এত দিন পর কেন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন ফারিয়া? নিজেই দিলেন উত্তর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯: ৫৪
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২০: ৩৮

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানেন তাঁরা।

ওই সময় ফারিয়া জানিয়েছিলেন, দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁরা বিচ্ছেদের দিকে এগিয়েছেন।

কিন্তু ঠিক কী কারণে দাম্পত্য সম্পর্কের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন ফারিয়া? কতটা তিক্ত ছিল সেই অভিজ্ঞতা? এ নিয়ে বিচ্ছেদের এক বছরেরও বেশি সময় পর মুখ খুলেছেন ফারিয়া। জানিয়েছেন, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিজের কথাও বলেন ফারিয়া। বুধবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেছিলেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পিছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে, কিভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি। যখন কেউ জানতে চেয়েছে, কি হয়েছে? বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যথা পেয়েছি। কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কি বলবে!’

কিন্তু বিচ্ছেদের এত দিন পর কেন নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন ফারিয়া। এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

ইংরেজি ভাষায় লেখা ওই স্ট্যাটাসে ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করার কিংবা অ্যাটেনশন পাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না (যদিও না চাইলেও আমি সব সময় অ্যাটেনশন পেয়ে যাই)। আগের পোস্টটি দেওয়ার মূল কারণ হলো, এই সমাজের প্রতি আঙুল তোলা।’

দুর্বিষহ এই ঘটনা সামনে আনা মোটেই সহজ ছিল না ফারিয়ার কাছে। সে জন্যই এতটা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি। ফারিয়া লিখেছেন, ‘এই ঘটনা সামনে আনা মোটেও সহজ ছিল না। যদি হতো, তাহলে আরও আগেই এটা প্রকাশ্যে আনতাম। আমি দেখেছি, কীভাবে মানুষ পরিস্থিতি উল্টে আমার দিকে আঙুল তুলেছে। ঠিক এই কারণেই আমরা অনেক বেশি পারিবারিক নির্যাতন দেখছি। এই সমাজ পুরুষদের বাহবা দেয়, আর নারীকে লজ্জা দিতে পছন্দ করে। যদি তুমি মরে যাও, মানুষের মন খারাপ হবে। কিন্তু যদি তুমি নিজেকে রক্ষা করতে বিবাহবিচ্ছেদ করো, তাহলে ‘‘তুমি খারাপ’’।’

কিন্তু নিজের দাম্পত্যের অভিজ্ঞতা তিক্ত হলেও বিয়ের বিরুদ্ধে কিংবা বিচ্ছেদের পক্ষে নন ফারিয়া। কেউ তাঁর কাছে বিচ্ছেদের ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে, তিনি সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।

ফারিয়া লিখেছেন, ‘বিয়ে একটি অসাধারণ ব্যাপার। আমি বিচ্ছেদকে নিরুৎসাহিত করি। এমনকি আমার কোনো বন্ধু যদি ডিভোর্সের ব্যাপারে বলে, আমি তাদের প্রথমেই বলি, ‘‘সময় নাও’’। কেউ মারা গেলে সমাজের মানুষ কান্না করে। কিন্তু যখন কারও বিবাহবিচ্ছেদ হয়, পুরো ঘটনা জানার আগেই মানুষ ধরে নেয়, এটা নারীর ব্যর্থতা। তারা নারীর দোষ খুঁজতে চেষ্টা করে, তার চারিত্রিক সনদ অব্দি দিয়ে দেয়, আর আমরা সবাই হাসি!’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত