মীর রাকিব হাসান
ঢাকা: বাংলাদেশের চেয়ে ভারতেই বেশি থাকা হয় মেঘলা মুক্তার। তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে থিতু হওয়ার লড়াইয়ে স্থায়ী নিবাস গড়েছেন হায়দ্রাবাদে। প্রথম সিনেমা শিবা গণেশ পরিচালিত ‘সাকালাকা ভাল্লাভুডু’ মুক্তি পেয়েছে। দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইয়্যারা চ্যারা’ পোস্ট প্রডাকশনে আছে। মেঘলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃতীয় সিনেমার শুটিংয়ের জন্য। ‘শুটিংয়ের আগে ওখানকার সিনেমার ওয়ার্কশপ হয়। আমি একটা এজেন্সির আন্ডারে আছি। ওখানে প্রতিযোগিতা এত বেশি যে আপনাকে সব সময় চেষ্টা করতে হয় নিজের স্কিলগুলো আরও বের করা। সময় আসলে ওভাবে বেশি থাকে না। দেখা যায় প্রতিদিন জিম থাকে। জিমের পর সুইমিং করি। আমার ড্যান্স ক্লাস আছে। আমার মার্শাল আর্টের জন্য ক্লাস করতে হয়। সারা দিন কোনো না কোনোভাবে ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। বাসায় ঘুমের সময়টা পাই। হর্স রাইডিংও শিখছি। এর মধ্যে আরও টুকটাক কর্মশালা করি। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে।’ বললেন মেঘলা।
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান নিয়ে মেঘলা বলেন, ‘ওখানে আমার অবস্থান বলতে যাত্রা শুরু করলাম মাত্র। বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রি। সারা ভারত থেকে ওখানে কাজ করতে চায়। সবার সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার জন্য ভার্সেটাইল হতে হয়। নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুত করছি। বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাওয়া হয়। তখন ওখানকার সিনিয়রদেরও দেখা পাই। এইতো কিছুদিন আগে কিংবদন্তি নায়ক আক্কিনেনি নাগার্জুন স্যারের সঙ্গে দেখা হলো। ওনার সঙ্গে কথা হলো। আমি বাংলাদেশি শুনে উনি তো খুবই খুশি হয়েছেন। বাংলাদেশে কোনো দিন আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।’
প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল ওখানেই থাকছেন। প্রথম সিনেমা মুক্তির পরপরই ওখানে বাসা নেওয়া হয়েছে। ‘কেউ যখন কোনো একটা জায়গায় দেড় বছর থাকছে। সেখানকার আবহাওয়া কিংবা পরিবেশ দুটোই কিন্তু সয়ে যাবে। তবে ওখানকার পরিবেশটাও আমাদের মতোই। মানুষজনের চেহারা বা অনুভূতি প্রকাশটাও আমাদের মতোই। ভাষাটা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু অনেক কিছুই আমাদের মতো। কখনো মনে হয়নি যে আমি দেশের বাইরে আছি। প্রথম প্রথম কিছুটা মনে হলেও ওখানকার মানুষ যতটা আপন করে নিয়েছে, আমার একদমই মনে হয়নি আমি ভিনদেশে আছি।’ তিনি বলেন, ‘দেড় বছর থাকায় ওখানে আমার অনেক বন্ধুও হয়েছে। আমার বাবা–মাও ওখানে যান মাঝেমধ্যে। আমার সঙ্গে তাঁরা থাকেন। আমার বন্ধুদের সঙ্গেও আমার বাবা–মায়ের পরিচয় আছে।’
দক্ষিণের খাবার নিয়ে বলেন, ‘বেশ মজা! তবে অনেক স্পাইসি! অনেক খাবারের সঙ্গে বাংলাদেশে বসেও পরিচিত হয়েছি। যেমন দোচার সঙ্গে অনেকে পরিচিত। উত্তপাম, উতমা এখন বাংলাদেশেই চলে আসছে। যদিও হায়দ্রাবাদি বিখ্যাত বিরিয়ানির কথা বলেন। তাহলে বলব, আমার কাছে বাংলাদেশিটাই অনেক বেশি মজা লাগে।’
ভাষাও প্রায় রপ্ত করে ফেলেছেন। প্রথম প্রথম বাংলায় স্ক্রিপ্ট লিখে দিত। কিন্তু পরে অনেক বন্ধু হলো। যারা হেল্প করে তেলুগু ভাষায় তাঁকে দক্ষ করেছেন। নিজের চেষ্টাও ছিল। সব মিলিয়ে এখন ভালোই তেলুগু বলতে পারেন। ‘যখনই কোন নতুন মুভি রিলিজ হয়, তখন আমার প্রথম কাজ থাকে সিনেমা হলে যাওয়া। সিনেমাটি বোঝার চেষ্টা করি। ওখানে হলে সিনেমা দেখার মজাও আলাদা। বেশির ভাগ ছবিই হাউসফুল থাকে।’ বললেন মেঘলা।
হায়দ্রাবাদ ডিজাইন উইকে সম্প্রতি মডেল হয়েছেন। হায়দ্রাবাদের যত টপ ডিজাইনার আছেন, তাঁদের নিয়ে একটা শো করা হয়। বাংলাদেশ থেকে বিবি রাসেল প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি বলেন, `অনেক নিউজে যেটা ভুল লিখেছে—বিবি রাসেলের কোরিওগ্রাফিতে মেঘলা। আসলে কিন্তু তা নয়। কোরিওগ্রাফার ছিলেন হায়দ্রাবাদেরই একজন। ওখানে যেটা হয়, বিবি আপার আলাদা একটা কিউ হয়। সেখানে তার সলো ডিজাইনগুলো ওঠে। অনেক আগে থেকেই বিবি আপা সেই কিউর জন্য আমাকে বলে রেখেছিলেন। আমিসহ তিনজন ছিলাম তাঁর শো স্টপার। তাঁর কিউর জন্যই আসলে বিবি আপা আমাদের কো–অর্ডিনেট করে নিয়েছিলেন। তাকে রিকোয়েস্ট করা হয় সলো একটা কিউয়ের জন্য। উনি তো ইন্টারন্যাশনালি যে প্রগ্রামেই যান, ওনার সলো একটা কিউ হয়। বিবি আপার কিউগুলোতে যেটা হয়, কোরিওগ্রাফার থাকলেও তার প্যাটার্নটা হয় ডিফারেন্ট। কারণ তিনি নিজেই তাঁর মডেলদের স্টাইল থেকে শুরু করে সে কীভাবে দাঁড়াচ্ছে, কীভাবে হাঁটবে সব নিজেই বলে দেয়।’
দেশেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন। করোনার কারণে শুটিং আটকে আছে কৌশিক শংকর দাশ পরিচালিত ‘পাঞ্চ’ সিনেমার। তবে অন্য আরেকটি সিনেমার শুটিং শেষ করলেন সম্প্রতি। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত সিনেমাটির নাম `পায়ের ছাপ'। এটি পরিচালনা করেছেন সাইফুল ইসলাম মাননু। মেঘলা জানান, নারীকেন্দ্রিক সিনেমা এটি। একজন নারীর সংগ্রাম ও সফলতার গল্প নিয়েই সিনেমার কাহিনি। মেঘলা মনে করেন তাঁর অভিনয়জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হবে সিনেমাটি।
ঢাকা: বাংলাদেশের চেয়ে ভারতেই বেশি থাকা হয় মেঘলা মুক্তার। তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে থিতু হওয়ার লড়াইয়ে স্থায়ী নিবাস গড়েছেন হায়দ্রাবাদে। প্রথম সিনেমা শিবা গণেশ পরিচালিত ‘সাকালাকা ভাল্লাভুডু’ মুক্তি পেয়েছে। দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইয়্যারা চ্যারা’ পোস্ট প্রডাকশনে আছে। মেঘলা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃতীয় সিনেমার শুটিংয়ের জন্য। ‘শুটিংয়ের আগে ওখানকার সিনেমার ওয়ার্কশপ হয়। আমি একটা এজেন্সির আন্ডারে আছি। ওখানে প্রতিযোগিতা এত বেশি যে আপনাকে সব সময় চেষ্টা করতে হয় নিজের স্কিলগুলো আরও বের করা। সময় আসলে ওভাবে বেশি থাকে না। দেখা যায় প্রতিদিন জিম থাকে। জিমের পর সুইমিং করি। আমার ড্যান্স ক্লাস আছে। আমার মার্শাল আর্টের জন্য ক্লাস করতে হয়। সারা দিন কোনো না কোনোভাবে ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। বাসায় ঘুমের সময়টা পাই। হর্স রাইডিংও শিখছি। এর মধ্যে আরও টুকটাক কর্মশালা করি। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে।’ বললেন মেঘলা।
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান নিয়ে মেঘলা বলেন, ‘ওখানে আমার অবস্থান বলতে যাত্রা শুরু করলাম মাত্র। বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রি। সারা ভারত থেকে ওখানে কাজ করতে চায়। সবার সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার জন্য ভার্সেটাইল হতে হয়। নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রস্তুত করছি। বিভিন্ন প্রোগ্রামে যাওয়া হয়। তখন ওখানকার সিনিয়রদেরও দেখা পাই। এইতো কিছুদিন আগে কিংবদন্তি নায়ক আক্কিনেনি নাগার্জুন স্যারের সঙ্গে দেখা হলো। ওনার সঙ্গে কথা হলো। আমি বাংলাদেশি শুনে উনি তো খুবই খুশি হয়েছেন। বাংলাদেশে কোনো দিন আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।’
প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল ওখানেই থাকছেন। প্রথম সিনেমা মুক্তির পরপরই ওখানে বাসা নেওয়া হয়েছে। ‘কেউ যখন কোনো একটা জায়গায় দেড় বছর থাকছে। সেখানকার আবহাওয়া কিংবা পরিবেশ দুটোই কিন্তু সয়ে যাবে। তবে ওখানকার পরিবেশটাও আমাদের মতোই। মানুষজনের চেহারা বা অনুভূতি প্রকাশটাও আমাদের মতোই। ভাষাটা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু অনেক কিছুই আমাদের মতো। কখনো মনে হয়নি যে আমি দেশের বাইরে আছি। প্রথম প্রথম কিছুটা মনে হলেও ওখানকার মানুষ যতটা আপন করে নিয়েছে, আমার একদমই মনে হয়নি আমি ভিনদেশে আছি।’ তিনি বলেন, ‘দেড় বছর থাকায় ওখানে আমার অনেক বন্ধুও হয়েছে। আমার বাবা–মাও ওখানে যান মাঝেমধ্যে। আমার সঙ্গে তাঁরা থাকেন। আমার বন্ধুদের সঙ্গেও আমার বাবা–মায়ের পরিচয় আছে।’
দক্ষিণের খাবার নিয়ে বলেন, ‘বেশ মজা! তবে অনেক স্পাইসি! অনেক খাবারের সঙ্গে বাংলাদেশে বসেও পরিচিত হয়েছি। যেমন দোচার সঙ্গে অনেকে পরিচিত। উত্তপাম, উতমা এখন বাংলাদেশেই চলে আসছে। যদিও হায়দ্রাবাদি বিখ্যাত বিরিয়ানির কথা বলেন। তাহলে বলব, আমার কাছে বাংলাদেশিটাই অনেক বেশি মজা লাগে।’
ভাষাও প্রায় রপ্ত করে ফেলেছেন। প্রথম প্রথম বাংলায় স্ক্রিপ্ট লিখে দিত। কিন্তু পরে অনেক বন্ধু হলো। যারা হেল্প করে তেলুগু ভাষায় তাঁকে দক্ষ করেছেন। নিজের চেষ্টাও ছিল। সব মিলিয়ে এখন ভালোই তেলুগু বলতে পারেন। ‘যখনই কোন নতুন মুভি রিলিজ হয়, তখন আমার প্রথম কাজ থাকে সিনেমা হলে যাওয়া। সিনেমাটি বোঝার চেষ্টা করি। ওখানে হলে সিনেমা দেখার মজাও আলাদা। বেশির ভাগ ছবিই হাউসফুল থাকে।’ বললেন মেঘলা।
হায়দ্রাবাদ ডিজাইন উইকে সম্প্রতি মডেল হয়েছেন। হায়দ্রাবাদের যত টপ ডিজাইনার আছেন, তাঁদের নিয়ে একটা শো করা হয়। বাংলাদেশ থেকে বিবি রাসেল প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি বলেন, `অনেক নিউজে যেটা ভুল লিখেছে—বিবি রাসেলের কোরিওগ্রাফিতে মেঘলা। আসলে কিন্তু তা নয়। কোরিওগ্রাফার ছিলেন হায়দ্রাবাদেরই একজন। ওখানে যেটা হয়, বিবি আপার আলাদা একটা কিউ হয়। সেখানে তার সলো ডিজাইনগুলো ওঠে। অনেক আগে থেকেই বিবি আপা সেই কিউর জন্য আমাকে বলে রেখেছিলেন। আমিসহ তিনজন ছিলাম তাঁর শো স্টপার। তাঁর কিউর জন্যই আসলে বিবি আপা আমাদের কো–অর্ডিনেট করে নিয়েছিলেন। তাকে রিকোয়েস্ট করা হয় সলো একটা কিউয়ের জন্য। উনি তো ইন্টারন্যাশনালি যে প্রগ্রামেই যান, ওনার সলো একটা কিউ হয়। বিবি আপার কিউগুলোতে যেটা হয়, কোরিওগ্রাফার থাকলেও তার প্যাটার্নটা হয় ডিফারেন্ট। কারণ তিনি নিজেই তাঁর মডেলদের স্টাইল থেকে শুরু করে সে কীভাবে দাঁড়াচ্ছে, কীভাবে হাঁটবে সব নিজেই বলে দেয়।’
দেশেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন। করোনার কারণে শুটিং আটকে আছে কৌশিক শংকর দাশ পরিচালিত ‘পাঞ্চ’ সিনেমার। তবে অন্য আরেকটি সিনেমার শুটিং শেষ করলেন সম্প্রতি। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত সিনেমাটির নাম `পায়ের ছাপ'। এটি পরিচালনা করেছেন সাইফুল ইসলাম মাননু। মেঘলা জানান, নারীকেন্দ্রিক সিনেমা এটি। একজন নারীর সংগ্রাম ও সফলতার গল্প নিয়েই সিনেমার কাহিনি। মেঘলা মনে করেন তাঁর অভিনয়জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হবে সিনেমাটি।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
২ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
২ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
৭ ঘণ্টা আগে