খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
অভিনেতা মীর সাব্বির পরিচালনাও করেন। এতদিন তাঁকে নাট্য পরিচালক হিসেবে দেখা গেলেও এবার তিনি আসছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে। ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘রাত জাগা ফুল’।
‘রাত জাগা ফুল’ আপনার পরিচালিত প্রথম ছবি। এর আগেও অনেক নাটক বানিয়েছেন। ছবি বানানোর অভিজ্ঞতা কেমন?
খুবই টাফ। কারণ আমরা যেভাবে ভাবি, দুম করে বানিয়ে ফেললাম— এভাবে ছবি হয় না। আমরা নাটক দেখি আই লেভেলে। আর ছবি দেখি বড় পর্দায়। হলে সারিবদ্ধ হয়ে বসার সিস্টেমটাও কিন্তু ছবি দেখার ক্ষেত্রে ডিফরেন্ট লুক তৈরি করে। এ ছবি বানাতে গিয়ে প্রথমেই আমরা মাথায় রেখেছি, হলে কীভাবে দেখবে দর্শক। সেভাবে বানিয়েছি। নাটক ও সিনেমা— দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। ছবি বানানোর প্রক্রিয়াটা খুবই টাফ। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা খুব জরুরি।
প্রথম ছবিতে নির্মাতারা সাধারণত বড় তারকা নিতে চান। আপনি নতুনদের নিয়ে ঝুঁকি নিলেন কেন?
এ ছবির গল্পই আমার হিরো। গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাস্টিং করাটা অনেক ইমপরটেন্ট। গল্প অনুযায়ী যাকে উপযুক্ত মনে হয়েছে, তাঁকে নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, নতুনরা অনেক ডেডিকেট হয়ে কাজ করে। সেই সঙ্গে আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, মাজনুন মিজান, জয়রাজ— তাঁদের মতো অভিজ্ঞ শিল্পীদেরও নিয়েছি। ছবিতে গান গেয়েছেন মমতাজ, হৃদয় খান, নচিকেতা। তাঁদের প্যাটার্নের বাইরে গিয়ে গান করিয়েছি। এ ছবিতে নচিকেতা প্রায় ২০ বছর পর র্যাপ গেয়েছেন। তিনি নিজেই বলেছেন আমাকে।
এ ছবিতে পরিচালনার পাশাপাশি নিজেও অভিনয় করেছেন। নিজের পরিচালনায় অভিনয় করা কতখানি চাপের?
বেশ চাপের। একইসঙ্গে পরিচালনা ও অভিনয় করাটা কষ্টসাধ্য। তবে আমার ছবির ক্ষেত্রে যেটা সুবিধা হয়েছে, সারাদিনে দুটি-তিনটি সিন করেছি। নাটকে তো আমরা একদিনে ২০টি সিনও করি। ছবিতে সেটা করিনি। ফলে সময় পাওয়া গেছে অনেক।
ছবি মুক্তির দিন হিসেবে বছরের শেষ দিনটিকে বেছে নেওয়ার কোনো কারণ আছে?
আমি ইচ্ছে করে এ দিনটি বেছে নিয়েছি। ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর আমি ‘রাত জাগা ফুল’ ছবির শুটিং শুরু করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম মার্চ মাসে কাজ শেষ করতে। কিন্তু করোনার কারণে চারদিনের শুটিং ফেঁসে যাই, সেটা গত বছরের শেষদিকে। এ বছরের পুরো সময় পোস্ট প্রোডাকশনে সময় দিয়েছি। আমার মাথায় সবসময় একটা বিষয় কাজ করে— মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। সে কারণে প্রথম ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শেষে ছবিটি মুক্তি দিতে চেয়েছি।
বাংলা ছবির অবস্থা এখন ততটা ভালো নয়। করোনা পরবর্তী সময়ে দর্শককে হলে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দর্শকদের রুচিও বদলেছে। এ সময়ে কী ধরনের ছবি তৈরি হওয়া উচিত বলে মনে হয় আপনার?
আমি যেটা বানিয়েছি, আমার মনে হয় এ ধরনের ছবির মধ্যেই থাকা উচিত এখন। আমরা তো কোনো না কোনো সমস্যার মধ্য দিয়েই গিয়েছি সব সময়। একটা সময় অশ্লীলতা ছিল, আবার মহামারীতে স্থবিরতা তৈরি হলো, কিন্তু জীবন তো থেমে নেই। জীবন তার মতো করে চলছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এল। সেখানেও আমরা দেখছি, গল্পের ভিন্নতা, চরিত্রের বৈচিত্র— এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে। নতুনত্ব এসেছে। আমার ছবিটিও দর্শক যখন দেখবেন, নতুনত্ব পাবেন।
অনেক বছর ধরেই আপনি অভিনয় করছেন। দীর্ঘ সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রে আপনাকে সেভাবে পাওয়া গেল না কেন?
আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার জন্য কেউ কিছুই করেননি। সবকিছু আমার নিজেকেই করতে হয়েছে। আমার জন্য দেবদূতের মতো একজন বড় নির্মাতা এগিয়ে আসেননি। গিয়াসউদ্দীন সেলিম, অমিতাভ রেজা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিহাব শাহীন বা সালাউদ্দীন লাভলু— তাঁরা কেউ কোনোদিন মীর সাব্বিরকে নিয়ে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি। নাটকের ক্ষেত্রেও যদি বলি, আমার যে নাটকগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেগুলোও কোনো না কোনোভাবে হয়তো আমার গল্প, নয়তো আমার পরিচালনা। অন্যরা আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমাকে তাঁদের নাটকে নিয়েছেন নিজেদের স্বার্থে। এজন্য আমি ভেবেছি, নিজের জন্য আমাকেই কাজটি করতে হবে।
অভিনেতা মীর সাব্বির পরিচালনাও করেন। এতদিন তাঁকে নাট্য পরিচালক হিসেবে দেখা গেলেও এবার তিনি আসছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে। ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘রাত জাগা ফুল’।
‘রাত জাগা ফুল’ আপনার পরিচালিত প্রথম ছবি। এর আগেও অনেক নাটক বানিয়েছেন। ছবি বানানোর অভিজ্ঞতা কেমন?
খুবই টাফ। কারণ আমরা যেভাবে ভাবি, দুম করে বানিয়ে ফেললাম— এভাবে ছবি হয় না। আমরা নাটক দেখি আই লেভেলে। আর ছবি দেখি বড় পর্দায়। হলে সারিবদ্ধ হয়ে বসার সিস্টেমটাও কিন্তু ছবি দেখার ক্ষেত্রে ডিফরেন্ট লুক তৈরি করে। এ ছবি বানাতে গিয়ে প্রথমেই আমরা মাথায় রেখেছি, হলে কীভাবে দেখবে দর্শক। সেভাবে বানিয়েছি। নাটক ও সিনেমা— দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। ছবি বানানোর প্রক্রিয়াটা খুবই টাফ। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা খুব জরুরি।
প্রথম ছবিতে নির্মাতারা সাধারণত বড় তারকা নিতে চান। আপনি নতুনদের নিয়ে ঝুঁকি নিলেন কেন?
এ ছবির গল্পই আমার হিরো। গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাস্টিং করাটা অনেক ইমপরটেন্ট। গল্প অনুযায়ী যাকে উপযুক্ত মনে হয়েছে, তাঁকে নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, নতুনরা অনেক ডেডিকেট হয়ে কাজ করে। সেই সঙ্গে আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শর্মিলী আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, মাজনুন মিজান, জয়রাজ— তাঁদের মতো অভিজ্ঞ শিল্পীদেরও নিয়েছি। ছবিতে গান গেয়েছেন মমতাজ, হৃদয় খান, নচিকেতা। তাঁদের প্যাটার্নের বাইরে গিয়ে গান করিয়েছি। এ ছবিতে নচিকেতা প্রায় ২০ বছর পর র্যাপ গেয়েছেন। তিনি নিজেই বলেছেন আমাকে।
এ ছবিতে পরিচালনার পাশাপাশি নিজেও অভিনয় করেছেন। নিজের পরিচালনায় অভিনয় করা কতখানি চাপের?
বেশ চাপের। একইসঙ্গে পরিচালনা ও অভিনয় করাটা কষ্টসাধ্য। তবে আমার ছবির ক্ষেত্রে যেটা সুবিধা হয়েছে, সারাদিনে দুটি-তিনটি সিন করেছি। নাটকে তো আমরা একদিনে ২০টি সিনও করি। ছবিতে সেটা করিনি। ফলে সময় পাওয়া গেছে অনেক।
ছবি মুক্তির দিন হিসেবে বছরের শেষ দিনটিকে বেছে নেওয়ার কোনো কারণ আছে?
আমি ইচ্ছে করে এ দিনটি বেছে নিয়েছি। ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর আমি ‘রাত জাগা ফুল’ ছবির শুটিং শুরু করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম মার্চ মাসে কাজ শেষ করতে। কিন্তু করোনার কারণে চারদিনের শুটিং ফেঁসে যাই, সেটা গত বছরের শেষদিকে। এ বছরের পুরো সময় পোস্ট প্রোডাকশনে সময় দিয়েছি। আমার মাথায় সবসময় একটা বিষয় কাজ করে— মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। সে কারণে প্রথম ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শেষে ছবিটি মুক্তি দিতে চেয়েছি।
বাংলা ছবির অবস্থা এখন ততটা ভালো নয়। করোনা পরবর্তী সময়ে দর্শককে হলে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দর্শকদের রুচিও বদলেছে। এ সময়ে কী ধরনের ছবি তৈরি হওয়া উচিত বলে মনে হয় আপনার?
আমি যেটা বানিয়েছি, আমার মনে হয় এ ধরনের ছবির মধ্যেই থাকা উচিত এখন। আমরা তো কোনো না কোনো সমস্যার মধ্য দিয়েই গিয়েছি সব সময়। একটা সময় অশ্লীলতা ছিল, আবার মহামারীতে স্থবিরতা তৈরি হলো, কিন্তু জীবন তো থেমে নেই। জীবন তার মতো করে চলছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এল। সেখানেও আমরা দেখছি, গল্পের ভিন্নতা, চরিত্রের বৈচিত্র— এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে। নতুনত্ব এসেছে। আমার ছবিটিও দর্শক যখন দেখবেন, নতুনত্ব পাবেন।
অনেক বছর ধরেই আপনি অভিনয় করছেন। দীর্ঘ সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্রে আপনাকে সেভাবে পাওয়া গেল না কেন?
আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার জন্য কেউ কিছুই করেননি। সবকিছু আমার নিজেকেই করতে হয়েছে। আমার জন্য দেবদূতের মতো একজন বড় নির্মাতা এগিয়ে আসেননি। গিয়াসউদ্দীন সেলিম, অমিতাভ রেজা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শিহাব শাহীন বা সালাউদ্দীন লাভলু— তাঁরা কেউ কোনোদিন মীর সাব্বিরকে নিয়ে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি। নাটকের ক্ষেত্রেও যদি বলি, আমার যে নাটকগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে, সেগুলোও কোনো না কোনোভাবে হয়তো আমার গল্প, নয়তো আমার পরিচালনা। অন্যরা আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমাকে তাঁদের নাটকে নিয়েছেন নিজেদের স্বার্থে। এজন্য আমি ভেবেছি, নিজের জন্য আমাকেই কাজটি করতে হবে।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
৭ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
৭ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৮ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে