Ajker Patrika

সিনেমায় সাহসী সাংবাদিকতা

সিনেমায় সাহসী সাংবাদিকতা

স্টেট অব প্লে (২০০৯)
রাসেল ক্রো ও র‍্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস অভিনীত এই ফিকশনাল পলিটিক্যাল থ্রিলারটি উত্তেজনায় ভরপুর। কেভিন ম্যাকডোনাল্ড পরিচালিত এই ছবিতে ক্যাল (রাসেল ক্রো) একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু একজন কংগ্রেসম্যান। কংগ্রেসম্যানের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টের সন্দেহজনক মৃত্যুর অনুসন্ধান করাকে ঘিরেই এ মুভিটি। যে যে উপায়ে ক্যাল তথ্য উদ্ঘাটন করে খুনের সত্য কাহিনি তুলে এনেছেন, তা দেখে যাঁরা সাংবাদিকতা পড়েননি বা করেন না, করেননি, তাঁরাও কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন কীভাবে সাংবাদিকতা করতে হয়।

‘দ্য পোস্ট’ সিনেমায় মেরিল স্ট্রিপ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেদ্য পোস্ট (২০১৭)
স্টিভেন স্পিলবার্গের এই ছবির মূল দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেরিল স্ট্রিপস ও টম হ্যাঙ্কস। সিনেমাটি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার ‘পেন্টাগন পেপারস’ নামক গোপন নথি ফাঁস করা নিয়ে। মেরিন সেনা ডেনিয়েল এলজবার্গ সরকারের গোপন কিছু নথি খুঁজে পান। প্রায় ৭ হাজার পৃষ্ঠার সেই নথিতে সরকারের ভয়াবহ অপরাধের প্রমাণ মেলে। নথিতে জানা যায়, সরকার ভিয়েতনামযুদ্ধে পরাজিত হবে, তা অনেক আগেই জানত।

কিন্তু জনগণের কাছে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছিল। এলজবার্গের কাছ থেকে গোপন নথিগুলো ওয়াশিংটন পোস্ট সংগ্রহ করে প্রকাশ করে। আর এই নথি প্রকাশের পেছনের ঘটনা নিয়েই স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘দ্য পোস্ট’ সিনেমা।

সিনেমায় সবচেয়ে ভালো লাগবে যে জিনিসটা সেটা হচ্ছে, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকা হলেও নিজেদের দুর্দিনে তারা এক হয়ে লড়েছিল।

‘মি. জোনস’ সিনেমায় জেমস নরটন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেমি. জোনস (২০১৯)
অ্যাগনিস্কা হল্যান্ড পরিচালিত এই থ্রিলার চলচ্চিত্রটি সাংবাদিক গ্যারেথ জোনস–এর জীবন অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। হোলডোমরসহ ১৯৩৩-৩৩–এর সোভিয়েত দুর্ভিক্ষের কথা জানিয়েছিলেন। ১৯৩৩ সালে গ্যারেথ হিটলারের সাক্ষাৎকার নিয়ে পরিচিতি পান।

তিনি সো জোন্স একজন উচ্চাভিলাষী তরুণ সাংবাদিক, যিনি অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারের জন্য কিছু খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জীবনের নানা রোমাঞ্চকর ঘটনা নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহের কাজে মঙ্গোলিয়ায় গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

‘জোডিয়াক’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: টুইটার থেকেজোডিয়াক (২০০৭)
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘জোডিয়াক’। ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত এই আমেরিকান রহস্য ও থ্রিলারধর্মী চলচ্চিত্রটি তিন ধরনের পেশার তিনজনকে ঘিরে। রবার্ট গ্রেস্মিথ (জেক জিলেনহ্যাল) পেশায় একজন কার্টুনিস্ট, অন্যজন ডেভিড টস্কি (মার্ক রাফেলো) হলেন গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ অফিসার এবং পল এভ্যারি (রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) হলেন একজন ক্রাইম প্রতিবেদক। তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই, সিরিয়াল কিলার জোডিয়াককে খুঁজে বের করা। চিত্রনাট্য লেখা হয় কার্টুনিস্ট গ্রেস্মিথেরই লেখা দুটি বইয়ের ভিত্তিতে।

‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: টুইটার থেকে`অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন (১৯৭৬)
ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক এবং দুই তরুণ সাংবাদিক পতন ঘটিয়েছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের। দুই সাংবাদিকের নাম কার্ল বার্নস্টাইন আর বব উডওয়ার্ড, সম্পাদকের নাম বেঞ্জামিন সি. ব্র্যাডলি।

আজও সারা পৃথিবীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ‘রোল মডেল’ হিসেবে নন্দিত হয় ‘উডস্টাইন’। পরে বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টাইন যৌথভাবে লিখেছিলেন ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’ শিরোনামের এক বই, যাতে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি এবং সংবাদের পেছনের গল্পের সঙ্গে সঙ্গে বর্ণনা করেছিলেন নিজেদের সে সময়ের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও।

পরবর্তী সময়ে এই বইটিকে ভিত্তি করেই ১৯৭৬ সালে নির্মিত হয় ১৩৮ মিনিটের বিশ্বনন্দিত এক ছবি, ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’। তাতে বব উডওয়ার্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রবার্ট রেডফোর্ড, কার্ল বার্নস্টাইনের ভূমিকায় ডাস্টিন হফম্যান; আর বেঞ্জামিন ব্র্যাডলির ভূমিকায় জ্যাসন রবার্ডস। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন অ্যালান জে. পাকুলা।

‘স্পটলাইট’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেস্পটলাইট (২০১৫)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের ওপর করা ক্যাথলিক পাদ্রিদের যৌন নিগ্রহের সংবাদ প্রকাশ করে তোলপাড় তুলে দেয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিখ্যাত দ্য বোস্টন গ্লোব পত্রিকার ‘স্পটলাইট’ টিম। এ জন্য সাংবাদিকতার বিখ্যাত পুলিৎজার সম্মাননায়ও ভূষিত হয় তারা।

২০০২ সালের সেই ঘটনাকে ভিত্তি করে নির্মিত হয় ‘স্পটলাইট’। যে চলচ্চিত্রের ঝুলিতে যোগ হয় সেরা চলচ্চিত্রের অস্কারও। এ ছাড়া সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কারটিও গেছে চলচ্চিত্রটির পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার থমাস জোসেফ ম্যাকারথি এবং আরেক চিত্রনাট্যকার জোশ সিঙ্গারের ঝুলিতে।

সিনেমা ‘গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক’। ছবি: টুইটার থেকেগুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক (২০০৫)
সিনেমাটি প্রতিটি সংবাদকর্মীর অন্তত একবার দেখা বাধ্যতামূলক। গত শতাব্দীর সেরা টেলিভিশন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হন এডওয়ার্ড আর. ম্যুরো। কমিউনিস্ট দমনের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাংস্কৃতিক ইনকুইজিশন চালানো সিনেটর জোসেফ ম্যাককার্থির বিরুদ্ধে সংবাদকর্মী হিসেবে ম্যুরোর লড়াইই এই সিনেমার গল্প।

পর্দায় ম্যুরোর চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা ডেভিড স্ট্রাথাইর্ন। অভিনেতা হিসেবে বেশি পরিচিত জর্জ ক্লুনি পরিচালিত এই সিনেমাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সত্যিকারের টেলিভিশন শোটির বেশ কিছু ফুটেজ। ‘গুড নাইট অ্যান্ড গুড লাক’ নামটি নেওয়া হয়েছিল ম্যুরোর নিজের শোর বিদায়ী সম্ভাষণ থেকে।

‘দ্য কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেদ্য কিলিং ফিল্ডস (১৯৮৪)
সিডনি শনবার্গ, একাত্তরে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু সাংবাদিক। বিখ্যাত এই সংবাদকর্মীর কম্বোডিয়ার গণহত্যা চলাকালীন নিজের সহকর্মী-বন্ধুকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে ‘দ্য কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটি নির্মিত হয় ১৯৮৪ সালে। কম্বোডিয়ায় পলপটের নেতৃত্বাধীন খেমাররুজ আমলে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় সংঘটিত হয় বিংশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস এক গণহত্যা।

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে সংঘটিত এ গণহত্যায় প্রাণ দিয়েছিল আনুমানিক ১৫ থেকে ৩০ লাখ মানুষ। ‘দি কিলিং ফিল্ডস’ সিনেমাটির গল্পের শুরু ১৯৭৩ সাল থেকে। তখনো খেমাররুজরা রাজধানী নমপেন দখল করেনি। এরপর আবার কাহিনি চলে যায় ১৯৭৫ সালে, যখন খেমাররুজরা দেশটির ক্ষমতা পুরোপুরি দখল করেছে। মার্কিন সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ কীভাবে নমপেন থেকে বন্ধু-সহকর্মী দোভাষী ডিথ প্র্যানকে কম্বোডিয়া থেকে উদ্ধার করেন, সেটা নিয়েই মূলত সিনেমার গল্প।

‘দ্য প্যারালাক্স ভিউ’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: টুইটার থেকেদ্য প্যারালাক্স ভিউ (১৯৭৪)
অ্যালান জে পাকুলা প্রযোজিত ও পরিচালিত এই আমেরিকান পলিটিক্যাল থ্রিলার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়ারেন বিটি, হিউম ক্রোনিন, উইলিয়াম ড্যানিয়েলস ও পলা প্রেন্টিস। এক পলিটিক্যাল রিপোর্টার একজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর খুন হওয়া নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সত্যের যত কাছাকাছি যেতে থাকেন, তত তাঁর মৃত্যুভয় বাড়তে থাকে।

‘দ্য ইনসাইডার’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: টুইটার থেকেদ্য ইনসাইডার (১৯৯৯)
এই করপোরেট থ্রিলার ঘরানার ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল ম্যান। ছবিতে রাসেল ক্রো অভিনয় করেছেন জেফেরি উইগ্যান্ড চরিত্রে, যিনি নিজের জীবন ও ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছেন টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির এক সত্য উদ্ঘাটন করে।

‘দ্য পেপার’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: টুইটার থেকেদ্য পেপার (১৯৯৪)
রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মাইকেল কেটন, গ্লেন ক্লোজ, মারিসা তোমে, র্যান্ডি কায়েদ ও রবার্ট ডুভাল। কমেডি ঘরানার এই ছবিতে একটি কাজের চাপে পিষ্ট নিউজরুম, সেখানের সাংবাদিক ও একটি খুন নিয়ে তদন্তের ঘটনা দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত