নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবছর ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতে আতশবাজি ফোটানোসহ ফানুস ওড়ানো হয়। এতে বায়ু ও শব্দদূষণে মানুষ, পশুপাখি ও পরিবেশ-প্রতিবেশ ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তাই ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যাপসের গবেষণা দল ছয় বছরব্যাপী (৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২৩) ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বায়ু ও শব্দদূষণের তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ডিসেম্বরের শেষ দিনের তুলনায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনের বায়ুমান অনেক বেশি খারাপ থাকে। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়,৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি বায়ুমান সূচক সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, পটকা-আতশবাজি ইত্যাদি ফোটানোর ফলে শব্দের তীব্রতা সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্ষবরণের পটকা-আতশবাজি থেকে উৎপন্ন শব্দের মাত্রা আগের দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আতশবাজির শব্দের জন্য প্রাণী ছাড়াও শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী মা এবং রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশেই বর্ষবরণের বাজির শব্দে গত বছর শিশু প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দের কারণে অনেকের হার্ট অ্যাটাক হয় এবং অসুস্থ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
পাখিরা প্রচণ্ড আওয়াজের কারণে ওড়াউড়ি করে এবং গাছে বা ভবনের দেয়ালে আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে যায়। ফলে আহত হয় এবং মারাও যায়। রাস্তার কুকুর-বিড়াল, গৃহস্থালি প্রাণী এমনকি বন্য প্রাণীরাও শব্দের কারণে ভয়ে বিভ্রান্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে।
আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে গিয়ে ২০২৩ সালের শুরুতেই সারা দেশ থেকে ২০০ স্থান থেকে আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছিল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও ফায়ার সার্ভিস।
সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর-iii/ ৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে শুভ বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো, মশাল মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলা হয়েছে।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘প্রত্যেকে যেন সামাজিকভাবে নিজ নিজ স্থান থেকে সচেতন হয় এবং পরিবেশ ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আতশবাজি ও ফানুস বর্জন করেন। ক্ষণিকের আনন্দ-উল্লাস যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে জনগণের কথা মাথায় রেখে নববর্ষকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।’
প্রতিবছর ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতে আতশবাজি ফোটানোসহ ফানুস ওড়ানো হয়। এতে বায়ু ও শব্দদূষণে মানুষ, পশুপাখি ও পরিবেশ-প্রতিবেশ ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তাই ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ করেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্যাপসের গবেষণা দল ছয় বছরব্যাপী (৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ থেকে ১ জানুয়ারি ২০২৩) ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বায়ু ও শব্দদূষণের তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ডিসেম্বরের শেষ দিনের তুলনায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনের বায়ুমান অনেক বেশি খারাপ থাকে। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়,৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি বায়ুমান সূচক সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, পটকা-আতশবাজি ইত্যাদি ফোটানোর ফলে শব্দের তীব্রতা সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্ষবরণের পটকা-আতশবাজি থেকে উৎপন্ন শব্দের মাত্রা আগের দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেশি হয়ে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আতশবাজির শব্দের জন্য প্রাণী ছাড়াও শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী মা এবং রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের দেশেই বর্ষবরণের বাজির শব্দে গত বছর শিশু প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দের কারণে অনেকের হার্ট অ্যাটাক হয় এবং অসুস্থ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
পাখিরা প্রচণ্ড আওয়াজের কারণে ওড়াউড়ি করে এবং গাছে বা ভবনের দেয়ালে আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে যায়। ফলে আহত হয় এবং মারাও যায়। রাস্তার কুকুর-বিড়াল, গৃহস্থালি প্রাণী এমনকি বন্য প্রাণীরাও শব্দের কারণে ভয়ে বিভ্রান্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে।
আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করতে গিয়ে ২০২৩ সালের শুরুতেই সারা দেশ থেকে ২০০ স্থান থেকে আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছিল জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও ফায়ার সার্ভিস।
সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নম্বর-iii/ ৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে শুভ বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো, মশাল মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলা হয়েছে।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘প্রত্যেকে যেন সামাজিকভাবে নিজ নিজ স্থান থেকে সচেতন হয় এবং পরিবেশ ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আতশবাজি ও ফানুস বর্জন করেন। ক্ষণিকের আনন্দ-উল্লাস যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে জনগণের কথা মাথায় রেখে নববর্ষকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।’
নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বিশেষ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়
১৪ ঘণ্টা আগেসন্তানের বড় শিক্ষক তার মা। সন্তানের ছোটবেলায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। শুধু লেখাপড়া নয়, আদবকায়দা, সামাজিক রীতিনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ—সবকিছু শিক্ষায় রয়েছে মায়ের অনেক বড় প্রভাব।
১৯ ঘণ্টা আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি উন্নত দেশগুলোকে তাঁদের জলবায়ু অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন
২ দিন আগেআমাদের দেশে সাপ খুব পরিচিত প্রাণী। সাপ দেখলে, এমনকি নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন এমন মানুষেরও অভাব নেই। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ বা অঞ্চলেই সাপের দেখা পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সরীসৃপটির পৃথিবীতে বাসও অন্তত ১৫ কোটি বছর ধরে। এখন যদি শোনেন বিশ্বে এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সাপ নেই, নিশ্চয় চমকে উঠবেন! তবে ঘটনা কিন
২ দিন আগে