Ajker Patrika

ওপেনহাইমার: নায়কের মহাকাব্যিক আখ্যান নাকি আমেরিকার আদিপাপের স্বাভাবিকীকরণ

জাহাঙ্গীর আলম
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১৯: ৫২
ওপেনহাইমার: নায়কের মহাকাব্যিক আখ্যান নাকি আমেরিকার আদিপাপের স্বাভাবিকীকরণ

যদি আকাশে সহস্র সূর্যের প্রভা যুগপৎ উদিত হয়, তাহলে সেই মহাত্মা বিশ্বরূপের প্রভার কিঞ্চিৎ তুল্য হতে পারে—গীতার এই শ্লোক আউরে নিজ হাতে গড়া মারণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা উদ্‌যাপন করেছিলেন ওপেনহাইমার। তাঁর মতো মৃদুভাষি চাপা স্বভাবের জ্ঞানী মানুষ আনন্দিত হলেও নিজের সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় বোমার মতো ফেটে পড়েননি। পরক্ষণেই অবশ্য তাঁকে ঘিরে ফেলে অবসাদ, অপরাধবোধে বিদ্ধ বিষণ্ন একা মানুষ হিসেবে বাকি জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘটনার কয়েক বছর পর তিনি বলেছিলেন, ওই সময় গীতার আরেকটি শ্লোক তাঁর মনে পড়েছিল—আমিই মৃত্যু, পৃথিবী ধ্বংসের কারণ! এটি হয়তো তাঁর পরবর্তী উপলব্ধির প্রকাশ। 

সে অর্থে ওপেনহাইমার তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা মেধাবী এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন। যদিও তাঁর হাতে গড়া মারণাস্ত্রেই বিশ্ববাসী প্রথম পারমাণবিক বোমার অভূতপূর্ব বিধ্বংসী রূপ দেখেছে। এ নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমাটির উপস্থাপন কৌশলের গুণে ওপেনহাইমারকে চাইলে দুভাবেই বিচার করা যেতে পারে। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ওপেনহাইমার তাঁর অবদানের কারণে প্রশংসিত, পরবর্তীতে মার্কিন রাজনীতিকদের সন্দেহবাতিকতার কারণে অপমানিত একজন হিরো। আবার হলিউডের ‘দায়মুক্তি প্রকল্পের’ অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে এই সিনেমাকে। 

নৈতিক বিচারের আগে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার একটি সাধারণ পর্যালোচনা করা যাক: 

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল। 

কিন্তু নোলানের এই দুঃসাহসী মহাকাব্যের সম্ভবত সবচেয়ে বিস্ময়কর উপাদানটি হলো—রাজনৈতিক খেলার যে উত্তেজনাকর দৃশ্যায়ন, শেষ পর্যন্ত সেটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিধ্বংসী প্রকৃতিকে আড়াল করে ফেলেছে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উজ্জ্বল বৈজ্ঞানিক মানস বলা হয় যাকে সেই ওপেনহাইমার শেষ জীবনে আমেরিকার সমর আকাঙ্ক্ষী চিন্তাধারার বিরুদ্ধে নিজের উচ্চকিত কণ্ঠের কারণে সেই সময়ই রাজনীতিকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছেন। 

চিসেলিং কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরম্যান রচিত ওপেনহাইমারের জীবনী ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে. রবার্ট ওপেনহাইমার’ অবলম্বনেই এই সিনেমা বানিয়েছেন নোলান। অবশ্য ৭০০–এর বেশি পৃষ্ঠার বইটি থেকে ৩ ঘণ্টার চিত্রনাট্য বানাতে গিয়ে নোলান পুরো প্লটটিকে দর্শকদের সামনে হাজির করতে পারেননি। 

সিনেমাটি প্রথমে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার মতো জটিল বিষয় নিয়ে গভীর কথাবার্তায় ঠাসা বলে মনে হতে পারে। যেখানে দেখা যায়, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের ব্যবসায়িক লেবাসের কিছু পুরুষ অফিস এবং ল্যাবে দাঁড়িয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলোচনা করছেন। পদার্থবিদ্যায় যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য সেটি দুর্বোধ্যই। তবে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে দর্শকদের স্বস্তি দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছে— যখন ফিউশন বোমার উপাদান হিসেবে ইউরেনিয়াম এবং প্লুটোনিয়ামের মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য কাচের পাত্রে মার্বেল রেখে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়। 

নোলানের অবশ্য ঘটনা বর্ণনার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে—তাঁর সিনেমার জটিল উপাদানগুলো ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ সিনেমাতেও তাই হয়েছে। ওয়াশিংটনে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে শুনানিও এখানে মূল উপজীব্য। পুরো আখ্যানে ছেদ ঘটনায় শুরুর দৃশ্য। অবশ্য শেষ ঘণ্টার পুরোটাই দখল করে আছে সেই শুনানিগুলো। 

জে. রবার্ট ওপেনহাইমার হিসেবে কিলিয়ান মারফি এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের ভূমিকায় টম কন্টির মধ্যে একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন দুর্দান্তভাবে এই দুই মহান বিজ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, দুই মেধাবী মানুষের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের নিজ নিজ শাখার বিজ্ঞানের ব্যাপারে কতটা আলাদা ছিল—সেটিরই এক আবেগঘন দৃশ্যায়ন সেটি। 

ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোর সিনেমা দেখে যারা অভ্যস্ত তাঁদের জন্য নোলানের ওপেনহাইমার শুরুতে কিছুটা হতাশ করতে পারে। অবশ্য ধৈর্যশীল ও একাগ্র দর্শকদের জন্য পুরস্কার হিসেবে একটি টানটান উত্তেজনার দৃশ্য রাখা হয়েছে— নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে ১৯৪৫ সালের পরমাণু বোমার প্রথম পরীক্ষা। ওপেনহাইমার যেটির নাম দিয়েছিলেন ‘ট্রিনিটি’। এই বোমায় জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছিল। 

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যগতভাবে সিনেমার থ্রি-অ্যাক্ট কাঠামোই বেশি অনুসরণ করা হয়। তবে ১. সেটআপ, ২. দ্বন্দ্ব, ৩. রেজুলেশন বা সমাধান –এর পাশাপাশি ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোতে তৃতীয় পর্বে থাকে ‘সংকট’। 

OPPENHEIMER-_CHRISTOPHER_NOLAN১৯৪৫ সালের সেই ঘটনা আধুনিক মানব ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। আমেরিকান নায়ক হিসেবে ওপেনহাইমারকে সেই সাফল্যের মুকুট দেওয়া হয়। কিন্তু একই সঙ্গে সিনেমায় কিলিয়ান মারফির অভিব্যক্তিপূর্ণ মুখমণ্ডলজুড়ে নৈতিক পরাজয়ের ক্ষোভ ও বিব্রতবোধ ফুটে উঠেছে অসাধারণ মহিমায়। এরপরেই দর্শকদের সামনে হাজির হয় গা হিম করা উইচ হান্ট—কমিউনিস্ট ধরার অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকার্থি যুগের সবচেয়ে জঘন্য কলাকৌশলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে এই ঘটনা। 

ক্রিস্টোফার নোলান স্বভাবসুলভ দক্ষতায় ওপেনহাইমার এবং তাঁর সপ্রতিভ স্ত্রী কিটির (অভিনয়ে এমিলি ব্লান্ট) সেই সময়ের বেদনা এবং অপমানকে দৃশ্যায়িত করেছেন। পাঁচ বছর পর আইজেনহাওয়ার প্রশাসনের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে লুইস স্ট্রসকে (অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) নিয়োগের সিনেট শুনানিতে আবার উঠে আসে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ। আবার শুরু হয় শুনানি। 

লুইস স্ট্রসের চরিত্রে রাবর্ট ডাউনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরে চেয়ারম্যান হন স্ট্রস। তাঁর চরিত্রকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রবার্ট ডাউনি। স্ট্রসের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অহংকারী ওপেনহাইমারের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছিল। এমন একটি চরিত্রে আয়রন ম্যানের টনি স্টার্ক তাঁর মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। 

একজন জুতার বিক্রয়কর্মী হিসেবে স্ট্রসের উত্থানকে রবার্ট ডাউনি নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই চরিত্র চিত্রায়ণের যে উদ্দেশ্য ছিল নির্মাতার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সিনেমার শেষের দিকে। সম্পর্কের ক্ষত এবং ক্রোধের তিক্ত স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি চরিত্রকে ডাউনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা আজকালকার বড় বাজেটের চোখ ধাঁধানো সুপারহিরোদের কসরত দেখে উল্লাস করা দর্শকেরা বুঝবেন না! 

এই সিনেমা আপনাকে ধীরে ধীরে উত্তেজিত করবে। তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার দুর্বোধ্য আলাপে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটলে ক্রমেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে—আধো আলোর ক্যাপিটল হিল কনফারেন্স রুম এবং সিনেট চেম্বারের শীতল বৈঠক থেকে শুরু করে প্রতিটি নতুন মোড়, বিশ্বাসঘাতকতা, আনুগত্য, ঘৃণা, ঈর্ষা আপনাকে বাকিটা সময় শ্বাসরুদ্ধ করে রাখবে। 

মানুষ এবং বিজ্ঞান, যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সুবিধাবাদী চরিত্র—এসবের একটি বুদ্ধিদীপ্ত গল্পের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে কিলিয়ান মারফি নিখুঁতভাবে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। মৃদুভাষী ওপেনহাইমারের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জটিলতাগুলো দৃশ্যত চাপা স্বভাবের সংযমী একজন মানুষ হয়ে শুধু মুখভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়! 

মারফির তীক্ষ্ণ ফ্যাকাশে নীল চোখ পদার্থবিজ্ঞানীর বুদ্ধির দীপ্তি, দৃঢ় সংকল্প এবং যন্ত্রণার একটি জানালা হয়ে উঠেছে। সেটি স্পষ্ট হয়েছে যখন (পৃথিবী ধ্বংসের অস্ত্র বানিয়ে) নিজের নির্বুদ্ধিতা স্বীকার করেন এবং দ্রুতই এর প্রভাব চাক্ষুষ করতে থাকেন। এত বড় একটি কাজ করে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে ভয়ানক রকম উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তখনই যেমনটি কল্পনা করেছিলেন—জাপানে বোমা বিস্ফোরণ কেবল স্নায়ুযুদ্ধের দরজাই খুলে দেয়নি, আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকে পৃথিবীকে ঠেলে দিয়েছে—আজকের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাঁকে আলোড়িত করেছিল। 

science-photo-libraryমেজর লেসলি গ্রোভস (অভিনয়ে ম্যাট ডেমন) যিনি ওপেনহাইমারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। একটি অত্যন্ত গোপন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা এবং সরকার ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা করার মতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে বহন করা একজন সামরিক কর্মকর্তাকে রাশভারী হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু লেসলি গ্রোভসের চরিত্রটিও দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরেছে। সরকারের হয়ে যুদ্ধের পক্ষে কাজ নিঃসন্দেহে একটি ঘৃণ্য পেশা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁকে অনেক সময় কঠোর হতে হয়েছে। কিন্তু ওপেনহাইমারের প্রতিভাকে মনে মনে শ্রদ্ধা করতেন। সেটি ১৯৫৪ সালের শুনানিতে এসে স্পষ্ট হয়। এমন একটি চরিত্রে ম্যাট ডেমন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। 

স্ত্রীর চরিত্রে এমিলি ব্লান্ট, পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ চরিত্রে রামি মালেকসহ ছোটখাটো আরও কিছু চরিত্রকে কখনোই অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। আইনস্টাইন, নিলস বোরের মতো বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিও চোখে লেগে থাকার মতো। 

সেই সঙ্গে নোলানের অসাধারণ পরিমিতিবোধ, জেনিফার লেমের চতুর সম্পাদনা এবং লুডভিগ গোরানসনের সংগীতায়োজন—ওপেনহাইমারের উপাখ্যানটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। 

এবার এই সিনেমার আরেকটি দিক বিবেচনা করা যাক: 
সাধারণত ভূরাজনীতির খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অপরাধ সম্পর্কে জনপরিসরের ধারণা পরিবর্তনের কৌশল হিসেবে হলিউডে এ ধরনের সিনেমা বানানো হয়। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ‘র‍্যাম্বো’ সিরিজ। এ ধরনের সিনেমা কখনোই ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ কিংবা বিশুদ্ধ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতন আপত্তি বা বিরোধিতা নয়’। যুদ্ধফেরত ‘কিলিং মেশিনদের’ প্রতি মানুষের সমবেদনা তৈরির প্রকল্প এগুলো। 

এ ধরনের সিনেমায় প্রত্যক্ষ খুনিদেরই যুদ্ধের ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যেন তাঁদের নিজস্ব সত্তা বলতে কিছু নেই। খুবই সুকৌশলে এসব সিনেমায় কখনোই আমেরিকার মারণাস্ত্রের শিকার মানুষদের ভোগান্তির দৃশ্য দেখানো হয় না। যেমনটি হয়নি ওপেনহাইমারেও। যুদ্ধ–বিরোধী কোনো বার্তা দেয় না এসব সিনেমা। বরং যুদ্ধে পরাজয়ের দায় নীতিনির্ধারক বা রাজনীতিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে হত্যাকারীদের অপরাধ লঘূকরণের দায়িত্ব নেয় হলিউড। নতুন যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করতে খুনিদের প্রতি সহানুভূতি উৎপাদন করা হয়। শেষ পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্বের বিপরীতে তুচ্ছ ক্ষমতাহীন নাগরিককে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের আসল ভুক্তভোগীদের থেকে দৃষ্টি ফেরানো হয়। 

ওপেনহাইমারের গল্প বলার যে কৌশল সেখানেও ক্রিস্টোফার নোলান যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ স্বাভাবিকীকরণ ফরমুলাতেই হেঁটেছেন। অবশ্য একজন গল্পকার, নির্মাতা হিসেবে তিনি তাঁর মুনশিয়ানার পুরোটাই যে আবারও দেখিয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত