রজত কান্তি রায়
ড. সুজন দাশগুপ্ত, লেখক। এ পরিচয়ে বাংলাদেশে খুব বেশি মানুষ তাঁকে চিনবেন না। কিন্তু যদি বলা হয়, গোয়েন্দা `একেনবাবু'র স্রষ্টা; অর্থাৎ লেখক, তাহলে কিছু মানুষ তাঁকে চিনবেন। বিশেষ করে যাঁরা এখন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে ওয়েব সিরিজটি দেখছেন।
এক-দুই-তিন করে `একেনবাবু' সিরিজের পঞ্চম সিজন ‘শান্তিনিকেতনে সংকেত মোচন’ মুক্তি পেয়েছে হইচইয়ে। অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌম ব্যানার্জি, আর শ্রেয়া সিনহাদের দুর্দান্ত অভিনয় ও ভালো মেকিংয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, বাংলাদেশেও ওয়েব সিরিজটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। সেই সূত্র ধরে `একেনবাবু' সিরিজের গল্পকার সুজন দাশগুপ্তের একটি সাক্ষাৎকার নিলাম জুমে। ঠিক সাক্ষাৎকার নয়। বরং বলা চলে আড্ডা। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে আবদার করতেই তিনি সময় দিলেন।
সুজন দাশগুপ্ত এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। বয়স প্রায় ৭৭। ১৯৬৭ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তারপর পিএইচডি শেষ করে বেল ল্যাবে কাজ শুরু করেন। টানা ৩০ বছর বেল ল্যাবে চাকরি করার পর স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে বছর দেড়েক সিলিকন ভ্যালিতে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এখন অবসরে। লেখালেখি করছেন।
সুজন দাশগুপ্তের পূর্বপুরুষের ভিটে বিক্রমপুর তথা মুন্সিগঞ্জ। আর শ্বশুরের আদি বাড়ি চট্টগ্রাম।
জানতে চাই, তিনি কখনো বাংলাদেশে এসেছিলেন কি না। সুজন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এটি বড় লজ্জার প্রশ্ন আমার কাছে। বাবার বাড়ি বিক্রমপুর। সেটা পদ্মার জলে চলে গেছে অনেক আগে। বহুবার ভেবেছি যাব, বাংলাদেশের বন্ধুরা বারবার বলেছেন, যান ঘুরে আসুন। কিন্তু যাওয়া হয়নি এখনো। এবার যদি বেঁচেবর্তে থাকি যাব। আসলে দেশ তো থাকে বুকের ভেতর। জন্ম, বেড়ে ওঠা কলকাতায়, চাকরি আমেরিকায় হলেও দেশ তো আসলে আমার ওটাই। দুঃখ একটাই, যাওয়া হয়নি এখনো।’ তিনি জানালেন, বাংলাদেশের নাটক তিনি দেখেন নিয়মিত। রক্তচাপ বেশি বলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে প্রতিদিন ট্রেডে মিলে হাঁটতে হয় এক ঘণ্টা করে। ট্রেড মিলের সামনে টেলিভিশন লাগানো আছে। সেখানে চলতে থাকে বাংলাদেশের রোমান্টিক নাটক। সেই নাটক দেখেতে দেখতে তিনি হাঁটেন ট্রেড মিলে। মজা করে বললেন, ‘বাংলাদেশে না গেলেও আমি কিন্তু তোমাদের টেলিভিশন নাটকের নায়িকাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সম্ভব হলে তাঁদের জানিও, তারা আমাকে সুস্থ রেখেছে।’
জানাই, তিনি না এলেও তাঁর একেনবাবু এখন বাংলাদেশে জনপ্রিয় চরিত্র ওয়েব সিরিজের কল্যাণে। তিনি বলেন, ''সেটা হলে আমার ভালো লাগবে। আমি চাই, 'একেনবাবু' মানুষ পড়ুক এবং দেখুক।’’
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, 'একেনবাবু' লেখা শুরু হয়েছিল মূলত কিশোরদের জন্য। এই সিরিজের দুটি বই ‘ম্যানহাটনের মুনস্টোন’ ও ‘ম্যানহাটনে ম্যানহান্ট’ প্রকাশিত হয়েছিল নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে। কলকাতার আনন্দ মেলা বই দুটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছিল। এর অনেক পরে ২০১৭ সালে 'একেনবাবু সমগ্র প্রথম খণ্ড' প্রকাশ করে কলকাতার প্রকাশনী দ্য কাফে টেবল। একই প্রকাশনী ২০১৮ সালে প্রকাশ করে এর দ্বিতীয় খণ্ড। এরপর তৃতীয় থেকে পঞ্চম খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছে একই প্রকাশনী থেকে। 'একেনবাবু'র গল্পগুলো ওয়েব সিরিজ আকারে নির্মিত হতে শুরু করে ২০১৮ সাল থেকে। গত ৮ অক্টোবর ছয় পর্বে 'একেনবাবু' সিরিজের পঞ্চম সিজন মুক্তি দেওয়া হয় হইচই প্ল্যাটফর্মে।
`একেনবাবু' প্রথম বা দ্বিতীয় খণ্ডে যা পড়েছি, ওয়েব সিরিজ তো সেরকম হলো না! কিছুটা অনুযোগের সুরে প্রশ্ন করলাম। সুজন দাশগুপ্ত বেশ খানিকটা ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, ‘পথে হলো দেরিতে’ও তো তাই হয়েছে। মূল গল্পের হালকা একটা ছোঁয়া আছে সেখানে। বই আর সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দুটো দুই জগৎ। বই থেকে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ করতে গেলে একটু এপাশ-ওপাশ হয়। পরিবর্তন হয়। ওয়েব সিরিজের `একেনবাবু' তো আমার নয়। আমি লিখেছিলাম ম্যানহাটনের গল্প। ওয়েব সিরিজ তো আর সেখানে করা যায় না। তাই কিছু পরিবর্তন হয়েছে। মূল গল্পে কোনো মেয়ে চরিত্র নেই। পরিচালক আমাকে বললেন, কোনো মেয়ে চরিত্র নেই? তো… বললাম, এখন কোনো মেয়ে চরিত্র লিখতে পারব না। গল্প তো অনেক আগে প্রকাশিত হয়ে গেছে। সেই নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে। পরিচালক অনির্বাণ মল্লিক, তাদের তুমি করেই বলি। আমার অনেক জুনিয়র। সে বলল, ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্টের বদলে একজন নারী পুলিশ করে দিই। আমি আর কী বলব? ওরা করল। তখন এল রুপাল মেহেরার চরিত্র। সেটা করল শ্রেয়া সিনহা। ভালোই তো হলো। না হলে এতগুলো সিজন হতো না।’
তবে একেনবাবুকে একেবারে বাঙালি করার বিষয়টা বেশ ভালো হয়েছে। দর্শক মজা পাচ্ছে। খাদ্যরসিক হিসেবে একেনবাবুর চরিত্রটা বেশ মানিয়ে গেছে—জানালাম সুজন দাশগুপ্তকে। তিনিও মজা পেলেন। জানালেন, ‘মূল গল্পের একেনবাবু এ রকম নয়। সেখানে একেন মাঝে মাঝে “কী যে বলেন স্যার” ব্যবহার করে। এখানেও এরা রেখেছে সেটা একটু একটু। আর একেনবাবুকে বাঙালি বানিয়ে দিয়েছে। খারাপ হয়েছে কি?’
খারাপ কি ভালো সে প্রসঙ্গে না গিয়ে একটা ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ঢুকে গেলাম আমরা। একেনবাবু ওয়েব সিরিজের প্রধান চরিত্র একেনবাবুর সঙ্গে জটায়ু চরিত্রটির মিল পাওয়া যায়। বিষয়টি কেন? সুজন দাশগুপ্ত জানালেন, বিষয়টিকে কাকতালীয় বলা ছাড়া উপায় নেই। তিনি যখন ভারত ছাড়েন, সেই ১৯৬৭ সালে জটায়ুর আবির্ভাব হয়নি বলে জানালেন সুজন দাশগুপ্ত। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ‘সোনার কেল্লা’ উপন্যাসে প্রথম লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ুর আবির্ভাব। ‘তবে জটায়ু চরিত্রে সফল অভিনয় করেছিলেন সন্তোষ দত্ত। তাঁর সঙ্গে একেনবাবু যে করছে, অনির্বাণ, তার অভিনয়ের মিল আছে কিছু। তার পরও সে কোথাও একটা পার্থক্য তৈরির চেষ্টা করেছে।’
কথায় কথা গড়ায়। গল্প-উপন্যাস থেকে ওয়েব সিরিজ, সিনেমা, রাজনীতি, দেশভাগ ইত্যাকার বিষয় নিয়ে ঘণ্টাখানেক আমাদের আড্ডা চলে। আর মাঝেমধ্যে চলে `একেনবাবু'র খোঁজখবর। জানতে চাই, `একেনবাবু সিক্সথ' আমরা পাচ্ছি তো? সুজন দাশগুপ্ত জানালেন, ‘সেটা তো হইচইয়ের ব্যাপার। তবে আশা নিশ্চয় করতে পারি। পরের বইয়ের জন্য কয়েকটি নতুন গল্পও লেখা হয়ে গেছে। দেখা যাক বাকিটা।’
ড. সুজন দাশগুপ্ত, লেখক। এ পরিচয়ে বাংলাদেশে খুব বেশি মানুষ তাঁকে চিনবেন না। কিন্তু যদি বলা হয়, গোয়েন্দা `একেনবাবু'র স্রষ্টা; অর্থাৎ লেখক, তাহলে কিছু মানুষ তাঁকে চিনবেন। বিশেষ করে যাঁরা এখন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে ওয়েব সিরিজটি দেখছেন।
এক-দুই-তিন করে `একেনবাবু' সিরিজের পঞ্চম সিজন ‘শান্তিনিকেতনে সংকেত মোচন’ মুক্তি পেয়েছে হইচইয়ে। অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌম ব্যানার্জি, আর শ্রেয়া সিনহাদের দুর্দান্ত অভিনয় ও ভালো মেকিংয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, বাংলাদেশেও ওয়েব সিরিজটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে। সেই সূত্র ধরে `একেনবাবু' সিরিজের গল্পকার সুজন দাশগুপ্তের একটি সাক্ষাৎকার নিলাম জুমে। ঠিক সাক্ষাৎকার নয়। বরং বলা চলে আড্ডা। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে আবদার করতেই তিনি সময় দিলেন।
সুজন দাশগুপ্ত এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। বয়স প্রায় ৭৭। ১৯৬৭ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তারপর পিএইচডি শেষ করে বেল ল্যাবে কাজ শুরু করেন। টানা ৩০ বছর বেল ল্যাবে চাকরি করার পর স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে বছর দেড়েক সিলিকন ভ্যালিতে কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এখন অবসরে। লেখালেখি করছেন।
সুজন দাশগুপ্তের পূর্বপুরুষের ভিটে বিক্রমপুর তথা মুন্সিগঞ্জ। আর শ্বশুরের আদি বাড়ি চট্টগ্রাম।
জানতে চাই, তিনি কখনো বাংলাদেশে এসেছিলেন কি না। সুজন দাশগুপ্ত বলেন, ‘এটি বড় লজ্জার প্রশ্ন আমার কাছে। বাবার বাড়ি বিক্রমপুর। সেটা পদ্মার জলে চলে গেছে অনেক আগে। বহুবার ভেবেছি যাব, বাংলাদেশের বন্ধুরা বারবার বলেছেন, যান ঘুরে আসুন। কিন্তু যাওয়া হয়নি এখনো। এবার যদি বেঁচেবর্তে থাকি যাব। আসলে দেশ তো থাকে বুকের ভেতর। জন্ম, বেড়ে ওঠা কলকাতায়, চাকরি আমেরিকায় হলেও দেশ তো আসলে আমার ওটাই। দুঃখ একটাই, যাওয়া হয়নি এখনো।’ তিনি জানালেন, বাংলাদেশের নাটক তিনি দেখেন নিয়মিত। রক্তচাপ বেশি বলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে প্রতিদিন ট্রেডে মিলে হাঁটতে হয় এক ঘণ্টা করে। ট্রেড মিলের সামনে টেলিভিশন লাগানো আছে। সেখানে চলতে থাকে বাংলাদেশের রোমান্টিক নাটক। সেই নাটক দেখেতে দেখতে তিনি হাঁটেন ট্রেড মিলে। মজা করে বললেন, ‘বাংলাদেশে না গেলেও আমি কিন্তু তোমাদের টেলিভিশন নাটকের নায়িকাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সম্ভব হলে তাঁদের জানিও, তারা আমাকে সুস্থ রেখেছে।’
জানাই, তিনি না এলেও তাঁর একেনবাবু এখন বাংলাদেশে জনপ্রিয় চরিত্র ওয়েব সিরিজের কল্যাণে। তিনি বলেন, ''সেটা হলে আমার ভালো লাগবে। আমি চাই, 'একেনবাবু' মানুষ পড়ুক এবং দেখুক।’’
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, 'একেনবাবু' লেখা শুরু হয়েছিল মূলত কিশোরদের জন্য। এই সিরিজের দুটি বই ‘ম্যানহাটনের মুনস্টোন’ ও ‘ম্যানহাটনে ম্যানহান্ট’ প্রকাশিত হয়েছিল নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে। কলকাতার আনন্দ মেলা বই দুটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছিল। এর অনেক পরে ২০১৭ সালে 'একেনবাবু সমগ্র প্রথম খণ্ড' প্রকাশ করে কলকাতার প্রকাশনী দ্য কাফে টেবল। একই প্রকাশনী ২০১৮ সালে প্রকাশ করে এর দ্বিতীয় খণ্ড। এরপর তৃতীয় থেকে পঞ্চম খণ্ডও প্রকাশিত হয়েছে একই প্রকাশনী থেকে। 'একেনবাবু'র গল্পগুলো ওয়েব সিরিজ আকারে নির্মিত হতে শুরু করে ২০১৮ সাল থেকে। গত ৮ অক্টোবর ছয় পর্বে 'একেনবাবু' সিরিজের পঞ্চম সিজন মুক্তি দেওয়া হয় হইচই প্ল্যাটফর্মে।
`একেনবাবু' প্রথম বা দ্বিতীয় খণ্ডে যা পড়েছি, ওয়েব সিরিজ তো সেরকম হলো না! কিছুটা অনুযোগের সুরে প্রশ্ন করলাম। সুজন দাশগুপ্ত বেশ খানিকটা ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, ‘পথে হলো দেরিতে’ও তো তাই হয়েছে। মূল গল্পের হালকা একটা ছোঁয়া আছে সেখানে। বই আর সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দুটো দুই জগৎ। বই থেকে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ করতে গেলে একটু এপাশ-ওপাশ হয়। পরিবর্তন হয়। ওয়েব সিরিজের `একেনবাবু' তো আমার নয়। আমি লিখেছিলাম ম্যানহাটনের গল্প। ওয়েব সিরিজ তো আর সেখানে করা যায় না। তাই কিছু পরিবর্তন হয়েছে। মূল গল্পে কোনো মেয়ে চরিত্র নেই। পরিচালক আমাকে বললেন, কোনো মেয়ে চরিত্র নেই? তো… বললাম, এখন কোনো মেয়ে চরিত্র লিখতে পারব না। গল্প তো অনেক আগে প্রকাশিত হয়ে গেছে। সেই নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে। পরিচালক অনির্বাণ মল্লিক, তাদের তুমি করেই বলি। আমার অনেক জুনিয়র। সে বলল, ক্যাপ্টেন স্টুয়ার্টের বদলে একজন নারী পুলিশ করে দিই। আমি আর কী বলব? ওরা করল। তখন এল রুপাল মেহেরার চরিত্র। সেটা করল শ্রেয়া সিনহা। ভালোই তো হলো। না হলে এতগুলো সিজন হতো না।’
তবে একেনবাবুকে একেবারে বাঙালি করার বিষয়টা বেশ ভালো হয়েছে। দর্শক মজা পাচ্ছে। খাদ্যরসিক হিসেবে একেনবাবুর চরিত্রটা বেশ মানিয়ে গেছে—জানালাম সুজন দাশগুপ্তকে। তিনিও মজা পেলেন। জানালেন, ‘মূল গল্পের একেনবাবু এ রকম নয়। সেখানে একেন মাঝে মাঝে “কী যে বলেন স্যার” ব্যবহার করে। এখানেও এরা রেখেছে সেটা একটু একটু। আর একেনবাবুকে বাঙালি বানিয়ে দিয়েছে। খারাপ হয়েছে কি?’
খারাপ কি ভালো সে প্রসঙ্গে না গিয়ে একটা ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ঢুকে গেলাম আমরা। একেনবাবু ওয়েব সিরিজের প্রধান চরিত্র একেনবাবুর সঙ্গে জটায়ু চরিত্রটির মিল পাওয়া যায়। বিষয়টি কেন? সুজন দাশগুপ্ত জানালেন, বিষয়টিকে কাকতালীয় বলা ছাড়া উপায় নেই। তিনি যখন ভারত ছাড়েন, সেই ১৯৬৭ সালে জটায়ুর আবির্ভাব হয়নি বলে জানালেন সুজন দাশগুপ্ত। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ‘সোনার কেল্লা’ উপন্যাসে প্রথম লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ুর আবির্ভাব। ‘তবে জটায়ু চরিত্রে সফল অভিনয় করেছিলেন সন্তোষ দত্ত। তাঁর সঙ্গে একেনবাবু যে করছে, অনির্বাণ, তার অভিনয়ের মিল আছে কিছু। তার পরও সে কোথাও একটা পার্থক্য তৈরির চেষ্টা করেছে।’
কথায় কথা গড়ায়। গল্প-উপন্যাস থেকে ওয়েব সিরিজ, সিনেমা, রাজনীতি, দেশভাগ ইত্যাকার বিষয় নিয়ে ঘণ্টাখানেক আমাদের আড্ডা চলে। আর মাঝেমধ্যে চলে `একেনবাবু'র খোঁজখবর। জানতে চাই, `একেনবাবু সিক্সথ' আমরা পাচ্ছি তো? সুজন দাশগুপ্ত জানালেন, ‘সেটা তো হইচইয়ের ব্যাপার। তবে আশা নিশ্চয় করতে পারি। পরের বইয়ের জন্য কয়েকটি নতুন গল্পও লেখা হয়ে গেছে। দেখা যাক বাকিটা।’
প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
১১ ঘণ্টা আগেবিচ্ছেদের পর একাই পালন করছেন মা-বাবার দায়িত্ব। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ব্যবসায় নামছেন অভিনেত্রী। মা এবং নবজাতকের দরকারি পণ্যের ব্র্যান্ডশপ দিচ্ছেন পরীমনি।
১১ ঘণ্টা আগেপরদিনই কাকতালীয়ভাবে প্রকাশ্যে আসে বেজিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। অনেকে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন। কেউ কেউ তো আগবাড়িয়ে এটাও বলে দিয়েছেন, মোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হয়েছে রাহমান-সায়রার!
১১ ঘণ্টা আগেআগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের উৎসবে অংশ নেবে বিভিন্ন দেশের ২০০টির বেশি সিনেমা। তবে রাখা হয়নি না বাংলাদেশের কোনো সিনেমা।
১৭ ঘণ্টা আগে