Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

জনপ্রিয় হওয়ার বাসনা মানুষকে পরাজিত করছে

আফজাল হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি। বাংলাদেশের ওটিটি ও সিনেমা নিয়ে আফজাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ০৪

ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।

এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।

আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?

নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।

কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?

রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।

এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...

এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।

ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?

তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।

যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।

ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?

আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।

কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?

আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।

বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।

আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?

পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।

আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?

আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।

বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?

বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক

তাবাসসুম ছোঁয়া।

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?

শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।

এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।

এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?

বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।

অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?

দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।

এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?

অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...

ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।

অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?

পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাকিবভক্তদের রোষানলে প্রযোজক সুমি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব খান ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব খান ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। ছবি: সংগৃহীত

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।

বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’

সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।

শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্ধারিত সময়ের দুই দিন পর শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।

‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।

শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।

উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাধুরীর কাছে ক্যারিয়ারের চেয়ে পরিবার বেশি জরুরি

বিনোদন ডেস্ক
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।

সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’

প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’

ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’

পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।

এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।

মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত