খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
‘এই শহর কলকাতায় আসার পর আমার কেন যেন ভয় ভয় করতে লাগল। এক বিশাল জনসমুদ্র! আমার মনে হতে লাগল আমি এই জনসমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছি। এ জনসমুদ্রে আমি একাকী নিঃসঙ্গ। এই জনসমুদ্রের সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কারও সম্পর্কে কোনও খবরই রাখে না। উদাসীন নির্লিপ্ত জনজোয়ার…’
(তৃতীয় ভুবন, মৃণাল সেন)
কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
বাবাকে নিয়ে মৃণাল সেন লিখছেন, ‘সে সময়ের বিপ্লবীরা যাঁদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং যাঁরা তখনকার স্বাধীনতা সংগ্রামী—তাঁরা সব বাবার বন্ধু ছিলেন। একটা সময় বাবাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল, কোর্টে গিয়ে সওয়াল না করতে বাধ্য করেছিলেন বাবাকে ইংরেজ সরকার।’
মা-বাবা, প্রতিবেশি, জন্মভূমি—সবকিছুর সঙ্গে যখন ধীরে ধীরে মৃণাল সেনের স্মৃতির পাল্লা ভারী হচ্ছে, তখনই তাঁকে জন্মস্থান ছেড়ে চলে যেতে হয় কলকাতায়। সাল ১৯৪০। বাবা-মা-ই পাঠান তাঁকে কলকাতা, স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএসসি পড়ার জন্য।
কলকাতায় যাওয়ার আগে বাবা-মাকে একদিন মজার ছলে প্রশ্ন করেছিলেন মৃণাল সেন, ‘আমার মধ্যে কি কোনো প্রতিভা আছে? আন্দাজ পেয়েছ কিছু?’ প্রশ্নটা শুনে তাঁর বাবা-মা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। উত্তরটা মৃণাল নিজেই দিয়েছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেলকে কোট করে, ‘দশ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই প্রতিভাবান।’
সতেরো বছর বয়সে মৃণাল সেন ফরিদপুর ছাড়লেন। সেই যে গেলেন কলকাতা, তার পর দেশ ভাগ হলো, বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখল ভারতবর্ষ। ইতিহাসের অনেক পাতাই ওল্টানো হলো। কিন্তু ফরিদপুরে আর ফিরলেন না মৃণাল।
দেশভাগের সময় তাঁর বাবা-মাও ফরিদপুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। বাড়ি-জমি যা যা স্থাবর সম্পত্তি ছিল, জলের দরে বিক্রি করে একদিন তাঁরা মৃণালের মতোই হাজির হলেন অচেনা শহর কলকাতায়। একেবারে বাস্তুহারার মতো।
অনেক বছর পর, ১৯৯০ সালে ফরিদপুরের সেই বাড়ির সামনে আবার এসে দাঁড়ালেন মৃণাল। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী গীতা। এর আগে কয়েকবার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন মৃণাল। জন্মস্থান ফরিদপুরে যাওয়ার আমন্ত্রণও পেয়েছেন। কিন্তু যাননি। কেন? ‘সত্যি বলতে আমার কাছে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই’—বলেন মৃণাল।
সেবার ঢাকা পৌঁছেই জন্মস্থানের জন্য মনটা কেমন করে উঠল তাঁর। ঠিক করলেন—চারদিনের জন্য ফরিদপুর যাবেন। মৃণাল সেনের বিভিন্ন সময়ের বয়ানে উঠে এসেছে স্মরণীয় সেই যাত্রার কথা। স্ত্রী গীতা, চিত্রগ্রাহক শশী আনন্দ, আর পথপ্রদর্শক খয়ের খাঁ—এ তিনজনকে নিয়ে মৃণাল সেন যখন ফরিদপুরের কাছাকাছি, তখন যেন উত্তেজনার আগুন পোহাচ্ছেন তিনি।
বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গাড়ি থামল। নামলেন। এবার কিছুটা পথ যেতে হবে হেঁটে। অনেকেই এগিয়ে এলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা, প্রশংসা আর ভালোবাসা নিয়ে। একটু খাওয়া। বিশ্রাম। তারপর পায়ে হেঁটে এগোতে থাকলেন সেই অতীতের খোঁজে। সবাইকে বললেন, ‘আমি এখানে আমার নিজের মতো করে পথ চলব, তোমরা কেউ কোনও কথা বলবে না। যদি আমি কখনও ভুল করি পথ চলতে চলতে, তা হলেও নয়।’
অবশেষে, অনেকটা পথ পেরিয়ে, অনেক স্মৃতিতে দিয়ে ডুব, কান্নাভেজা চোখে বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়ালেন মৃণাল সেন। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মানুষ। কেউ কোনো কথা বলল না। ‘অখণ্ড অপূর্ব নীরবতা!’
বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন এক মাঝবয়সি নারী। হাতে একগুচ্ছ ফুল। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতার হাতে ফুলগুলো দিয়ে বললেন, ‘আপনি শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। আসুন, সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’
সেই পুকুরপাড়! মৃণাল সেনের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে তখনও পুকুরপাড়টা। মাঝবয়সি সেই নারীর মুখে পুকুরপাড়ের কথা শুনে মৃণাল-গীতা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। গলাটা ধরে এল মৃণালের।
ওই পুকুরপাড়ে লেপ্টে আছে রেবার স্মৃতি। মৃণালের বোন রেবা। সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট রেবা। বড় আদরের। পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব ভালোবাসত রেবাকে। একদিন ছুটির দিন। দুপুরবেলা। সবাই খাচ্ছিলেন। রেবা সবার আগে খাওয়া শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যায়। ঘাটটি ছিল সব ভাইবোনের প্রিয় আড্ডার জায়গা। রেবারও। সিঁড়িতে বসে পা ঝুলিয়ে বসে থাকত সে।
সেদিন দুপুরের খাবার শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যাওয়ার পর রেবাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। কোত্থাও না। এ-পাড়া ও-পাড়া— খুঁজতে বাকি নেই কোথাও। অনেকক্ষণ পর মৃণালের মেজদা কী যেন ভেবে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে পানির নিচ থেকে টেনে নিয়ে এলেন রেবাকে। রেবার শরীরটা তখন ঠান্ডা।
মেয়ের মৃত্যুর পর মৃণালের বাবা দীনেশচন্দ্র পুকুরঘাটে রেবার স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন। দেশভাগের সময় বাড়ি বিক্রি করে, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বাড়ির নতুন মালিককে অনুরোধ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র—যেন স্মৃতিসৌধটি না ভাঙা হয়।
অনেক বছর পর নিজের জন্মভিটেয় এসে রেবার স্মৃতিসৌধটি সেভাবেই পেয়েছিলেন মৃণাল। প্রিয় বোনের স্মৃতির দিকে তাকিয়ে চোখ ছলছল করে উঠল মৃণালের। ভীষণ কান্না পেল। কিন্তু কাঁদতে পারলেন না। মাঝবয়সী সেই নারীর কথা তখনও তাঁর কানে বাজছে—‘সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’
‘এই শহর কলকাতায় আসার পর আমার কেন যেন ভয় ভয় করতে লাগল। এক বিশাল জনসমুদ্র! আমার মনে হতে লাগল আমি এই জনসমুদ্রে হারিয়ে গিয়েছি। এ জনসমুদ্রে আমি একাকী নিঃসঙ্গ। এই জনসমুদ্রের সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কারও সম্পর্কে কোনও খবরই রাখে না। উদাসীন নির্লিপ্ত জনজোয়ার…’
(তৃতীয় ভুবন, মৃণাল সেন)
কলকাতায় যাওয়ার আগে প্রায় সতেরো বছর ফরিদপুরে ছিলেন নির্মাতা মৃণাল সেন। মফসসলের গন্ধ মাখা ওই শহরে মৃণালের জন্ম। একটু একটু করে বড় হয়ে ওঠা। ফরিদপুর তখন ছিল জাতীয় কংগ্রেসের এক বিশেষ ঘাঁটি। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র ছিলেন পেশায় আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি।
বাবাকে নিয়ে মৃণাল সেন লিখছেন, ‘সে সময়ের বিপ্লবীরা যাঁদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং যাঁরা তখনকার স্বাধীনতা সংগ্রামী—তাঁরা সব বাবার বন্ধু ছিলেন। একটা সময় বাবাকে শাস্তি পেতে হয়েছিল, কোর্টে গিয়ে সওয়াল না করতে বাধ্য করেছিলেন বাবাকে ইংরেজ সরকার।’
মা-বাবা, প্রতিবেশি, জন্মভূমি—সবকিছুর সঙ্গে যখন ধীরে ধীরে মৃণাল সেনের স্মৃতির পাল্লা ভারী হচ্ছে, তখনই তাঁকে জন্মস্থান ছেড়ে চলে যেতে হয় কলকাতায়। সাল ১৯৪০। বাবা-মা-ই পাঠান তাঁকে কলকাতা, স্কটিশ চার্চ কলেজে বিএসসি পড়ার জন্য।
কলকাতায় যাওয়ার আগে বাবা-মাকে একদিন মজার ছলে প্রশ্ন করেছিলেন মৃণাল সেন, ‘আমার মধ্যে কি কোনো প্রতিভা আছে? আন্দাজ পেয়েছ কিছু?’ প্রশ্নটা শুনে তাঁর বাবা-মা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। উত্তরটা মৃণাল নিজেই দিয়েছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেলকে কোট করে, ‘দশ বছর বয়স পর্যন্ত সবাই প্রতিভাবান।’
সতেরো বছর বয়সে মৃণাল সেন ফরিদপুর ছাড়লেন। সেই যে গেলেন কলকাতা, তার পর দেশ ভাগ হলো, বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখল ভারতবর্ষ। ইতিহাসের অনেক পাতাই ওল্টানো হলো। কিন্তু ফরিদপুরে আর ফিরলেন না মৃণাল।
দেশভাগের সময় তাঁর বাবা-মাও ফরিদপুর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। বাড়ি-জমি যা যা স্থাবর সম্পত্তি ছিল, জলের দরে বিক্রি করে একদিন তাঁরা মৃণালের মতোই হাজির হলেন অচেনা শহর কলকাতায়। একেবারে বাস্তুহারার মতো।
অনেক বছর পর, ১৯৯০ সালে ফরিদপুরের সেই বাড়ির সামনে আবার এসে দাঁড়ালেন মৃণাল। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী গীতা। এর আগে কয়েকবার চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন মৃণাল। জন্মস্থান ফরিদপুরে যাওয়ার আমন্ত্রণও পেয়েছেন। কিন্তু যাননি। কেন? ‘সত্যি বলতে আমার কাছে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই’—বলেন মৃণাল।
সেবার ঢাকা পৌঁছেই জন্মস্থানের জন্য মনটা কেমন করে উঠল তাঁর। ঠিক করলেন—চারদিনের জন্য ফরিদপুর যাবেন। মৃণাল সেনের বিভিন্ন সময়ের বয়ানে উঠে এসেছে স্মরণীয় সেই যাত্রার কথা। স্ত্রী গীতা, চিত্রগ্রাহক শশী আনন্দ, আর পথপ্রদর্শক খয়ের খাঁ—এ তিনজনকে নিয়ে মৃণাল সেন যখন ফরিদপুরের কাছাকাছি, তখন যেন উত্তেজনার আগুন পোহাচ্ছেন তিনি।
বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে গাড়ি থামল। নামলেন। এবার কিছুটা পথ যেতে হবে হেঁটে। অনেকেই এগিয়ে এলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা, প্রশংসা আর ভালোবাসা নিয়ে। একটু খাওয়া। বিশ্রাম। তারপর পায়ে হেঁটে এগোতে থাকলেন সেই অতীতের খোঁজে। সবাইকে বললেন, ‘আমি এখানে আমার নিজের মতো করে পথ চলব, তোমরা কেউ কোনও কথা বলবে না। যদি আমি কখনও ভুল করি পথ চলতে চলতে, তা হলেও নয়।’
অবশেষে, অনেকটা পথ পেরিয়ে, অনেক স্মৃতিতে দিয়ে ডুব, কান্নাভেজা চোখে বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়ালেন মৃণাল সেন। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু মানুষ। কেউ কোনো কথা বলল না। ‘অখণ্ড অপূর্ব নীরবতা!’
বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন এক মাঝবয়সি নারী। হাতে একগুচ্ছ ফুল। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতার হাতে ফুলগুলো দিয়ে বললেন, ‘আপনি শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন। আসুন, সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’
সেই পুকুরপাড়! মৃণাল সেনের স্মৃতিতে জ্বলজ্বলে তখনও পুকুরপাড়টা। মাঝবয়সি সেই নারীর মুখে পুকুরপাড়ের কথা শুনে মৃণাল-গীতা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। গলাটা ধরে এল মৃণালের।
ওই পুকুরপাড়ে লেপ্টে আছে রেবার স্মৃতি। মৃণালের বোন রেবা। সাত ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে সবার ছোট রেবা। বড় আদরের। পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব ভালোবাসত রেবাকে। একদিন ছুটির দিন। দুপুরবেলা। সবাই খাচ্ছিলেন। রেবা সবার আগে খাওয়া শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যায়। ঘাটটি ছিল সব ভাইবোনের প্রিয় আড্ডার জায়গা। রেবারও। সিঁড়িতে বসে পা ঝুলিয়ে বসে থাকত সে।
সেদিন দুপুরের খাবার শেষ করে পুকুরঘাটের দিকে চলে যাওয়ার পর রেবাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। কোত্থাও না। এ-পাড়া ও-পাড়া— খুঁজতে বাকি নেই কোথাও। অনেকক্ষণ পর মৃণালের মেজদা কী যেন ভেবে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন। মুহূর্তের মধ্যে পানির নিচ থেকে টেনে নিয়ে এলেন রেবাকে। রেবার শরীরটা তখন ঠান্ডা।
মেয়ের মৃত্যুর পর মৃণালের বাবা দীনেশচন্দ্র পুকুরঘাটে রেবার স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন। দেশভাগের সময় বাড়ি বিক্রি করে, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে বাড়ির নতুন মালিককে অনুরোধ করেছিলেন দীনেশচন্দ্র—যেন স্মৃতিসৌধটি না ভাঙা হয়।
অনেক বছর পর নিজের জন্মভিটেয় এসে রেবার স্মৃতিসৌধটি সেভাবেই পেয়েছিলেন মৃণাল। প্রিয় বোনের স্মৃতির দিকে তাকিয়ে চোখ ছলছল করে উঠল মৃণালের। ভীষণ কান্না পেল। কিন্তু কাঁদতে পারলেন না। মাঝবয়সী সেই নারীর কথা তখনও তাঁর কানে বাজছে—‘সেই পুকুর পাড়ে যাবেন তো? আপনাদের বাবার কথা আমরা রেখেছি। ভাঙচুর একটু-আধটু যা হয়েছে, তাও সারিয়েছি।’
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৫ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৬ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৬ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১১ ঘণ্টা আগে