তারিক আনাম খান
কী লিখব? কী লিখব না?
কাকে লিখব? কাকে জানাব? অথবা জানাব না?
কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব?
আমি কি দায়ী? আমার দায় কি এড়াতে পারি?
অনেকেই আমার ছাত্র, স্নেহভাজন। তারা মান্যিগণ্যি করে। এ এক বড় কষ্ট! তাদের কি ভুল শিক্ষা দিয়েছি? বোধ হয় তাই!
তাদেরকে শিল্পের ও শিল্পীর দায়বদ্ধতা বোঝাতে পারিনি, এ ব্যর্থতা আমার, আমাদের অনেকের।
তাদেরকে ইতিহাস জানাতে পারিনি—
’৬৯-এর গণ–আন্দোলনে শিল্পীদের, অভিনেতাদের কী বিশাল ভূমিকা ছিল। ’৭১-এ স্বাধীনতা অর্জন করতে সেই অভিনয়শিল্পীরা কী করে যোদ্ধা হয়ে উঠেছিল! তারপর... ’৮৪, ’৮৫, ’৯০… সামরিক শাসনবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আন্দোলন…। কেউ কেউ বলতে পারে এগুলো রাজনীতির সাথে জড়িত...আমি রাজনীতি করতে চাই না।…তাহলে তো বাংলাদেশ হতো না! শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য এবং তার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে আমার এ দেশের অস্তিত্ব কী?
এ আমারই ব্যর্থতা, আমার পরবর্তী প্রজন্মকে শিল্পীর দায়বদ্ধতার জায়গাটা বোঝাতে না পারা। জনপ্রিয়তা, অর্থ উপার্জন দোষের কিছু নয়। কিন্তু সস্তা জনপ্রিয়তা, অর্থ গৃধ্নুতা, ভোগবিলাসে মত্ত জীবন-মানুষের মনে (যাদের জন্য শিল্পকর্ম করি) ভালোবাসার স্থায়ী আসন গড়তে পারে না। আমাদের মঞ্চনাটক, টেলিভিশন নাটক এখনো ঐতিহ্যকে ধারণ করে দর্শকের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আছে। তাকে কোনোভাবেই অমর্যাদাকর স্থানে নামানো যাবে না। সুখের কথা, নাটকে একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, সেটাকে এগিয়ে নিতে হবে। চাই, সুস্থ সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
‘অর্টিজম’ সম্পর্কে যে কথা একটি নাটকে বলা হলো, সেটি শিক্ষা এবং জ্ঞানের অভাব নিঃসন্দেহে। আগামী দিনে এই বিশেষ শিশু/মানুষগুলো আমাদের পৃথিবীকে হয়তো অন্যভাবে চেনাবে; কে জানে! শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড মানুষগুলো ইতিমধ্যেই তা আমাদের দেখিয়েছেন। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই যে ভুলটা বোঝার সঙ্গে সঙ্গে নাটক-সংশ্লিষ্টরা অনেকেই ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তাঁরা যদি এ বিষয়ে সমাজ সচেতনতার জন্য এগিয়ে আসেন, খুশি হব। শুধু এই নাটকে নয়, অনেক নাটকেই শিক্ষা, সচেতনতার বড় অভাব দেখতে পাই। মেয়েদের হেয় করা, অপ্রয়োজনীয় ভায়োলেন্স, রুচিহীন উপস্থাপন, আমাদের অনেক অর্জনকেই খাটো করে দিচ্ছে।
আজ খুব বড় প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা। শিল্পের শিক্ষাটা, সঠিক পাঠটা গ্রহণ করে শিল্পকর্মে নিজেকে নিয়োজিত করা। সমাজের জন্য, মানুষের জন্য দরদ-ভালোবাসা না থাকলে অর্থ উপার্জনের আরও অনেক পথ আছে, সেগুলো খোঁজাই শ্রেয়। দর্শন এবং বিশ্বাস না থাকলে শিল্পচর্চা অন্তঃসারশূন্য ভাঁড়ামো কেবল।
কাল বড় নিষ্ঠুর, সে কাউকে ক্ষমা করে না। দায়বদ্ধতাহীন, শৃঙ্খলাহীন শিল্পচর্চা বেশিদিন টিকে থাকে না। আজ যাকে খুব প্রয়োজন, কাল সে মূল্যহীন—ইতিহাস তাই বলে।
“Love Art in Yourself, not Yourself in Art” - Konstantin Stanislavsky.
[লেখাটি বরেণ্য অভিনেতা তারিক আনাম খানের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]
কী লিখব? কী লিখব না?
কাকে লিখব? কাকে জানাব? অথবা জানাব না?
কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব?
আমি কি দায়ী? আমার দায় কি এড়াতে পারি?
অনেকেই আমার ছাত্র, স্নেহভাজন। তারা মান্যিগণ্যি করে। এ এক বড় কষ্ট! তাদের কি ভুল শিক্ষা দিয়েছি? বোধ হয় তাই!
তাদেরকে শিল্পের ও শিল্পীর দায়বদ্ধতা বোঝাতে পারিনি, এ ব্যর্থতা আমার, আমাদের অনেকের।
তাদেরকে ইতিহাস জানাতে পারিনি—
’৬৯-এর গণ–আন্দোলনে শিল্পীদের, অভিনেতাদের কী বিশাল ভূমিকা ছিল। ’৭১-এ স্বাধীনতা অর্জন করতে সেই অভিনয়শিল্পীরা কী করে যোদ্ধা হয়ে উঠেছিল! তারপর... ’৮৪, ’৮৫, ’৯০… সামরিক শাসনবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির আন্দোলন…। কেউ কেউ বলতে পারে এগুলো রাজনীতির সাথে জড়িত...আমি রাজনীতি করতে চাই না।…তাহলে তো বাংলাদেশ হতো না! শিল্প, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য এবং তার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে আমার এ দেশের অস্তিত্ব কী?
এ আমারই ব্যর্থতা, আমার পরবর্তী প্রজন্মকে শিল্পীর দায়বদ্ধতার জায়গাটা বোঝাতে না পারা। জনপ্রিয়তা, অর্থ উপার্জন দোষের কিছু নয়। কিন্তু সস্তা জনপ্রিয়তা, অর্থ গৃধ্নুতা, ভোগবিলাসে মত্ত জীবন-মানুষের মনে (যাদের জন্য শিল্পকর্ম করি) ভালোবাসার স্থায়ী আসন গড়তে পারে না। আমাদের মঞ্চনাটক, টেলিভিশন নাটক এখনো ঐতিহ্যকে ধারণ করে দর্শকের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে আছে। তাকে কোনোভাবেই অমর্যাদাকর স্থানে নামানো যাবে না। সুখের কথা, নাটকে একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, সেটাকে এগিয়ে নিতে হবে। চাই, সুস্থ সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
‘অর্টিজম’ সম্পর্কে যে কথা একটি নাটকে বলা হলো, সেটি শিক্ষা এবং জ্ঞানের অভাব নিঃসন্দেহে। আগামী দিনে এই বিশেষ শিশু/মানুষগুলো আমাদের পৃথিবীকে হয়তো অন্যভাবে চেনাবে; কে জানে! শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড মানুষগুলো ইতিমধ্যেই তা আমাদের দেখিয়েছেন। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই যে ভুলটা বোঝার সঙ্গে সঙ্গে নাটক-সংশ্লিষ্টরা অনেকেই ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তাঁরা যদি এ বিষয়ে সমাজ সচেতনতার জন্য এগিয়ে আসেন, খুশি হব। শুধু এই নাটকে নয়, অনেক নাটকেই শিক্ষা, সচেতনতার বড় অভাব দেখতে পাই। মেয়েদের হেয় করা, অপ্রয়োজনীয় ভায়োলেন্স, রুচিহীন উপস্থাপন, আমাদের অনেক অর্জনকেই খাটো করে দিচ্ছে।
আজ খুব বড় প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা। শিল্পের শিক্ষাটা, সঠিক পাঠটা গ্রহণ করে শিল্পকর্মে নিজেকে নিয়োজিত করা। সমাজের জন্য, মানুষের জন্য দরদ-ভালোবাসা না থাকলে অর্থ উপার্জনের আরও অনেক পথ আছে, সেগুলো খোঁজাই শ্রেয়। দর্শন এবং বিশ্বাস না থাকলে শিল্পচর্চা অন্তঃসারশূন্য ভাঁড়ামো কেবল।
কাল বড় নিষ্ঠুর, সে কাউকে ক্ষমা করে না। দায়বদ্ধতাহীন, শৃঙ্খলাহীন শিল্পচর্চা বেশিদিন টিকে থাকে না। আজ যাকে খুব প্রয়োজন, কাল সে মূল্যহীন—ইতিহাস তাই বলে।
“Love Art in Yourself, not Yourself in Art” - Konstantin Stanislavsky.
[লেখাটি বরেণ্য অভিনেতা তারিক আনাম খানের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]
আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
৩ ঘণ্টা আগেঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির ঘর ভাঙার গুঞ্জন এখন বলিউডের লোকের মুখে মুখে। এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। কখনো সংসারে বনিবনা না হওয়া কখনোবা তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে কুলুপ এঁটে ছিলেন পুরো বচ্চন পরিবার। এসবের মধ্যেই নিজের ব্ল
৪ ঘণ্টা আগেশুধু কিং খানই নন, তাঁর নিশানায় ছিলেন বাদশাপুত্র আরিয়ান খানও। শাহরুখের নিরাপত্তাবলয়ের বিষয়েও খুঁটিনাটি তথ্য ইন্টারনেট ঘেঁটে জোগাড় করেছিলেন ফয়জান। এমনকি শাহরুখ এবং আরিয়ান নিত্যদিন কোথায়, কখন যেতেন, কী করতেন সমস্ত গতিবিধির ওপর নজর ছিল ধৃতর। পুলিশি সূত্রে খবর, রীতিমতো আটঘাট বেঁধে শাহরুখ খানকে খুনের হুম
৭ ঘণ্টা আগেগত বছরের শেষ দিকে ‘নীলচক্র’ সিনেমার খবর দিয়েছিলেন আরিফিন শুভ। এতে শুভর বিপরীতে অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। শুটিং শেষে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। ট্রেন্ডি ও সমসাময়িক গল্পে নীলচক্র বানিয়েছেন মিঠু খান।
৯ ঘণ্টা আগে