খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা
ভাইরাস কি কেবল শরীর আক্রান্ত করে? মনও তো আক্রান্ত হয়। পচন ধরে মানসিকতায়। পরিচালক অনম বিশ্বাস এই সিরিজে দেখিয়েছেন, কীভাবে ভাইরাস মানুষের মন ভেদ করে আস্তানা গেড়েছে সমাজের গভীরে। এই ভাইরাস নানামাত্রিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই শ্রীবৃদ্ধির সময়ে যেভাবে ট্রেন্ডের ইশারায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে মানুষের জীবনযাপন, প্রভাবিত হচ্ছে চিন্তা, আচরণ, মতামত; সেটাও যেকোনো সংক্রামক ভাইরাসের চেয়ে কম ভয়াবহ নয়।
ভাইরাসকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন অনম। কখনো তুলনা করেছেন ফরমালিনের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে, ক্ষমতার আস্ফালনের সঙ্গে, চারপাশে শত অন্যায়-অবিচার দেখেও গা বাঁচিয়ে চলার স্বভাব, অঢেল সম্পদের মোহ এবং মিথ্যার প্রাচুর্যের সঙ্গেও। সমাজের অন্দরে এসব ভাইরাস কত শক্তভাবে শিকড় গেড়েছে, এই সিরিজে অনম বিশ্বাস সেটাই দেখাতে চেয়েছেন গল্পের ছলে।
গল্পের লোকেশন শহর থেকে অনেক দূরে। পাহাড়বেষ্টিত প্রায় শুষ্ক অঞ্চলের মাঝ দিয়ে একটা নদী বয়ে গেছে। সেই নদীতে নৌকা চালিয়ে বহুদূর থেকে রোজ হাটে আসে নিরঞ্জন কবিরাজ (তারিক আনাম খান)। একদিন হাট শেষে ফেরার পথে তার নৌকায় সওয়ার হয় অপরিচিত যুবক আফজাল (শ্যামল মাওলা)। তার মুখমণ্ডলজুড়ে দগদগে ঘা। এই ঘা নিয়ে মাস তিনেক ধরে সে ছুটে বেড়াচ্ছে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। খুঁজছে নিরঞ্জন কবিরাজকে। নিরঞ্জন ও আফজালের এই দেখা এবং একত্র হওয়া দর্শককে নিয়ে যায় গল্পের গভীরে। গল্পের আরেক অংশে অদ্ভুত এবং কাল্পনিক এক গ্রামের চিত্র দেখিয়েছেন পরিচালক। সেই গ্রামের সবাই ফরমালিনে আসক্ত। রুটি-তরকারি থেকে শুরু করে চা—সবেতেই ফরমালিন পাউডার ছাড়া চলে না তাদের। সেখানে মৃতদেহ পচে না। এই গ্রামে একটা ‘পাপ’ আছে আফজালের। তার ধারণা, ওই পাপের কারণেই আজ তার এত ভোগান্তি।
পাপ ছিল নিরঞ্জনেরও। দিনদুপুরে চোখের সামনে একজনকে খুন হতে দেখেও পুলিশের কাছে সত্যটা না বলার পাপ। তার জন্য শাস্তি পায় সে। পরিত্রাণও পায় আরেকটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে। এই কয়েকটি গল্প ভাইরাস সিরিজের প্রাণ। গল্পগুলোর গায়ে নির্মাতা লেপে দিয়েছেন বাস্তবতা, রহস্য ও অতিবাস্তবতার প্রলেপ। ভাইরাস সিরিজের আইডিয়া নিঃসন্দেহে নতুন। এমনটা বাংলা সিরিজে দেখা যায়নি আগে। তবে এই নতুন চিন্তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে পুরোনো মোড়কে।
গল্পের বয়ানশৈলী নতুন নয়, একটা প্রধান গল্প আর তার সূত্র ধরে অনেক ফ্ল্যাশব্যাকের আগমন—এ ধারাতেই এগিয়েছে। বাংলা সিনেমার বহুলচর্চিত সেই ‘শেষ দৃশ্যে পুলিশ’ আসার মতো মুখস্থ পরিস্থিতি যেমন আছে ভাইরাসে, আছে অতিনাটকীয়তার আধিক্য। আর আছে একটি দীর্ঘ এবং অবান্তর ফ্ল্যাশব্যাক। প্রায় আধঘণ্টার সেই ‘রিভেঞ্জ’ দৃশ্যে একজনকে নানাভাবে অত্যাচার করে প্রায় প্রাণসংহার করা হয়। ওই দৃশ্যেই মূলত প্রাণ হারিয়েছে ভাইরাস সিরিজ। খেই হারিয়েছে গল্প। নির্মাতা হয়তো রাশেদ মামুন অপুর গুরুত্বহীন চরিত্রটিকে খানিকটা ফোকাসে আনার জন্য এত কাণ্ড করলেন, কিন্তু তিনি বুঝতেই পারলেন না, কখন তাঁর হাত থেকে ফসকে গেল গল্পের লাগাম।
তবে পুরোটা সময় চোখ আটকে থাকে তারিক আনাম খান ও শ্যামল মাওলার দিকে। তাঁদের অনবদ্য অভিনয় আর বাস্তবঘেঁষা সংলাপ আচ্ছন্ন করবে সবাইকে। মুগ্ধ করবে শেষ দৃশ্যও। যেখানে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামছে। ধুয়ে যাচ্ছে সব পাপ-পঙ্কিলতা-ভাইরাসের ভয়াবহতা। শান্তি নামছে ধরায়।
ভাইরাস কি কেবল শরীর আক্রান্ত করে? মনও তো আক্রান্ত হয়। পচন ধরে মানসিকতায়। পরিচালক অনম বিশ্বাস এই সিরিজে দেখিয়েছেন, কীভাবে ভাইরাস মানুষের মন ভেদ করে আস্তানা গেড়েছে সমাজের গভীরে। এই ভাইরাস নানামাত্রিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই শ্রীবৃদ্ধির সময়ে যেভাবে ট্রেন্ডের ইশারায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে মানুষের জীবনযাপন, প্রভাবিত হচ্ছে চিন্তা, আচরণ, মতামত; সেটাও যেকোনো সংক্রামক ভাইরাসের চেয়ে কম ভয়াবহ নয়।
ভাইরাসকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন অনম। কখনো তুলনা করেছেন ফরমালিনের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে, ক্ষমতার আস্ফালনের সঙ্গে, চারপাশে শত অন্যায়-অবিচার দেখেও গা বাঁচিয়ে চলার স্বভাব, অঢেল সম্পদের মোহ এবং মিথ্যার প্রাচুর্যের সঙ্গেও। সমাজের অন্দরে এসব ভাইরাস কত শক্তভাবে শিকড় গেড়েছে, এই সিরিজে অনম বিশ্বাস সেটাই দেখাতে চেয়েছেন গল্পের ছলে।
গল্পের লোকেশন শহর থেকে অনেক দূরে। পাহাড়বেষ্টিত প্রায় শুষ্ক অঞ্চলের মাঝ দিয়ে একটা নদী বয়ে গেছে। সেই নদীতে নৌকা চালিয়ে বহুদূর থেকে রোজ হাটে আসে নিরঞ্জন কবিরাজ (তারিক আনাম খান)। একদিন হাট শেষে ফেরার পথে তার নৌকায় সওয়ার হয় অপরিচিত যুবক আফজাল (শ্যামল মাওলা)। তার মুখমণ্ডলজুড়ে দগদগে ঘা। এই ঘা নিয়ে মাস তিনেক ধরে সে ছুটে বেড়াচ্ছে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। খুঁজছে নিরঞ্জন কবিরাজকে। নিরঞ্জন ও আফজালের এই দেখা এবং একত্র হওয়া দর্শককে নিয়ে যায় গল্পের গভীরে। গল্পের আরেক অংশে অদ্ভুত এবং কাল্পনিক এক গ্রামের চিত্র দেখিয়েছেন পরিচালক। সেই গ্রামের সবাই ফরমালিনে আসক্ত। রুটি-তরকারি থেকে শুরু করে চা—সবেতেই ফরমালিন পাউডার ছাড়া চলে না তাদের। সেখানে মৃতদেহ পচে না। এই গ্রামে একটা ‘পাপ’ আছে আফজালের। তার ধারণা, ওই পাপের কারণেই আজ তার এত ভোগান্তি।
পাপ ছিল নিরঞ্জনেরও। দিনদুপুরে চোখের সামনে একজনকে খুন হতে দেখেও পুলিশের কাছে সত্যটা না বলার পাপ। তার জন্য শাস্তি পায় সে। পরিত্রাণও পায় আরেকটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে। এই কয়েকটি গল্প ভাইরাস সিরিজের প্রাণ। গল্পগুলোর গায়ে নির্মাতা লেপে দিয়েছেন বাস্তবতা, রহস্য ও অতিবাস্তবতার প্রলেপ। ভাইরাস সিরিজের আইডিয়া নিঃসন্দেহে নতুন। এমনটা বাংলা সিরিজে দেখা যায়নি আগে। তবে এই নতুন চিন্তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে পুরোনো মোড়কে।
গল্পের বয়ানশৈলী নতুন নয়, একটা প্রধান গল্প আর তার সূত্র ধরে অনেক ফ্ল্যাশব্যাকের আগমন—এ ধারাতেই এগিয়েছে। বাংলা সিনেমার বহুলচর্চিত সেই ‘শেষ দৃশ্যে পুলিশ’ আসার মতো মুখস্থ পরিস্থিতি যেমন আছে ভাইরাসে, আছে অতিনাটকীয়তার আধিক্য। আর আছে একটি দীর্ঘ এবং অবান্তর ফ্ল্যাশব্যাক। প্রায় আধঘণ্টার সেই ‘রিভেঞ্জ’ দৃশ্যে একজনকে নানাভাবে অত্যাচার করে প্রায় প্রাণসংহার করা হয়। ওই দৃশ্যেই মূলত প্রাণ হারিয়েছে ভাইরাস সিরিজ। খেই হারিয়েছে গল্প। নির্মাতা হয়তো রাশেদ মামুন অপুর গুরুত্বহীন চরিত্রটিকে খানিকটা ফোকাসে আনার জন্য এত কাণ্ড করলেন, কিন্তু তিনি বুঝতেই পারলেন না, কখন তাঁর হাত থেকে ফসকে গেল গল্পের লাগাম।
তবে পুরোটা সময় চোখ আটকে থাকে তারিক আনাম খান ও শ্যামল মাওলার দিকে। তাঁদের অনবদ্য অভিনয় আর বাস্তবঘেঁষা সংলাপ আচ্ছন্ন করবে সবাইকে। মুগ্ধ করবে শেষ দৃশ্যও। যেখানে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামছে। ধুয়ে যাচ্ছে সব পাপ-পঙ্কিলতা-ভাইরাসের ভয়াবহতা। শান্তি নামছে ধরায়।
চলতি সপ্তাহে দেশের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি প্রেক্ষাগৃহে। তবে স্টার সিনেপ্লেক্সে শুক্রবার মুক্তি পেল দুটি হলিউড সিনেমা। সিনেপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখায় চলছে উইকড ও রেড ওয়ান।
২ মিনিট আগেপ্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
১১ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
১১ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
১২ ঘণ্টা আগে