
আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়েছে, যা এক মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সংস্থাটির মতে, প্রতিবছর ৭ মিলিয়ন মানুষের অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী হলো বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাপী এক অব্যাহত স্বাস্থ্যসংকটের দিকে ইঙ্গিত করে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধোঁয়াচ্ছন্ন এবং দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই এশিয়ায় অবস্থিত, যার মধ্যে ঢাকা একটি। এ ছাড়া নিউ দিল্লি, ব্যাংকক ও জাকার্তার বায়ুও অনেক খারাপ। এসব দেশে দূষিত বায়ু থেকে মুক্তি পাওয়া যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে স্মগ (ধোঁয়া) এবং দূষিত বায়ু বারবার ছড়িয়ে পড়ছে, যা মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, ‘নীল আকাশ বায়ুর বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’ অর্থাৎ বায়ুদূষণের মাত্রা কেবল দৃশ্যমান ধোঁয়াই নয়, নীরব এবং অদৃশ্য অবস্থায়ও হতে পারে।
সাধারণত মানুষ কিছু পোড়ালে বায়ু দূষিত হয়। যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ডিজেল ও পেট্রল। এগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। কৃষিকাজের জন্য ফসল বা গাছ পোড়ালে, এমনকি দাবানলের ফলেও বাতাস দূষিত হতে পারে।
শ্বাসনালিতে প্রবেশযোগ্য বাতাসের সূক্ষ্ম কণিকাগুলোকে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) বলা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ‘পিএম ২ দশমিক ৫’ নামে পরিচিত। কারণ এগুলোর আকার ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের কম। এগুলো মানুষের ফুসফুসে গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে এবং মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়। এর কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ক্ষুদ্র কণিকাগুলো ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ অনুমিতা রায়চৌধুরী জানান, আরও বিপজ্জনক দূষক গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড এবং সালফার ডাইঅক্সাইড। এগুলোও জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণের উৎস এবং তার তীব্রতা বিভিন্ন শহর ও মৌসুম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পুরোনো মোটরবাইক ও শিল্প বয়লারগুলো খারাপ বায়ুর প্রধান কারণ। আবার থাইল্যান্ড ও ভারতের শহরগুলোতে কৃষিবর্জ্য পোড়ানোই বায়ুদূষণের প্রকোপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ঢাকা, বাংলাদেশের রাজধানীতে, কয়লা পোড়ানো ইটভাটাগুলো দূষণের মাত্রা বাড়ায়। ব্রাজিল ও উত্তর আমেরিকায় ঋতুভিত্তিক দাবানলও বায়ুদূষণের সমস্যা সৃষ্টি করে।
স্বল্প মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক বা ইতিমধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আর দীর্ঘ মেয়াদে দূষিত বায়ু সেবনে গুরুতর হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা (সিওপিডি) এবং ফুসফুসের সংক্রমণের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ইউনিসেফের একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে এবং এই দূষণ পাঁচ বছরের নিচে প্রতিদিন ১০০ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক জুন কুনুগি বলেছেন, দূষিত বায়ু শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত করে, ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের মেধাগত সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিশ্বের ১১৭টি দেশে বর্তমানে ৬ হাজারেরও বেশি শহরে বায়ুমান পর্যবেক্ষণ করছে এবং অনেক আবহাওয়া মোবাইল অ্যাপেও বায়ুমানের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যাগুলো দেখে বায়ুর মান কতটা খারাপ তা অনেক সময় বোঝা যায় না।
বায়ুমানের স্তর আরও সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ব্যবহার করছে। এটি একটি সংখ্যাসূচক স্কেল, যেখানে বড় সংখ্যা মানে বায়ু আরও দূষিত তা বোঝায়। একিউআই স্কেলের পাশাপাশি বিভিন্ন রংও দেওয়া হয়, যা বায়ুর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে।
তবে, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বায়ুমানের মানদণ্ড রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের দৈনিক পিএম ২ দশমিক ৫ সীমা থাইল্যান্ডের চেয়ে ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি এবং ডব্লিউএইচওর মান থেকে ৪ গুণ বেশি।
এটি বোঝায় যে, বিভিন্ন দেশ নিজেদের বায়ুমান ইনডেক্সের হিসাব আলাদাভাবে করে থাকে এবং তাই এস্ব সংখ্যা একে অপরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এ ছাড়া, কখনো কখনো বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দেওয়া একিউআই স্কোর জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর হিসাব থেকে আলাদা হতে পারে। কারণ তারা আরও কঠোর মানদণ্ড ব্যবহার করে।
এ ছাড়া, মানুষকে মাস্ক পরা, ঘরে থাকা এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজের জন্য মানুষকে ঘর থেকে বের হতেই হয়।
মানুষকে ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে, যা প্রায়ই সাধারণ গৃহস্থালি কাজ যেমন রান্না বা ধূপের স্তম্ভ জ্বালানোর ফলে তৈরি হতে পারে।
ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে এয়ার পিউরিফায়ার বা বায়ু পরিশোধক। এগুলো ঘরের বায়ু শুষে নিয়ে একটি ফিল্টারের মাধ্যমে দূষকগুলো আটকে রেখে শুদ্ধ বায়ু আবার ঘরেও পাঠায়। তবে এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এয়ার পিউরিফায়ার সাধারণত ছোট জায়গায় এবং যখন মানুষ কাছে থাকে তখনই সবচেয়ে কার্যকর। যদি বড় রুমে একটি ছোট এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা হয়, তবে এটি কার্যকর হবে না। এ ছাড়া, অনেক উন্নয়নশীল দেশের মানুষের পক্ষে এয়ার পিউরিফায়ার কেনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

আমাদের জীবনের মৌলিক ও অপরিহার্য উপাদান হলো বায়ু। তবে শ্বাসের মাধ্যমে আমরা যে বাতাস টেনে নিচ্ছি, তা ততটা বিশুদ্ধ নয়। বিশ্বের প্রায় ৯৯ শতাংশ জনসংখ্যা কোনো না কোনো সময় এমন বায়ুর সংস্পর্শে আসে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করে না। বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম...
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে