Ajker Patrika

যেসব ছবির উপজীব্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২২, ১২: ০১
যেসব ছবির উপজীব্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

গুলিবিদ্ধ জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। এই খবর এখন পৌঁছে গেছে বিশ্বের আনাচে–কানাচে। শুক্রবার জাপানের নারা শহরে বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে গুলি করা হয় ৬৭ বছর বয়সি শিনজো আবেকে। তিনি তখন একটি রেলস্টেশনের বাইরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটকও করেছে।

দেশের ক্ষমতাসীন বা একদা ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের হত্যার ঘটনা এমন আরও আছে। সেসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে একাধিক চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আসুন, এমনই কিছু আলোচিত সিনেমা সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক—

মাদ্রাজ ক্যাফে (২০১৩)
পরিচালক: সুজিত সরকার
অভিনয়: জন আব্রাহাম, নারগিস ফাখরি, সিদ্ধার্থ বসু, প্রকাশ বেলাওয়াদি

‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ সিনেমায় জন আব্রাহাম। ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে এক আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন। চেন্নাই (তদনীন্তন মাদ্রাজ) শহর থেকে ৩০ মাইল দূরে শ্রীপেরামবুদুর শহরে রাজীব গান্ধীর শেষ জনসভাটির আয়োজন করা হয়েছিল। এই জনসভায় তিনি তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীমতী মারাগতাম চন্দ্রশেখরের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই আত্মঘাতী বোমার হামলায় নিহত হন রাজীব।

এই হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পর বলিউডের ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ সিনেমাতে উঠে আসে অন্তরালের নানা কাহিনী। ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রীকে আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে মেরে ফেলার মতো এত বিধ্বংসী পরিকল্পনা ঠিক কীভাবে সম্পন্ন হয়েছিল, তা এই ছবিতে উঠে আসে কিছুটা। এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিল গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দাপুটে শ্রীলংকান বিদ্রোহী গোষ্ঠী এলটিটিই (লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল এলম) বা তামিল টাইগার্স। লন্ডনের মাদ্রাজ ক্যাফেতে কিছু ব্যবসায়ী হাত মেলায় তামিল টাইগারের সাথে এবং অস্ত্র দিতে থাকে তামিলদের। ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই সময় লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছিল তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে। তার প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হয় শ্রীলংকার জাফনা থেকে ভারতে সুইসাইড স্কোয়াড পাঠানোর পরিকল্পনা।

‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ সিনেমায় নারগিস ফাখরি। একজন গুপ্তচরের ব্যক্তিগত জীবনকে অবলম্বন করে এগিয়ে চলে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ ছবির কাহিনী। এই গুপ্তচরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন আব্রাহাম। সিনেমাটি জন আব্রাহামের ক্যারিয়ারের সেরা কাজ। সাংবাদিক চরিত্রে আছেন নারগিস ফাখরি।  সিনেমাটোগ্রাফি, ন্যারেটিভ স্টোরি টেলিং, ভিজুয়াল, এ্যাওয়ার্ড উইনিং অডিওগ্রাফী, চোখের পলক ফেলার সুযোগ নেই। সিনেমায় অনেকগুলো চরিত্র থাকলেও প্রত্যেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। প্রত্যেকেই সূক্ষ্ম অভিনয়দক্ষতা দেখিয়েছেন। বলিউডের নাচ-গান-প্রেম এসব থেকে ভিন্ন এই সিনেমা। কাহিনীর সেন্সিটিভিটির কারণে অনেকেই এই সিনেমা প্রযোজনা করতে রাজি হননি, পরে জন আব্রাহাম নিজেই সিনেমাটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। সুজিত সরকার পরিচালনায় মুন্সিয়ানার ছাপ দেখিয়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহতার দৃশ্যগুলো ক‍্যামেরার লেন্সের পর্দায় বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কালার গ্রেডিং এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বেশ বাস্তবসম্মত ছিলো। ১৩০ মিনিটের এই সিনেমায় একঘেয়েমিতা আসার কোনো সুযোগ নেই। যত সময় এগিয়ে যাবে টানটান উত্তেজনা অনুভব করবেন। সিনেমাটি দেখলে নতুন করে জানার আগ্রহ হবে রাজীব গান্ধি হত্যার কৌশল, তামিল টাইগারদের লড়াই, ভারতের জড়িয়ে যাওয়া এই যুদ্ধ এবং যুদ্ধ ছেড়ে চলে আসার কারন, ইন্টেলিজেন্স দের কোড/ডিকোড আর স্পাইদের খবর সংগ্রহের কৌশল, তামিল টাইগার প্রভাকরণের নেতৃত্বগুণ।

জেএফকে (১৯৯১)
পরিচালক: অলিভার স্টোন
অভিনয়: কেভিন কস্টনার, কেভিন বেকন

জেএফকে সিনেমায় কেভিন কস্টনার।ড্রামা, থ্রিলার কিংবা ইতিহাস- তিন জনরা নিয়েই এই সিনেমা। আমেরিকার ইতিহাসের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি। ধনী পরিবারে বড় হওয়া হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট কেনেডি হয়ে ওঠেন একজন সেলিব্রিটি। ১৯৬০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত টিভিতে প্রচারিত হয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থীদের ডিবেট। সেই নির্বাচনেই সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে হারিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। নানা কারণে তিনি বেশ আলোচিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট কেনেডি খুব বেশি দিন কিন্তু প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। প্রেসিডেন্সির ৩ বছর পূর্তির আগেই তাকে হত্যা করা হয়। তাঁর ছোট ভাই ববিও একই পরিণতির শিকার হন ১৯৬৮ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ডেমোক্রেটিক প্রার্থী নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে।

‘কেনেডি কার্স’ বলে একটা কথা প্রচলিত ছিল সেসময়। কারণ ওই পরিবারের অনেকেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরন করেছেন। কেনেডির হত্যা নিয়ে রয়েছে বেশ ধোঁয়াশা এবং তদন্তেও ছিল অনেক অসচ্ছ্বতা। আর সেই রহস্যই উদ্ঘাটনে নামেন নিউ অরলিন্সের ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নি জিম গ্যারিসন।

প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যকাণ্ডের আগ মুহুর্ত। ‘জেএফকে’ ছবিটির প্লট শুরু হয় ১৯৬৬ সালের প্রেক্ষাপটে। তখন লুইজিয়ানা রাজ্যের নিউ অরলিনসের অ্যাটর্নি জিম গ্যরিসন এই হত্যার পেছনে সরকারি, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর জড়িত থাকার বেশ কিছু তথ্য পেতে শুরু করেছিলেন। জিম টিভিতে লাইভ এই হত্যাকাণ্ড দেখছিলেন। একটা সময় এই হত্যাকাণ্ডের রায়ের আর কোন অগ্রগতিই হয় না কারণ যে হত্যাকারি তাকেই মেরে ফেলা হয়েছে। তিন বছর পরের কথা। আমেরিকা আক্রমণ করেছে ভিয়েতনামকে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ তুঙ্গে। জিম আবারো কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত পড়ালেখা করতে থাকে। হত্যাকারী অসওয়াল্ড এর স্বীকারোক্তির ডকুমেন্ট খুঁজে পাচ্ছিলো না কারণ তাঁর কোন রেকর্ডই নেই। এরপর আরো জানতে গিয়ে সে আবিষ্কার করলো কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমেরিকার জনগণকে অন্ধকারেই রেখেছে সরকার। সে আবারো সেই কেসকে নিয়ে উঠে পড়ে। সিনেমায় সেই গল্পটিই অসাধারণভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সেরা অভিনেতাদের নাম জিজ্ঞেস করলে কেউ হয়ত কেভিন কস্টনারের নাম উল্লেখ করবেন না। কিন্তু এই সিনেমায় তিনি ইতিহাস সৃষ্টিকারী অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন। পরিচালক অলিভার স্টোনের মাস্টারপিস বলা হয় এই সিনেমাকে। তিনবার অস্কার বিজয়ী পরিচালক অলিভার স্টোন। মুক্তির আগে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সকল শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস সদস্যদের দেখানো হয়। মুক্তির পর ঝড় তুলে। ২ অস্কার ঘরে তুলে নেয় এই সিনেমা। আর পরিচালক অলিভার যখন জিমের বই পড়ে (সেই এটর্নি জেনারেলের এই কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা বই), সাথে সাথেই সিনেমা বানানোর রাইট কিনে নেয় নিজের টাকায়! যথারীতি পরিচালনায় কারিশমা দেখিয়েছেন এই লিজেন্ডারি পরিচালক। আর জিমের ভুমিকায় কেভিন কস্টনার অসাধারণ অভিনয় করেছেন। 

সাধারনত ইতিহাস নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র কিছুটা ধীরগতির হয়। এই পলিটিক্যাল থ্রিলারটি সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। একই সঙ্গে ইতিহাস জানার এবং থ্রিলার দেখার এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে ‘জেএফকে’–তে।

দ্য ম্যান স্ট্যান্ডিং নেক্সট (২০২০)
পরিচালনা: উ মিন-হো
অভিনয়: লি বাইং-হুন, লি সুং-মিন, কোয়াক ডো-জয়, লি হি-জুন

দ্য ম্যান স্ট্যান্ডিং নেক্সট সিনেমার কলাকুশলীরা। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বৈরশাসক ছিলেন পার্ক চং হে। দেশটিতে টানা ১৮ বছর ধরে একনায়ক থাকা প্রেসিডেন্ট পার্ক খুন হন ১৯৭৯ সালে। আর খুনটা করেছিলেন কোরিয়ান সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (কেসিআইএ) পরিচালক কিম গিউ পায়োং। অথচ কোরীয় বিপ্লবে দুজনে একসাথে লড়েছিলেন!

১৯৭০ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে কেসিআইএ প্রধান ও তার দুই সহযোগী মিলে প্রেসিডেন্ট পার্ককে খুন করার ৪০ দিন আগে কি কি ঘটেছিল তা তুলে ধরা হয়েছে ‘দ্য ম্যান স্টান্ডিং নেক্সট’ নামক ছবিতে। দু বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমা। 

‘দ্য ম্যান স্ট্যান্ডিং নেক্সট’ সিনেমায় লি বাইং-হুন।কোরিয়ান সিনেমায় মারামারি, গোলাগুলি দেখে যারা অভ্যস্থ, তারা নতুন স্বাদ পাবেন এই ছবিটিতে। কেন ওই ঘটনা ঘটেছিল? ঘটনার পেছনে ব্যক্তি স্বার্থ ছিল নাকি দেশের স্বার্থ? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পর্কে কিছুটা হলে ধারণা মেলে এই ছবিটিতে। 

এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ছিলেন কোরিয়ার বাঘা বাঘা অভিনেতারা। কেসিআইএ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন লি বয়ং হুন। লিয়ের বয়স ৫০ কেউ বলবেনা, অভিনয় কিংবা ফিটনেসে বুঝার উপায় নেই। লি সাং মিন করেছেন প্রেসিডেন্টের চরিত্র। সিনেমার শুরুটা এভাবে, কেসিআইএ এর সাবেক ডিরেক্টর আমেরিকায় নিজের জীবনের উপর একটি বই লিখেন যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পার্ক ১৮ বছর ধরে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। আর এদিকে প্রেসিডেন্ট পার্কের সাথে কাজ করা কিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমেরিকা গিয়ে আত্নজীবনীটি ফিরিয়ে আনার জন্য। বইয়ের লেখক আর কিম দুইজনই কোরিয়ার বিপ্লবের জন্য একসাথে লড়েছিলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক এই বেড়াজালে কে কার সাথে থাকবে কে কাকে ধোকা দিবে, কার পরিণতি কি হবে,  স্বৈরশাসকের আদো পতন হবে নাকি। তা এই সিনেমায় ফুটে উঠেছে।

কীভাবে হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছেন বর্ণনা দিচ্ছে কিম গিউ পায়োং। সিনেমার সবচেয়ে ভালো দিক এর অসাধারন বিজিএম। যেটা সবসময় বুঝাচ্ছিলো চরিত্রগুলোর মধ্যে কি যেন এক ক্ষুধা। সামনে কি যেন ঘটতে যাচ্ছে। সাথে আছে কালার গ্রেডিংয়ের অসাধারণ সমন্বয়। সিনেমাটোগ্রাফি দেখে মনে হবে আপনি ১৯৮০ সালে বসে সিনেমাটি দেখছেন। একটা দৃশ্যে লি বয়ং হুন স্টেইজের দিকে তাকিয়ে ছিল। স্টেজের লাইটগুলো আস্তে আস্তে নিভিয়ে দেয়া হচ্ছিল। সে যখন স্টেজে বসেছিল, তার নির্দেশে নিজের বন্ধুকে হত্যা করছিল স্পাইরা। সে আর ভাল মানুষ নেই। অন্ধকার দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হল। এরপর দুজন ব্যক্তির জুতা নেই দেখানো হয়েছে। অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য এই ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা আর বাড়তে না দেওয়ার আহ্বান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত