কিছু কথা হবে বাবাকে নিয়ে। আমি সেটার জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। অতীতে, আমার পরিবার নিয়ে আন্তরিকভাবেই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছি। সেখানে আমার জীবনে আমার মায়ের ভূমিকার কথা বলেছি, আমার বাবাকে নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এই ধরনের ইন্টারভিউয়ের জন্য আমার মানসিক প্রস্তুতি লাগে। আমি হঠাৎ করে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলে অপ্রস্তুত হয়ে যাই।
এটা মনে করিয়ে দিতে পারি, আমি ১৯ বছর বয়সে আমার বাবাকে হারিয়েছি। আমি আমার বাবাকে ঠিকভাবে বিদায় জানাতে পারিনি, কারণ চারিদিকে ছিল ক্যামেরা আর সাংবাদিক। একটা মুহূর্ত একা তাঁর পাশে বসতে পারিনি তাঁকে শুইয়ে দেয়ার আগে! তাই হঠাৎ যদি লাইভ অনুষ্ঠানে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, বাবা আমার জীবনে না থাকলে সেটা কেমন হতো, আমি অপ্রস্তুত হয়ে যাই। আমার জন্য এই বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর। এছাড়াও আমার মনে হয়, আমার জীবনে বাবার ভূমিকা নিয়ে কথা বলার জন্য বাবা জীবনে না থাকলে কি হতো/কেমন হতো এই প্রশ্নগুলি খুব একটা শ্রদ্ধাশীল নয়।
আমি আমার পরিবার নিয়ে প্রচণ্ডভাবে গর্বিত। আমি আমার বাবাকে ভালবাসি আর কখনোই আমার জীবনে তাঁর প্রভাবকে অস্বীকার করি না। ‘আলোর মশাল’ লেখাটায় আমি লিখেছিলাম, কীভাবে আমার বাবা আমার জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে দিয়েছেন। আর কেমন করে ছোটবেলার আমি তাঁর মতন হবার চেষ্টা করতাম। কিভাবে আর কেনই বা আমি আমার বাবা বা মার প্রভাবকে অস্বীকার করব!
আমি যা কিছু তৈরি করি, সবকিছুতে আমি আমার মার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার তো বাবাকে কৃতজ্ঞতা জানানো লাগে না, আমার নামের সাথেইতো আছেন সব সময়। কিন্তু আমার মার নাম আছে আমার সমস্ত নির্মাণে, সব কিছুতেই। মাকে ছাড়া আমি কখনোই আজকের জায়গায় আসতে পারতাম না। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সিনেমাগুলো আমি দেখেছি আমার বাবার সাথে। বাবা আমার চলচিত্রের প্রতি ভালবাসা তৈরি করে দিয়েছেন। আমার মা, সেই ভালবাসার ছবি তৈরির পাশে আছেন।
আমি বলতে দ্বিধা করবো না, আমার বাবার অর্জনের পিছনেও আমার মার ভূমিকা অপরিসীম। আমার মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ বা নুহাশ হুমায়ূন কেউই সামনে এগিয়ে যেতে পারতো না, গুলতেকিন খানকে ছাড়া। তাই আমার অনুরোধ থাকবে, কেউ আমার জীবনে আমার বাবার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করার সাথে সাথে মার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করুন।’
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
২ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
২ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
৭ ঘণ্টা আগে