Ajker Patrika

প্রেমিকাদের বয়স ২৫ হলেই কেন সম্পর্ক ভেঙে দেন লিওনার্দো?

প্রেমিকাদের বয়স ২৫ হলেই কেন সম্পর্ক ভেঙে দেন লিওনার্দো?

লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। একনামে সবাই চেনে তাঁকে। হলিউডে টাইটানিক-এর মতো বহু ব্যবসা সফল সিনেমার নায়ক তিনি। জিতেছেন একাডেমি অ্যাওয়ার্ডও। বয়স এখন তাঁর ৪৭ পেরিয়েছে। বিয়ে করেননি। অনেকে বলেন, হলিউডের অন্যতম আকাঙ্ক্ষিত পুরুষ। 

গণমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন মধ্যবয়সী এ সুদর্শন অভিনেতা। তবে ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হন। এই বয়সেও যে তরুণী ও কমবয়সী মডেলদের তাঁকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই তা লিওনার্দোর বান্ধবীদের তালিকা দেখলেই বোঝা যায়। তবে এ নিয়ে অনেকে বাঁকা কথাও বলেন। 

লিওনার্দোর প্রেমিকাদের তালিকা নিয়ে সম্প্রতি রেডিটের একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। লিওনার্দোর প্রেমের টাইমলাইন নিয়ে বানানো একটি গ্রাফে যেটি লক্ষ্য করার বিষয় সেটি হলো—বান্ধবীদের বয়স ২৫ বছর হলেই বিচ্ছেদ হয়ে গেছে! এ জীবনে তাঁর কোনো বান্ধবীর বয়সই ২৫-এর বেশি নয়। 

গ্রাফের তথ্য অনুযায়ী, লিওনার্দোর প্রথম প্রকাশ্য প্রেম হয় অষ্টাদশী জিসেল বুন্দচেনের সঙ্গে। ১৯৯৯ সালে তাঁরা ডেটিং শুরু করেন। কিন্তু ২০০৪ সালেই এ সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর লিওনার্দোর জীবনে আসেন বার রাফায়েলি, তখন বয়স ২০ বছর। এ সম্পর্ক টিকে ছিল ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। পরের বছরই সম্পর্কে জড়ান ২৩ বছরের ব্লেক লাইভলির সঙ্গে। সে সম্পর্ক সে বছরই ভেঙে যায়। একই ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে ২২ বছর বয়সী এরিন হিদারটনের সঙ্গে। ২০ বছর বয়সী টনি গার্নের সঙ্গে লিওনার্দো ডেটিং শুরু করেন ২০১৩ সালে। এ সম্পর্ক ভেঙে যায় ২০১৪ সালে। ২০১৫ সম্পর্ক এবং সে বছরই ভেঙে যায় কেলি রোরবাকের সঙ্গে প্রেম। বলাবাহুল্য কেলির বয়স তখন ২৫ বছর। ২৪ বছর বয়সী নিনা আগডালের সঙ্গে ডেটিং শুরু ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালে তাঁর বয়স ২৫ পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়। সর্বশেষ আলোচিত সম্পর্ক ক্যামিলা মোরোনের সঙ্গে। ২০১৮ সালে ডেটিং শুরুর সময় তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। তবে এ বছর সম্পর্ক ভেঙে গেছে। 

সর্বশেষ ইউক্রেনের মডেল মারিয়া বেরেগোভার (২২) সঙ্গে চুটিয়ে পার্টি করতে দেখা গেছে লিওনার্দোকে। ভাবা হচ্ছে, তিনিই লিয়োর নয়া বান্ধবী। দক্ষিণ ফ্রান্সের সেন্ট ট্রপিজে একটি বিলাসবহুল ইয়টে হইহুল্লোড় করে পার্টি করতে লিয়োর পাশেই দেখা গেছে মারিয়া বেরেগোভাকে। ২৫ বছরের ক্যামিলার সঙ্গে ২২ বছরের বয়সের ফারাক রয়েছে লিয়োর। এ নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি তাঁকে। মারিয়ার বয়স কিন্তু সবে ২২! 

লিওনার্দো ক্রমে বার্ধক্যে উপনীত হচ্ছেন। কিন্তু প্রেমিকাদের বয়স স্থির থাকছে, তাঁর প্রেমিকারা যেন চিরকালীন ২৫-এর নিচে! সর্বশেষ বান্ধবী ক্যামিলার ২৫তম জন্মদিনের মাত্র কয়েক মাস পরেই চার বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তিনি। 

এ নিয়ে কটাক্ষ করে দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ লিখেছেন আরওয়া মাহদাবি। লেখক ও কৌতুক অভিনেতা মেরেডিথ ডিটজ এক টুইটে লিখেছেন, ‘আসলেই কি এমন ঘটে নাকি—একজন নারীর মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পন্ন হলে, তখন বুঝতে পারেন যে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর সঙ্গে আর থাকা যায় না!’ 

লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর ডেটিং টাইমলাইন। ছবি: রেডিটবেশিরভাগ মানুষই হয়তো বলবেন, প্রজনন সক্ষম একজন পুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক একজন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করবেন তাতে আপত্তি করার কী আছে? বিবর্তনবাদও তো এটিকে সমর্থন করে। 

মানুষের অভিজ্ঞতা বলে, সামগ্রিকভাবে পুরুষেরা অল্পবয়সী নারীরই সন্ধান করে। অবশ্য বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন যে, এটি ‘প্রাকৃতিক’ প্রবণতা নাকি সামাজিক বা সাংস্কৃতিক ব্যাপার। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, বুড়োদের এমন হাঁটুর বয়সী মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর খায়েশ বিবর্তনীয় চাপেরই ফল। অন্যদের মধ্যে আইন বিশেষজ্ঞ ক্যাথারিন ম্যাককিনন মনে করেন, এটি ‘নারীকে অধস্তন করে রাখার মধ্যে যৌনতার খোঁজ’। 

আরওয়া মাহদাবি এই কারণে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর মতো পুরুষদের ‘ভয়ঙ্কর বুড়ো’ বলে বর্ণনা করেন। ক্যাথারিন ম্যাককিননের ধারণার সপক্ষে কিছু পরিসংখ্যানগত প্রমাণ রয়েছে। যেমন বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, যেসব দেশে স্বামী-স্ত্রীর (যুগল) মধ্যে বয়সের ব্যবধান কম হয় সেসব দেশে লিঙ্গ সমতা বেশি। এ বিষয়ের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, লিঙ্গ সমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নারীরা বয়স্ক পুরুষ কম পছন্দ করতে শুরু করেন। পুরুষেরাও কমবয়সী নারীদের প্রতি ততোটা আকর্ষণ বোধ করেন না। ফলস্বরূপ যুগলের বয়সের পার্থক্য কমে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
পান্থ কানাই।
পান্থ কানাই।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।

এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।

আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’

আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।

ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবুল হায়াত ও ডলি জহুরকে নিয়ে ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকের দৃশ্যে ডলি জহুর ও আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত
‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’ নাটকের দৃশ্যে ডলি জহুর ও আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।

লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’

অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’

ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বড়দিনের ছুটিতে বটতলার ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: বটতলার সৌজন্যে
‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: বটতলার সৌজন্যে

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।

বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।

নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’

এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির জন্য গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘কোটি হাদির ডাক’ গানের পোস্টার
‘কোটি হাদির ডাক’ গানের পোস্টার

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।

নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’

অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত