Ajker Patrika

পথে পথে ঘুরে বিনোদন ও শিক্ষা বিলায় কাকতাড়ুয়া

নবিউল ইসলাম
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ০৭
পথে পথে ঘুরে বিনোদন ও শিক্ষা বিলায় কাকতাড়ুয়া

পুতুলনাট্য বা পাপেট শো হলো একটি সমন্বিত শিল্পকলা। নিষ্প্রাণ প্রতিমূর্তি দিয়ে একজন শিল্পী নাটকীয় কলাকৌশলের মাধ্যমে যেকোনো বিষয় উপস্থাপন করেন। এটি লোকসংস্কৃতির অন্যতম একটি শাখা। পাপেট শো বা পুতুলনাচ কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, এর মাধ্যমে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষণীয় বার্তা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। 

এই পাপেট নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ‘কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার’ নামের একটি নাটকের দল। এই থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আশিক। এরই মধ্যে এ কাজে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। 

পর্দার পেছনে কাজে ব্যস্ত থিয়েটারের কর্মীরাআসাদুজ্জামান আশিক জানান, বিভিন্ন ধরনের পুতুলের মাধ্যমে পাপেট শো করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, সুতা পুতুল, রড পাপেট, শ্যাডো বা ছায়া পুতুল, ফিংগার পাপেট, ওয়াটার পাপেট, দস্তানা পুতুল মাপেট। বাংলাদেশে সুতা পুতুলনাট্য, রড পাপেট, ছায়া পুতুল, ফিংগার পাপেট, গ্লাভস পাপেট ও মাপেটের প্রচলন রয়েছে। কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার মূলত ফিংগার পাপেট নিয়ে কাজ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন শোয়ের প্রয়োজনে সুতা পুতুল, গ্লাভস পাপেট ও মাপেট ব্যবহার করেন তাঁরা। কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার নিজের পুতুল ‍নিজেরাই তৈরি করে বলে জানান তিনি। 

পাপেট হাতে দলটির কর্মী তুনতুনপাপেট থিয়েটারের কাজ সম্পর্কে আশিক বলেন, শিশুদের আনন্দদায়ক শিক্ষা ও বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার কাজ করে। এ ছাড়া বয়স্কশিক্ষা, কুসংস্কার, সমাজ সচেতনতা ও বিভিন্ন ক্যাম্পেইনে এ পাপেট ব্যবহার করা হয়। 

কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে, ‘দুই বন্ধু ও ভাল্লুক’, ‘নিরাপদ সড়ক’, ‘খুশির গল্প’, ‘স্বাধীনতার গল্প’, ‘গাছ বন্ধু’, ‘হাতি রক্ষা’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও বিভিন্ন পথনাটক ও মাপেট নিয়ে ক্যাম্পেইন করেছে তারা। 

মির্জাপুরের একটি স্কুলে কাকতাড়ুয়ার উপস্থাপনা২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট ‘কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার’ প্রতিষ্ঠা করেন আসাদুজ্জামান আশিক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিলে সংগঠনটি শুরু করেন। তিনজন নিয়ে সংগঠনটি শুরু হলেও পরে সেই সংখ্যা সাতজনে দাঁড়ায়। সংগঠনের সদস্যরা হলেন, আসাদুজ্জামান আশিক, প্রণয় সরকার, শাহনাজ শানু, সোহানা তানজিম, তুনতুন মজুমদার, জুবায়ের কিশোর, ফারহানা আফরিন তিথি। এ ছাড়া তারেক, শিল্পী, নিশি, রিশা বিভিন্নভাবে কাজ করে সংগঠনকে সহায়তা করেন। 

পাপেট নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা আশিকবাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রোগ্রাম করেছেন তাঁরা। বগুড়ার পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, নেত্রকোনার বিদ্যাভুবন, ময়মনসিংহের ডাচ বাংলা একমাত্রা স্কুল, হালুয়াঘাটের আদিবাসী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাংলাবান্ধা ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অবকাশ শিশু নিকেতন, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমরা সবাই রাজা ক্লাব, ময়মনসিংহের ব্রাদার হাউস, সুগম, ব্রিটিশ কাউন্সিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ক্যাম্পেইন, গ্রো ইয়োর রিডার, বগুড়ার চরপাকুটিয়া, চট্টগ্রামের নগরফুল শিরীষতলা, স্বপ্ন বাগিচা বিদ্যানিকেতনসহ অনেক জায়গায় তাঁরা পারফর্ম করেছেন। 

কর্মশালার মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাপেট থিয়েটার সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন আশিককাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানতে চাইলে আশিক বলেন, ‘শিশুদের আনন্দদায়ক শিক্ষা, প্রান্তিক জনগণের মধ্যে পুতুল ব্যবহার করে বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করে সামাজিক সচেতনতা তৈরি, সমকালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুতুল নাটকের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে নতুন পুতুল নির্মাণ ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে বিনোদন দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ ও উদ্দেশ্য। এ ছাড়া পাপেট ব্যবহার করে যৌনশিক্ষা প্রদান করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’ 

পাপেটের সঙ্গে এক শিক্ষার্থীফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে পাপেট বানানো হয় বলে জানান আশিক। এ ছাড়া ককশিট, থার্মোকল, আঠা, সুই সুতা, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে পাপেট বানানো হয় বলে জানান তিনি। 

দলটির সদস্য শাহানাজ শানু বলেন, ‘কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার মাধ্যমে একদিন তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। কাকতাড়ুয়া সমাজসংস্কারক হিসেবে একদিন সারা দেশে সুনাম অর্জন করবে বলেও আমি আশাবাদী।’ 

কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের পাঁচ কর্মীকাকতাড়ুয়ার আরেক সদস্য ফারহানা আফরিন তিথি বলেন, ‘আমরা সাধারণত শিল্পকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি এবং শিল্প-সাহিত্য আমাদের রোজকার জীবনে স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু শিল্প-সাহিত্যের একটি সূক্ষ্ম প্রয়োগ হলো শিক্ষা দান এবং সচেতনতা প্রদান। গল্প বলার মাধ্যমে মানুষকে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে সচেতন করা বা শিক্ষিত করে তোলার পদ্ধতিটি বেশ প্রাচীন এবং জনপ্রিয়। পাপেট এমন একটি শিল্পমাধ্যম, যেখানে গল্প হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত এবং গল্পের অন্তর্নিহিত বোধ শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের উদ্যোগ এবং কার্যপদ্ধতি বেশ প্রশংসনীয়। শিশুবান্ধব শিক্ষাক্রম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বপ্নটি নিয়ে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার যাত্রা শুরু করেছে, তা যেন অতি দ্রুত বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হয়।’ 

ভ্রমণ করতে ভালো লাগা আর পাপেটের প্রতি ভালোবাসা থেকে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের নিয়ে যাত্রা করেন আশিক। কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার অদ্যাবধি যে কয়টি নিজস্ব শো করেছে, তার বেশির ভাগই নিজস্ব অর্থায়নে। যেকোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের পথচলাকে আরও মসৃণ করবে বলে জানান আশিক।

বিনোদন সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত