বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শতবর্ষে বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান নির্মাতা মৃণাল সেন। ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরের সদর এলাকার ঝিলটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ফরিদপুরে তিনি তাঁর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ালেখা সম্পন্ন করে পশ্চিম বাংলার কলকাতায় স্থায়ী হন। উপমহাদেশে সৎ ও চিন্তাশীল চলচ্চিত্রে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ‘ভুবন সোম’। ২৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৬টি চলচ্চিত্র বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থও লিখেছেন মৃণাল সেন। জন্মদিনে যেনে নেওয়া যাক তাঁর পাঁচটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
‘ইন্টারভিউ’
ইন্টারভিউ মৃণাল সেনের ‘কলকাতা ট্রিলজি’র প্রথম চলচ্চিত্র। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রঞ্জিত মল্লিক। চলচ্চিত্রটিতে সেসময়ের কলকাতার উত্তাল দিনগুলোর ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটিতে সাধারণ মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরেন পরিচালক। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ঔপনিবেশিক ধারণা পুষে রাখার মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল।
‘কলকাতা ৭১’
মৃণাল সেনের ‘কলকাতা ট্রিলজি’র দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘কলকাতা ৭১ ’। চলচ্চিত্রটিতে কলকাতার খাদ্যসংকট, সত্তরের নকশাল আন্দোলন উঠে এসেছে। এটি চারটি আলাদা গল্পের সমষ্টি। সমরেশ বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ সান্যাল ও মৃণাল সেনের চারটি গল্পের ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত ও মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘পদাতিক’
‘কলকাতা ট্রিলজি’র শেষ চলচ্চিত্র ‘পদাতিক’–এ সেই সময়ের কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরেছেন মৃণাল সেন। এই চলচ্চিত্রটি ১ আগস্ট ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। এক রাজনৈতিক কর্মীকে নিয়ে লেখা গল্পে প্রধান চরিত্র করেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।
‘মৃগয়া’
মৃগয়া চলচ্চিত্রটি ১৯৭৬ সালে ভাগবতী চরণ পানিগ্রাহী রচিত ছোট গল্প ‘শিকার’ এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সম্পর্ক এবং ১৯২০-র ভারতীয় ভূস্বামীদের শোষণ চিত্রায়িত হয়েছে। ২৪ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এ মৃগয়া দুটি পুরস্কার লাভ করে-সেরা কাহিনি চিত্র এবং সেরা অভিনেতা। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান মিঠুন চক্রবর্তী। এটি ১৯৭৭ সালে দশম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন সেন্ট জর্জ পুরস্কার’–এর জন্য মনোনীত হওয়া ছাড়াও সেরা চলচ্চিত্রের জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারও লাভ করে।
‘খণ্ডহর’
প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ হয়েছে। শাবানা আজমি, নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্ত্রে রিগা বিভাগে প্রদর্শিত হয়ছিল। তিন বন্ধুকে ঘিরে চলচ্চিত্রের গল্পটি আবর্তিত হয়। তিন বন্ধু একসময় শহর ছেড়ে এক গণ্ডগ্রামে গিয়ে দিন তিনেকের ছুটি কাটানোর জন্য যান। আর সেই ছুটি কাটানোর অভিজ্ঞতা ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে সিনেমার কাহিনি। চলচ্চিত্রটির জন্য শাবানা আজমি পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একই সঙ্গে ছবিটির সম্পাদনকারী মৃন্ময় চক্রবর্তী পেয়েছিলেন সেরা সম্পাদনকারীর পুরস্কার। এ ছাড়া শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে গোল্ডেন হুগো আর মন্ট্রিয়েল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার জিতে নেয় ‘খণ্ডহর’।
শতবর্ষে বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান নির্মাতা মৃণাল সেন। ১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা শহরের সদর এলাকার ঝিলটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ফরিদপুরে তিনি তাঁর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ালেখা সম্পন্ন করে পশ্চিম বাংলার কলকাতায় স্থায়ী হন। উপমহাদেশে সৎ ও চিন্তাশীল চলচ্চিত্রে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ‘ভুবন সোম’। ২৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ৬টি চলচ্চিত্র বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থও লিখেছেন মৃণাল সেন। জন্মদিনে যেনে নেওয়া যাক তাঁর পাঁচটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
‘ইন্টারভিউ’
ইন্টারভিউ মৃণাল সেনের ‘কলকাতা ট্রিলজি’র প্রথম চলচ্চিত্র। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন রঞ্জিত মল্লিক। চলচ্চিত্রটিতে সেসময়ের কলকাতার উত্তাল দিনগুলোর ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটিতে সাধারণ মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরেন পরিচালক। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ঔপনিবেশিক ধারণা পুষে রাখার মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল।
‘কলকাতা ৭১’
মৃণাল সেনের ‘কলকাতা ট্রিলজি’র দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘কলকাতা ৭১ ’। চলচ্চিত্রটিতে কলকাতার খাদ্যসংকট, সত্তরের নকশাল আন্দোলন উঠে এসেছে। এটি চারটি আলাদা গল্পের সমষ্টি। সমরেশ বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ সান্যাল ও মৃণাল সেনের চারটি গল্পের ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত ও মাধবী মুখোপাধ্যায়।
‘পদাতিক’
‘কলকাতা ট্রিলজি’র শেষ চলচ্চিত্র ‘পদাতিক’–এ সেই সময়ের কলকাতার আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরেছেন মৃণাল সেন। এই চলচ্চিত্রটি ১ আগস্ট ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। এক রাজনৈতিক কর্মীকে নিয়ে লেখা গল্পে প্রধান চরিত্র করেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।
‘মৃগয়া’
মৃগয়া চলচ্চিত্রটি ১৯৭৬ সালে ভাগবতী চরণ পানিগ্রাহী রচিত ছোট গল্প ‘শিকার’ এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটিতে ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে সম্পর্ক এবং ১৯২০-র ভারতীয় ভূস্বামীদের শোষণ চিত্রায়িত হয়েছে। ২৪ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এ মৃগয়া দুটি পুরস্কার লাভ করে-সেরা কাহিনি চিত্র এবং সেরা অভিনেতা। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতা হিসেবে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পান মিঠুন চক্রবর্তী। এটি ১৯৭৭ সালে দশম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন সেন্ট জর্জ পুরস্কার’–এর জন্য মনোনীত হওয়া ছাড়াও সেরা চলচ্চিত্রের জন্য ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কারও লাভ করে।
‘খণ্ডহর’
প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছোটগল্প অবলম্বনে হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ হয়েছে। শাবানা আজমি, নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্ত্রে রিগা বিভাগে প্রদর্শিত হয়ছিল। তিন বন্ধুকে ঘিরে চলচ্চিত্রের গল্পটি আবর্তিত হয়। তিন বন্ধু একসময় শহর ছেড়ে এক গণ্ডগ্রামে গিয়ে দিন তিনেকের ছুটি কাটানোর জন্য যান। আর সেই ছুটি কাটানোর অভিজ্ঞতা ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে সিনেমার কাহিনি। চলচ্চিত্রটির জন্য শাবানা আজমি পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একই সঙ্গে ছবিটির সম্পাদনকারী মৃন্ময় চক্রবর্তী পেয়েছিলেন সেরা সম্পাদনকারীর পুরস্কার। এ ছাড়া শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে গোল্ডেন হুগো আর মন্ট্রিয়েল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার জিতে নেয় ‘খণ্ডহর’।
বিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতক শিশুর দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমণি।
১৪ মিনিট আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
৩৭ মিনিট আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
৬ ঘণ্টা আগেঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন দম্পতির ঘর ভাঙার গুঞ্জন এখন বলিউডের লোকের মুখে মুখে। এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। কখনো সংসারে বনিবনা না হওয়া কখনোবা তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও এ নিয়ে কুলুপ এঁটে ছিলেন পুরো বচ্চন পরিবার। এসবের মধ্যেই নিজের ব্ল
৭ ঘণ্টা আগে