জাহীদ রেজা নূর

আশির দশকে ‘ক্রান্তি’ বা ‘শক্তি’ নামে নির্মিত সিনেমার মাধ্যমে দিলীপ কুমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতে পারত। আমাদের বলতে আশির দশকের তরুণদের কথা বলছি। আশির দশকের শুরুতে যখন একটু একটু করে ভিসিআর এসে হাজির হচ্ছে ঢাকা শহরে, সিনেমা হলের মতো টিকিট কেটে হিন্দি ছবি দেখা হচ্ছে বেগমবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায়, সে সময় নির্ঘাত মাঝবয়সী দিলীপ কুমারকে ছোট্ট টিভি স্ক্রিনে দেখার সৌভাগ্য হতো। একসময় এই ভদ্রলোক ‘ট্র্যাজেডি কিং’ উপাধি পেয়েছিলেন, সে কথা পত্র–পত্রিকার লেখালেখির মাধ্যমে রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করা যেত।
ট্র্যাজেডি শব্দটির সঙ্গে উপভোগ শব্দটিকে কি খুবই বিসদৃশ লাগছে? একটু ভেবে দেখলেই পরিষ্কার হবে, আসলে দিলীপ কুমারের ট্র্যাজেডি মানেই বক্স অফিসে 'কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা'। হলভর্তি দর্শক হাপুস নয়নে কাঁদছে, আর প্রযোজকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—এ এক অন্য খেলা! সেই যখন পেশোয়ারে থাকতেন ইউসুফ খান (পরে দিলীপ কুমার), যখন তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন আরেক কিংবদন্তি কাপুর পরিবার, তখনো আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না দিলীপ কুমারদের। কত খাটাখাটনি, বাবার সঙ্গে ঝগড়া, পালিয়ে গিয়ে আর্মি ক্লাবে চাকরি, ফেরার সময় ৫ হাজার রুপি নিয়ে ঘরে ফেরা—নাহ! দিলীপ কুমারের জীবনী এখানে বলার কোনো প্রয়োজন নেই, যারা এ লেখা পড়ছেন, তাঁরা সবাই জানেন দিলীপের জীবনেতিহাস। এখানে শুধু সে কথাই বলার চেষ্টা করছি, আশির দশকে আসলে আমরা কী করে দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। এবং সেটা পেলাম আস্ত রোমান্টিক এবং ট্র্যাজিক কুমারকেই! মাঝবয়সী চরিত্রাভিনেতাকে নয়।
দুই.
এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নিউ ইস্কাটনের বাড়ি থেকে আমাদের নামিয়ে দিল পুলিশ। বাড়ির আসবাবপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে লাগল রাস্তায়। আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশের এই কাণ্ডকীর্তি দেখতে লাগলাম। এ সময় আমার কোনো এক ভাই বুঝতে পারল, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে রাত কাটাতে হবে ফুটপাতে। তাই তখনই বাড়ি খুঁজতে বের হলেন তিনি। একটা ভাড়া বাড়ির খুব প্রয়োজন তখন।
সে সময় জিগাতলা পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়ি পাওয়া গেল। সে এক আকস্মিক ব্যাপার। শুধু তাই নয়, মালপত্র নিয়ে সে বাড়ির একতলায় ওঠার পর দোতলায় বসবাসরত বাড়িওয়ালারা আমাদের মুরগি আর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ালেন রাতে। এ রকম ট্র্যাজেডির মধ্যে এ যেন স্বর্গীয় আদর–যত্ন।
এই জিগাতলায় এলাম বলেই তরুণ দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। কী করে তা সম্ভব হলো, সেটাই বলি। নতুন জায়গা। শহরের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা দূরে। ধানমন্ডি, রায়ের বাজার, হাজারিবাগ খুব কাছে। ট্যানারির বীভৎস গন্ধ প্রায় সব সময় নাকে এসে লাগে। তারই মধ্যে নতুন জীবন। হেঁটে হেঁটে জায়গাটার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। হাজারীবাগ গিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে কিছু দূর এগোলেই সুইপার কলোনি। সেটা পার হয়ে আরও কিছুটা এগোলে বিডিআর মিলনায়তন। সেখানে গিয়ে দেখি ছবি চলছে। সাধারণ সিনেমা হলের চেয়ে টিকিটের দাম কম। ছবির নাম ‘বাবুল’। অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার আর নার্গিস। দিলীপ কুমার বড়লোকের ছেলে। পোস্টমাস্টার হয়ে এসেছেন এই ছোট্ট শহরে। গরিব বাবার মেয়ে নার্গিস। ছবিতে যার নাম বেলা। বেলা আর অশোকের মধ্যে খুব ভাব। বেলার বাবা ভাবেন, অশোক নিশ্চয়ই বেলাকে বিয়ে করবে। এ সময় উষা নামে একটি ধনী বাবার কন্যার সঙ্গে পরিচয় হয় অশোকের। অশোক হয় তার গৃহশিক্ষক। উষা প্রেমে 'পড়ে' অশোকের।
এর পর এগিয়ে চলে কাহিনি। যারা দেখেননি, তাদের কাছে ছবিটি দেখার আহ্বান থাকল। এর বেশি কাহিনি বলে দিলে দেখার আগ্রহ নষ্ট হতে পারে। তবে এটুকু বলে রাখি, ছবিজুড়ে শামসাদ বেগম আর তালাত মাহমুদের গাওয়া গান মন ভরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ঢাকা শহরের একটি সিনেমা হলে ভারতীয় হিন্দি ছবি! আমাদের জানা ছিল, ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান–ভারতের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার পর ভারতীয় ছবির আগমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে প্রিন্টগুলো ছিল এখানে, সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো হতো। ফলে বিডিআর মিলনায়তনে বাবুল, বৈজু বাওরা, লুকোচুরির মতো ছবিগুলো চলত। খুবই খারাপ প্রিন্ট। কিন্তু বারবার তা দেখতাম। লুকোচুরি মনে হয় কুড়িবারের বেশি দেখেছিলাম, বাবুল দেখেছিলাম দশবারের বেশি।
তিন.
দুঃসংবাদগুলো দিয়ে রাখি।
দিলীপ কুমারের ছোট ভাই নাসির খান মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৭৪ সালে। তিনিও ছিলেন নামকরা চলচ্চিত্র অভিনেতা। বৈজয়ন্তী মালা আর দিলীপ কুমারের সঙ্গে তিনি ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
দিলীপ কুমার তাঁর আরও দুই ভাইকে হারিয়েছেন গত বছর। দুজনেই মারা গেছেন কোভিডে। আসলাম খান মারা গেছেন গত বছর আগস্ট মাসে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এহসান খান মারা গেছেন ৯০ বছর বয়সে, গত বছরেরই সেপ্টেম্বরে।
চার.
অমিতাভ বচ্চন বহু আগেই বলেছিলেন, দিলীপ কুমার ভারতের সেরা অভিনেতাদের একজন এবং শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর সেরা অভিনেতাদের অন্যতম।
কথাটা অমিতাভ বাড়িয়ে বলেননি। আমাদের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দিলীপ কুমার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হলে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। ‘দাগ’ ছিল ছবিটার নাম। এর পর আরও সাতবার সেই পুরস্কার জুটেছে তাঁর কপালে। সে সময়কার সেরা অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, নার্গিস, নিম্মি, মিনা কুমারী, কামিনী কৌশল।
এখন তো শিল্পকেও নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্য। সে কারণেই একটি তথ্য এখানে জানিয়ে রাখতে চাই।
পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
এর পর যদি ষাটের দশকের মুঘল–ই–আজম ছবিটির কথা বলি, তাহলে বলতে হবে, ভারতের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ১১ বছর টিকে ছিল সেটা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। ১৯৭১ সালে নির্মিত ‘হাতি মেরা সাথি’ ছবিটি এই রেকর্ড ভঙ্গ করে। এর পর সে রেকর্ডও ভেঙে যায় ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ মুক্তি পাওয়ার পর। তবে অনেকেই বলে থাকেন, যদি মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখা হয়, তাহলে ২০১০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হিসেবে মুঘল–ই আজমকেই সামনে রাখতে হবে। ২০১১ সালের হিসেবে ১০০০ কোটি টাকা আয়ের কথা বলা হচ্ছে!
মুঘল–ই–আজম ছবিটি রাজপুত্র সেলিমকে নিয়ে। আমরা যাকে জাহাঙ্গীর বলে জানি। সেলিম বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁর বাবা আকবরের বিরুদ্ধে। এই ছবিতে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন সেলিমের ভূমিকায়। বাবা আকবর হয়েছিলেন রাজ কাপুরের বাবা পৃত্থীরাজ কাপুর। মধুবালা অভিনয় করেছিলেন আনারকলি চরিত্রে। ছবিটি ছিল সাদা–কালো। শুধু দ্বিতীয় ভাগে কিঞ্চিৎ রঙিন ছিল। ২০০৪ সালে পুরো ছবিটি রঙিন করে আবার সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
পাঁচ.
যদিও এই তথ্য অনেকেই জানেন, পত্র–পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে, তারপরও মনে হয়, এখানে উল্লেখ করা দরকার। ব্রিটিশ পরিচালক ডেভিড লিনকে আমরা চিনি লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবির মাধ্যমে। এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। তিনি সেখানে শেরিফ আলী চরিত্রে দিলীপ কুমারকে চেয়েছিলেন। দিলীপ রাজি হননি। তখন মিসরীয় অভিনেতা ওমর শরিফ ওই চরিত্রে অভিনয় করেন। ওমর শরীফের জীবনে এই ছবি একটি মাইলফলক হয়ে আছে।
যে তথ্য অনেকেই জানেন না, সেটা এখানে বলি। দিলীপ কুমার ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ছবিটি দেখার পর নির্দ্বিধায় বলেছেন, ‘আমি যদি এই ছবিতে অভিনয় করতাম, তাহলে ওমর শরিফের মতো এত ভালো করতে পারতাম না। তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন।’
ডেভিড লিন ‘তাজমহল’ নামে একটি ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে ছবির নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন এলিজাবেথ টেইলরকে। আর নায়ক হিসেবে ভেবেছিলেন দিলীপ কুমারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর হয়নি।
ছয়.
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারে ধস নেমেছিল। ছবিগুলো সেভাবে দর্শক টানতে পারছিল না। তবে ১৯৭০ সালটি আমাদের জন্য খুব আনন্দদায়ক। এ বছর তিনি ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দিলীপ কুমার অভিনীত একমাত্র বাংলা ছবি এটি। ১৯৭৪ সালে এই ছবি হিন্দি ভাষায় আবার করেন তিনি। উত্তর–পূর্ব ভারতের একজন চা শ্রমিক চা বাগানের ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তারই বর্ণনা রয়েছে এই ছবিতে। সায়রা বানু, অনিল চ্যাটার্জি, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। ১৯৭৬ সালে তিনি ছুটি নেন চলচ্চিত্র থেকে। ফিরে আসেন আশির দশকের শুরুতে।
সাত.
লেখাটা এখান থেকেই শুরু করেছিলাম। এ সময় ভিসিআরের মাধ্যমে ছোট পর্দায় দিলীপ কুমারের সঙ্গে মোলাকাত হতে পারত। কিন্তু বিডিআর অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায়ই ট্র্যাজেডির রাজাকে আমরা দেখে ফেলেছিলাম। ‘ক্রান্তি’ ছবিতে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন মনোজ কুমার, শশী কাপুর, হেমা মালিনী, শত্রুঘ্ন সিনহা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন তিনি এই ছবিতে। ভারতের স্বাধীনতার সৈনিক। তারকাবহুল এই ছবি দর্শক লুফে নিয়েছিল। এর পর সুভাষ ঘাইয়ের ‘বিধাতা’। তারপর একই পরিচালকের ‘কর্ম।’ কর্ম নিয়ে একটা কথা বলতে ভালো লাগবে। এই ছবিতে দিলীপ অভিনয় করেছিলেন তাঁরই সমসাময়িক আরেক বড় শিল্পী নুতনের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, ‘শিকওয়া’ নামের একটি ছবিতে তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন আরও তিন দশক আগে। কিন্তু ছবিটি শেষ করা হয়নি। ১৯৮৯ সালেও দিলীপ–নুতন অভিনয় করেন ‘কানুন আপনা আপনা’ নামে ছবিতে।
শেষ ছবিটি ছিল ‘কিলা’। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর পর আর অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।
আট.
এরপরও অনেকগুলো বছর বেঁচেছেন দিলীপ কুমার। বেশ কয়েকবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে আমাদের। পরে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবার কিন্তু মৃত্যু সংবাদটা মিথ্যে ছিল না।
৭ জুলাই চলেই গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শৃঙ্গ স্পর্শ করা এই প্রতিভাবান মানুষটি।

আশির দশকে ‘ক্রান্তি’ বা ‘শক্তি’ নামে নির্মিত সিনেমার মাধ্যমে দিলীপ কুমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতে পারত। আমাদের বলতে আশির দশকের তরুণদের কথা বলছি। আশির দশকের শুরুতে যখন একটু একটু করে ভিসিআর এসে হাজির হচ্ছে ঢাকা শহরে, সিনেমা হলের মতো টিকিট কেটে হিন্দি ছবি দেখা হচ্ছে বেগমবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায়, সে সময় নির্ঘাত মাঝবয়সী দিলীপ কুমারকে ছোট্ট টিভি স্ক্রিনে দেখার সৌভাগ্য হতো। একসময় এই ভদ্রলোক ‘ট্র্যাজেডি কিং’ উপাধি পেয়েছিলেন, সে কথা পত্র–পত্রিকার লেখালেখির মাধ্যমে রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করা যেত।
ট্র্যাজেডি শব্দটির সঙ্গে উপভোগ শব্দটিকে কি খুবই বিসদৃশ লাগছে? একটু ভেবে দেখলেই পরিষ্কার হবে, আসলে দিলীপ কুমারের ট্র্যাজেডি মানেই বক্স অফিসে 'কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা'। হলভর্তি দর্শক হাপুস নয়নে কাঁদছে, আর প্রযোজকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—এ এক অন্য খেলা! সেই যখন পেশোয়ারে থাকতেন ইউসুফ খান (পরে দিলীপ কুমার), যখন তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন আরেক কিংবদন্তি কাপুর পরিবার, তখনো আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না দিলীপ কুমারদের। কত খাটাখাটনি, বাবার সঙ্গে ঝগড়া, পালিয়ে গিয়ে আর্মি ক্লাবে চাকরি, ফেরার সময় ৫ হাজার রুপি নিয়ে ঘরে ফেরা—নাহ! দিলীপ কুমারের জীবনী এখানে বলার কোনো প্রয়োজন নেই, যারা এ লেখা পড়ছেন, তাঁরা সবাই জানেন দিলীপের জীবনেতিহাস। এখানে শুধু সে কথাই বলার চেষ্টা করছি, আশির দশকে আসলে আমরা কী করে দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। এবং সেটা পেলাম আস্ত রোমান্টিক এবং ট্র্যাজিক কুমারকেই! মাঝবয়সী চরিত্রাভিনেতাকে নয়।
দুই.
এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নিউ ইস্কাটনের বাড়ি থেকে আমাদের নামিয়ে দিল পুলিশ। বাড়ির আসবাবপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে লাগল রাস্তায়। আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশের এই কাণ্ডকীর্তি দেখতে লাগলাম। এ সময় আমার কোনো এক ভাই বুঝতে পারল, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে রাত কাটাতে হবে ফুটপাতে। তাই তখনই বাড়ি খুঁজতে বের হলেন তিনি। একটা ভাড়া বাড়ির খুব প্রয়োজন তখন।
সে সময় জিগাতলা পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়ি পাওয়া গেল। সে এক আকস্মিক ব্যাপার। শুধু তাই নয়, মালপত্র নিয়ে সে বাড়ির একতলায় ওঠার পর দোতলায় বসবাসরত বাড়িওয়ালারা আমাদের মুরগি আর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ালেন রাতে। এ রকম ট্র্যাজেডির মধ্যে এ যেন স্বর্গীয় আদর–যত্ন।
এই জিগাতলায় এলাম বলেই তরুণ দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। কী করে তা সম্ভব হলো, সেটাই বলি। নতুন জায়গা। শহরের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা দূরে। ধানমন্ডি, রায়ের বাজার, হাজারিবাগ খুব কাছে। ট্যানারির বীভৎস গন্ধ প্রায় সব সময় নাকে এসে লাগে। তারই মধ্যে নতুন জীবন। হেঁটে হেঁটে জায়গাটার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। হাজারীবাগ গিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে কিছু দূর এগোলেই সুইপার কলোনি। সেটা পার হয়ে আরও কিছুটা এগোলে বিডিআর মিলনায়তন। সেখানে গিয়ে দেখি ছবি চলছে। সাধারণ সিনেমা হলের চেয়ে টিকিটের দাম কম। ছবির নাম ‘বাবুল’। অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার আর নার্গিস। দিলীপ কুমার বড়লোকের ছেলে। পোস্টমাস্টার হয়ে এসেছেন এই ছোট্ট শহরে। গরিব বাবার মেয়ে নার্গিস। ছবিতে যার নাম বেলা। বেলা আর অশোকের মধ্যে খুব ভাব। বেলার বাবা ভাবেন, অশোক নিশ্চয়ই বেলাকে বিয়ে করবে। এ সময় উষা নামে একটি ধনী বাবার কন্যার সঙ্গে পরিচয় হয় অশোকের। অশোক হয় তার গৃহশিক্ষক। উষা প্রেমে 'পড়ে' অশোকের।
এর পর এগিয়ে চলে কাহিনি। যারা দেখেননি, তাদের কাছে ছবিটি দেখার আহ্বান থাকল। এর বেশি কাহিনি বলে দিলে দেখার আগ্রহ নষ্ট হতে পারে। তবে এটুকু বলে রাখি, ছবিজুড়ে শামসাদ বেগম আর তালাত মাহমুদের গাওয়া গান মন ভরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ঢাকা শহরের একটি সিনেমা হলে ভারতীয় হিন্দি ছবি! আমাদের জানা ছিল, ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান–ভারতের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার পর ভারতীয় ছবির আগমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে প্রিন্টগুলো ছিল এখানে, সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো হতো। ফলে বিডিআর মিলনায়তনে বাবুল, বৈজু বাওরা, লুকোচুরির মতো ছবিগুলো চলত। খুবই খারাপ প্রিন্ট। কিন্তু বারবার তা দেখতাম। লুকোচুরি মনে হয় কুড়িবারের বেশি দেখেছিলাম, বাবুল দেখেছিলাম দশবারের বেশি।
তিন.
দুঃসংবাদগুলো দিয়ে রাখি।
দিলীপ কুমারের ছোট ভাই নাসির খান মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৭৪ সালে। তিনিও ছিলেন নামকরা চলচ্চিত্র অভিনেতা। বৈজয়ন্তী মালা আর দিলীপ কুমারের সঙ্গে তিনি ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
দিলীপ কুমার তাঁর আরও দুই ভাইকে হারিয়েছেন গত বছর। দুজনেই মারা গেছেন কোভিডে। আসলাম খান মারা গেছেন গত বছর আগস্ট মাসে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এহসান খান মারা গেছেন ৯০ বছর বয়সে, গত বছরেরই সেপ্টেম্বরে।
চার.
অমিতাভ বচ্চন বহু আগেই বলেছিলেন, দিলীপ কুমার ভারতের সেরা অভিনেতাদের একজন এবং শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর সেরা অভিনেতাদের অন্যতম।
কথাটা অমিতাভ বাড়িয়ে বলেননি। আমাদের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দিলীপ কুমার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হলে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। ‘দাগ’ ছিল ছবিটার নাম। এর পর আরও সাতবার সেই পুরস্কার জুটেছে তাঁর কপালে। সে সময়কার সেরা অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, নার্গিস, নিম্মি, মিনা কুমারী, কামিনী কৌশল।
এখন তো শিল্পকেও নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্য। সে কারণেই একটি তথ্য এখানে জানিয়ে রাখতে চাই।
পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
এর পর যদি ষাটের দশকের মুঘল–ই–আজম ছবিটির কথা বলি, তাহলে বলতে হবে, ভারতের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ১১ বছর টিকে ছিল সেটা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। ১৯৭১ সালে নির্মিত ‘হাতি মেরা সাথি’ ছবিটি এই রেকর্ড ভঙ্গ করে। এর পর সে রেকর্ডও ভেঙে যায় ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ মুক্তি পাওয়ার পর। তবে অনেকেই বলে থাকেন, যদি মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখা হয়, তাহলে ২০১০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হিসেবে মুঘল–ই আজমকেই সামনে রাখতে হবে। ২০১১ সালের হিসেবে ১০০০ কোটি টাকা আয়ের কথা বলা হচ্ছে!
মুঘল–ই–আজম ছবিটি রাজপুত্র সেলিমকে নিয়ে। আমরা যাকে জাহাঙ্গীর বলে জানি। সেলিম বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁর বাবা আকবরের বিরুদ্ধে। এই ছবিতে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন সেলিমের ভূমিকায়। বাবা আকবর হয়েছিলেন রাজ কাপুরের বাবা পৃত্থীরাজ কাপুর। মধুবালা অভিনয় করেছিলেন আনারকলি চরিত্রে। ছবিটি ছিল সাদা–কালো। শুধু দ্বিতীয় ভাগে কিঞ্চিৎ রঙিন ছিল। ২০০৪ সালে পুরো ছবিটি রঙিন করে আবার সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
পাঁচ.
যদিও এই তথ্য অনেকেই জানেন, পত্র–পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে, তারপরও মনে হয়, এখানে উল্লেখ করা দরকার। ব্রিটিশ পরিচালক ডেভিড লিনকে আমরা চিনি লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবির মাধ্যমে। এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। তিনি সেখানে শেরিফ আলী চরিত্রে দিলীপ কুমারকে চেয়েছিলেন। দিলীপ রাজি হননি। তখন মিসরীয় অভিনেতা ওমর শরিফ ওই চরিত্রে অভিনয় করেন। ওমর শরীফের জীবনে এই ছবি একটি মাইলফলক হয়ে আছে।
যে তথ্য অনেকেই জানেন না, সেটা এখানে বলি। দিলীপ কুমার ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ছবিটি দেখার পর নির্দ্বিধায় বলেছেন, ‘আমি যদি এই ছবিতে অভিনয় করতাম, তাহলে ওমর শরিফের মতো এত ভালো করতে পারতাম না। তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন।’
ডেভিড লিন ‘তাজমহল’ নামে একটি ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে ছবির নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন এলিজাবেথ টেইলরকে। আর নায়ক হিসেবে ভেবেছিলেন দিলীপ কুমারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর হয়নি।
ছয়.
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারে ধস নেমেছিল। ছবিগুলো সেভাবে দর্শক টানতে পারছিল না। তবে ১৯৭০ সালটি আমাদের জন্য খুব আনন্দদায়ক। এ বছর তিনি ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দিলীপ কুমার অভিনীত একমাত্র বাংলা ছবি এটি। ১৯৭৪ সালে এই ছবি হিন্দি ভাষায় আবার করেন তিনি। উত্তর–পূর্ব ভারতের একজন চা শ্রমিক চা বাগানের ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তারই বর্ণনা রয়েছে এই ছবিতে। সায়রা বানু, অনিল চ্যাটার্জি, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। ১৯৭৬ সালে তিনি ছুটি নেন চলচ্চিত্র থেকে। ফিরে আসেন আশির দশকের শুরুতে।
সাত.
লেখাটা এখান থেকেই শুরু করেছিলাম। এ সময় ভিসিআরের মাধ্যমে ছোট পর্দায় দিলীপ কুমারের সঙ্গে মোলাকাত হতে পারত। কিন্তু বিডিআর অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায়ই ট্র্যাজেডির রাজাকে আমরা দেখে ফেলেছিলাম। ‘ক্রান্তি’ ছবিতে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন মনোজ কুমার, শশী কাপুর, হেমা মালিনী, শত্রুঘ্ন সিনহা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন তিনি এই ছবিতে। ভারতের স্বাধীনতার সৈনিক। তারকাবহুল এই ছবি দর্শক লুফে নিয়েছিল। এর পর সুভাষ ঘাইয়ের ‘বিধাতা’। তারপর একই পরিচালকের ‘কর্ম।’ কর্ম নিয়ে একটা কথা বলতে ভালো লাগবে। এই ছবিতে দিলীপ অভিনয় করেছিলেন তাঁরই সমসাময়িক আরেক বড় শিল্পী নুতনের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, ‘শিকওয়া’ নামের একটি ছবিতে তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন আরও তিন দশক আগে। কিন্তু ছবিটি শেষ করা হয়নি। ১৯৮৯ সালেও দিলীপ–নুতন অভিনয় করেন ‘কানুন আপনা আপনা’ নামে ছবিতে।
শেষ ছবিটি ছিল ‘কিলা’। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর পর আর অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি।
আট.
এরপরও অনেকগুলো বছর বেঁচেছেন দিলীপ কুমার। বেশ কয়েকবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে আমাদের। পরে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবার কিন্তু মৃত্যু সংবাদটা মিথ্যে ছিল না।
৭ জুলাই চলেই গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শৃঙ্গ স্পর্শ করা এই প্রতিভাবান মানুষটি।

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগে
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।
ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান।
০৭ জুলাই ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে