বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: পর্দায় কখনো কঠোর, কখনো স্নেহময়, কখনো আদর্শবাদী, আবার কখনো বিপথগামী বাবার দেখা পেয়েছি। বাংলাদেশের সিনেমায়ও বাবা চরিত্রর দেখা পেয়েছি নানাভাবে। বাস্তবে নায়করাজ রাজ্জাকের দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট সিনেমায় এসেছেন। সোহেল রানার ছেলে ইয়ুলও অভিনয় করছেন সিনেমায়। বাবা গোলাম মুস্তাফার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয়ে এসেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। আবুল হায়াত ও বিপাশা হায়াত দুজনেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাবা আলী যাকেরের পথে অভিনয়ে এসেছেন ইরেশ যাকের। শহীদ বুদ্ধিজীবী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের সন্তান অনল রায়হান, বিপুল রায়হান ও তপু রায়হান চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত। বিপুল ও অনল নাট্য নির্মাতা এবং তপু অভিনেতা। প্রখ্যাত নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। ওমর সানী-মৌসুমীর ছেলে ফারদীন আত্মপ্রকাশ করেছেন চিত্র পরিচালক হিসেবে। ইনামুল হক ও লাকি ইনামের সন্তান হৃদি হক অভিনেত্রী ও পরিচালক। রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারের কন্যা ত্রপা মজুমদার অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাত।
পশ্চিমবঙ্গে ও বলিউডে ষাটের দশকের প্রখ্যাত নায়ক বিশ্বজিতের ছেলে প্রসেনজিৎ খ্যাতিতে বাবাকে ছাড়িয়ে গেছেন। বিশ্বজিতের দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিল বেশ তিক্ত। তবে দীর্ঘ ২০ বছর পর তাঁদের মধ্যে বরফ গলে। বলিউডে তো প্রজন্মের পর প্রজন্ম অভিনয়জগতের সঙ্গে থাকেন। যেমন রাজকাপুরদের পরিবারের কথাই বলা যাক, রাজকাপুরের ছেলে রণধীর ও ঋষি বলিউডের পরিচিত মুখ। তাঁদের সন্তান কারিনা, কারিশমা, রণবীরদের জনপ্রিয়তা নিয়েও নতুন করে কিছু বলার নেই। হলিউডেও ডেনজল ওয়াশিংটনের ছেলে জন ডেভিড ইতিমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন। ক্লিন্ট ইস্টউডের ছেলে স্কটও হলিউডের পরিচিত মুখ।
পর্দার দাপুটে বাবা
বাংলাদেশে নির্মিত অনেক সিনেমাতেই চিত্রনাট্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাবার চরিত্র। একসময় পর্দায় দাপুটে বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফতেহ লোহানী, খলিল, গোলাম মুস্তাফা, দারাশিকো, আবদুল মতিন। আদর্শবাদী বাবার ভূমিকায় মানানসই ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও প্রবীর মিত্র। পরবর্তী সময়ে রাজীব, আহমদ শরীফ খলনায়ক থেকে রাগী বাবার ভূমিকায় দর্শকপ্রিয়তা পান। পশ্চিমবঙ্গে দাপুটে ও রাশভারী বাবার ভূমিকায় ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, উৎপল দত্ত ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। স্নেহময় বাবার ভূমিকায় মানানসই ছিলেন পাহাড়ী স্যানাল, কালী ব্যানার্জি। পরবর্তী সময়ে দীপংকর দে, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীল চট্টোপাধ্যায় বাবার ভূমিকায় সার্থক অভিনয় করেছেন। বাবাদের চরিত্র বরাবরই বলিউডের ছবিতে গুরুত্বের সঙ্গে ঠাঁই পায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রগুলোর ধরনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি হারিয়ে গেছেন সেই সব চরিত্র করা প্রিয় মুখগুলোও। অমরেশ পুরি, অমিতাভ বচ্চন, কাদের খান, অলোক নাথ, অনুপম খেররা বাবা চরিত্র করা বলিউডের সবচেয়ে সফল অভিনেতা।
বাবাকেন্দ্রিক সিনেমা
বাংলাদেশে নির্মিত বাবাকেন্দ্রিক সিনেমার মধ্যে ক্ল্যাসিক হলো ‘দ্য ফাদার’। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটির কাহিনিও অত্যন্ত ব্যতিক্রমী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ‘বাবা কেন চাকর’ সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি ব্যবসাসফল হয়। ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ সিনেমায় স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন বুলবুল আহমেদ একক বাবা হিসেবে শিশুসন্তানকে বড় করে তোলেন। আশির দশকে ‘আগুন’ ছবিতে বাবা-ছেলের দ্বৈত ভূমিকায় ছিলেন রাজ্জাক। ‘নয়নের আলো’ ছবিতে ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’ আশির দশকে লোকের মুখে মুখে ফিরত। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর আর পর্দায় ছিলেন প্রয়াত জাফর ইকবাল। ‘দীপু নাম্বার টু’ সিনেমায় একক বাবা বুলবুল আহমেদের সঙ্গে তাঁর সন্তানের সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে।
উপমহাদেশের বাইরে বাবা-সন্তানের গল্প নিয়ে আরও অসংখ্য সিনেমা রয়েছে। দেখে নিতে পারেন—বাইসাইকেল থিফ (১৯৪৮), ফাইন্ডিং নিমো (২০০৩), ডেসপিকেবল মি (২০১০), দ্য পারসুইট অব হ্যাপিনেস (২০০৬), জারসি গার্ল (২০০৪), দ্য ক্রুডস (২০১৩), লাইফ ইজ বিউটিফুল (১৯৯৭), দ্য কিড (১৯২১), দেয়ার উইল বি ব্লাড (২০০৭), উড়ান (২০১০), আ ট্রি গ্রোস ইন ব্রুকলিন (১৯৪৫), ব্লিডিং স্টিল (২০১৭), ওয়্যার অব দ্য ওয়ার্ল্ড (২০০৫), ফ্লাই অ্যাওয়ে হোম (১৯৯৬), আফটার আর্থ (২০১৩), নিম’স আইল্যান্ড (২০০৮) ইত্যাদি।
ঢাকা: পর্দায় কখনো কঠোর, কখনো স্নেহময়, কখনো আদর্শবাদী, আবার কখনো বিপথগামী বাবার দেখা পেয়েছি। বাংলাদেশের সিনেমায়ও বাবা চরিত্রর দেখা পেয়েছি নানাভাবে। বাস্তবে নায়করাজ রাজ্জাকের দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট সিনেমায় এসেছেন। সোহেল রানার ছেলে ইয়ুলও অভিনয় করছেন সিনেমায়। বাবা গোলাম মুস্তাফার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয়ে এসেছেন সুবর্ণা মুস্তাফা। আবুল হায়াত ও বিপাশা হায়াত দুজনেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাবা আলী যাকেরের পথে অভিনয়ে এসেছেন ইরেশ যাকের। শহীদ বুদ্ধিজীবী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের সন্তান অনল রায়হান, বিপুল রায়হান ও তপু রায়হান চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত। বিপুল ও অনল নাট্য নির্মাতা এবং তপু অভিনেতা। প্রখ্যাত নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। ওমর সানী-মৌসুমীর ছেলে ফারদীন আত্মপ্রকাশ করেছেন চিত্র পরিচালক হিসেবে। ইনামুল হক ও লাকি ইনামের সন্তান হৃদি হক অভিনেত্রী ও পরিচালক। রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারের কন্যা ত্রপা মজুমদার অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাত।
পশ্চিমবঙ্গে ও বলিউডে ষাটের দশকের প্রখ্যাত নায়ক বিশ্বজিতের ছেলে প্রসেনজিৎ খ্যাতিতে বাবাকে ছাড়িয়ে গেছেন। বিশ্বজিতের দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিল বেশ তিক্ত। তবে দীর্ঘ ২০ বছর পর তাঁদের মধ্যে বরফ গলে। বলিউডে তো প্রজন্মের পর প্রজন্ম অভিনয়জগতের সঙ্গে থাকেন। যেমন রাজকাপুরদের পরিবারের কথাই বলা যাক, রাজকাপুরের ছেলে রণধীর ও ঋষি বলিউডের পরিচিত মুখ। তাঁদের সন্তান কারিনা, কারিশমা, রণবীরদের জনপ্রিয়তা নিয়েও নতুন করে কিছু বলার নেই। হলিউডেও ডেনজল ওয়াশিংটনের ছেলে জন ডেভিড ইতিমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন। ক্লিন্ট ইস্টউডের ছেলে স্কটও হলিউডের পরিচিত মুখ।
পর্দার দাপুটে বাবা
বাংলাদেশে নির্মিত অনেক সিনেমাতেই চিত্রনাট্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাবার চরিত্র। একসময় পর্দায় দাপুটে বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফতেহ লোহানী, খলিল, গোলাম মুস্তাফা, দারাশিকো, আবদুল মতিন। আদর্শবাদী বাবার ভূমিকায় মানানসই ছিলেন আনোয়ার হোসেন ও প্রবীর মিত্র। পরবর্তী সময়ে রাজীব, আহমদ শরীফ খলনায়ক থেকে রাগী বাবার ভূমিকায় দর্শকপ্রিয়তা পান। পশ্চিমবঙ্গে দাপুটে ও রাশভারী বাবার ভূমিকায় ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, উৎপল দত্ত ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। স্নেহময় বাবার ভূমিকায় মানানসই ছিলেন পাহাড়ী স্যানাল, কালী ব্যানার্জি। পরবর্তী সময়ে দীপংকর দে, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনীল চট্টোপাধ্যায় বাবার ভূমিকায় সার্থক অভিনয় করেছেন। বাবাদের চরিত্র বরাবরই বলিউডের ছবিতে গুরুত্বের সঙ্গে ঠাঁই পায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রগুলোর ধরনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি হারিয়ে গেছেন সেই সব চরিত্র করা প্রিয় মুখগুলোও। অমরেশ পুরি, অমিতাভ বচ্চন, কাদের খান, অলোক নাথ, অনুপম খেররা বাবা চরিত্র করা বলিউডের সবচেয়ে সফল অভিনেতা।
বাবাকেন্দ্রিক সিনেমা
বাংলাদেশে নির্মিত বাবাকেন্দ্রিক সিনেমার মধ্যে ক্ল্যাসিক হলো ‘দ্য ফাদার’। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটির কাহিনিও অত্যন্ত ব্যতিক্রমী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ‘বাবা কেন চাকর’ সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি ব্যবসাসফল হয়। ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ সিনেমায় স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন বুলবুল আহমেদ একক বাবা হিসেবে শিশুসন্তানকে বড় করে তোলেন। আশির দশকে ‘আগুন’ ছবিতে বাবা-ছেলের দ্বৈত ভূমিকায় ছিলেন রাজ্জাক। ‘নয়নের আলো’ ছবিতে ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’ আশির দশকে লোকের মুখে মুখে ফিরত। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর আর পর্দায় ছিলেন প্রয়াত জাফর ইকবাল। ‘দীপু নাম্বার টু’ সিনেমায় একক বাবা বুলবুল আহমেদের সঙ্গে তাঁর সন্তানের সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে।
উপমহাদেশের বাইরে বাবা-সন্তানের গল্প নিয়ে আরও অসংখ্য সিনেমা রয়েছে। দেখে নিতে পারেন—বাইসাইকেল থিফ (১৯৪৮), ফাইন্ডিং নিমো (২০০৩), ডেসপিকেবল মি (২০১০), দ্য পারসুইট অব হ্যাপিনেস (২০০৬), জারসি গার্ল (২০০৪), দ্য ক্রুডস (২০১৩), লাইফ ইজ বিউটিফুল (১৯৯৭), দ্য কিড (১৯২১), দেয়ার উইল বি ব্লাড (২০০৭), উড়ান (২০১০), আ ট্রি গ্রোস ইন ব্রুকলিন (১৯৪৫), ব্লিডিং স্টিল (২০১৭), ওয়্যার অব দ্য ওয়ার্ল্ড (২০০৫), ফ্লাই অ্যাওয়ে হোম (১৯৯৬), আফটার আর্থ (২০১৩), নিম’স আইল্যান্ড (২০০৮) ইত্যাদি।
পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের কবিতায় ইমন চৌধুরী তৈরি করলেন গান। কবির ‘হলুদ বরণী’ কবিতা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘ফুল নেয়া ভালো নয়’ শিরোনামের গানটি। এই গান দিয়ে শুরু হলো ইমন চৌধুরীর নতুন মিউজিক প্রজেক্ট বেঙ্গল সিম্ফনি।
১২ মিনিট আগেরোজার ঈদে মুক্তি পাবে আদর আজাদ ও শবনম বুবলী অভিনীত সিনেমা ‘পিনিক’। গত শনিবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত পোস্টারে বুবলীকে পাওয়া গেল ভিন্নরূপে।
১৮ মিনিট আগেলাখো তরুণীর হৃদয় ভেঙে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় গায়ক দর্শন রাভাল। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ধারাল সুরেলিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
২ ঘণ্টা আগেএকের পর এক দুর্ঘটনার কবলে বলিউড তারকারা। সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি বলিপাড়ায়। এরই মধ্যে এবার দুর্ঘটনার সম্মুখীন অর্জুন কাপুর। ছাদ ভেঙে গুরুতর জখম হয়েছেন এই অভিনেতা।
৪ ঘণ্টা আগে