কোটা আন্দোলন নিয়ে ফারুকীর পোস্ট, কী লিখলেন চঞ্চল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১২: ৪৫
Thumbnail image

কোটা আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার দুপুরে তিনি শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ফারুকী ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনারা যাঁরা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তাঁরা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা স্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সমমর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তাঁরা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা।’

ফারুকী আরও লেখেন, ‘রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয় না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি। পাবলিক সারভেন্ট শব্দটা বেশ ভালো। নির্বাচিত প্রতিনিধি বা যেকোনো সরকারী বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সব সময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অল পাওয়ার টু দ্য পিপল। অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ। প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস। শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না।’

এর আগে গত ৭ জুলাই কোটা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ডিলিট করেন ফারুকী। আজকের পোস্টে সেটার কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্মাতা লেখেন, ‘যাঁরা আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানেন, তাঁরা জানেন যে; আমি শারীরিকভাবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ না! ফলে আমার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত। কোটা আন্দোলন নিয়ে আমি কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে ফেলেছি। কারণ একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। এবং লিখতে থাকলে যত বেশি এনগেজড হই সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না।’

অন্যদিকে কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ফেসবুকে আজ তিনি লেখেন, ‘পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকায় থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কদিনের নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি, হয়েছি শোকাহত। সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতাবহির্ভূত! আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তাঁর আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত