নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে বায়ুদূষণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। বায়ুদূষণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বারবার আসছে নাম। আজ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের মাত্রার বিচারে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। আর রাজধানী হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। বিশ্বের ১১৭টি দেশ, ৬ হাজার ৪৭৫টি অঞ্চল এবং স্থলভিত্তিক বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বায়ুদূষণ ডেটার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ সমস্যা নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি সারা দেশে বিরাজ করছে। তাঁরা বলছেন, নির্মল বায়ু এখন বাংলাদেশে স্বপ্ন। বায়ুদূষণের কারণে দেশে মানবিক বিপর্যয় ও পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। এটাকে সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
বায়ুদূষণ রোধ করতে না পারলে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হবে জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বায়ুদূষণ যে বাংলাদেশের বড় সমস্যা, তা বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। সরকার তার নীতি ও আইনি কাঠামো থেকে শুরু করে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেগুলোর কোনোটাতে বায়ুদূষণ তো দূরে থাক, পরিবেশদূষণকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। যে কারণে আমাদের দেশে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। দূষণের কারণে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় ও পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হতে পারে। এটাকে সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। নইলে ভবিষ্যতে এমন ক্ষতি হবে, যেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশে বায়ুদূষণের বিষয়টি এমন পর্যায়ে গেছে, ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়া তা খালি চোখে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দূষণের মাত্রা অত্যধিক। শুধু আন্তর্জাতিক গবেষণায় নয়, দেশীয় বিভিন্ন গবেষণায় আমরা এমন তথ্য তুলে ধরেছি। ঢাকার বায়ুদূষণ ছাড়িয়ে গাজীপুরের বায়ুদূষণ বেড়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৪ জেলায় বায়ুদূষণ বেশি। মাত্র ১০টি জেলায় তুলনামূলক বায়ুদূষণ ছিল।’
কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘নির্মল বায়ু এখন বাংলাদেশে স্বপ্ন। সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ বায়ুদূষণ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। বায়ুদূষণরোধে সিটি করপোরেশন শক্তিশালী করা উচিত। পরিবেশ অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পর্যবেক্ষণ করার জন্য। বায়ুদূষণের তথ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি বিলবোর্ডের মাধ্যমে জনগণকে জানানো দরকার।’
এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদকে আজকের পত্রিকা থেকে কল দেওয়া হলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে লাইন কেটে দেন।
আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল এমন তালিকায় ১১৭ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপরই রয়েছে চাদ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান, চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাজিকিস্তান। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি দেশও ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমান বজায় রাখতে পারেনি। গত বছর ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তন করে। সে সময় সংস্থাটি জানায়, পিএম ২ দশমিক ৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে এর চেয়ে কম ঘনত্বও উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। অথচ আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন বলছে, তাদের সমীক্ষার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শহরের মধ্যে মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শহরের বাতাসে ডব্লিউএইচও প্রত্যাশিত বায়ুমান পাওয়া গেছে। আর ৯৩টি শহরে পিএম ২ দশমিক ৫ এর মাত্রা ছিল ওই গ্রহণযোগ্য মাত্রার ১০ গুণ বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫ এর গড় পরিমাণ ছিল ৭৬ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা সমীক্ষার ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই হিসেবে গত বছর বিশ্বে বাংলাদেশের বাতাসই ছিল সবচেয়ে দূষিত।
জানা গেছে, আইকিউএয়ার ২০১৮ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এর মধ্যে প্রতিবারই বাংলাদেশ দূষিত দেশের তালিকায় প্রথম দিকে থাকছে।
বাংলাদেশে বায়ুদূষণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। বায়ুদূষণে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বারবার আসছে নাম। আজ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের মাত্রার বিচারে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। আর রাজধানী হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। বিশ্বের ১১৭টি দেশ, ৬ হাজার ৪৭৫টি অঞ্চল এবং স্থলভিত্তিক বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বায়ুদূষণ ডেটার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
দেশের বিশেষজ্ঞরা বলছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণ সমস্যা নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি সারা দেশে বিরাজ করছে। তাঁরা বলছেন, নির্মল বায়ু এখন বাংলাদেশে স্বপ্ন। বায়ুদূষণের কারণে দেশে মানবিক বিপর্যয় ও পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হচ্ছে। এটাকে সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
বায়ুদূষণ রোধ করতে না পারলে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হবে জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বায়ুদূষণ যে বাংলাদেশের বড় সমস্যা, তা বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। সরকার তার নীতি ও আইনি কাঠামো থেকে শুরু করে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেগুলোর কোনোটাতে বায়ুদূষণ তো দূরে থাক, পরিবেশদূষণকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। যে কারণে আমাদের দেশে বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে। দূষণের কারণে মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় ও পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি হতে পারে। এটাকে সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। নইলে ভবিষ্যতে এমন ক্ষতি হবে, যেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।’
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) পরিচালক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘বাংলাদেশে বায়ুদূষণের বিষয়টি এমন পর্যায়ে গেছে, ল্যাবে পরীক্ষা ছাড়া তা খালি চোখে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দূষণের মাত্রা অত্যধিক। শুধু আন্তর্জাতিক গবেষণায় নয়, দেশীয় বিভিন্ন গবেষণায় আমরা এমন তথ্য তুলে ধরেছি। ঢাকার বায়ুদূষণ ছাড়িয়ে গাজীপুরের বায়ুদূষণ বেড়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৪ জেলায় বায়ুদূষণ বেশি। মাত্র ১০টি জেলায় তুলনামূলক বায়ুদূষণ ছিল।’
কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘নির্মল বায়ু এখন বাংলাদেশে স্বপ্ন। সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ বায়ুদূষণ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। বায়ুদূষণরোধে সিটি করপোরেশন শক্তিশালী করা উচিত। পরিবেশ অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পর্যবেক্ষণ করার জন্য। বায়ুদূষণের তথ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি বিলবোর্ডের মাধ্যমে জনগণকে জানানো দরকার।’
এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদকে আজকের পত্রিকা থেকে কল দেওয়া হলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে লাইন কেটে দেন।
আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল এমন তালিকায় ১১৭ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপরই রয়েছে চাদ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান, চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাজিকিস্তান। আর পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি দেশও ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমান বজায় রাখতে পারেনি। গত বছর ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তন করে। সে সময় সংস্থাটি জানায়, পিএম ২ দশমিক ৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে এর চেয়ে কম ঘনত্বও উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। অথচ আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন বলছে, তাদের সমীক্ষার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শহরের মধ্যে মাত্র ৩ দশমিক ৪ শতাংশ শহরের বাতাসে ডব্লিউএইচও প্রত্যাশিত বায়ুমান পাওয়া গেছে। আর ৯৩টি শহরে পিএম ২ দশমিক ৫ এর মাত্রা ছিল ওই গ্রহণযোগ্য মাত্রার ১০ গুণ বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশের বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫ এর গড় পরিমাণ ছিল ৭৬ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা সমীক্ষার ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই হিসেবে গত বছর বিশ্বে বাংলাদেশের বাতাসই ছিল সবচেয়ে দূষিত।
জানা গেছে, আইকিউএয়ার ২০১৮ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এর মধ্যে প্রতিবারই বাংলাদেশ দূষিত দেশের তালিকায় প্রথম দিকে থাকছে।
নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়
১৬ ঘণ্টা আগেসন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব।
২১ ঘণ্টা আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাঁদের জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
২ দিন আগেআমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন
২ দিন আগে