নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ভারতের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। টানা ছয় দিন ঘুরবে দেশের জলপথে। এটি বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা। তবে তাঁদের এমন মন্তব্যকে ‘সব সময়ই ভালো কাজের বিরোধিতা’ হিসেবে দেখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রমোদতরীকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মোংলায় আমরা স্বাগত জানাব। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ ধরনের প্রমোদতরী চলাচলের কারণে বিলুপ্তপ্রায় গঙ্গার ডলফিন বা শুশুকের ক্ষতি হতে পারে—এমন উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদেরা। এ নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, প্রমোদতরী বাংলাদেশের নদীতে এলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কি না জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবাদীরা সব সময়ই ভালো কাজগুলোতে বিরোধিতা করেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেও তাঁরা একই কাজ করেছিলেন। আমরা মোংলায় যে গভীরতা তৈরি করছি, এতে করে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভিড়বে, সেটিতেও এই চক্রটিই বিরোধিতা করেছে। তাঁদের কথা ভাবলে আমাদের আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। তাঁরা কখনোই দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না।’
বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নির্মাণ করা যাবে না জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে কোন নদীতে কোন জাহাজ চলাচল করবে, সেটা মাথায় রেখেই ব্রিজগুলো নির্মাণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া সড়ক, এলজিইডি, সেতু বিভাগ কেউই যেন কোন সেতু নির্মাণ করতে না পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তদারকি করতে বলা হয়েছে।’
‘আমরা চাই নৌ প্রবাহ যেন সঠিক থাকে, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন যে, শিরার মধ্যে যদি রক্ত প্রবাহিত না হয় তাহলে মানুষ থেমে যাবে। তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশও পানি প্রবাহিত না হলে থেমে যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে।’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের মালামাল আটকে যাওয়ার ব্যাপারে নৌ–প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাহাজটি সর্বশেষ কোথায় আছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। যেহেতু তাদের (রাশিয়া) ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা আছে, আমাদের পক্ষ থেকে যা করার করেছি। এখন রাশিয়া কীভাবে জাহাজটি পাঠাবে, মালামালগুলো তাদের এজেন্টরা কীভাবে নিয়ে আসবে, এটি তাদের বিষয়।’
ডিসি সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ডিসিদের সব সময়ই ভালো যোগাযোগ থাকে। আজকের সম্মেলনে তাঁরা উপকূলীয় অঞ্চলে যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছে, আমরা সেগুলো আমলে নিয়েছি।’
গত ২৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ভারতের প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। টানা ছয় দিন ঘুরবে দেশের জলপথে। এটি বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা। তবে তাঁদের এমন মন্তব্যকে ‘সব সময়ই ভালো কাজের বিরোধিতা’ হিসেবে দেখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রমোদতরীকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মোংলায় আমরা স্বাগত জানাব। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ ধরনের প্রমোদতরী চলাচলের কারণে বিলুপ্তপ্রায় গঙ্গার ডলফিন বা শুশুকের ক্ষতি হতে পারে—এমন উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবিদেরা। এ নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, প্রমোদতরী বাংলাদেশের নদীতে এলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কি না জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবাদীরা সব সময়ই ভালো কাজগুলোতে বিরোধিতা করেন। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেও তাঁরা একই কাজ করেছিলেন। আমরা মোংলায় যে গভীরতা তৈরি করছি, এতে করে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভিড়বে, সেটিতেও এই চক্রটিই বিরোধিতা করেছে। তাঁদের কথা ভাবলে আমাদের আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। তাঁরা কখনোই দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না।’
বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া কোনো সেতু নির্মাণ করা যাবে না জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে কোন নদীতে কোন জাহাজ চলাচল করবে, সেটা মাথায় রেখেই ব্রিজগুলো নির্মাণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন ছাড়া সড়ক, এলজিইডি, সেতু বিভাগ কেউই যেন কোন সেতু নির্মাণ করতে না পারে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের তদারকি করতে বলা হয়েছে।’
‘আমরা চাই নৌ প্রবাহ যেন সঠিক থাকে, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন যে, শিরার মধ্যে যদি রক্ত প্রবাহিত না হয় তাহলে মানুষ থেমে যাবে। তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশও পানি প্রবাহিত না হলে থেমে যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে।’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের মালামাল আটকে যাওয়ার ব্যাপারে নৌ–প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাহাজটি সর্বশেষ কোথায় আছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। যেহেতু তাদের (রাশিয়া) ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা আছে, আমাদের পক্ষ থেকে যা করার করেছি। এখন রাশিয়া কীভাবে জাহাজটি পাঠাবে, মালামালগুলো তাদের এজেন্টরা কীভাবে নিয়ে আসবে, এটি তাদের বিষয়।’
ডিসি সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ডিসিদের সব সময়ই ভালো যোগাযোগ থাকে। আজকের সম্মেলনে তাঁরা উপকূলীয় অঞ্চলে যাতায়াতের সমস্যা নিয়ে কথা বলেছে, আমরা সেগুলো আমলে নিয়েছি।’
গত ২৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটি সাইটিসের অনুশাসন মেনে প্রজাতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য রোধে
১৪ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়
২ দিন আগেসন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব।
২ দিন আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাঁদের জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
৩ দিন আগে