নায়করাজ রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ১২: ৩৩
Thumbnail image

ঢাকাই সিনেমার কালজয়ী অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের আজকের এ দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেতা। ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে নানা আয়োজন।

নায়কপুত্র সম্রাট বলেন, ‘বছরের এই দিনে ফজরের নামাজ পড়েই আব্বার কবরে চলে যাই, দোয়া-দরুদ পড়ি। দুপুরে মেহমান, গরিব ও এতিমদের নিজ হাতে খাওয়াবেন আম্মা। উত্তরায় রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সে আব্বার নিজের হাতে গড়া একটি মসজিদ আছে। আব্বা নিজে ইমাম নিযুক্ত করে গিয়েছিলেন। সেখানে বাদ আসর মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। একই সময়ে বাসায়ও থাকছে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন। আমরা পরিবারের মানুষজন থাকব বাসায়। নামাজ শেষে আব্বার জন্য দোয়া করব সবাই।’

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্ম নেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্রের সাদাকালো থেকে রঙিন সেলুলয়েডের দীর্ঘ ইতিহাসে দাপুটে অবস্থান ছিল নায়ক রাজ রাজ্জাকের।

নায়করাজ রাজ্জাকসপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চনাটকে হাতেখড়ি হয় রাজ্জাকের। ১৯৬৪ সালে নতুন জীবন গড়তে সপরিবারে বাংলাদেশে পাড়ি জমানো রাজ্জাক কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করেছেন।

‘মুখ ও মুখোশ’ চলচ্চিত্রের পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সহযোগিতায় বাংলাদেশি সিনেমায় কাজের সুযোগ পান রাজ্জাক। ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। একই বছর জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে ঢালিউডে প্রথম উপস্থিত হয়েই সবার মন জয় করে নেন রাজ্জাক। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এরপর ক্যারিয়ারের মাত্র আট বছরেই শতাধিক সিনেমার মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন এই নায়ক।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে। অভিনয়ের বাইরে রাজ্জাক সফল ছিলেন প্রযোজক-নির্মাতা হিসেবেও। প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ১৬টি চলচ্চিত্র।

দীর্ঘ কর্মজীবনে আজীবন সম্মাননাসহ মোট ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্র তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত