বিনোদন ডেস্ক
স্টেট অব প্লে (২০০৯)
রাসেল ক্রো ও র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস অভিনীত এই ফিকশনাল পলিটিক্যাল থ্রিলারটি উত্তেজনায় ভরপুর। কেভিন ম্যাকডোনাল্ড পরিচালিত এই ছবিতে ক্যাল (রাসেল ক্রো) একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু একজন কংগ্রেসম্যান। কংগ্রেসম্যানের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টের সন্দেহজনক মৃত্যুর অনুসন্ধান করাকে ঘিরেই এ মুভিটি। যে যে উপায়ে ক্যাল তথ্য উদ্ঘাটন করে খুনের সত্য কাহিনি তুলে এনেছেন, তা দেখে যাঁরা সাংবাদিকতা পড়েননি বা করেন না, করেননি, তাঁরাও কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন কীভাবে সাংবাদিকতা করতে হয়।
দ্য পোস্ট (২০১৭)
স্টিভেন স্পিলবার্গের এই ছবির মূল দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেরিল স্ট্রিপস ও টম হ্যাঙ্কস। সিনেমাটি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার ‘পেন্টাগন পেপারস’ নামক গোপন নথি ফাঁস করা নিয়ে। মেরিন সেনা ডেনিয়েল এলজবার্গ সরকারের গোপন কিছু নথি খুঁজে পান। প্রায় ৭ হাজার পৃষ্ঠার সেই নথিতে সরকারের ভয়াবহ অপরাধের প্রমাণ মেলে। নথিতে জানা যায়, সরকার ভিয়েতনামযুদ্ধে পরাজিত হবে, তা অনেক আগেই জানত।
কিন্তু জনগণের কাছে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছিল। এলজবার্গের কাছ থেকে গোপন নথিগুলো ওয়াশিংটন পোস্ট সংগ্রহ করে প্রকাশ করে। আর এই নথি প্রকাশের পেছনের ঘটনা নিয়েই স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘দ্য পোস্ট’ সিনেমা।
সিনেমায় সবচেয়ে ভালো লাগবে যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকা হলেও নিজেদের দুর্দিনে তারা এক হয়ে লড়েছিল।
মি. জোনস (২০১৯)
অ্যাগনিস্কা হল্যান্ড পরিচালিত এই থ্রিলার চলচ্চিত্রটি সাংবাদিক গ্যারেথ জোনস–এর জীবন অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। হোলডোমরসহ ১৯৩৩-৩৩–এর সোভিয়েত দুর্ভিক্ষের কথা জানিয়েছিলেন। ১৯৩৩ সালে গ্যারেথ হিটলারের সাক্ষাৎকার নিয়ে পরিচিতি পান।
তিনি সো জোন্স একজন উচ্চাভিলাষী তরুণ সাংবাদিক, যিনি অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের জন্য কিছু খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জীবনের নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহের কাজে মঙ্গোলিয়ায় গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জোডিয়াক (২০০৭)
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘জোডিয়াক’। ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত এই আমেরিকান রহস্য ও থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্রটি তিন ধরনের পেশার তিনজনকে ঘিরে। রবার্ট গ্রেস্মিথ (জেক জিলেনহ্যাল) পেশায় একজন কার্টুনিস্ট, অন্যজন ডেভিড টস্কি (মার্ক রাফেলো) হলেন গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ অফিসার এবং পল এভ্যারি (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) হলেন একজন ক্রাইম প্রতিবেদক। তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই, সিরিয়াল কিলার জোডিয়াককে খুঁজে বের করা। চিত্রনাট্য লেখা হয় কার্টুনিস্ট গ্রেস্মিথেরই লেখা দুটি বইয়ের ভিত্তিতে।
অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন (১৯৭৬)
ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক এবং দুই তরুণ সাংবাদিক পতন ঘটিয়েছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের। দুই সাংবাদিকের নাম কার্ল বার্নস্টাইন আর বব উডওয়ার্ড, সম্পাদকের নাম বেঞ্জামিন সি. ব্র্যাডলি।
আজও সারা পৃথিবীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ‘রোল মডেল’ হিসেবে নন্দিত হয় ‘উডস্টাইন’। পরে বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টাইন যৌথভাবে লিখেছিলেন ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’ শিরোনামের এক বই, যাতে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি এবং সংবাদের পেছনের গল্পের সঙ্গে সঙ্গে বর্ণনা করেছিলেন নিজেদের সে সময়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও।
পরবর্তী সময়ে এই বইটিকে ভিত্তি করেই ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয় ১৩৮ মিনিটের বিশ্বনন্দিত এক ছবি, ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’। তাতে বব উডওয়ার্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রবার্ট রেডফোর্ড, কার্ল বার্নস্টাইনের ভূমিকায় ডাস্টিন হফম্যান; আর বেঞ্জামিন ব্র্যাডলির ভূমিকায় জ্যাসন রবার্ডস। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অ্যালান জে. পাকুলা।
স্পটলাইট (২০১৫)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের ওপর করা ক্যাথলিক পাদ্রিদের যৌন নিগ্রহের সংবাদ প্রকাশ করে তোলপাড় তুলে দেয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিখ্যাত দ্য বোস্টন গ্লোব পত্রিকার ‘স্পটলাইট’ টিম। এ জন্য সাংবাদিকতার বিখ্যাত পুলিৎজার সম্মাননায়ও ভূষিত হয় তারা।
২০০২ সালের সেই ঘটনাকে ভিত্তি করে নির্মিত হয় ‘স্পটলাইট’। যে চলচ্চিত্রের ঝুলিতে যোগ হয় সেরা চলচ্চিত্রের অস্কারও। এ ছাড়া সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কারটিও গেছে চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার থমাস জোসেফ ম্যাকারথি এবং আরেক চিত্রনাট্যকার জোশ সিঙ্গারের ঝুলিতে।
গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক (২০০৫)
সিনেমাটি প্রতিটি সংবাদকর্মীর অন্তত একবার দেখা বাধ্যতামূলক। গত শতাব্দীর সেরা টেলিভিশন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হন এডওয়ার্ড আর. ম্যুরো। কমিউনিস্ট দমনের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংস্কৃতিক ইনকুইজিশন চালানো সিনেটর জোসেফ ম্যাককার্থির বিরুদ্ধে সংবাদকর্মী হিসেবে ম্যুরোর লড়াইই এই সিনেমার গল্প।
পর্দায় ম্যুরোর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা ডেভিড স্ট্রাথাইর্ন। অভিনেতা হিসেবে বেশি পরিচিত জর্জ ক্লুনি পরিচালিত এই সিনেমাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সত্যিকারের টেলিভিশন শোটির বেশ কিছু ফুটেজ। ‘গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক’ নামটি নেওয়া হয়েছিল ম্যুরোর নিজের শোর বিদায়ী সম্ভাষণ থেকে।
দ্য কিলিং ফিল্ডস (১৯৮৪)
সিডনি শনবার্গ, একাত্তরে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু সাংবাদিক। বিখ্যাত এই সংবাদকর্মীর কম্বোডিয়ার গণহত্যা চলাকালীন নিজের সহকর্মী-বন্ধুকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ‘দ্য কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটি নির্মিত হয় ১৯৮৪ সালে। কম্বোডিয়ায় পলপটের নেতৃত্বাধীন খেমাররুজ আমলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় সংঘটিত হয় বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস এক গণহত্যা।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে সংঘটিত এ গণহত্যায় প্রাণ দিয়েছিল আনুমানিক ১৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ। ‘দি কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটির গল্পের শুরু ১৯৭৩ সাল থেকে। তখনো খেমাররুজরা রাজধানী নমপেন দখল করেনি। এরপর আবার কাহিনি চলে যায় ১৯৭৫ সালে, যখন খেমাররুজরা দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি দখল করেছে। মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ কীভাবে নমপেন থেকে বন্ধু-সহকর্মী দোভাষী ডিথ প্র্যানকে কম্বোডিয়া থেকে উদ্ধার করেন, সেটা নিয়েই মূলত সিনেমার গল্প।
দ্য প্যারালাক্স ভিউ (১৯৭৪)
অ্যালান জে পাকুলা প্রযোজিত ও পরিচালিত এই আমেরিকান পলিটিক্যাল থ্রিলার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়ারেন বিটি, হিউম ক্রোনিন, উইলিয়াম ড্যানিয়েলস ও পলা প্রেন্টিস। এক পলিটিক্যাল রিপোর্টার একজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর খুন হওয়া নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সত্যের যত কাছাকাছি যেতে থাকেন, তত তাঁর মৃত্যুভয় বাড়তে থাকে।
দ্য ইনসাইডার (১৯৯৯)
এই করপোরেট থ্রিলার ঘরানার ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল ম্যান। ছবিতে রাসেল ক্রো অভিনয় করেছেন জেফেরি উইগ্যান্ড চরিত্রে, যিনি নিজের জীবন ও ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছেন টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির এক সত্য উদ্ঘাটন করে।
দ্য পেপার (১৯৯৪)
রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মাইকেল কেটন, গ্লেন ক্লোজ, মারিসা তোমে, র্যান্ডি কায়েদ ও রবার্ট ডুভাল। কমেডি ঘরানার এই ছবিতে একটি কাজের চাপে পিষ্ট নিউজরুম, সেখানের সাংবাদিক ও একটি খুন নিয়ে তদন্তের ঘটনা দেখানো হয়েছে।
স্টেট অব প্লে (২০০৯)
রাসেল ক্রো ও র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস অভিনীত এই ফিকশনাল পলিটিক্যাল থ্রিলারটি উত্তেজনায় ভরপুর। কেভিন ম্যাকডোনাল্ড পরিচালিত এই ছবিতে ক্যাল (রাসেল ক্রো) একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু একজন কংগ্রেসম্যান। কংগ্রেসম্যানের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টের সন্দেহজনক মৃত্যুর অনুসন্ধান করাকে ঘিরেই এ মুভিটি। যে যে উপায়ে ক্যাল তথ্য উদ্ঘাটন করে খুনের সত্য কাহিনি তুলে এনেছেন, তা দেখে যাঁরা সাংবাদিকতা পড়েননি বা করেন না, করেননি, তাঁরাও কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন কীভাবে সাংবাদিকতা করতে হয়।
দ্য পোস্ট (২০১৭)
স্টিভেন স্পিলবার্গের এই ছবির মূল দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেরিল স্ট্রিপস ও টম হ্যাঙ্কস। সিনেমাটি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার ‘পেন্টাগন পেপারস’ নামক গোপন নথি ফাঁস করা নিয়ে। মেরিন সেনা ডেনিয়েল এলজবার্গ সরকারের গোপন কিছু নথি খুঁজে পান। প্রায় ৭ হাজার পৃষ্ঠার সেই নথিতে সরকারের ভয়াবহ অপরাধের প্রমাণ মেলে। নথিতে জানা যায়, সরকার ভিয়েতনামযুদ্ধে পরাজিত হবে, তা অনেক আগেই জানত।
কিন্তু জনগণের কাছে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছিল। এলজবার্গের কাছ থেকে গোপন নথিগুলো ওয়াশিংটন পোস্ট সংগ্রহ করে প্রকাশ করে। আর এই নথি প্রকাশের পেছনের ঘটনা নিয়েই স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘দ্য পোস্ট’ সিনেমা।
সিনেমায় সবচেয়ে ভালো লাগবে যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকা হলেও নিজেদের দুর্দিনে তারা এক হয়ে লড়েছিল।
মি. জোনস (২০১৯)
অ্যাগনিস্কা হল্যান্ড পরিচালিত এই থ্রিলার চলচ্চিত্রটি সাংবাদিক গ্যারেথ জোনস–এর জীবন অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। হোলডোমরসহ ১৯৩৩-৩৩–এর সোভিয়েত দুর্ভিক্ষের কথা জানিয়েছিলেন। ১৯৩৩ সালে গ্যারেথ হিটলারের সাক্ষাৎকার নিয়ে পরিচিতি পান।
তিনি সো জোন্স একজন উচ্চাভিলাষী তরুণ সাংবাদিক, যিনি অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের জন্য কিছু খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জীবনের নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহের কাজে মঙ্গোলিয়ায় গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জোডিয়াক (২০০৭)
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘জোডিয়াক’। ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত এই আমেরিকান রহস্য ও থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্রটি তিন ধরনের পেশার তিনজনকে ঘিরে। রবার্ট গ্রেস্মিথ (জেক জিলেনহ্যাল) পেশায় একজন কার্টুনিস্ট, অন্যজন ডেভিড টস্কি (মার্ক রাফেলো) হলেন গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ অফিসার এবং পল এভ্যারি (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) হলেন একজন ক্রাইম প্রতিবেদক। তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই, সিরিয়াল কিলার জোডিয়াককে খুঁজে বের করা। চিত্রনাট্য লেখা হয় কার্টুনিস্ট গ্রেস্মিথেরই লেখা দুটি বইয়ের ভিত্তিতে।
অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন (১৯৭৬)
ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক এবং দুই তরুণ সাংবাদিক পতন ঘটিয়েছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের। দুই সাংবাদিকের নাম কার্ল বার্নস্টাইন আর বব উডওয়ার্ড, সম্পাদকের নাম বেঞ্জামিন সি. ব্র্যাডলি।
আজও সারা পৃথিবীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ‘রোল মডেল’ হিসেবে নন্দিত হয় ‘উডস্টাইন’। পরে বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টাইন যৌথভাবে লিখেছিলেন ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’ শিরোনামের এক বই, যাতে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি এবং সংবাদের পেছনের গল্পের সঙ্গে সঙ্গে বর্ণনা করেছিলেন নিজেদের সে সময়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও।
পরবর্তী সময়ে এই বইটিকে ভিত্তি করেই ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয় ১৩৮ মিনিটের বিশ্বনন্দিত এক ছবি, ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’। তাতে বব উডওয়ার্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রবার্ট রেডফোর্ড, কার্ল বার্নস্টাইনের ভূমিকায় ডাস্টিন হফম্যান; আর বেঞ্জামিন ব্র্যাডলির ভূমিকায় জ্যাসন রবার্ডস। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অ্যালান জে. পাকুলা।
স্পটলাইট (২০১৫)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের ওপর করা ক্যাথলিক পাদ্রিদের যৌন নিগ্রহের সংবাদ প্রকাশ করে তোলপাড় তুলে দেয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিখ্যাত দ্য বোস্টন গ্লোব পত্রিকার ‘স্পটলাইট’ টিম। এ জন্য সাংবাদিকতার বিখ্যাত পুলিৎজার সম্মাননায়ও ভূষিত হয় তারা।
২০০২ সালের সেই ঘটনাকে ভিত্তি করে নির্মিত হয় ‘স্পটলাইট’। যে চলচ্চিত্রের ঝুলিতে যোগ হয় সেরা চলচ্চিত্রের অস্কারও। এ ছাড়া সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কারটিও গেছে চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার থমাস জোসেফ ম্যাকারথি এবং আরেক চিত্রনাট্যকার জোশ সিঙ্গারের ঝুলিতে।
গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক (২০০৫)
সিনেমাটি প্রতিটি সংবাদকর্মীর অন্তত একবার দেখা বাধ্যতামূলক। গত শতাব্দীর সেরা টেলিভিশন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হন এডওয়ার্ড আর. ম্যুরো। কমিউনিস্ট দমনের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংস্কৃতিক ইনকুইজিশন চালানো সিনেটর জোসেফ ম্যাককার্থির বিরুদ্ধে সংবাদকর্মী হিসেবে ম্যুরোর লড়াইই এই সিনেমার গল্প।
পর্দায় ম্যুরোর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা ডেভিড স্ট্রাথাইর্ন। অভিনেতা হিসেবে বেশি পরিচিত জর্জ ক্লুনি পরিচালিত এই সিনেমাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সত্যিকারের টেলিভিশন শোটির বেশ কিছু ফুটেজ। ‘গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক’ নামটি নেওয়া হয়েছিল ম্যুরোর নিজের শোর বিদায়ী সম্ভাষণ থেকে।
দ্য কিলিং ফিল্ডস (১৯৮৪)
সিডনি শনবার্গ, একাত্তরে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু সাংবাদিক। বিখ্যাত এই সংবাদকর্মীর কম্বোডিয়ার গণহত্যা চলাকালীন নিজের সহকর্মী-বন্ধুকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ‘দ্য কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটি নির্মিত হয় ১৯৮৪ সালে। কম্বোডিয়ায় পলপটের নেতৃত্বাধীন খেমাররুজ আমলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় সংঘটিত হয় বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস এক গণহত্যা।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে সংঘটিত এ গণহত্যায় প্রাণ দিয়েছিল আনুমানিক ১৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ। ‘দি কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটির গল্পের শুরু ১৯৭৩ সাল থেকে। তখনো খেমাররুজরা রাজধানী নমপেন দখল করেনি। এরপর আবার কাহিনি চলে যায় ১৯৭৫ সালে, যখন খেমাররুজরা দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি দখল করেছে। মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ কীভাবে নমপেন থেকে বন্ধু-সহকর্মী দোভাষী ডিথ প্র্যানকে কম্বোডিয়া থেকে উদ্ধার করেন, সেটা নিয়েই মূলত সিনেমার গল্প।
দ্য প্যারালাক্স ভিউ (১৯৭৪)
অ্যালান জে পাকুলা প্রযোজিত ও পরিচালিত এই আমেরিকান পলিটিক্যাল থ্রিলার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়ারেন বিটি, হিউম ক্রোনিন, উইলিয়াম ড্যানিয়েলস ও পলা প্রেন্টিস। এক পলিটিক্যাল রিপোর্টার একজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর খুন হওয়া নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সত্যের যত কাছাকাছি যেতে থাকেন, তত তাঁর মৃত্যুভয় বাড়তে থাকে।
দ্য ইনসাইডার (১৯৯৯)
এই করপোরেট থ্রিলার ঘরানার ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল ম্যান। ছবিতে রাসেল ক্রো অভিনয় করেছেন জেফেরি উইগ্যান্ড চরিত্রে, যিনি নিজের জীবন ও ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছেন টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির এক সত্য উদ্ঘাটন করে।
দ্য পেপার (১৯৯৪)
রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মাইকেল কেটন, গ্লেন ক্লোজ, মারিসা তোমে, র্যান্ডি কায়েদ ও রবার্ট ডুভাল। কমেডি ঘরানার এই ছবিতে একটি কাজের চাপে পিষ্ট নিউজরুম, সেখানের সাংবাদিক ও একটি খুন নিয়ে তদন্তের ঘটনা দেখানো হয়েছে।
সম্প্রতি একক নাটকের প্রভাবে ধারাবাহিক নাটক কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও ব্যতিক্রম ‘মাশরাফি জুনিয়র’। চার বছর আগে প্রচার শুরু হওয়া নাটকটি আজ স্পর্শ করতে যাচ্ছে ১২০০ পর্বের মাইলফলক। আজ রাত ৮টায় দীপ্ত টিভিতে দেখা যাবে মাশরাফি জুনিয়রের বিশেষ এই পর্ব।
২ ঘণ্টা আগেশিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় থেকে নাট্যজন মামুনুর রশীদকে সাময়িক দূরে থাকার অনুরোধ করেছেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। এমন অনুরোধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ।
১২ ঘণ্টা আগেজন লেনন যখন এই চিঠি লিখছেন এরিক ক্ল্যাপটনকে, ততদিনে তিনি দ্য বিটলস থেকে বেরিয়ে এসেছেন। প্লাস্টিক ওনো ব্যান্ড নিয়েই সমস্ত ব্যস্ততা তখন। তবুও নতুন ব্যান্ডের কথা ভাবছিলেন লেনন। ক্ল্যাপটনের জীবনও তখন ছিল নানা সমস্যায় জর্জরিত।
১২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ঢাকার আশুলিয়ায় ইপিজেড শিল্প এলাকায় নিজের রেস্টুরেন্টের নতুন শাখা চালু করেছেন ওমর সানী। সানী জানিয়েছেন, দেশে চলমান আন্দোলনের কারণে রেস্টুরেন্টের নতুন শাখাটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে