তামান্না-ই-জাহান

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

কেজিএফ-এর দ্বিতীয় পর্বে এখন তোলপাড় ভারত। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, কর্ণাটক থেকে বোম্বে এসে ‘রকি’ হয়ে ওঠে মুকুটহীন সম্রাট। বোম্বে হাতের মুঠোয় নেওয়ার পরই রকি চাইতে থাকে—‘দুনিয়া’!
ভারতের বলিউডেও কী সেই ঘটনাই ঘটতে চলেছে? অন্তত চলতি বছরের শুরু থেকে হিসাব করলে বিষয়টা তেমনই দাঁড়ায়। এক কথায়, দক্ষিণী সিনেমায় কাঁপছে বলিউড। অধুনা মুম্বাই (আগের বোম্বে) এখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে পুষ্পা বা রকিদের ছাতার নিচে। অন্যদিকে ‘ভয় পেয়ে’ সিনেমার মুক্তি পেছাতে হচ্ছে বলিউডের শহীদ কাপুরের মতো নায়কদের। সেটিও আবার কিনা দক্ষিণেরই সিনেমার রিমেক!
ফলে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে যে, বলিউড তার এত দিনের সাম্রাজ্য হারাতে বসল কি না? এই প্রশ্নের আগুনে নতুন করে ঘি ঢেলেছে ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। এই এক সিনেমাতেই যেন বলিউডের হিন্দি ঘরানার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পুরো ব্যবসা কাঠামো শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেল। যদিও ভারতে দক্ষিণী সিনেমার দাপট নতুন নয়। জনপ্রিয়তা ছাড়িয়েছে দেশের গণ্ডিও। তবে ‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দক্ষিণী নতুন সিনেমার কারণে হরহামেশা নিজেদের ছবির মুক্তির তারিখ পেছাতে বাধ্য হচ্ছে বলিউড। সম্প্রতি এমন নজির ভূরি ভূরি। বিগ বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা মুক্তির দিনক্ষণ এগিয়ে আসলেই যেন হৃৎকম্পন শুরু হয় বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের। সবশেষ বলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘জার্সি’। শহীদ কাপুর ও ম্রুনাল ঠাকুর অভিনীত এই সিনেমা বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৪ এপ্রিল মুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ফের বাঁধ সাধল সেই দক্ষিণী সিনেমা! এদিন ভারতজুড়ে মুক্তি পায় বহুল কাঙ্ক্ষিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির এই সিনেমার জন্য শেষ সময়ে এসে মুক্তি পেছাতে বাধ্য হলো ‘জার্সি’ টিম। এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে ২২ এপ্রিল।
এদিকে ‘পুষ্পা’ ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বক্স অফিস কাঁপায় ‘আরআরআর’। জুনিয়র এনটিআর, রামচরণদের সিনেমা দেখতে রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভারতীয় দর্শকেরা। একই চিত্র ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ সিনেমারও। ‘আরআরআর’-এর পর বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে কন্নড় তারকা যশ অভিনীত সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনই এই সিনেমা আয় করে ১৩৪ কোটি রুপির বেশি। প্রশান্ত নীল পরিচালিত ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ হিন্দি, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম—মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। হিন্দি বলয়ে এর উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাপী ১ হাজারের বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ’।
অথচ ভারতীয় সিনেমা বলতে এক সময় ধরে নেওয়া হতো বলিউডকেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই ধারণা পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণ ভারত। বিশেষ করে তামিল, তেলুগু, মালয়ালম ও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। আঞ্চলিক গণ্ডি পেরিয়ে সারা ভারত ছাড়াও বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অনেক সময় বলিউডের চেয়ে বেশি দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের সিনেমাগুলো। আর এসব সম্ভব হচ্ছে প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন, মহেশ বাবু থেকে শুরু করে কন্নড় অভিনেতা যশে ভর করে। বলিউডের অনেক পরিচালক-প্রযোজকও এখন এই অভিনেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা শুধুমাত্র বড় স্ক্রিনই দখল করেনি বরং মহামারির এই সময়ে গত দুই বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আধিপত্য দেখিয়েছে। এটি চলতি ২০২২ সালে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং বলিউডকে ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র ও বাজার বিশ্লেষকেরা। এ ক্ষেত্রে কেবল নির্মাণ ধরন নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের বিপণন নীতিও। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি ‘বাঁচো এবং বাঁচতে দাও’ দর্শনে বিশ্বাসী। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি এসএস রাজামৌলি ও অন্যান্য বড় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতারা মিলে এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা হলো তাঁদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের মুক্তির তারিখ পর্যায়ক্রমে থাকবে। অর্থাৎ, কেউ কারও ব্যবসায় ভাগ বসাতে রাজি নয়! বরং একে অন্যের সহায়ক হয়ে উঠছে দক্ষিণী সিনেমাগুলো। ‘আরআরআর’ থেকে শুরু করে ‘রাধে শ্যাম’ এবং আরও কিছু ছবির নির্মাতা একই সময়ে এমনকি একই দিনে তাঁদের বহুল কাঙ্ক্ষিত সিনেমার মুক্তির পর্যায়ক্রমিক তারিখ ঘোষণা করেছিলেন! আঞ্চলিক সিনেমার ক্ষেত্রে ‘এক সঙ্গে মিলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি’ এবং ‘সংহতি ছাড়া স্থিতিশীলতা নেই’ নীতিতে চলছেন দক্ষিণী সিনেমার সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণের প্রথমসারির অভিনয় শিল্পীরা মনে করেন, দক্ষিণের সিনেমার গল্প বলার একটি অনন্য মাধ্যম রয়েছে। তাঁদের সিনেমা দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। কেবল গল্প নয়, শীর্ষস্থানীয় অভিনয় শিল্পীদের কাস্ট করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন নয় যে শুধু তারকার জোরে ছবি চলে। বরং মাথায় থাকে, ‘কনটেন্ট ইজ কিং’। আর মূল জায়গায় মনোযোগ দেওয়াতেই প্রভাস, রামচরণ, জুনিয়র এনটিআর, থালাপাতি বিজয়, ধানুশ, দুলকার সালমান, আল্লু অর্জুন ও মহেশ বাবুর মতো তারকারা এখন আর আঞ্চলিক গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। বরং তাঁরা সর্বভারতীয় তারকা হয়ে উঠছেন ক্রমেই।
অন্যদিকে দক্ষিণী সিনেমার সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে বলিউড। সম্প্রতি বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দক্ষিণী সিনেমার বাজার দখল নিয়ে বলেন, ‘বলিউডে আরও বেশি করে নায়ককেন্দ্রিক ও লার্জার দ্যান লাইফ ঘরানার সিনেমা তৈরি করা উচিত। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি সব সময়েই এই ধারণায় বিশ্বাসী। দর্শকদের একটা বড় অংশ এটাই দেখতে চায়। বলিউডে এক-দু’জন ছাড়া এ রকম সিনেমা কেউ বানায় না। আমাদের উচিত এখন থেকে আরও বেশি করে এমন সিনেমা তৈরি করা।’ দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসা করে ভাইজান আরও বলেন, ‘সেলিম-জাভেদদের সময়ে এই ধরনের ছবি তৈরি হতো। তবে এখন দক্ষিণী পরিচালকরা সেটাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। দক্ষিণী সিনেমার অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। ওদের নির্মাণের আলাদা মেজাজ রয়েছে স্টাইলই আলাদা। দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাহিনিকারও ভীষণ পরিশ্রম করেন। স্বল্প বাজেটের সিনেমায়ও অনেক শ্রম দেন। আর দর্শকেরাও দেখতে যান।’
চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অনেকে মনে করেন, বলিউডের সিনেমা সংশ্লিষ্টদের সত্যিই আত্মদর্শন প্রয়োজন। চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলিই কেবল নয়, প্রচার কৌশলেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এখনই নড়েচড়ে না বসলে অদূর ভবিষ্যতে বলিউডকে খুব বেহাল অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে বলেও মনে করেন অনেকে।
সব মিলিয়ে বেশ গ্যাঁড়াকলেই আছে বলিউড। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যদি এখনই নিজেদের ভুল শোধরানোয় মনোযোগী না হয় বলিউড, তবে অদূর ভবিষ্যতে রকিরাই দখল করে নিতে পারে মুম্বাই। কে জানে, সালমান-শাহরুখের বদলে তখন যশ-আল্লুরাই বলিউডের মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠেন কি না!
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টুডে, পিংকভিলা, দ্য নিউজ মিনিট
এই সম্পর্কিত পড়ুন:

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৭ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৭ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৭ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৭ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৭ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৭ ঘণ্টা আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

‘বাহুবলী’ থেকে শুরু করে সবশেষ ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু’ পর্যন্ত যেভাবে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন প্রভাস, রামচরণ, আল্লু অর্জুন ও যশরা, তাতে অনেকেই মনে করছেন বলিউড রাজত্বের দিন ফুরোল বলে। তবে কি খান-কাপুরদের একচ্ছত্র রাজত্বের অবসান হবে পুষ্পা-রকিদের হাতেই?
১৬ এপ্রিল ২০২২
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৭ ঘণ্টা আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
১৭ ঘণ্টা আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
১৭ ঘণ্টা আগে