
‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট।
বিবিসির সমালোচক জরিপে সেরা হলিউড সিনেমার মধ্যে চার নম্বরে স্থান পেয়েছে এটি। ‘২০০১: অ্যা স্পেস অডিসি’ এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বিস্ময়কর চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তির ৫০ বছর পরও সিনেমাটি সম্পর্কে জানার-বোঝার শেষ হয়নি।
‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—এতে সংলাপের পরিবর্তে দর্শক মনে শক্তিশালী প্রভাব বিস্তারকারী ভিজ্যুয়াল এবং শব্দের প্রাধান্য। সেই সময় সিনেমার গল্প বলার যে কৌশল, সেটি বলতে গেলে আমূল বদলে দেয় এই ছবি।
এই ছবির প্রধান চরিত্র ড. ডেভিড বোওম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেন কিয়ের ডুলে। এটিকে অভিনয় জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর একটি বলে মনে করেন তিনি।
এই সিনেমার অনেক দৃশ্যের ব্যাখ্যা নিয়ে এখনো আলোচনার শেষ হয়নি। যেমন—প্রাগৈতিহাসিক আফ্রিকায় একটি চকচকে আয়তক্ষেত্রাকার মনোলিথ কেন? মহাজাগতিক ভ্রূণে পরিণত হওয়ার আগে কেন একজন মহাকাশচারী সাইকেডেলিক লাইটশোর মাধ্যমে অন্য মহাবিশ্বে ছুটে যান? এ ছাড়া সিনেমার শুরুর অংশটি লাখ লাখ বছর অতীতের ঘটনা, আর কেন্দ্রীয় দুটি অংশের ঘটনাকালের ব্যবধান ১৮ মাস। ২০০১ সালে এর কতখানি সত্যি হয়েছিল?
এই প্রশ্নগুলোর কোনো সরাসরি উত্তর কখনো দেননি সিনেমার পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক বা এই উপন্যাসের লেখক আর্থার সি ক্লার্ক।
কুবরিক ১৯৬৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সিনেমাটির দার্শনিক এবং রূপক অর্থ সম্পর্কে আপনি নিজের মতো অনুমান করতে পারেন। আমি ২০০১ সালে কী ঘটবে তার কোনো রূপরেখা দিতে চাইনি।’
কুবরিকের সহ-লেখক আর্থার সি ক্লার্ক যৌথ উপন্যাসে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ছবিটি মুক্তির পরপরই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু পরিচালক এমন কিছু দুর্বোধ্য সম্পাদনা করেছেন যা বুঝতে পারাটা এই উপন্যাস সহজ করে দিয়েছে।
কুবরিক ছবিটিকে একটি চিত্রকলা এবং সংগীতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা ‘চেতনার অভ্যন্তরীণ স্তরে’ অনুভব করার মতো কিছু। এটা সত্যকে যে ২০০১ সাল কিন্তু বিস্ময়কর কিছু ছিল না। একটা ব্যাপার স্পষ্ট, আর তা হলো, কুবরিকের আগের কিছু যুদ্ধ-বিরোধী এবং কর্তৃত্ববিরোধী চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে এর মিল রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৬৪ সালের ‘ড. স্ট্রেঞ্জলাভ’ সিনেমাতেও এর অনেক জবাব পাওয়া যায়।
ছবির কাহিনির শুরু প্রাগৈতিহাসিক আফ্রিকার এক মরুভূমিতে। সেখানে একদল আদি-মানব (প্রাইমেট) একটি বিরাট পাথরের স্তম্ভ (মনোলিথ) আবিষ্কার করে। এই রহস্যজনক কালো পাথরের স্তম্ভ থেকে অদ্ভুত সংকেত বিচ্ছুরিত হচ্ছিল। ওই পাথর স্তম্ভ থেকেই একটি সামান্য হাড় বা অস্থিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হত্যার অনুপ্রেরণা পায়।
কয়েক লাখ বছর পরে সেই মনোলিথটি আবার দেখা যায়, যখন একটি নভোযানে চড়ে বিজ্ঞানীরা একটি মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছিলেন। তাঁরা তখন এই পাথর স্তম্ভ এবং এর অদ্ভুত ক্ষমতা সম্পর্কে আরও জানতে চান।
কুবরিক যেভাবে ‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমায় ষাটের দশকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করেছেন, সেটি ছিল একটা নতুন ব্যাপার। মহাকাশযানে এইচএএল ৯০০০ কম্পিউটার ছিল এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। নিঃসন্দেহে সেই সময়ের তুলনায় বহু অগ্রগামী প্রযুক্তি।
এইচএএল কম্পিউটার একই সঙ্গে ভালো এবং খারাপ, দুই ধরনের মানবিক আবেগ প্রকাশ করতে পারে। তার সঙ্গে সিনেমার প্রধান চরিত্র ডেভিড বোওম্যানের সম্পর্কটা বেশ জটিল। পরস্পরের বিরুদ্ধে রাগ-ক্ষোভ ছিল। এ সবকিছুই ছবিতে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। যদিও ভীষণ আবেগ থাকা সত্ত্বেও এইচএএলকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে হয় বোওম্যানকে।
ছবিটির শেষ দৃশ্য নিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। যা আজও রহস্যময় বলছেন সিনেমা বোদ্ধারা। শেষ দৃশ্যে বোওম্যানকে নভোচারী স্যুট পরা অবস্থায় একটি ঘরের ভেতর দিয়ে হেঁটে একটি বাড়ির দিকে যেতে দেখা যায়। এরপর একটি বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হতে দেখা যায়। এরপর একটি মানবভ্রূণ মহাশূন্যে ভেসে থাকতে দেখা যায়।
অনেকে মনে করেন, ছবির শেষ দৃশ্যটি একটু রহস্যময় রাখতে চেয়েছিলেন নির্মাতা স্ট্যানলি কুবরিক। হয়তো তিনি চাননি, কেউ পুরোপুরি বুঝতে পারুক ‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’র রহস্য।
এই মাস্টারপিসটি তৈরির জন্য পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক জুটি বেঁধেছিলেন সায়েন্স ফিকশন লেখক আর্থার সি ক্লার্কের সঙ্গে। দুজনে মিলে এই ছবির চিত্রনাট্য লিখতে সময় নিয়েছিলেন কয়েক বছর। বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক আর্থার সি ক্লার্কের মৃত্যুদিন ছিল ১৯ মার্চ।

‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট।
বিবিসির সমালোচক জরিপে সেরা হলিউড সিনেমার মধ্যে চার নম্বরে স্থান পেয়েছে এটি। ‘২০০১: অ্যা স্পেস অডিসি’ এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বিস্ময়কর চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তির ৫০ বছর পরও সিনেমাটি সম্পর্কে জানার-বোঝার শেষ হয়নি।
‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—এতে সংলাপের পরিবর্তে দর্শক মনে শক্তিশালী প্রভাব বিস্তারকারী ভিজ্যুয়াল এবং শব্দের প্রাধান্য। সেই সময় সিনেমার গল্প বলার যে কৌশল, সেটি বলতে গেলে আমূল বদলে দেয় এই ছবি।
এই ছবির প্রধান চরিত্র ড. ডেভিড বোওম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেন কিয়ের ডুলে। এটিকে অভিনয় জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর একটি বলে মনে করেন তিনি।
এই সিনেমার অনেক দৃশ্যের ব্যাখ্যা নিয়ে এখনো আলোচনার শেষ হয়নি। যেমন—প্রাগৈতিহাসিক আফ্রিকায় একটি চকচকে আয়তক্ষেত্রাকার মনোলিথ কেন? মহাজাগতিক ভ্রূণে পরিণত হওয়ার আগে কেন একজন মহাকাশচারী সাইকেডেলিক লাইটশোর মাধ্যমে অন্য মহাবিশ্বে ছুটে যান? এ ছাড়া সিনেমার শুরুর অংশটি লাখ লাখ বছর অতীতের ঘটনা, আর কেন্দ্রীয় দুটি অংশের ঘটনাকালের ব্যবধান ১৮ মাস। ২০০১ সালে এর কতখানি সত্যি হয়েছিল?
এই প্রশ্নগুলোর কোনো সরাসরি উত্তর কখনো দেননি সিনেমার পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক বা এই উপন্যাসের লেখক আর্থার সি ক্লার্ক।
কুবরিক ১৯৬৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সিনেমাটির দার্শনিক এবং রূপক অর্থ সম্পর্কে আপনি নিজের মতো অনুমান করতে পারেন। আমি ২০০১ সালে কী ঘটবে তার কোনো রূপরেখা দিতে চাইনি।’
কুবরিকের সহ-লেখক আর্থার সি ক্লার্ক যৌথ উপন্যাসে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। ছবিটি মুক্তির পরপরই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। কিন্তু পরিচালক এমন কিছু দুর্বোধ্য সম্পাদনা করেছেন যা বুঝতে পারাটা এই উপন্যাস সহজ করে দিয়েছে।
কুবরিক ছবিটিকে একটি চিত্রকলা এবং সংগীতের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা ‘চেতনার অভ্যন্তরীণ স্তরে’ অনুভব করার মতো কিছু। এটা সত্যকে যে ২০০১ সাল কিন্তু বিস্ময়কর কিছু ছিল না। একটা ব্যাপার স্পষ্ট, আর তা হলো, কুবরিকের আগের কিছু যুদ্ধ-বিরোধী এবং কর্তৃত্ববিরোধী চলচ্চিত্রগুলোর সঙ্গে এর মিল রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৬৪ সালের ‘ড. স্ট্রেঞ্জলাভ’ সিনেমাতেও এর অনেক জবাব পাওয়া যায়।
ছবির কাহিনির শুরু প্রাগৈতিহাসিক আফ্রিকার এক মরুভূমিতে। সেখানে একদল আদি-মানব (প্রাইমেট) একটি বিরাট পাথরের স্তম্ভ (মনোলিথ) আবিষ্কার করে। এই রহস্যজনক কালো পাথরের স্তম্ভ থেকে অদ্ভুত সংকেত বিচ্ছুরিত হচ্ছিল। ওই পাথর স্তম্ভ থেকেই একটি সামান্য হাড় বা অস্থিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হত্যার অনুপ্রেরণা পায়।
কয়েক লাখ বছর পরে সেই মনোলিথটি আবার দেখা যায়, যখন একটি নভোযানে চড়ে বিজ্ঞানীরা একটি মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছিলেন। তাঁরা তখন এই পাথর স্তম্ভ এবং এর অদ্ভুত ক্ষমতা সম্পর্কে আরও জানতে চান।
কুবরিক যেভাবে ‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমায় ষাটের দশকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করেছেন, সেটি ছিল একটা নতুন ব্যাপার। মহাকাশযানে এইচএএল ৯০০০ কম্পিউটার ছিল এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। নিঃসন্দেহে সেই সময়ের তুলনায় বহু অগ্রগামী প্রযুক্তি।
এইচএএল কম্পিউটার একই সঙ্গে ভালো এবং খারাপ, দুই ধরনের মানবিক আবেগ প্রকাশ করতে পারে। তার সঙ্গে সিনেমার প্রধান চরিত্র ডেভিড বোওম্যানের সম্পর্কটা বেশ জটিল। পরস্পরের বিরুদ্ধে রাগ-ক্ষোভ ছিল। এ সবকিছুই ছবিতে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। যদিও ভীষণ আবেগ থাকা সত্ত্বেও এইচএএলকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে হয় বোওম্যানকে।
ছবিটির শেষ দৃশ্য নিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। যা আজও রহস্যময় বলছেন সিনেমা বোদ্ধারা। শেষ দৃশ্যে বোওম্যানকে নভোচারী স্যুট পরা অবস্থায় একটি ঘরের ভেতর দিয়ে হেঁটে একটি বাড়ির দিকে যেতে দেখা যায়। এরপর একটি বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধ হতে দেখা যায়। এরপর একটি মানবভ্রূণ মহাশূন্যে ভেসে থাকতে দেখা যায়।
অনেকে মনে করেন, ছবির শেষ দৃশ্যটি একটু রহস্যময় রাখতে চেয়েছিলেন নির্মাতা স্ট্যানলি কুবরিক। হয়তো তিনি চাননি, কেউ পুরোপুরি বুঝতে পারুক ‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’র রহস্য।
এই মাস্টারপিসটি তৈরির জন্য পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক জুটি বেঁধেছিলেন সায়েন্স ফিকশন লেখক আর্থার সি ক্লার্কের সঙ্গে। দুজনে মিলে এই ছবির চিত্রনাট্য লিখতে সময় নিয়েছিলেন কয়েক বছর। বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক আর্থার সি ক্লার্কের মৃত্যুদিন ছিল ১৯ মার্চ।

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগে
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।
ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট।
২০ মার্চ ২০২৩
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট।
২০ মার্চ ২০২৩
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট।
২০ মার্চ ২০২৩
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

‘২০০১: অ্যা স্পেস ওডিসি’ সিনেমাটিকে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা একটি মাইলফলক হিসেবে দেখেন। সর্বকালের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৯৬৮ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় সায়েন্স ফিকশন ঘরানার এ চলচ্চিত্র। তবে সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা শেষ হয়নি। খোলাসা হয়নি এটির শেষ দৃশ্যের রহস্যের জট।
২০ মার্চ ২০২৩
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে