রাশেদ নিজাম, ঢাকা
‘আল্লাহ অনেক পছন্দের একজনকে আমাকে দিয়েছেন। আমি তাকে লালন-পালন করছি। আমার স্বামীও আমার সন্তানকে সেভাবেই দেখভাল করছে। যে নাটকটি নিয়ে কথা উঠেছে, সেটি নিয়ে আসলে বলার কিছু নাই। যারা এভাবে নাটকের মধ্যে গল্প উপস্থাপন করেছেন, এটা তাঁদের লজ্জা। আমি মনে করি, এখানে লেখকের নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এখানে সচেতনতার দরকার। আপনারা গণমাধ্যমকর্মী এ ব্যাপারে কীভাবে সচেতনতা বাড়ানো উচিত, সেটা জানেন।’ আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই মনোভাব প্রকাশ করছিলেন মা আসমা রেজা।
গত শনিবার রাত থেকে দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক ঘিরে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছিল নাটকটি। যাতে অভিনয় করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। পরিচালনা করেছেন রুবেল হাসান।
গল্পটি ছিল এমন, পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটের গাড়িচালক ও গৃহপরিচারিকা মুকুল (নিশো)-বিলকিছ (মেহজাবীন)। বিলকিছ সস্তা-পচা সবজি কিনে আনে বাজার থেকে। ফ্রিজে রাখা খাবার এঁটো করে, বাসায় অন্যের কসমেটিকস ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে অপচয় করে। আর মুকুল মিথ্যা বলে, গাড়িতে অন্য যাত্রী বহন করে, লুকিয়ে গাড়ির তেল বিক্রি করে। ঘটনাক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ে ও সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু সন্তানটি হয় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু (স্পেশাল চাইল্ড)। নাটকের শেষে দেখানো হয় তাদের নেতিবাচক কর্মফলের জন্যই এমন শিশুর জন্ম হয়েছে, যা মা-বাবার পাপের ফল।
সবশেষ সরকারি হিসাবে (২০১৩-১৪ সালের জরিপ), দেশে মোট প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে, বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় ১৫-১৮ লাখ। মানে মোট জনসংখ্যার প্রায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ শিশু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। এদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছাড়াও দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী শিশুও রয়েছে।
গত শনিবার রাত থেকেই ‘ঘটনা সত্য’ নাটকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করে, এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবাদ শুরু করে; বিশেষ শিশুদের অভিভাবক ও স্বজনেরাও নিজেদের অবস্থানের কথা জানাতে থাকেন।
‘আপনারা যে কাজটা করলেন, আমরা শহরে থাকা বাবা-মায়েরা ম্যানেজ করে চলা শিখে গেছি। কিন্তু যেসব বিশেষ শিশুর বাবা-মা গ্রামে বা মফস্বলে থাকেন, তাঁদের ওপর দিয়ে কী যাবে, বিষয়টি একবারও ভেবেছেন?’ গতকাল ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা বলেন আমরিন জামান। তিনি একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মা। ২০১১ সালে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর কী কী ধরনের সামাজিক উপহাস, কটু কথা শুনে ১০ বছর পার হয়েছে, তা-ও তুলে ধরেন আমরিন।
উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তথ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে দাবি তোলেন সম্প্রচার পর্যবেক্ষণ কমিশনের।
গতকাল ভোর ৪টার দিকেই সিএমভি তাদের ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয় নাটকটি। তবুও সামাজিক মাধ্যমে থামেনি আলোচনা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান চাইল্ড ফাউন্ডেশন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এমন নির্মাণের। এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাহরিন আমান জানান, এই নাটকের দৃশ্যপটে চরম মিথ্যা এবং কুসংস্কার দেখানো হয়েছে। সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা আনোয়ারা আনা আমান বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবাদ জানিয়ে থেমে যাব এমন না, আইনি ব্যবস্থা নিয়েও ভাবছি। মানুষকে এভাবে অপমান করার অধিকার তাদের কেউ দেয়নি।’
সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক), সানিয়াত রহমান অটিজম গ্রুপ, স্মাইলিং চিলড্রেন স্পেশাল স্কুলসহ বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কনটেন্ট বানানোর নিন্দা ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে।
যা বলছেন নির্মাতারা
সমালোচনার মুখে গতকাল সব গণমাধ্যমে নিজেদের ভুল স্বীকার করে একটি বার্তা পাঠানো হয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়, ‘প্রিয় দর্শক, “ঘটনা সত্য” নাটকের নাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী এবং কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের অনেকেই জানিয়েছেন, এ নাটকের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটির সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করছি। বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।’ ওই বার্তায় আরও বলা হয়, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গেই নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই। প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর নাটকটি পুনরায় আবারও পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করা হবে।’
পরিচালক রুবেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গল্পটা অন্যভাবে দেখাতে চেয়েছিলাম। বার্তাটা এভাবে দিতে চাইনি। কাউকে কোনো কষ্ট দেওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছা ছিল না।’
কনটেন্ট সরিয়ে নিলেও মানসিক ধাক্কাটা যাবে না বলে মন্তব্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকারের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নাট্যকার হয়তো বলতে চেয়েছেন আপনি যদি কোনো অপকর্ম করেন, সেটা ফিরে আসবে কর্মফল হয়ে। বিশেষ শিশুদের বাবা-মায়েরা ভীষণ সামাজিক চাপে থাকেন। আর এ রকম বিষয় তাঁদের মানসিক ধাক্কাটা আরও বাড়িয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, সরকার যেখানে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কুসংস্কার দূর করার, সেখানে এ যুগে এমন বিষয়বস্তু নিয়ে নাটক নির্মাণ খুবই দুঃখজনক।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান উল আলম বলেন, আপত্তিকর কোনো কিছু প্রচার হচ্ছে এমন ইউটিউব লিংকে পেলে সরকারের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করতে ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
‘আল্লাহ অনেক পছন্দের একজনকে আমাকে দিয়েছেন। আমি তাকে লালন-পালন করছি। আমার স্বামীও আমার সন্তানকে সেভাবেই দেখভাল করছে। যে নাটকটি নিয়ে কথা উঠেছে, সেটি নিয়ে আসলে বলার কিছু নাই। যারা এভাবে নাটকের মধ্যে গল্প উপস্থাপন করেছেন, এটা তাঁদের লজ্জা। আমি মনে করি, এখানে লেখকের নিকৃষ্ট মানসিকতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এখানে সচেতনতার দরকার। আপনারা গণমাধ্যমকর্মী এ ব্যাপারে কীভাবে সচেতনতা বাড়ানো উচিত, সেটা জানেন।’ আজকের পত্রিকার কাছে এভাবেই মনোভাব প্রকাশ করছিলেন মা আসমা রেজা।
গত শনিবার রাত থেকে দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে ‘ঘটনা সত্য’ নামের একটি নাটক ঘিরে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেছিল নাটকটি। যাতে অভিনয় করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় জুটি আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। পরিচালনা করেছেন রুবেল হাসান।
গল্পটি ছিল এমন, পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটের গাড়িচালক ও গৃহপরিচারিকা মুকুল (নিশো)-বিলকিছ (মেহজাবীন)। বিলকিছ সস্তা-পচা সবজি কিনে আনে বাজার থেকে। ফ্রিজে রাখা খাবার এঁটো করে, বাসায় অন্যের কসমেটিকস ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে অপচয় করে। আর মুকুল মিথ্যা বলে, গাড়িতে অন্য যাত্রী বহন করে, লুকিয়ে গাড়ির তেল বিক্রি করে। ঘটনাক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ে ও সন্তান জন্ম হয়। কিন্তু সন্তানটি হয় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু (স্পেশাল চাইল্ড)। নাটকের শেষে দেখানো হয় তাদের নেতিবাচক কর্মফলের জন্যই এমন শিশুর জন্ম হয়েছে, যা মা-বাবার পাপের ফল।
সবশেষ সরকারি হিসাবে (২০১৩-১৪ সালের জরিপ), দেশে মোট প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে, বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় ১৫-১৮ লাখ। মানে মোট জনসংখ্যার প্রায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ শিশু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। এদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছাড়াও দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী শিশুও রয়েছে।
গত শনিবার রাত থেকেই ‘ঘটনা সত্য’ নাটকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক মাধ্যমে। প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করে, এমন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবাদ শুরু করে; বিশেষ শিশুদের অভিভাবক ও স্বজনেরাও নিজেদের অবস্থানের কথা জানাতে থাকেন।
‘আপনারা যে কাজটা করলেন, আমরা শহরে থাকা বাবা-মায়েরা ম্যানেজ করে চলা শিখে গেছি। কিন্তু যেসব বিশেষ শিশুর বাবা-মা গ্রামে বা মফস্বলে থাকেন, তাঁদের ওপর দিয়ে কী যাবে, বিষয়টি একবারও ভেবেছেন?’ গতকাল ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা বলেন আমরিন জামান। তিনি একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মা। ২০১১ সালে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর কী কী ধরনের সামাজিক উপহাস, কটু কথা শুনে ১০ বছর পার হয়েছে, তা-ও তুলে ধরেন আমরিন।
উপস্থাপক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর তুষার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তথ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে দাবি তোলেন সম্প্রচার পর্যবেক্ষণ কমিশনের।
গতকাল ভোর ৪টার দিকেই সিএমভি তাদের ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয় নাটকটি। তবুও সামাজিক মাধ্যমে থামেনি আলোচনা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান চাইল্ড ফাউন্ডেশন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এমন নির্মাণের। এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাহরিন আমান জানান, এই নাটকের দৃশ্যপটে চরম মিথ্যা এবং কুসংস্কার দেখানো হয়েছে। সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা আনোয়ারা আনা আমান বলেন, ‘আমরা শুধু প্রতিবাদ জানিয়ে থেমে যাব এমন না, আইনি ব্যবস্থা নিয়েও ভাবছি। মানুষকে এভাবে অপমান করার অধিকার তাদের কেউ দেয়নি।’
সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক), সানিয়াত রহমান অটিজম গ্রুপ, স্মাইলিং চিলড্রেন স্পেশাল স্কুলসহ বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো এমন কনটেন্ট বানানোর নিন্দা ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সরকারের কাছে।
যা বলছেন নির্মাতারা
সমালোচনার মুখে গতকাল সব গণমাধ্যমে নিজেদের ভুল স্বীকার করে একটি বার্তা পাঠানো হয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়, ‘প্রিয় দর্শক, “ঘটনা সত্য” নাটকের নাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী এবং কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের অনেকেই জানিয়েছেন, এ নাটকের মাধ্যমে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটির সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করছি। বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।’ ওই বার্তায় আরও বলা হয়, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গেই নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই। প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর নাটকটি পুনরায় আবারও পরবর্তী সময়ে প্রকাশ করা হবে।’
পরিচালক রুবেল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গল্পটা অন্যভাবে দেখাতে চেয়েছিলাম। বার্তাটা এভাবে দিতে চাইনি। কাউকে কোনো কষ্ট দেওয়ার আমাদের কোনো ইচ্ছা ছিল না।’
কনটেন্ট সরিয়ে নিলেও মানসিক ধাক্কাটা যাবে না বলে মন্তব্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকারের। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘নাট্যকার হয়তো বলতে চেয়েছেন আপনি যদি কোনো অপকর্ম করেন, সেটা ফিরে আসবে কর্মফল হয়ে। বিশেষ শিশুদের বাবা-মায়েরা ভীষণ সামাজিক চাপে থাকেন। আর এ রকম বিষয় তাঁদের মানসিক ধাক্কাটা আরও বাড়িয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, সরকার যেখানে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কুসংস্কার দূর করার, সেখানে এ যুগে এমন বিষয়বস্তু নিয়ে নাটক নির্মাণ খুবই দুঃখজনক।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান উল আলম বলেন, আপত্তিকর কোনো কিছু প্রচার হচ্ছে এমন ইউটিউব লিংকে পেলে সরকারের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করতে ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
২৫ মিনিট আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
১ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
১ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
৬ ঘণ্টা আগে