Ajker Patrika

প্রথম শুটিংয়ে খড়ের গাদায় ঘুমিয়েছি: চিত্রনায়ক আলমগীর

বিনোদন ডেস্ক
প্রথম শুটিংয়ে খড়ের গাদায় ঘুমিয়েছি: চিত্রনায়ক আলমগীর

কেমন আছেন? জন্মদিন কীভাবে কাটাবেন?

কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। ঠিক হয়েছে। তবে পুরো পৃথিবীর মতো আমিও ভালো নেই। এই সময় যে কবে কেটে যাবে সেই অপেক্ষাতেই আছি। জন্মদিনে বিশেষ কোন আয়োজন নেই। পরিবারে যারা আছেন সবাই একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করব।

সময় কাটছে কীভাবে?

প্রচুর বই পড়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অফিসে যাই। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই। করোনা আবার বেড়ে যাচ্ছে...

আপনাদের সময়কার শিল্পীরা এখন অনেকটাই অনিয়মিত। এটা বয়সের জন্য নাকি অন্য কোন কারণ?

ধীরে ধীরে হতাশা নিয়ে অনেকেই কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। আসলে একটা সময় আত্মমর্যাদা নিয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। সিনিয়র শিল্পীর সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির আচরণটা যেমন হওয়া উচিত তেমন ছিল না। যদিও আমি অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আহামরি কোনো চলচ্চিত্র বা চরিত্র আসেনি।

পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে?

পনেরো-বিশ দিন ধরে এফডিসির ভেতর শুটিং হত। বড় বড় সেটে কাজ হত। তখন এফডিসিতে সাত ও আট নম্বর শুটিং ফ্লোর ছিল না। এক, দুই, তিন ও চার নম্বর ফ্লোরগুলোতে কাজ হত। সুখে-দুঃখে ওখানেই আমাদের দিন কাটতো। কোথায় সেই সব দিন! যদি আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা না হতো তাহলে হয়ত আলু-পটলের ব্যবসায়ী হতাম।

প্রথম শুটিংয়ের স্মৃতি...

আমার প্রথম সিনেমা ‘আমার জন্মভূমি’র শুটিংয়ে ছিলেন রাজ্জাক সাহেব। কবরী ম্যাডামও ছিলেন। মনে পড়ে ছবির আউটডোর শুটিংয়ে কুমিল্লা গিয়েছিলাম। ওই রাতে শুটিং ইউনিটে ঘুমানোর জায়গা পাইনি। কুমকুম ভাই আমাকে বারান্দায় খড়ের ওপর বিছানা পেতে ঘুমাতে বলেছিলেন। কবরী জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কেন সে বারান্দায় ঘুমাবে?’ তখন কুমকুম ভাই বলেছিলেন, ‘সে যদি এই কষ্ট সহ্য করতে পারে, তবে ফিল্মে টিকবে। নয়তো ফিরে যাক’। ফিল্মে এসে আমি কী পেয়েছি এ হিসাব করতে চাই না। তবে প্রকৃত মানুষ হওয়ার রাস্তা পেয়েছিলাম আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর।

প্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে সম্পর্ক…

শুরু থেকেই রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল ছিল। বয়সে বড় হলেও বন্ধুর মত মেশার সুযোগ করে দিয়েছিলেন আমাকে। যদিও আমার ও রাজ্জাক ভাইয়ের বন্ধুত্বটাকে আমি ‘ফ্রেন্ড’ হিসেবে নিতাম না। আমি এটাকে ধরতাম ‘ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড গাইড’। রাজ্জাক ভাইয়ের একটা গাড়ি ছিল, যার নাম্বার প্লেট ছিল-৫৫৫১। ওই গাড়ি দেখলে বুঝতাম রাজ্জাক ভাই এফডিসিতে আছেন।

এখন তো অনেক বিভেদ…

চলচ্চিত্রে এখন অস্থিরতা চলছে। এ অস্থিরতা আগেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে অস্থিরতাকে সঙ্গে নিয়েই ছবি বানানো হবে। দর্শক ছবি দেখবে কিংবা উপহাস করবে। তবে একটা প্রত্যাশা- আমরা যারা চলচ্চিত্রে কাজ করি, তাদের মাঝে যেন বিভেদ না থাকে। ‘আমি আমি’ থেকে বেরিয়ে এসে, ঢাকাই চলচ্চিত্রে ‘আমরা আমরা’ ধ্বনি শুনতে চাই।

দাম্পত্য জীবনে খুনসুটি-ঝগড়া হয়ই। রুনা লায়লা এবং আপনার মাঝে মনোমালিন্য হলে সমাধান করেন কীভাবে?

সংসারে ঝগড়া হয় না এমন সংসার পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না।  ঝগড়া আমাদের মাঝেও হয়। স্বামী-স্ত্রী সবার মধ্যেই ঝগড়া হয়। আবার স্বামী-স্ত্রী মিলে সংসারও করছে। প্রেম হয়, সবই হয়। আমরা তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। মান, অভিমানও চলে। কে বড় এবং জনপ্রিয় তারকা এ বিষয় আমাদের মধ্যে কোনো তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। আমরা স্বামী-স্ত্রী এটাই বড় কথা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজারে বিমানঘাঁটিতে গুলি: যা বলছে আইএসপিআর, নিহতের মা-বাবা ও স্থানীয়রা

কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, সংঘর্ষে নিহত ১

ভারতের কাছে হারে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিলেন শোয়েব

নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ও প্রতীক নিয়ে কী প্রস্তাব এল, জানালেন আখতার

মালিককে ঘরে আটকে রেখে খামারে পেট্রল ঢেলে আগুন, পুড়ল ৮ গরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত