অনলাইন ডেস্ক
এশীয় হাতিরা তাদের মৃত শাবকদের কবর দেয় এবং এ সময় জোরে শব্দ করে শোক জানায়। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এশীয় হাতিদের ওপর একটি গবেষণার পর এ তথ্যটি প্রকাশ্য করেছে। তাদের গবেষণার ফলাফল মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে হাতির আচরণের মিল খুঁজে পেয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এ সপ্তাহে জার্নাল অব থ্রেটেনড ট্যাক্সায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। সমীক্ষার জন্য গবেষকেরা ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে পাঁচটি হাতির শাবকের কবর শনাক্ত করেছেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তারা দেখতে পান যে, মৃত শাবককে শুঁড় এবং পায়ে করে নিয়ে যায় হাতির পাল। এরপর মৃত শাবকটির পা আকাশের দিকে দিয়ে কবর দেওয়া হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘সুযোগসন্ধানী পর্যবেক্ষণ, ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, ফিল্ড নোট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন হাতির শাবককে মাটিতে শুইয়ে কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে সমাহিত করা হয়।’
একজন গবেষক লিখেছেন যে, একটি ঘটনায় দেখা গেছে, সমাহিত শাবকের কবর প্রদক্ষিণ করছে হাতির পাল। সঙ্গে জোরে ডাকছিল তারা।
এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, কেবল মৃত শাবকদেরই কবর দেয় এশীয় হাতি। পূর্ণবয়স্ক হাতির ক্ষেত্রে সমাহিত করার ঘটনা দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে পূর্ণবয়স্ক হাতির বাড়তি ওজনই আসল কারণ বলে ধারণা করা যায়। কারণ, পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃতদেহকে টেনে নিয়ে যাওয়া হাতির পালের জন্যও প্রায় অসম্ভব।
গবেষণাপত্রটির লেখক পারভিন কাসওয়ান এবং আকাশদীপ রায় বলেছেন যে, তাদের গবেষণায় যে পাঁচটি হাতির শাবকের কথা বলা হয়েছে, তাদের মৃত্যুতে মানুষের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা পাওয়া যায়নি। কবরগুলোর চারপাশে এবং শাবকদের মৃতদেহ ঢেকে রাখা মাটির ওপর ১৫ থেকে ২০টি হাতির পায়ের স্পষ্ট ছাপ পাওয়া গেছে। সবগুলো শাবকই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গজনিত কারণে তিন মাস থেকে এক বছর বয়সের মধ্যে মারা গেছে।
হাতিরা মৃত শাবকগুলোকে নিকটতম মানব বসতি থেকে কয়েকশ মিটার দূরে চা বাগানের সেচ খালে কবর দিয়েছিল।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সামাজিক এবং সহযোগিতামূলক আচরণের জন্য হাতি পরিচিত হলেও শাবকদের কবর দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এর আগে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি। কেবল আফ্রিকান হাতিদের মধ্যেই এই আচরণ নিয়ে সংক্ষিপ্ত গবেষণা হয়েছিল। তবে এশিয়ার হাতিদের এই কবর দেওয়ার আচরণ অনাবিষ্কৃতই ছিল।
এশিয়া এবং আফ্রিকা উভয় এলাকার হাতিরাই তাদের স্বগোত্রীয়দের মৃতদেহ দেখতে যায়। তবে শাবকদের কবর দেওয়ার আচরণটি জানা গেল এবারই। গবেষণায় পাঁচটি শাবকের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, কবর দেওয়ার পর ৪০ মিনিটের মধ্যেই সেই এলাকা ত্যাগ গেছে হাতির পাল। পরেও আর কখনো সেখানে ফিরে আসেনি তারা। এমনকি বাসস্থান পরিবর্তনের সময়ও কবরস্থান এড়িয়ে গিয়েছিল হাতির পাল।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার জানিয়েছে, বিপন্ন হওয়ার পথে এখন এশীয় হাতি। এর সংখ্যা আনুমানিক ২৬ হাজার—যার অধিকাংশই বাস করে ভারতের বনাঞ্চলে। কিছু এশীয় হাতি দেখা যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। বন্দিদশার বাইরে গড়ে ৬০-৭০ বছর বেঁচে থাকে এশীয় হাতি।
এশীয় হাতিরা তাদের মৃত শাবকদের কবর দেয় এবং এ সময় জোরে শব্দ করে শোক জানায়। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এশীয় হাতিদের ওপর একটি গবেষণার পর এ তথ্যটি প্রকাশ্য করেছে। তাদের গবেষণার ফলাফল মানুষের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গে হাতির আচরণের মিল খুঁজে পেয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এ সপ্তাহে জার্নাল অব থ্রেটেনড ট্যাক্সায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। সমীক্ষার জন্য গবেষকেরা ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে পাঁচটি হাতির শাবকের কবর শনাক্ত করেছেন। প্রতি ক্ষেত্রেই তারা দেখতে পান যে, মৃত শাবককে শুঁড় এবং পায়ে করে নিয়ে যায় হাতির পাল। এরপর মৃত শাবকটির পা আকাশের দিকে দিয়ে কবর দেওয়া হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘সুযোগসন্ধানী পর্যবেক্ষণ, ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, ফিল্ড নোট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন হাতির শাবককে মাটিতে শুইয়ে কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে সমাহিত করা হয়।’
একজন গবেষক লিখেছেন যে, একটি ঘটনায় দেখা গেছে, সমাহিত শাবকের কবর প্রদক্ষিণ করছে হাতির পাল। সঙ্গে জোরে ডাকছিল তারা।
এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, কেবল মৃত শাবকদেরই কবর দেয় এশীয় হাতি। পূর্ণবয়স্ক হাতির ক্ষেত্রে সমাহিত করার ঘটনা দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে পূর্ণবয়স্ক হাতির বাড়তি ওজনই আসল কারণ বলে ধারণা করা যায়। কারণ, পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃতদেহকে টেনে নিয়ে যাওয়া হাতির পালের জন্যও প্রায় অসম্ভব।
গবেষণাপত্রটির লেখক পারভিন কাসওয়ান এবং আকাশদীপ রায় বলেছেন যে, তাদের গবেষণায় যে পাঁচটি হাতির শাবকের কথা বলা হয়েছে, তাদের মৃত্যুতে মানুষের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা পাওয়া যায়নি। কবরগুলোর চারপাশে এবং শাবকদের মৃতদেহ ঢেকে রাখা মাটির ওপর ১৫ থেকে ২০টি হাতির পায়ের স্পষ্ট ছাপ পাওয়া গেছে। সবগুলো শাবকই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গজনিত কারণে তিন মাস থেকে এক বছর বয়সের মধ্যে মারা গেছে।
হাতিরা মৃত শাবকগুলোকে নিকটতম মানব বসতি থেকে কয়েকশ মিটার দূরে চা বাগানের সেচ খালে কবর দিয়েছিল।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, সামাজিক এবং সহযোগিতামূলক আচরণের জন্য হাতি পরিচিত হলেও শাবকদের কবর দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এর আগে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি। কেবল আফ্রিকান হাতিদের মধ্যেই এই আচরণ নিয়ে সংক্ষিপ্ত গবেষণা হয়েছিল। তবে এশিয়ার হাতিদের এই কবর দেওয়ার আচরণ অনাবিষ্কৃতই ছিল।
এশিয়া এবং আফ্রিকা উভয় এলাকার হাতিরাই তাদের স্বগোত্রীয়দের মৃতদেহ দেখতে যায়। তবে শাবকদের কবর দেওয়ার আচরণটি জানা গেল এবারই। গবেষণায় পাঁচটি শাবকের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, কবর দেওয়ার পর ৪০ মিনিটের মধ্যেই সেই এলাকা ত্যাগ গেছে হাতির পাল। পরেও আর কখনো সেখানে ফিরে আসেনি তারা। এমনকি বাসস্থান পরিবর্তনের সময়ও কবরস্থান এড়িয়ে গিয়েছিল হাতির পাল।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার জানিয়েছে, বিপন্ন হওয়ার পথে এখন এশীয় হাতি। এর সংখ্যা আনুমানিক ২৬ হাজার—যার অধিকাংশই বাস করে ভারতের বনাঞ্চলে। কিছু এশীয় হাতি দেখা যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। বন্দিদশার বাইরে গড়ে ৬০-৭০ বছর বেঁচে থাকে এশীয় হাতি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কনভেনশন, সাইটিস, অনুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশটি সাইটিসের অনুশাসন মেনে প্রজাতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বাণিজ্য রোধে
১২ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়
২ দিন আগেসন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব।
২ দিন আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাঁদের জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
২ দিন আগে