মিয়ানমারের ১ লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩, ১২: ৩৬
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ১৩: ১২

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশেই ৩ লাখ। আর মিয়ানমারে ১ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিনে আঘাত হেনেছে। স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সাগরের উচ্চতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেগও। মোখার প্রভাবে ১২ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ২০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার বেশির ভাগই মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্যের।

বাংলাদেশের ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘জীবন বাঁচানোই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। মোখা আঘাত হানার আগেই প্রায় ৩ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণকক্ষের হিসাবমতে, জেলার ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে কক্সবাজারে আশ্রয়শিবিরে বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে প্রায় ৫ লাখ শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ত্রাণকর্মীরা। তবে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অন্তত ১ লাখ মানুষকে গত সপ্তাহ থেকে নিরাপদ এলাকায় নেওয়া হয়েছে। দেশটির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র সংগঠন ও জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয় (ওসিএইচএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত