বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: যে কোনো দেশীয় সিনেমা সেন্সরে পাঠানোর আগে তাদের অনুমোদন লাগবে, এমন দাবি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির। তাদের এমন অদ্ভুত দাবিকে কেন্দ্র করে সিনেমাপাড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে পাঁচটি প্রস্তাব। এই পাঁচ প্রস্তাবের মধ্যে ‘যেকোনো চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য পরিচালক সমিতির সনদ বাধ্যতামূলক করা’র বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র মহলে সমালোচনা চলছে।
অদ্ভুত অসুস্থ একটি দাবি। একটি বেসরকারি সমিতি মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি করছে দেশের সব চলচ্চিত্রকর্মীকে তাদের কাছে বর্গা দিয়ে দেওয়ার! আবদারের কোনো সীমা–পরিসীমা নেই। স্বাধীন দেশের মানুষ একটি সমিতির সনদ নিয়ে তারপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে? সেই সমিতি যদি সনদ না দেয়, তবে ছবি নির্মাণ করা যাবে না? এই ধরনের ফ্যাসিবাদী বাসনা যে সমিতি ধারণ করে, সেটা মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য খুবই বিপজ্জনক।
বেলায়াত হোসেন মামুন, সভাপতি, মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি
চলচ্চিত্রকর্মী ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান এই নিয়মকে ‘চলচ্চিত্র সমিতির সনদ নাকি এতিমখানার সনদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্বাধীনভাবে আমার সিনেমাটি বানাব, তাতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির অনুমতি লাগবে কেন? নির্মাণে বা কোনো কাজেই তাদের সমিতিকে ব্যবহার করিনি। তবে কেন আমি তাদের গোয়ালের বলদ হয়ে থাকব।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক এবং নির্মাতা নোমান রবিন নিজেকে স্বাধীন নির্মাতা দাবি করেন। তারপরও তিনি এই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত কমিটির একজন সম্পাদক। আমার যুক্তিটা বুঝতে হবে। সেন্সর নিতে হলে কিন্তু পরিচালক বা প্রযোজককে এফডিসির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হয়। আমাদের প্রস্তাবটাও তেমন। পরিচালক বা প্রযোজক এনওসি নেবেন পরিচালক সমিতির কাছ থেকে। এর বেশি কিছু না। তাতে কোনো বাধা নেই।’
এটা করার কারণ উল্লেখ করে রবিন বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য পরিচালকদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। আমরা যে সময় পার করছি, সেখানে বিভাজন দিয়ে হবে না। এখানে ঐক্য লাগবে। আর সেই ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য অন্য উপাদানগুলোর পাশাপাশি প্রেশারও দিতে হবে।’
প্রস্তাবটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে সিনেমা সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার আগে পরিচালক সমিতিও সনদ দেওয়ার ক্ষমতা পাবে। আর অনুমতি না পেলে এখনকার নিয়মেই চলবে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়ার পদ্ধতি।
চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য সংগঠনের পূর্বানুমতি অযৌক্তিক দাবি করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ছয়টি সংগঠন। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডকল্যাব ও ফিল্ম উইদাউট ফিল্ম। তাদের মতে, সিনেমায় সেন্সরের জন্য একটা বেসরকারি সংগঠনের পূর্বানুমতি নেওয়ার দাবিটি যেমন নিয়মবহির্ভূত, তেমনি অযৌক্তিক এবং হাস্যকর।
এ ছাড়া সভায় উঠে আসা ‘অনুদানের ছবিতে শুধু আর্ট ফিল্ম নয়, এখন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা বাড়ানো হবে’ বক্তব্যটি অনুদান নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তাদের মনে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবির প্রযোজনায় কেন জনগণের অর্থ ব্যয় হবে তার ব্যাখ্যা যেমন আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, তেমনি কেন ২০টি প্রেক্ষাগৃহে এসব সিনেমা মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে নির্মাতার বাধ্যবাধকতা থাকবে, তারও কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই বলে দাবি করছেন সংগঠনগুলোর কর্তাব্যক্তিরা।
ঢাকা: যে কোনো দেশীয় সিনেমা সেন্সরে পাঠানোর আগে তাদের অনুমোদন লাগবে, এমন দাবি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির। তাদের এমন অদ্ভুত দাবিকে কেন্দ্র করে সিনেমাপাড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে পাঁচটি প্রস্তাব। এই পাঁচ প্রস্তাবের মধ্যে ‘যেকোনো চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য পরিচালক সমিতির সনদ বাধ্যতামূলক করা’র বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র মহলে সমালোচনা চলছে।
অদ্ভুত অসুস্থ একটি দাবি। একটি বেসরকারি সমিতি মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি করছে দেশের সব চলচ্চিত্রকর্মীকে তাদের কাছে বর্গা দিয়ে দেওয়ার! আবদারের কোনো সীমা–পরিসীমা নেই। স্বাধীন দেশের মানুষ একটি সমিতির সনদ নিয়ে তারপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে? সেই সমিতি যদি সনদ না দেয়, তবে ছবি নির্মাণ করা যাবে না? এই ধরনের ফ্যাসিবাদী বাসনা যে সমিতি ধারণ করে, সেটা মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য খুবই বিপজ্জনক।
বেলায়াত হোসেন মামুন, সভাপতি, মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি
চলচ্চিত্রকর্মী ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান এই নিয়মকে ‘চলচ্চিত্র সমিতির সনদ নাকি এতিমখানার সনদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্বাধীনভাবে আমার সিনেমাটি বানাব, তাতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির অনুমতি লাগবে কেন? নির্মাণে বা কোনো কাজেই তাদের সমিতিকে ব্যবহার করিনি। তবে কেন আমি তাদের গোয়ালের বলদ হয়ে থাকব।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির আন্তর্জাতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক এবং নির্মাতা নোমান রবিন নিজেকে স্বাধীন নির্মাতা দাবি করেন। তারপরও তিনি এই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচিত কমিটির একজন সম্পাদক। আমার যুক্তিটা বুঝতে হবে। সেন্সর নিতে হলে কিন্তু পরিচালক বা প্রযোজককে এফডিসির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হয়। আমাদের প্রস্তাবটাও তেমন। পরিচালক বা প্রযোজক এনওসি নেবেন পরিচালক সমিতির কাছ থেকে। এর বেশি কিছু না। তাতে কোনো বাধা নেই।’
এটা করার কারণ উল্লেখ করে রবিন বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য পরিচালকদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। আমরা যে সময় পার করছি, সেখানে বিভাজন দিয়ে হবে না। এখানে ঐক্য লাগবে। আর সেই ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য অন্য উপাদানগুলোর পাশাপাশি প্রেশারও দিতে হবে।’
প্রস্তাবটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলে সিনেমা সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার আগে পরিচালক সমিতিও সনদ দেওয়ার ক্ষমতা পাবে। আর অনুমতি না পেলে এখনকার নিয়মেই চলবে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়ার পদ্ধতি।
চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য সংগঠনের পূর্বানুমতি অযৌক্তিক দাবি করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ছয়টি সংগঠন। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডকল্যাব ও ফিল্ম উইদাউট ফিল্ম। তাদের মতে, সিনেমায় সেন্সরের জন্য একটা বেসরকারি সংগঠনের পূর্বানুমতি নেওয়ার দাবিটি যেমন নিয়মবহির্ভূত, তেমনি অযৌক্তিক এবং হাস্যকর।
এ ছাড়া সভায় উঠে আসা ‘অনুদানের ছবিতে শুধু আর্ট ফিল্ম নয়, এখন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা বাড়ানো হবে’ বক্তব্যটি অনুদান নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তাদের মনে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবির প্রযোজনায় কেন জনগণের অর্থ ব্যয় হবে তার ব্যাখ্যা যেমন আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, তেমনি কেন ২০টি প্রেক্ষাগৃহে এসব সিনেমা মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে নির্মাতার বাধ্যবাধকতা থাকবে, তারও কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই বলে দাবি করছেন সংগঠনগুলোর কর্তাব্যক্তিরা।
প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরেই শিরোনামে। নেটিজেনদের কৌতূহল যেন থামছেই না। এরই মধ্যে যেন আগুনে ঘি পড়েছে তাঁর দলের বেস গিটারিস্টেরও বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণায়। একদিনের ব্যবধানে দুজনের বিচ্ছেদকে জুড়ে দিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় মেতেছেন নেটিজেনরা...
১ ঘণ্টা আগেঅডিও অ্যালবামের যুগ শেষ হওয়ার পর হারিয়ে যেতে বসেছে মিক্সড অ্যালবামের প্রচলন। ইউটিউবে যে যার মতো একক কিংবা দ্বৈত গান প্রকাশ করছেন। এমন সময় ৫৪ শিল্পীকে নিয়ে ৬৩ গানের উদ্যোগ নিয়েছেন স্থপতি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝর। নাম দিয়েছেন ‘যেটা আমাদের নিজের মতোন’।
২ ঘণ্টা আগেএকটি ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘হৃদয়ে বসবাস’। জামিউর রহমান লেমনের রচনায় হৃদয়ে বসবাস নাটকটি প্রযোজনা করেছেন নাজমুল হক। আজ রাত ৯টা ৫ মিনিটে বিটিভিতে প্রচারিত হবে নাটকটি।
২ ঘণ্টা আগেচলতি সপ্তাহে দেশের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি প্রেক্ষাগৃহে। তবে স্টার সিনেপ্লেক্সে শুক্রবার মুক্তি পেল দুটি হলিউড সিনেমা। সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় চলছে উইকড ও রেড ওয়ান।
৩ ঘণ্টা আগে