৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে দিল্লির তাপমাত্রা, পুড়ছে উত্তর ভারত

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর ভারতে সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। তীব্র তাপপ্রবাহে এই অঞ্চলের জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে গেছে।

গতকাল রোববার দিল্লির নাজাফগড় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মরসুমে এটিই ভারতের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে ভারতের সাধারণ নির্বাচন চলছে। এর মধ্যে এই তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ভারতে গ্রীষ্মকাল মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সময়ে আবহাওয়া সাধারণত গরম এবং আর্দ্র থাকে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) বলেছে, এ বছর দীর্ঘতর এবং আরও তীব্র তাপপ্রবাহ অনুভব করতে পারে ভারত।

গত শনিবার ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের (এনসিআর) ১০টি জায়গায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে। দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর কিছু জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আইএমডি পূর্বাভাস দিয়েছে, আজ সোমবার এবং আগামীকাল মঙ্গলবার দিল্লি এবং উত্তরের শহরগুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫–৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের কিছু অংশে নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে থাকা ভারতের অনেক রাজ্যে চলতি সপ্তাহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে লক্ষাধিক ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর দিল্লিতে ভোটগ্রহণ হবে ২৫ মে।

গত ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন।

প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হতে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেক ভোটার। তাঁরা বলছেন, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের সময় বাড়িয়েছে। ভোট দিতে যাওয়ার সময় জনগণকে গরম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের অনেক অংশে গ্রীষ্মকাল সর্বদাই বেশ বৈরী থাকে। বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে বেশি গরম পড়ে।

সামর্থ্যবানেরা এই সময় এয়ার–কন্ডিশনার (এসি) এবং ওয়াটার কুলার ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশেষ প্রত্যন্ত শহর ও গ্রামের মানুষের হাতে অত ব্যয়বহুল বিকল্প থাকে না। তাঁরা সাধারণত হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে মাটির কলসিতে ঠান্ডা পানি রাখেন এবং কাঁচা আমের শরবতের মতো কিছু পানীয় পান করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত