এস বাসু দাশ, বান্দরবান
বান্দরবানের রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর তিনটি ঘাট এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানাও করা হয়েছে। তবে এরপরও থামছে না বালু উত্তোলন। এতে করে কৃষি উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে ঘোলা হয়ে যাওয়ায় তীরে বসবাসকারী মানুষেরা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছে না।
সদর ইউনিয়নের মুন লাই পাড়া ঘাট, রুমাচর পাড়া ঘাট ও পলিকা পাড়া ঘাট—এই তিনটি এলাকা থেকে মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৩ দিন ধরে এই কার্যক্রম চলছে। যাঁরা বালু তুলছেন তাঁরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে স্থানীয়রা প্রতিবাদও করতে পারছেন না।
বালু উত্তোলনের জন্য ওই তিনটি স্থানেই ২৪ অশ্বশক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি মেশিন বসানো হয়েছে। ১০ ইঞ্চি পাইপ যুক্ত করে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের মো. হাসান মুরাদ, মো. মতলব, রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু বক্কর, মো. দস্তগীর, জুয়েল দাশ, মিল্টন মার্মা, প্রণব লাল চক্রবর্তী, এ কে মালেক ও শাকিলের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট তিনটি বালু তোলার মেশিন বসিয়েছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ স্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আবু বক্কর। তিনি বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করার ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি নেই।
এই সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য হাসান মুরাদও বলেন, অনুমোদন নেই। সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করছেন তাঁরা।
পানিসংকটে বাসিন্দারা শীতকালে সাঙ্গু নদীর পানি সাধারণত পরিষ্কার থাকে। এ সময় নদীর পানিপ্রবাহের খুব কাছে অনেকে গর্ত খোঁড়েন। নদীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে ওই গর্তে যে পানি আসে, তা পান ও গৃহস্থালির নানান কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে এবার বালু উত্তোলনের কারণে পানি ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই পানি ব্যবহারে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নদীপারের বাসিন্দাদের।
রুমাচর পাড়াবাসী উথোয়াই মং মার্মা বলেন, তাঁদের নিচপাড়ার ৭০ পরিবার এবং উপরপাড়ার ৩৫ পরিবার সম্পূর্ণ সাঙ্গু নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। তবে গত বছর থেকে শুষ্ক মৌসুমে নদী থেকে বালু তোলার কারণে পানি ঘোলা থাকছে। এই পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নৌযান চলাচল ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত
সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি কমে যাওয়ায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে প্রবাহ। এর ফলে পাড় ও প্রবাহের মধ্যে বেশ খানিকটা জায়গা ফাঁকা রয়েছে। এসব জায়গায় নদীপারের বাসিন্দারা সবজির চাষ করেছেন। তবে যেসব জায়গায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, সেই সব জায়গায় কোনো চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। বালু তুলে মূলত নদীর পাড়েই রাখা হচ্ছে। আবার বালু তোলার কারণে নদীও ভাঙছে। এতেও কৃষিজমি বিলীন হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রুমাচর উপরপাড়ার বাসিন্দা চসানু মারমা বলেন, ‘নদীর তীরে এ বছর ৪০ শতক মটরশুঁটি, শিমজাতীয় সবজিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে নদীর তীর ভেঙে গিয়ে সবজিখেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’
এ ছাড়া নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বোটচালক মুইম্রা অং মার্মা বলেন, সাঙ্গু নদীর মাঝখানে বালু তোলার মেশিন বসানোর কারণে রুমা বাজার থেকে গ্যালেঙ্গ্যা বাজার, বলিপাড়া নৌবোট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, ‘গত সপ্তাহে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’
তবে এরপরও থামেনি বালু উত্তোলন। এই ব্যাপারে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রুমায় সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ আইনে সর্বোচ্চ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বান্দরবানের রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর তিনটি ঘাট এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানাও করা হয়েছে। তবে এরপরও থামছে না বালু উত্তোলন। এতে করে কৃষি উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে ঘোলা হয়ে যাওয়ায় তীরে বসবাসকারী মানুষেরা নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছে না।
সদর ইউনিয়নের মুন লাই পাড়া ঘাট, রুমাচর পাড়া ঘাট ও পলিকা পাড়া ঘাট—এই তিনটি এলাকা থেকে মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৩ দিন ধরে এই কার্যক্রম চলছে। যাঁরা বালু তুলছেন তাঁরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে স্থানীয়রা প্রতিবাদও করতে পারছেন না।
বালু উত্তোলনের জন্য ওই তিনটি স্থানেই ২৪ অশ্বশক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি মেশিন বসানো হয়েছে। ১০ ইঞ্চি পাইপ যুক্ত করে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের মো. হাসান মুরাদ, মো. মতলব, রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু বক্কর, মো. দস্তগীর, জুয়েল দাশ, মিল্টন মার্মা, প্রণব লাল চক্রবর্তী, এ কে মালেক ও শাকিলের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট তিনটি বালু তোলার মেশিন বসিয়েছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ স্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আবু বক্কর। তিনি বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করার ব্যাপারে প্রশাসনের অনুমতি নেই।
এই সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য হাসান মুরাদও বলেন, অনুমোদন নেই। সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করছেন তাঁরা।
পানিসংকটে বাসিন্দারা শীতকালে সাঙ্গু নদীর পানি সাধারণত পরিষ্কার থাকে। এ সময় নদীর পানিপ্রবাহের খুব কাছে অনেকে গর্ত খোঁড়েন। নদীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে ওই গর্তে যে পানি আসে, তা পান ও গৃহস্থালির নানান কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে এবার বালু উত্তোলনের কারণে পানি ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই পানি ব্যবহারে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নদীপারের বাসিন্দাদের।
রুমাচর পাড়াবাসী উথোয়াই মং মার্মা বলেন, তাঁদের নিচপাড়ার ৭০ পরিবার এবং উপরপাড়ার ৩৫ পরিবার সম্পূর্ণ সাঙ্গু নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। তবে গত বছর থেকে শুষ্ক মৌসুমে নদী থেকে বালু তোলার কারণে পানি ঘোলা থাকছে। এই পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
নৌযান চলাচল ও কৃষি উৎপাদন ব্যাহত
সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি কমে যাওয়ায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে প্রবাহ। এর ফলে পাড় ও প্রবাহের মধ্যে বেশ খানিকটা জায়গা ফাঁকা রয়েছে। এসব জায়গায় নদীপারের বাসিন্দারা সবজির চাষ করেছেন। তবে যেসব জায়গায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, সেই সব জায়গায় কোনো চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। বালু তুলে মূলত নদীর পাড়েই রাখা হচ্ছে। আবার বালু তোলার কারণে নদীও ভাঙছে। এতেও কৃষিজমি বিলীন হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে রুমাচর উপরপাড়ার বাসিন্দা চসানু মারমা বলেন, ‘নদীর তীরে এ বছর ৪০ শতক মটরশুঁটি, শিমজাতীয় সবজিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে নদীর তীর ভেঙে গিয়ে সবজিখেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’
এ ছাড়া নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বোটচালক মুইম্রা অং মার্মা বলেন, সাঙ্গু নদীর মাঝখানে বালু তোলার মেশিন বসানোর কারণে রুমা বাজার থেকে গ্যালেঙ্গ্যা বাজার, বলিপাড়া নৌবোট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, ‘গত সপ্তাহে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’
তবে এরপরও থামেনি বালু উত্তোলন। এই ব্যাপারে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রুমায় সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ আইনে সর্বোচ্চ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
২১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
২ দিন আগে